কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন
কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন। বর্তমানে এটা নিয়ে অনেক মানুষের জানার আগ্রহ থাকতে পারে কারণ বিশ্ব যেভাবে ডিজিটাল হচ্ছে তাতে সবারই আগ্রহ থাকাটা স্বাভাবিক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ দৈনন্দিন জীবনে মানুষের কম্পিউটারে চাহিদা
- কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন
- আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে
- কম্পিউটার জনক কোন দেশের নাগরিক
- কম্পিউটার কত সালে আবিষ্কার করা হয়
- ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কাকে বলা হয়
- কম্পিউটার কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়
- দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার কতটা গুরুত্বপূর্ণ
- চার্লস ব্যাবেজ এর কম্পিউটার আবিষ্কার করার ইতিহাস
- অনলাইন সেক্টরে কম্পিউটারের অবদান কেমন
- কম্পিউটার আবিষ্কার নিয়ে লেখকের মন্তব্য
কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন
আমরা কম্পিউটার দিয়ে আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা মিটাই। অনেক ধরনের কাজ
আমরা কম্পিউটার দিয়ে করি। বর্তমান সময়ে একজন দক্ষ কম্পিউটার মানুষের প্রতি
চাহিদা তার অনেক ডিমান্ড। আমরা আলোচনা করব কম্পিউটার দিয়ে আমরা
কতটা উপকৃত।
আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে
আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে চার্লস ব্যাবেজ। কিন্তু প্রশ্ন আসে যে আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে, আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন। এটা নিয়ে অনেকেই অনেক জনকে প্রশ্ন করে তবে প্রশ্ন করাটা স্বাভাবিক ভিন্ন ধরনের প্রশ্ন হলে আমাদের মনে একটি কৌতূহল সৃষ্টি হয় যেটার কারণে আমরা প্রশ্ন করি।
কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন। এটি এক ধরনের প্রশ্ন আরেকটি প্রশ্ন হল আধুনিক
কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন। বিশ্বের গণমাধ্যমে জানা গেছে যে কম্পিউটারের
আবিষ্কারক হচ্ছে চার্লস ব্যাবেজ কিন্তু আরেক গণমাধ্যমে জানা গেছে যে আধুনিক
কম্পিউটারের জনক হচ্ছে জন ভন নিউম্যান।
তবে আমরা সাধারণত বলে থাকি যে যিনি কম্পিউটার আবিষ্কার করেছেন চার্লস ব্যাবেজ।
বেশিরভাগ অধিকাংশ মানুষই তাকেই আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয় কারণ তিনি
কম্পিউটারকে মডিফাই করেন যার কারণে তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা
হয়।
কম্পিউটার জনক কোন দেশের নাগরিক
আমরা ম্যাক্সিমাম সবকিছুই জানি যে কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু আমরা অনেকাংশই মানুষ জানি ম্পিউটারের জনক কে কবে কম্পিউটার আবিষ্কার করেছেন। আমরা জানলাম কম্পিউটারের আবিষ্কারক কে কিন্তু কম্পিউটারের আবিষ্কারকের জন্মস্থান কোথায় আজ আমরা জানবো কম্পিউটার আবিষ্কারকের জন্মস্থান কোথায়।
কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ এর বাসা কোথায়। বর্তমানে যিনি আমাদের চলার পথকে সহজ করে দিয়েছেন তার নাম হলো চার্লস ব্যাবেজ তিনি ছিলেন একজন গণিতবিদ তিনি প্রথমে মেকানিক্যাল কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। আর তা বর্তমানে অত্যাধুনিক কম্পিউটারের রূপ ধারণ করেছে।
১৭৯১ সালে ২৬ শে ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের লন্ডনে চার্লস ব্যাবেজের জন্ম হয়। ব্যাবেজার পিতার নাম বেঞ্জামিন তার মাতার নাম এলিজাবেথ ব্যাবেজ। ব্যাবেজ এর পরিবার ৮০৮ সালে এগেইন মাউন্ট এর পুরনো বাড়ি থেকে প্রোডেন্ট মাউতের বাড়িতে ঢোকে। ব্যাবেজ দক্ষিণ জীবনে টোটেন মার্কস স্কুলে ভর্তি হন।
কম্পিউটার কত সালে আবিষ্কার করা হয়
কম্পিউটার কবে আবিষ্কার করেন উত্তর হল গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ ১৯৭৯ সালের
কম্পিউটার আবিষ্কার করেন যার কারণে আমরা পুরো বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়।
যেকোনো ধরনের জিনিস প্রয়োজন পড়লে আমরা কম্পিউটারে সার্চ করলেই আমরা পেয়ে
যাই।
ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কাকে বলা হয়
আমরা জানলাম কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন। ১৯৭৯ সালে চার্লস ব্যাবেজ যখন
কম্পিউটার আবিষ্কার করেন।তখন কিন্তু এত উন্নত ছিল না তিনি কম্পিউটারকে রূপ
দিয়েছিলেন, মানে কম্পিউটারের বেসিক যে জিনিস গুলো থাকে সেই সম্পর্কে তিনি একটি
কম্পিউটার তৈরি করেছিলেন।
আমরা এটাও জেনেছি আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন। কিন্তু প্রশ্ন হল ডিজিটাল
কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেছেন। সাধারণত একটি প্রশ্ন বারবার হয় ডিজিটাল
কম্পিউটারের জনক হচ্ছে চার্লস ব্যাবেজ। এটা কোন কোন ক্ষেত্রে কেউ বলে আধুনিক
কম্পিউটারের জনক কে আমার ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে।
এই গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ.১৯৭৯ সালে যে কম্পিউটার আবিষ্কার করেন।সেটা
ভালোভাবে রূপ দিতে পারেননি পরবর্তীতে আবার সেই কম্পিউটারটি পুরনো মডিফাই করে তৈরি
করেন। এটাই অনেক মানুষের প্রশ্ন থাকে যে ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক কে ডিজিটাল
কম্পিউটারের জনক হচ্ছে চার্লস ব্যাবেজ।
কম্পিউটার কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়
দৈনদ্দিন জীবনে কম্পিউটারের অনেক চাহিদা। আমরা সবাই জানি আধুনিক কম্পিউটারের জনক
হচ্ছে চার্লস ব্যাবেজ। কিন্তু এ কম্পিউটার দৈনন্দিন জীবনে মানুষের অনেক
চাহিদা মিটায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আমরা সে বিষয়ে জানব যে কম্পিউটার আমাদের কি কি
কাজে লাগে।
এই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কিন্তু কম্পিউটারের প্রয়োজন। আরো যদি বলি বর্তমান
বিশ্বে বিভিন্ন স্যাটেলাইট আছে এই স্যাটেলাইট গুলোকে কন্ট্রোল করার জন্য
কম্পিউটারের প্রয়োজন। বিভিন্ন বিদ্যুতিক যন্ত্র কন্ট্রোল করার জন্য
কম্পিউটারের প্রয়োজন। বিভিন্ন রোবটিক যন্ত্র আছে এই যন্ত্র গুলো কেউ
কন্ট্রোল করে কিন্তু কম্পিউটার দিয়ে।
এক কথায় আমরা বলতে পারি কম্পিউটারের চাহিদা অপরিসীম। মানবজীবনে এই কম্পিউটার
অনেক উন্নয়ন এনে দিয়েছে ,এ কম্পিউটার অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে
দিয়েছে। আর সাধারণত এজন্যই চার্লস ব্যাবেজ কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। আর মানব
জীবনে কম্পিউটারের চাহিদা অনেক বেশি।
দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার কতটা গুরুত্বপূর্ণ
চার্লস ব্যাবেজ এর কম্পিউটার আবিষ্কার করার ইতিহাস
কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন এটা আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন এটাও আমরা জেনেছি। কিন্তু কম্পিউটার আবিষ্কার করার ইতিহাস। চার্লস ব্যাবেজ যে কম্পিউটার আবিষ্কার করেছেন তার একটা ইতিহাস আছে ইতিহাস টুকু আমরা জানবো।
উনিশ শতকের শুরুর দিকে চার্লস ব্যাবেজ ইঞ্জিন নামক একটি যন্ত্র নির্ভর করেন। ১৮১০
সালে প্রথম যান্ত্রিক উপায়ে গণনা করার জন্য যন্ত্র উৎপাদনের কথা ভাবেন তিনি।
প্রথমে ৮ দশমিক ঘর পর্যন্ত এবং পরবর্তীকালে 20. সংখ্যা পর্যন্ত গণনার যন্ত্র তৈরি
করে। ১৮৩৭ সালে তিনি এন আইডিটি ইঞ্জিন বা বিশ্লেষণধর্মী যন্ত্র আবিষ্কার করেন।
এইজন্য গাণিতিক হিসাব করার ক্ষমতা ছাড়াও যান্ত্রিক স্মৃতিশক্তি যুক্তি নির্ভর
সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল। আর ধীরে ধীরে এভাবেই বেসিক কম্পিউটারকে একটি
ডিজিটালাইজ কম্পিউটারে রূপান্তরিত করেন চার্লস ব্যাবেজ। যা এখন মানব জীবনে প্রচুর
উন্নয়নের অবকাশ এনে দেয়। আর এভাবে করেই তিনি কম্পিউটার আবিষ্কারক হিসেবে
সাফল্য অর্জন করেন।
অনলাইন সেক্টরে কম্পিউটারের অবদান কেমন
যদি বলি অনলাইন সেক্টরে কম্পিউটারের অবদান অনেক বেশি। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি
কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেন। তবে মেইন যেই জিনিসটি জানার দরকার সেটি হল
অনলাইন সেক্টরে কম্পিউটারের অবদান কেমন। আপনারা হয়তো জানেন বিভিন্ন অনলাইন
প্লাটফর্ম আছে। অনলাইনে অফিসে আবেদন অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন।
অনলাইনে পরীক্ষার রেজাল্ট দেখা, অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মত একটি জনপ্রিয় কাজ
করা। আরো আছে বিভিন্ন জমি জমা দলিল কিংবা নকশা খুঁজে বের করা। এই
সম্পূর্ধরনের কাজ আমরা অনলাইনে কম্পিউটারের মাধ্যমে করে থাকি। এছাড়া অনেক
যান্ত্রিক জিনিস আমরা অনলাইনের মাধ্যমে কম্পিউটার দিয়ে কন্ট্রোল করি।
সুতরাং কম্পিউটারের অবদান অনেক। আর এই চিন্তা মনোভাব করেই চার্লস ব্যাবেজ কম্পিউটার আবিষ্কার করেন। যা বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক অবদান রেখেছে। সুতরাং আমরা বলতে পারি অনলাইনে কম্পিউটারের অবদান অনেক অনেক বেশি।
কম্পিউটার আবিষ্কার নিয়ে লেখকের মন্তব্য
দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের চাহিদা অনেক। এটার গুরুত্ব অনেক আমরা বিভিন্ন কাজে
কম্পিউটার ব্যবহার করি। বিভিন্ন ডিজাইনের ক্ষেত্রেও কম্পিউটার ব্যবহার করি আমরা
জানি কম্পিউটার কে কবে আবিষ্কার করেছেন। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের চলাফেরা এবং
উন্নয়নের অবকাশ কম্পিউটার এনে দিয়েছে।
তাই আমরা বলতে পারি যে কম্পিউটার প্রত্যেকটা ব্যক্তিকেই শেখা দরকার এর বিভিন্ন ধরনের পাট রয়েছে এগুলো মানুষের জানা দরকার। কারণ যত দিন যাচ্ছে কম্পিউটারের চাহিদা বেড়িয়ে চলেছে। তাই আমরা কম্পিউটারের ফোকাস দেবো।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url