সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা। আজ আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল সরিষার তেলে উপকারিতা কতখানি এবং ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি।
পোস্ট সুচিপত্রঃসরিষার তেলের উপকারিতা
- সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- সরিষার তেলের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক
- চুলের জন্য সরিষার তেল কতটা উপকারী
- রান্নার জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা
- কাঁচা সরিষার তেল খেলে কি হয়
- সরিষার তেল শরীরের জন্য কতটা উপকার
- সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম জানুন
- মা ও শিশুর পুষ্টিতে সরিষা তেল
- বারি সরিষা ১৪ চাষ পদ্ধতি
- সরিষার তেল সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যে দিকগুলো বলবো। আমরা সবাই জানি
সরিষার তেলের গুনাগুন কি আবার কেউ জানিনা। সরিষার তেল কে আমরা এক নামে চিনি।
খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করার জন্য কোন বিকল্প নাই। খাঁটি সরিষার তে যে কতক্ষনে
উপকারী যারা ব্যবহার করে তারাই জানে।
কিন্তু আমরা এখন কি করি নিত্য নতুন তেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এ তেল গুলো ব্যবহার
করি। আমরা সরিষার তেলকে খুব একটা কার্যকরী মনে করি না। খাঁটি সরিষার তেলের কোন
বিকল্প নাই এটা ব্যবহার করলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আর আমরা বাজারের বিভিন্ন রকম
কেমিক্যাল দাওয়া তেল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকা তেল ব্যবহার করি।
সরিষার তেলেরও কিছু ক্ষতিকার দিক রয়েছে কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো আমরা
আলোচনা করব তবে সরিষার তেল অনেক উপকারী এটা বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা যায়
চুলে, রান্নায়, বেশ কয়েক জায়গায় আপনি সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারবেন এটার
উপকারিতা অনেক আজ আমরা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
সরিষার তেলের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক
সরিষার তেলের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক বলতে বুঝিয়েছি সরিষার তেল ব্যবহার করে আমরা
কি কি উপকার পাব। এমনকি সরিষার তেলের কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে আজ আমরা সেই
বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। খাঁটি সরিষার তেলের উপকারিতা অপরিসীম এটি ব্যবহার
না করলে বুঝতে পারবেন না।
সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা এর ভিতরে উপকারিতা হলো আপনারা জানেন সরিষার তেল অনেক হেলদি এবং অনেক পুষ্টিগুণ আছে তার ভিতরে। তারা হয়তো সবাই জানেন আমাদের আপনাদের পূর্বপুরুষরা এই সরিষার তেল কিন্তু ব্যবহার করেছে। তবে আমরা ন্যাচারাল সরিষার তেল ব্যবহার করব।
ন্যাচারাল বলতে বুঝিয়েছি, যে সরিষার তেলটি বাজারে কোন কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হয়
না। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই। যেমন ধরেন বিভিন্ন কোম্পানিতে সরিষার তেল
ভাঙ্গায়ে তারপরে মেডিসিন বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে সেই তেলটি বানায়।আমরা এ
ধরনের তেল ব্যবহার করব না আমরা নেচারাল ব্যবহার করবো।
সরিষার তেলের অপকারিতা ক্ষতিকর দিক। আমরা এতক্ষন জানলাম সরিষার তেল স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর উপকার। এখন যার লক্ষ ক্ষতিপূর দিক কিছু ভালো থাকলে কিছু খারাপও থাকে এটাই নিয়ম। সরিষার তেলের ক্ষতিকর দিকগুলো হলো। আপনারা হয়তো অনেকে জানেন না যে আমেরিকা কানাডা এগুলো কিন্তু সরিষার তেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কারণ সরিষা এখন বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করে। তবে সার না দিলে আবার
ফসল হয় না তবে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করার কারণে এগুলোতে অনেক ইফেক্ট
পড়ে। কারণে সরিষার তেল ক্ষতিকর আর এগুলোর কারণে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়।আমরা
এ ধরনের সরিষার তেল ব্যবহার করবনা।
চুলের জন্য সরিষার তেল কতটা উপকারী
চুলের জন্য সরিষার তেল কতটা উপকারী জেনে নিন। আমরা জেনেছি সরিষার তেলের
উপকারিতা অপকারিতা। এর ভিতরে চুলের জন্য সরিষার তেল কতখানি উপকার করে। সরিষার
তেল স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর উপকার এটা সবাই জানে। তবে চুলের জন্য কতটা উপকার সে
বিষয়টি জানবো।
যা চুলকে নরম করে এবং চুলকে স্ট্রং করতে সাহায্য করে। চুলে সরিষার তেলের
উপকারিতা। সরিষার তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। আর এগুলো হলো
ক্যালসিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন এ ডি ই কে রয়েছে। সরিষার তেল
আমাদের স্কার্ফে ব্লাড ক্যালকুলেশনের বৃদ্ধি করে। যা আমার চুলকে বড় করতে সাহায্য
করে।
আমরা সরিষার তেল ব্যবহার করে অনেক উপকার পাই। আমাদের চুলের জন্য ন্যাচারাল
কন্ডিশন হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে আলফা ফ্যাটি এসিড যা আমাদের চুলকে লক করতে
সাহায্য করে।এটা আমাদের চুলকে সাইন করতে সাহায্য করে এবং চুলের রোডসকে হাইড্রেট
করে। এবং চুলকে ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা করে।
এজন্য আমরা বলে থাকি চুলের জন্য খাঁটি সরিষার তেল প্রচুর উপকার। এটি বিভিন্নভাবে
চুলকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। চুলের গোড়া শক্ত করে। চুলকে স্মুথ করে তোলে। যা
আমাদের অন্য তেলের থেকে অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে কাজ করে। সরিষার তেলের উপকার
জানতে পারলাম। তাই আপনারা চুলকে শক্তিশালী এবং মজবুত করার জন্য সরিষার তেল
ব্যবহার করতে পারেন।
রান্নার জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা
রান্নার জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন। আমরা জেনেছি সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা। আমরা এবার জানবো রান্নার জন্য সরিষার তেল কতটা উপকরি। আমাদের স্বাস্থ্য কে সরিষার তেল কতটা উপকার এনে দেয়। রান্নায় আমরা সরিষার তেল ব্যবহার করে অনেক উপকার পাবো।
আমরা রান্নার ক্ষেত্রে যে সরিষার তেলটি ব্যবহার করব সেটা আমাদের চিনতে হবে। আমরা
যে সরিষার তেলটি আমাদের রান্নার জন্য ব্যবহার করব শেষ সরিষার তেলটি আমরা দেখব যেন
১০০% খাঁটি হয়। এর আগে আমরা জেনেছি চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা। রানার ক্ষেত্রে
সরিষার তেল প্রচুর উপকার তবে খাঁটি হতে হবে।
সরিষার তেল স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর উপকার। তবে আমরা রান্নাই সরিষার তেল ব্যবহার
করে উপকার পাবো যেভাবে। রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করে আসতেছে আদিম যুগ থেকে।
সরিষার তেলে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট যা মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে। পেটে জীবাণু সংক্রমণ বন্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এই সরিষার তেল।
দেহে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে প্রচুর ভূমিকা রাখে। সরিষার তেলে ফ্যাচুরেটেড প্যাড, বা সম্পৃক্ত চর্বি খুব কম থাকে এই তেল হার্টের জন্য খুব ভালো। সরিষার তেলে প্রচুর মনো আনফ্যাচুরেটেড প্যাড থাকে। এইগুলো হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমায়। এই সমস্ত উপাদান গুলো সরিষার তেলে রয়েছে এমনকি আরো উপাদান রয়েছে। তাই আমরা রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করবো।
কাঁচা সরিষার তেল খেলে কি হয়
কাঁচা সরিষার তেল খেলে কি হয়।সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত জানার
আগ্রহ সবার। কাঁচা সরিষার তেল খেলে কোন ধরনের ফ্যাট এফেক্ট হয় নাকি আজকে আমরা
সেটাই জানবো। আমরা সবাই একটাই জিনিস চাই সাত ও স্বাস্থ্য এই দুইটাই যেন আমাদের
ভালো থাকে। তবে একটাই জিনিস তেল মানে কিন্তু ফ্য়াট।
অনেকের প্রশ্ন থাকে যে আমি কাঁচা সরিষার তেল খাই,তাহলে আমাদের কি কোন ধরনের সমস্যা হবে। এমনকি কাঁচা সরিষার তেল খেলে কি হয়। একটা জিনিস বুঝতে হবে যে তেল মানে কিন্তু ফ্যাট। যে কোন তেলের এক চা চামচ ৪৫ ক্যালোরি থাকে। অনেকে ডিফারেন্ট ডিফেন্স তেল দিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করে। কারণ কোন কোন তেল হার্টে ব্রেনের জন্য ভালো ।
আমরা যেমন কিছুক্ষণ আগে পড়েছি চুলের সরিষার তেল উপকারীতা। কাচা তেল
যদি আমরা চুলে ব্যবহার করি তাহলে এটা চুলের জন্য ভালো। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে
কাঁচা তেল শরীরের জন্য উপকার তবে একটা জিনিস বুঝতে হবে পেলে কিন্তু প্রচুর
প্রকারের ফ্যাট থাকে। অন্য ধরনের তেল আছে অলিভ অয়েল, সানসেন্ট এগুলো তবে
এগুলোতে তো সব পাওয়া যায় না।
তাই আমরা কাঁচা তেল ব্যবহার করব পরিমাপ করে। এমন ভাবে ব্যবহার করব যাতে
আমাদের শরীরে কোন প্রকার খারাপ ইফেক্ট না ফেলে। আমরা জানি সরিষার তেল কিন্তু
প্রচুর উপকারী এতে অনেক ধরনের উপাদান আছে যেগুলো আমাদের হার্ট ব্র্যান্ড বিভিন্ন
অংশে উপকার এনে দেয়। তাই আমরা কাঁচা তেল ব্যবহার করব পরিমাপ করে কাচা তেল
খাবো।
সরিষার তেল শরীরের জন্য কতটা উপকার
সরিষার তেল শরীরের জন্য কতটা উপকার চলুন জেনে নেই। আমরা সাধারন তো জানি সরিষার তেল ব্যবহার করে আমরা প্রচুর উপকার পাই। বিভিন্নভাবে আমরা সরিষার তেল ব্যবহার করি রান্নায় বিভিন্ন খাবারে মুড়ির সঙ্গে আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকি। আমরা এটাও জেনেছি চুলের জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা।
সরিষার তেল শরীরের জন্য প্রচুর উপকার সরিষার তেলে প্রচুর উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের হাট আমাদের মাথার চুল আমাদের মস্তিষ্ক ফ্রেশ রাখে। শরীরের জন্য সরিষার তেল কতটা উপকার নিচে তালিকা দেয়া হলো কি কি উপকারে আসে সরিষার তেল।
- শরীরের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে
- শীতে ত্বকের শুষ্কতাদূর করে
- স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে
- রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
- অন্ত্রের ক্যান্সারের রোগ প্রতিরোধ করে
- রসুন মিশিয়ে বুকে পিঠে লাগালে কফ জনিত সমস্যা সমাধান হয়
আমরা যে বিষয়গুলো বললাম এ বিষয়গুলোর প্রত্যেকটা শরীরের জন্য উপকারী। এমনকি
চুলের সরিষার তেলের প্রচুর উপকার রয়েছে। তাই আমরা খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার
করব। যেটা আমার শরীরের প্রচুর উপকারে আসবে। তাই বলা যায় যে সরিষার তেল।
সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম জানুন
সরিষার তেল খাওয়ার নিয়ম জানুন। আমরা জেনেছি সরিষার তেলের উপকারিতা ও
অপকারিতা এখন আমরা জানবো সরিষার তেলের খাওয়ার নিয়ম। মানে আমরা সরিষার তেল
কিভাবে ব্যবহার করব যেভাবে ব্যবহার করে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যবিধির ঠিক রাখতে
পারি। সরিষা তেল খাওয়ার বেশ কয়েকটি নিয়ম আছে।
আমরা শুধু খালি উপকার আর অপকার দেখে সরিষার তেল ব্যবহার করব না। এর নিয়ম আছে কতটুকু সরিষার তেল ব্যবহার করলে আমার শরীরের জন্য ভালো আর কত বেশি সরিষার তেল ব্যবহার করলে আমার শরীরের জন্য ক্ষতিকর কারণ অনেক প্রকার ফ্যাট আছে। আপনি যদি সুস্থ থাকতে যান মাথার ব্রেন ঠান্ডা রাখতে চান।
জীবনের শেষ বয়স পর্যন্ত সাসপেনা থাকতে চান। রক্তচাপ থেকে মুক্ত থাকতে চান চর্বি
বাড়া থেকে মুক্ত থাকতে চান চুল পড়া থেকে দূরে থাকতে চান। বিভিন্ন
গ্যাস্ট্রিক ড রোগ থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে আপনাকে এই নিয়মগুলো মেনে
সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে। আমরা কিভাবে সরিষার তেল খাব সরিষার তেল
খাওয়ার নিয়মঃ
- প্রতিমাসে মাথাপিছু ৫০০ মি.লি এর বেশি খাওয়া উচিত নয়
- আবার তেলকে আপনি যত কম তাপ দিয়ে রান্না করতে পারবেন তত ভালো
- তেল দিবেন রান্নার মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে
এই নিয়ম গুলো মেনে আপনি যদি চলতে পারেন। আশা করা যায় আপনার সমস্যা হবে না আপনি
সুন্দর জীবন স্থাপন করতে পারবেন। আপনার গ্যাপ থেকে জ্বালাপোড়া হবে না রক্তচাপ
থেকে দূরে থাকবেন আরও বিভিন্ন যে সমস্যাগুলো আছে সেই সমস্যা থেকে দূরে
থাকবেন। তাই বলা যায় নিয়ম মেনে আপনি তেল ব্যবহার করলে আপনি সমস্যা থেকে
দূরে থাকবেন।
মা ও শিশুর পুষ্টিতে সরিষা তেল
মা ও শিশুর পুষ্টিতে সরিষা তেল বলতে আমরা বুঝিয়েছি একজন নবজাতক শিশু কিংবা
একজন মা আর শিশু কি তেল ব্যবহার করলে দুইজনেই সুস্থ থাকে। কারণ এটা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে আমরা এমন তেল ব্যবহার করব যাতে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ
থাকে। প্রতিটা সেক্টরেই সবাই চিন্তা করে যে কোন তেলটা খেলে আমার শরীর ভালো
থাকবে।
মা ও শিশুর পুষ্টিতে আমরা তিনটির ব্যবহার করব বিভিন্ন ধরনের তেল আছে যে তেল গুলোতে প্রচুর কেমিক্যাল ইফেক্ট থাকে এগুলো শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর। এগুলো খেলে গ্যাস্ট্রিক এবং শরীরের চর্বি বৃদ্ধি পায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর আমরা মা ও শিশুরপুষ্টিতে সবসময় স্বাস্থ্যকর তেল খওয়া দরকার।তাই মা ও শিশুর পুষ্টিতে আমরা সরিষার তেল ব্যাবহার করবো।
বারি সরিষা ১৪ চাষ পদ্ধতি
বারি সরিষা ১৪ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা জানবো। আমরা জেনেছি সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা। এবার আমরা নিজে সরিষা কিভাবে চাষ করে খেতে পারি। অনেকে অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করে। যে পদ্ধতি ব্যবহার করে সরিসা রোপন করে ভালো পরিমাণে সরিষা উৎপাদন করে। আমরা বাড়ি সরিষা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানবো।
আমরা মূলত সরিষা কেন চাষ করব। কারণ সরিষার তেল স্বাস্থ্যের জন্য প্রচুর উপকার।
আমরা এটাও জেনেছি চুলে সরিষার তেলের উপকারিতা। আর এই উপকার এজন্য আমরা
নিজেরাই সরিষা আবাদ করে ঘরে তুলব। সরিষা সাদারন্ত রবি মৌ মৌসমে হয়। রবি
মৌসুম বলতে শীতের সময়। সরিষা সাধারণত প্রায় বেশিরভাগ অঞ্চলে হয়ে থাকে।
আমন এবং বড়া আমাদের মাঝামাঝি এই সরিষা চাষ হয়। এটা সাধারণত বেলে দশ মাটিতে চাষ করলে ভালো হয়। তারপরে হাল চাষ আপনার জমির মাটি টাকে সুন্দরভাবে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে নেওয়া লাগবে। তিন থেকে চারটি চার্জ দিতে হবে পাওয়ার টিলার দিয়ে দিলেও হবে। এ জীবন কাল হলো ৭৫ থেকে ৮০ ্দিন।
সার প্রয়োগঃ
- ৩৩ শতক জমিতে মোট 1200কেজি জৈবসার প্রয়োজন
- ইউরিয়া সার২৪ কেজি
- ডিএপি বা টিএসপি ২০ কেজি
- পটাশ সার ১০ থেকে ১২ কেজি
- জিপসাম ৩২ কেজি
- বরন ২ কেজি
- জিঙ্ক বা দস্তা সার ২ কেজি
এগুলো সব সার যখন মাটি চাষ দিবো তাঁর আগে পরিমান মতো সিটিয়ে নিবো। তারপর মাটি চাষ দেওয়া হয়ে গেলে ১০/১৫ দিন পর সরিষা গাছ বের হবে। ৭০ থেকে ৮০ দিন লাগবে সরিষা হতে। তারপর আমরা এই ফসল টি জান্ত্রিক মেসিন দারা মাড়িয়ে নিবো। এই ভাবে বারি সরিষা ১৪ চাষ করা হয়ে থাকে।
সরিষার তেল সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
বর্তমানে সরিষার তেলে বিভিন্ন ভেজাল দিয়ে তৈরি করে। আমরা এই ধরণের তেল ব্যবহার করবোনা। আমরা যেই তেল টা ব্যবহার করবো তা হলো খাটি সরিষার তেল।কোথাই পাবো এই সরিষার তেল আমরা দেখবো যারা সরিষা চাষ করে তাদের থেকে সরিষা ক্রয় করে সেটা যান্ত্রিক মেসিনে ভাঙ্গাবো।
তারপর আমরা ব্যবহার করবো। কারন সরিষার তেলে বিভিন্ন ধরণের উপাদান থাকে যা আমাদের জন্য প্রচুর উপকারি।তাই আমরা এমন তেল ব্যাবহার করবো যেটা আমাদের শরীরের খতি না করে। এই জন্য আমরা সবসময় ভেজাল মুক্ত সরিষার তেল ব্যাবহার করবো।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url