ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন। বর্তমান সময়ে আমরা ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অনেক দেখতেছি। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে সেই ধাপ গুলো কি কি। বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে যাচ্ছে। এর সঠিক চিকিৎসা কি।
তা আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানব। এবং আপনি এই ডেঙ্গু রোগ থেকে কিভাবে
প্রতিকার পাবেন। ডেঙ্গু রোগ হলে বড়রোগ হতে পারে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করব।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
- ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
- ডেঙ্গু রোগ যে কারণে হয়
- শিশুদের ডেঙ্গু রোগ হলে করণীয় কি
- ডেঙ্গু রোগ যেভাবে সৃষ্টি হয়
- ডেঙ্গু থেকে জ্বর হলে করণীয় কি
- ডেঙ্গু শব্দটা কোথা থেকে এসেছে
- ডেঙ্গু থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে
- ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের কি খাওয়া উচিত
- যে জন্য ডেঙ্গু জ্বরকে অবহেলিত করবেন না
- শেষ কথা ও লেখকের মন্তব্য
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন। আপনারা কি জানেন ডেঙ্গু কোথা থেকে শুরু হয়। ডেঙ্গু সাধারণত শুরু হয় উচ্চ তাপমাত্রা জ্বর থেকে। এই উচ্চ তাপমাত্রা সাধারণত ১০৪, ১০৫ থেকে ১০৬ পর্যন্ত হতে পারে। এর লক্ষণ গুলো কি কি ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়।
- প্রচন্ড শরীর ব্যথা
- শরীর খুব দুর্বল হয়ে যাওয়া
- চক্ষে ব্যথা
- পিছনে ব্যথা
- এবং হাড়ে হাড়ে ব্যথা
এইজন্য এই জ্বরগুলো আবার আরেকটা নাম আছে সেগুলো হল মেডিকেল সাইন্স থেকে যে নামটি
পাওয়া এটি হলো ব্রেক বোন ফিভার, অর্থাৎ হাড়ভাঙ্গন,জর। জ্বরের সঙ্গে অন্যান্য
লক্ষণগুলো থাকবে যেমন মাথাব্যথা শরীর দুর্বল আর রোগী খুব নিস্তেস হয়ে পড়ে। আরো
যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়া।
সুতরাং এখন ডেঙ্গু হলে আপনি কি করবেন। ডেঙ্গু জ্বর হবে আপনার তখন আপনি যে কাজটি
করবেন প্রথমত আপনাকে প্রচুর পরিমাণে রেস্ট নিতে হবে তারপরে যে কাজটি করতে
হবে। ওর স্যালাইন খেতে হবে কারণ ওর স্যালাইন শরীরের জন্য প্রচুর একটি
ভিটামিন জাতীয় খাবার যেটি পানিতে মিশিয়ে খেতে হয়।
আরো পড়ুনঃসর্দি জ্বর থেকে বাঁচার উপায়
সে সঙ্গে লিকুইড জাতীয় খাবার খাবেন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি ওর স্যালাইন লাইন
খাওয়ার পরও আপনার যদি ব্লাড প্রেসার কমে যায় অতিরিক্ত বমি বমি ভাব আসে তারপরে
আপনি কাউকে হয়তো চিনতে পারছেন না সে ক্ষেত্রে আপনাকে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে
যোগাযোগ করা দরকার আপনি দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
আমরা সাধারণত একটি ভুল করে বসি আর ডেঙ্গু জ্বর হলে আমরা হাই পাওয়ারের
এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করি। যদি আপনি গ্রহণ করেন কিংবা সেবন করেন সেক্ষেত্রে আপনার
শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। তাই জ্বর হলে আপনি সরাসরি সরকারি হাসপাতাল আপনার
বাসার আশেপাশের যদি থাকে সেখানে যোগাযোগ করবেন। এক্ষেত্রে যদি না থাকে তাহলে
ডক্টরের চেম্বারের যোগাযোগ করবেন।
ডেঙ্গু রোগ যে কারণে হয়
ডেঙ্গু রোগ যে কারণে হয় তা আমরা বিস্তারিত জানবো। ডেঙ্গু এর উক্তি ভাইরাস
দ্বারা হয় এটিকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে
গেলে ডেঙ্গু ভাইরাস, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস এবং চিকা ভাইরাস। ডেঙ্গু ভাইরাসকে
নিয়ে যদি আমরা বলি ডেঙ্গু ভাইরাস এমন একটি ভাইরাস আর যে কারণে মানুষ মারা
যায়।
আমরা এই আর্টিকেলে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানবো। ডেঙ্গু চার
টাইপের ভাইরাস আছে যেগুলোকে আমরা সাধারণত বলে থাকি টাইপ অন টাইপ টু টাইপ ৩ টাইপ
৪। এই চারটে টাইপিং ভাইরাসে মানুষকে মারার ক্ষমতা রাখে। ডেঙ্গু হলে সাধারণত জ্বর
হয় ডেঙ্গুর জ্বর সাধারণত অন্যান্য জ্বরে থেকে আলাদা।
ডেঙ্গুর জ্বর যে কোন সময় হতে পারে এটার কোনো বিশেষ কোনো সময় নেই। এই ডেঙ্গু হলে
শরীরে প্রচন্ড গায়ে হাতে ব্যথা করে যেটাকে আমরা মাসেল পেস বলে থাকি। ডেঙ্গুর
আরেকটা ভাইরাস যেটা হলো চিকনগুনিয়া এটাতে সাধারণত শরীরের গাটে গাটে ব্যথা করে।
ব্যথাটা সাধারণত মাংসপেশিতে ট্রান্সফার হয়। এই চিকন গুনিয়াতে এমনই ব্যথা করে
যেটার জন্য মানুষ হাঁটতে পর্যন্ত পারে না।
তাহলে আমরা কি জানলাম এই ডেঙ্গু রোগ যে কারণে হয় এর কারণগুলো হল। জ্বর, প্রচন্ড
হাতে পায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখ মুখ শুষ্ক শুকিয়ে যাওয়া, মাসেল পেজ ব্যথা করা
বমি বমি ভাব এই ধরনের লক্ষণ গুলো হয়। ডেঙ্গু রোগ সাধারণত বাসাবাড়িতে ময়লা
আবর্জনা ফেলে রাখলে সেগুলো থেকে ডেঙ্গু রোগ সৃষ্টি হয়।
যেমনটা আমরা দেখি বাসা বাড়ির পাশে নর্দমা, ডাস্টবিন এগুলো একটু যদি থাকে তাহলে
সেগুলো দূরে রাখার চেষ্টা করব কারণ সেগুলো থেকে ডেঙ্গু রোগের আবির্ভাব হয় ডেঙ্গু
রোগের উৎপত্তি হয়। আর এই কারণগুলোর জন্য ডেঙ্গু রোগ হয়ে যায়।
শিশুদের ডেঙ্গু রোগ হলে করণীয় কি
শিশুদের ডেঙ্গু রোগ হলে করণীয় কি সেটা আমাদের সবারই জানা দরকার। কারণ বর্তমান
টাইমে প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে শিশুদের এই ডেঙ্গু রোগটা হচ্ছে। আমরা যে শিশুগুলোর
ডেঙ্গু রোগ নিয়ে আলোচনা করব যারা কথা বলতে পারে না মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেনা
এমনকি তিন চার বছর বয়স এদের সাধারণত ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে।
আর এই বাচ্চাদের ডেঙ্গু রোগ হলে প্রথমে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আর তাদের
আশেপাশে থাকা লোকজন এবং তাদের বাবা-মা দের। এই জ্বরটি সাধারণত একটি ভাইরাসজনিত
জ্বর। এই জ্বরটি হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় শরীর ব্যথা চোখ ব্যথা বমি বমি ভাব
এগুলো হয়। সুতরাং আপনার বাচ্চা কিন্তু আপনাকে বলবে না যে আমার জ্বর এ কিংবা
হাত-পা ব্যথা করছে।
তাহলে বাচ্চাদের বাবা-মা বুঝবে কিভাবে যে তার বাচ্চার এই ডেঙ্গু থেকে জ্বরটি
হয়েছে। সাধারণত অন্যান্য জ্বর এর থেকে ডেঙ্গু জ্বর আলাদা সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর
হলে সাধারণত ১০০ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর হয় প্রথম থেকে। আর একটা লক্ষ্য
করবেন দেখা যাবে আপনার বাচ্চা একেবারেই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।
এগুলো হলে আমাদের করণীয় কি এই ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচার উপায়। ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও
প্রতিকার। বাচ্চাদের যখন জ্বর আসে প্রথমত যে কাজটি আপনি পড়বেন জ্বরের টেস্ট
করবেন তারপরে যে কাজটি করবেন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে বাচ্চার গা-হাতটা পুরো
শরীর মুছে দিবেন। তবে জ্বরে প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য কোন ওষুধ ব্যবহার করা যাবে
না।
জ্বর যদি ১০০ ডিগ্রীর উপরে হয় সেক্ষেত্রে মলদ্বারে সাপোজিটেট দিতে হয়। বাচ্চাকে
তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে তরল জাতীয় খাবারের মধ্যে ডাবের পানি, শরবত ও সুপ
জাতীয় খাবার। এছাড়াও বাচ্চাদের খাদ্যে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
সর্বোপরি ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করা দরকার।
ডেঙ্গু রোগ যেভাবে সৃষ্টি হয়
ডেঙ্গু রোগ যেভাবে সৃষ্টি হয় তা আমরা হয়তো অনেকে জানি আবার অনেকে জানিনা। আমরা
সবাই ডেঙ্গু রোগের নাম জানি কিন্তু এই ড্রেন রোগটি কিভাবে সৃষ্টি হয় সেটা আমরা
জানি না। সাধারণত ডেঙ্গু রোগ যেভাবে সৃষ্টি হয় বাড়ির আশেপগতি।প্রুচুর আবর্জনা
ফেলে রাখি।
বাসার আশেপাশের কোন টবে বা কোন স্থানে পানি জমে থাকে ডাস্টবিন অতিরিক্ত ভাবে
ময়লা হয়ে আছে। আমরা সাধারণত এই কাজগুলো করে থাকি। আমরা যারা মনে করি যে
ডেঙ্গু রোগ সাধারণত জ্বর থেকে সৃষ্টি হয় তাদের ধারণা ঠিক আছে কিন্তু মশা থেকে
সৃষ্টি হয়।
এই ডেঙ্গু মশা সাধারণত অন্যান্য মশা থেকে আলাদা। এই ডেঙ্গু মশা আপনাকে কামড়ালে
ওই একদিনের ভিতর আপনার পুরো শরীরে জ্বর চলে আসবে। তারপরে যে যে লক্ষণ গুলো আসে
সেগুলো শুরু হবে তাই আমাদের বাসার আশেপাশে আমরা প্রথমত কোন
প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখবো না তাহলেই আমাদের এই ডেঙ্গু সৃষ্টি হবে
না।
ডেঙ্গু থেকে জ্বর হলে করণীয় কি
ডেঙ্গু থেকে জ্বর হলে করণীয় কি সাধারণত ডেঙ্গু থেকেই জ্বর হয় আমরা এখন জানবো
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার আমরা লক্ষণ ইতিমধ্যে জেনেছি আমরা জানবো এখন
ডেঙ্গু রোগ থেকে যদি জ্বর হয় তাহলে আমাদের করণীয় কি। ডেঙ্গু হলো এডিস মশা
ভাইরাস জনিত একটি রোগ। ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের করণীয় কি আমরা কি করতে পারি।
ডেঙ্গু হলে কি ধরনের চিকিৎসা নিবেন না হাসপাতালে যাবেন। এটা নির্ধারণ করবে
আপনার জ্বরের পরিমাণ অনুযায়ী। ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ধরন বা ক্যাটাগরি রয়েছে এ
বি সি প্রথম ক্যাটাগরির রোগীরা না স্বাভাবিক জ্বর থাকে অধিকাংশ রোগীরা এ
ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
তবে একটি কাজ করতে হবে বাড়িতে বিশ্রাম নিতে হবে। বি ক্যাটাগরি রোগীদের
হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে কারণ তাদের জ্বরের পরিমাণটা বেশি থাকে। এই জ্বরের
সঙ্গে সঙ্গে তার পেটে ব্যাথা প্রচন্ড মাথা ব্যাথা বমি এগুলো হয়ে থাকে। সাধারণত
এগুলো যখন হবে তখন আমরা বাসায় চিকিৎসা না করে সচরাচর হাসপাতালে ডাক্তারের
চিকিৎসা গ্রহণ করবো।
ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনারা যে কাজগুলো করবেন ছোট বড় উভয়। প্রথমত প্রচুর পরিমাণে
পানি খেতে হবে। কারণ শরীরের শক্তি যোগায় পানি, তরল জাতীয় খাবার খাবেন
সেক্ষেত্রে ডাবের পানি প্রচুর উপকারী ডেঙ্গু জ্বরের জন্য। ডাক্তারের পরামর্শ
ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করবেন না। জ্বর স্বাভাবিক থাকলে প্যারাসিটামল
গ্রহণ করুন প্রচুর পরিমাণে রেস নিন।
ডেঙ্গু শব্দটা কোথা থেকে এসেছে
ডেঙ্গু শব্দ টা কোথা থেকে এসেছে এটা হয়তো সবাই জানে না। ডেঙ্গু শব্দটা যেটা
থেকে এসেছে তা এখনো কেউ পরিষ্কার করে বলতে পারেনি। তবে বিভিন্ন গবেষণায় জানা
গেছে যে এই ডেঙ্গু সাধারণত আফ্রিকান-সালেহী থেকে তৈরি হয়। এটা সাধারণত
প্রকার শয়তান ব্যথার মতো
তবে এই রোগটি সাধারণত এডিস মশা থেকে আবির্ভূত হয়। এ মশাটি উৎপন্ন হয় সাধারণত
ময়লা পানি নোংরা ডাস্টবিন নর্দমা থেকে এ মশা তৈরি হয়। যার ফলে এই মশা কোন
মানবদেহে কামড়ালে তার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর চলে আসে। এই মশাটি যে কোন ময়লা পানি
থেকে জন্ম নিতে পারে।
তাই প্রথমত আমাদের সচেতন থাকা উচিত। আমাদের বাসার আশেপাশে কোন ময়লা আবর্জনা
দেখলে তা আমরা দ্রুত পরিষ্কার করার চেষ্টা করব। এছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে
বিষ পাওয়া যায় সেই বিষ আমরা মেশিন দিয়ে এক্স্প্রে করে দিব। আর এভাবে আমরা
ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধ করবো।
ডেঙ্গু থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে
ডেঙ্গু থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এটা আপনি জানেন কি অবশ্যই হয়তো
জানেন। এ ডেঙ্গু থেকে প্রথমত যে জ্বর আসে যে সেই জ্বর টি মারাত্মক লেভেলের বড়
পর্যায়ে চলে গিয়ে ডেঙ্গু থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে
কখন মানুষ মারা যায়।
ডেঙ্গু হলে সাধারণত যখন রোগীর জ্বর থাকে পাঁচ দিন সাত দিন তখন রোগী খারাপ হয়
না। সাত দিন পরও যদি আপনার শরীরের জর র্জনিত কিংবা হাত পা ব্যথা থাকে তখন তার
জন্য রিস্কি হয়ে যায়। এই ডেঙ্গু থেকে তখন সৃষ্টি হয় ডায়রিয়া ম্যালেরিয়া
আর ডায়রিয়ার ও প্রচুর ভয়ানক একটি রোগ। ডেঙ্গুর সক সিনটম কিংবা
ডেঙ্গু এমরাইজম।
এটি সাধারণত আপনার রক্ত ধরে রাখে। যখন ডেঙ্গু হয় ডেঙ্গু রোগটি ভয়াবহ লেভেলে
চলে যায় এগুলো আর আপনার শরীরের রক্ত ধরে রাখার সক্ষমতা রাখে না। যার কারণে
আপনার শরীরের রক্ত ব্লেডিং হতে থাকে। হাঁচি কাশি হাঁচি এগুলো দিয়ে প্রচুর
ব্লিডিং হয়। আর সাধারণত যখন একটি মানুষের শরীরের ব্লিডিং হয় একপর্যায়ে
যদি এটি ভেবে পর্যায়ে যায় তখন আর মানুষটি বাঁচে না।
এছাড়াও ডেঙ্গু থেকে ডায়রিয়া ম্যালেরিয়া এ ধরনের রোগ হয়ে থাকে যে রোগগুলো।
সাধারণত যদি লং টাইম ধরে আপনার হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে অনেক মানুষ বাঁচে না।
তাই আমাদের এই ডেঙ্গু থেকে সচেতন থাকা দরকার।
ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের কি খাওয়া উচিত
ডেঙ্গু জ্বর হলে আমাদের কি খাওয়া উচিত। আর ডেঙ্গু জ্বর হলে আমরা ডক্টরের
পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকি। এর বাইরেও ডেঙ্গু হলে
আমাদের খাবার গুলো খাওয়া উচিআ।বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে। কোন খাবার গুলো
আমাদের শরীরের জন্য উপকারী আমরা সেগুলো নিয়েই বিস্তারিত জানবো।
ডেঙ্গু হলে কোন খাবারগুলো খাবেন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আপনি
যদি না জেনে থাকেন তাহলে উপরে দেওয়া আর্টিকেল আলোচনায় তা জেনে নিতে পারেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকার আমাদের শরীরে ডেঙ্গু হলে আমরা ওষুধ সেবন
করি। এর বাইরেও আমরা খাবারগুলো খাব যেগুলোর জন্য আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে।
ডেঙ্গুখাবারের কথা যদি বলি তাহলে সে সব ধরনের খাবার খেতে পারবে। কিন্তু সব
ধরনের খাবারে ভিটামিন থাকে না। এগুলো আপনার শরীরকে সুস্থ করতে সাহায্য করবে না।
আপনি কোন খাবার গুলো খাবেন তরল পানি জাতীয় খাবার এটা হতে পারে ডাবের
পানি, তারপরে ফলের রস স্যালাই্ন, ভাতের পানি চেষ্টা করতে হবে ঘরের তৈরি খাবার
বাইরের খাবার খাওয়া যাবেনা।
যে জন্য ডেঙ্গু জ্বরকে অবহেলিত করবেন না
যে জন্য ডেঙ্গু জ্বরকে অবহেলিত করবেন না তা সাধারণত যদি ছোট করে বলি। বিশেষ করে
আমরা যারা গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি আমরা হয়তো জানি না যেটা কোথা থেকে সৃষ্টি
হয়। সাধারণত এই ডেঙ্গু টি মশা থেকে সৃষ্টি হয় এটিকে সাধারণত আমরা
এডিস মশা বলে থাকি।
আমরা যারা গ্রামাঞ্চলে বসবাস করি তারা মনে করি যে এগুলো রোগ সাধারণত এমনিতেই
ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু যারা শহরে বসবাস করে তারা এদিক থেকে একটু এলার্ট থাকে
কারণ শহর অঞ্চলে আবহাওয়া এক না। ডেঙ্গু মশা থেকে সৃষ্টি হয় জ্বর।
সাধারণত এই জ্বরটি এর ক্যাটাগরির থাকলে সাধারণ লেভেলে থাকে কিন্তু যখন বি থেকে
সি ক্যাটাগরি দিয়ে চলে যায়। তখন এই জ্বরটি আর স্বাভাবিক অবস্থানে থাকে না।
যেটা তাকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সেগুলো হতে পারে আপনার শরীর হাত প্রচন্ড ব্যথা
মাসেল বেশি তে ব্যথা তারপরে আপনার বমি বমি ভাব ডায়রিয়া ইত্যাদি।
এ ধরনের রোগ গুলো হয়ে থাকে আপনার জ্বরের লেভে ১০০ ডিগ্রীর উপরে চলে যায়।
আর যখন একটি রোগীর শরীরে এ ধরনের লক্ষণ গুলো দেখা যায়। তখন রোগিটি সুস্থ করতে
অনেক সময় লাগে এতে করে দেখা যায় অনেক রোগীর জীবন পর্যন্ত চলে যায়। তাই
আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকার এ সম্পর্কে ধারণা রাখবো। আমরা ডেঙ্গুকে
অবহেলিত করবো না
শেষ কথা ও লেখকের মন্তব্য
শেষ কথা ও লেখকের মন্তব্য সাধারণত গবেষণাগারে জানা গেছে যে যে সমস্ত
রোগেরা অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন জ্বর আক্রান্ত হয়েছে তার ৬০% মানুষ এই
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। এটা থেকে আমি বলতে চাই যে আমরা বাসার
আশেপাশে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখবো না। জ্বর হলে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী
ওষুধ খাবো।
প্রিয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে
থাকেন। বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবে যাতে করে আপনার সেই বন্ধুও উপকৃত হয়।
এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো ভালো ভালো তথ্য জানতে দৈনিক ওয়েবসাইটটি ভিজিট
করবেন। নিজের স্বাস্থ্য বজায় রাখবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url