পাসপোর্ট তৈরি করতে কি লাগে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম। আপনি হয়তো বাংলাদেশ থেকে বাইরের দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন। এছাড়া এই আর্টিকেলটি যদি ইন্ডিয়া কিংবা সৌদি, অ্যামেরিকা দুবাই থেকে দেখেন।

অনলাইনে-পাসপোর্ট-আবেদনতাদের জন্য এই আর্টিকেলটি উপকৃত হবে। পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি লাগে আবেদন করবেন কিভাবে এর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেল। সবকিছু জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃপাসপোর্ট তৈরি করতে কি লাগে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন  

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম। বর্তমানে অনেকেরই অনেকের কাজের জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়। কেউ হয়তো টুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণের জন্য যায়, কেউ হয়তো বিদেশে চাকরির জন্য যায়। কেউ পড়ালেখা করার জন্য যায় আবার কেউ চিকিৎসা করার জন্য যায়। মূলত এই কাজগুলোর জন্য একটি পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়।

ধরেন আপনি ইন্ডিয়া চিকিৎসার জন্য যাবেন। আপনি যদি ইন্ডিয়ার ভিসা করতে যান সে ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট প্রয়োজন পড়বে। সে সময় আপনি পাসপোর্টটি পাবেন কোথায়। আপনাকে পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কিভাবে আবেদন করবেন সে নিয়েই বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য আপনার যে সমস্ত কাগজপত্র লাগে সেগুলো যদি সব ঠিক থাকে আপনার। তাহলে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। পাসপোর্ট অফিসের ওখানে গিয়ে আপনি দেখবেন ওখানে অনেক কম্পিউটার ফটোগ্রাফার দোকান রয়েছে। আপনি সেখানে যাবেন। তারা মূলত আপনার কাগজপত্র চাইবে।

এই কাগজপত্র গুলো আপনার অনলাইনে আবেদন করার জন্য লাগবে। আপনার সব কাগজপত্রগুলো ওদেরকে দিবেন সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার দোকানে আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এটা যারা এ পাসপোর্ট অফিসের পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করে যে কোন কম্পিউটার দোকান থেকেও হবে যদি সে এ পাসপোর্ট আবেদন সম্পর্কে জানে।

তারপর সে আপনাকে একটি রিসিভ দিবে যে রিসিভটি আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার সময় আপনার সেই রিসিভ পত্রটি লাগবে। সে রিসিভ পত্র টা নিয়ে আপনি পাসপোর্ট অফিসে যাবেন তারপরে সেগুলো জমা দিবেন। তারপরে আপনাকে পাসপোর্ট এর ফিঙ্গার দেওয়ার জন্য ডাকবে মূলত এই হল পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া।

পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে

পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে। এই আর্টিকেল আপনি জানতে পারবেন পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে। একবারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে সে কাগজপত্রগুলা লাগে তার পুরো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব এই আর্টিকেলে। 

পাসপোর্ট আবেদন করতে অনেকগুলো কাগজপত্র লাগে যেগুলো আপনি যদি না সংগ্রহ করে নিয়ে যান। সে ক্ষেত্রে আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য এইসব কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে রাখতে হবে। কি কি কাগজপত্র লাগবে তার লিস্ট নিচে দেওয়া হলোঃ

আপনার যে সমস্ত কাগজপত্র লাগবেঃ

  • এনআইডি কার্ড ফটোকপি/জন্ম সনদ পত্র
  • ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • চারিত্রিক সনদপত্র
  • উচ্চ মাধ্যমিক/মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
  • নাগরিকত্ব 
  • বাবা-মা ভোটার আইডি ফটোকপি
  • রক্তের গ্রুপ

মূলত পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য এই ধরনের কাগজপত্র গুলো আপনার জরুরি ভাবে থাকা লাগবে। আপনি যদি পাসপোর্ট তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে এই সমস্ত কাগজপত্রগুলো আপনি সংগ্রহ করে রাখবেন। আর অবশ্যই শার্ট পড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

পাসপোর্ট এর জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স 

পাসপোর্ট এর জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আপনার পাসপোর্ট আবেদন সম্পূর্ণ হলে যে কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ সেটি হল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স। অর্থাৎ আপনি যেদিন পাসপোর্ট আবেদন করা সম্পূর্ণ করবেন তার কিছুদিন পরে সেখান থেকেই আপনার নিজস্ব থানায় নোটিফিকেশন পাঠাবে। আপনার ডাটা দিয়ে সেখানকার লোকাল এস আই এর কাছে।

অনলাইনে-পাসপোর্ট-আবেদনপুলিশ ক্লিয়ারেন্স কি জন্য করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মূলত আপনি যদি কোন কেসের আসামি হন কিংবা খুনের আসামি হন সেক্ষেত্রে তারা যাচাই করে। যে আপনি কোন পলাতক আসামী কিনা সে ক্ষেত্রে যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর প্রমাণিত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি পাসপোর্ট পাবেন না।

তারা আপনার সম্পূর্ণ ডাটা দিয়ে আপনার পার্শ্ববর্তী থানায় লোকাল এসআই দ্বারা তদন্ত করবে। এবং আপনাকে ডাকবে আপনি আপনার সম্পূর্ণ কাগজপত্র গুলো আবার সংগ্রহ করে তার কাছে নিয়ে যাবেন। সেগুলো প্রমাণিত করার জন্য এগুলো লাগবে। যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা পুলিশ ভেরিফিকেশন করবে তার কাছে এগুলো ভালো প্রমাণিত হলে।

আপনার যদি কোন সমস্যা না পায় সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে আপনার সম্পর্কে ভালো একটি তথ্য প্রদান করবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যখন পাসপোর্টটি গ্রহণ করতে যাবেন সে পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করবে। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তবে আপনি আপনার পাসপোর্টটি হাতে পাবেন। আমি আমার সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। 

পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম যেভাবে পাসপোর্ট চেক করবেন

পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম যেভাবে পাসপোর্ট চেক করবেন। আপনার  পাসপোর্ট আবেদন   সম্পন্ন করার পর। পুলিশ ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করার পর যদি সবকিছু ঠিক থাকে। তাহলে আপনার পাসপোর্ট প্রস্তুত আপনি পাসপোর্টটি নিতে পারবেন। কিন্তু আপনি জানবেন কিভাবে আপনার পাসপোর্টটি অলরেডি চলে এসেছে।

আপনার যে পাসপোর্ট রিসিভ টা থাকবে সেই রিসিট টা দিয়ে চেক করা যায়। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যার কাছে পাসপোর্ট আবেদন   করবেন। তার কাছে আপনি এই একটা রিসিটের ফটোকপি দিয়ে আসবেন। সে ক্ষেত্রে উনি চেক করে দেখবেন যদি পাসপোর্ট চলে আসে তাহলে আপনাকে জানাবে আপনি পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে পারবেন।

ভাবতেছেন পাসপোর্ট রিসিভ টা কি। আপনার পাসপোর্ট আবেদন   করার সময় একটি রিসিভ দেয় কম্পিউটার দোকান থেকে সেই রিসিভটা তাদের কাছে নিয়ে যাওয়া লাগে। তারা আবার আরেকটা রিসিভ দেয় সেই আপনার ফিঙ্গার কমপ্লিট করার পর। সেই রিসিভটি আপনি কম্পিউটার দোকানে যার কাছে আবেদন করেছেন তাকে দিয়ে যাবেন এভাবে আপনি পাসপোর্ট চেক করবেন।

দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে খরচ কত  

দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে। মূলত সবার মনে একটাই প্রশ্ন থাকে ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট। আর পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট কি কাগজপত্র আলাদা লাগে। তাহলে আমি বলব না কারণ পাসপোর্ট এর মেয়াদ অনুযায়ী কাগজপত্র কম বেশি লাগে না।

পাসপোর্ট এর মেয়াদ অনুযায়ী তারা যে চার্জটি নিয়ে থাকে সেটি বেশি লাগে। আপনি যদি পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করেন সেক্ষেত্রে কম টাকা লাগবে। যদি আপনি দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করেন সে ক্ষেত্রে একটু বেশি টাকা লাগবে। আবার যদি আপনি কম সময়ের ভিতর পাসপোর্ট চান সেক্ষেত্রে বেশি টাকা লাগবে। বিস্তারিত পড়ুন 

ই-পাসপোর্ট ফি কত টাকাঃ 

মেয়াদ পৃষ্ঠা সংখ্যা টাকার-ফি
৫ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ৪০৫০ টাকা
৫ বছর ৬৪ পৃষ্ঠা ৬৩২৫ টাকা
১০ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ৫৭৫০ টাকা
১০ বছর ৬৪ পৃষ্ঠা ৮৫০০ টাকা
 
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এখানে পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা উল্লেখ করা আছে। ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার বাস্তব। কোনটা ভালো এখানে কমবেশি করলে লাভ লস কি? ৬৪পৃষ্ঠা পাসপোর্ট এর ভিসা গ্রহণযোগ্যতা হয় তাড়াতাড়ি। আর 48 পৃষ্ঠার গ্রহণযোগ্যতা হয় কম। পাসপোর্ট এর বেশি পাতা থাকলে বড় বড় দেশে ভ্রমণ করতে সুবিধা হয়।

পাসপোর্ট হাতে পেতে কত দিন সময় লাগে

পাসপোর্ট হাতে পেতে কত দিন সময় লাগে। মূলত পাসপোর্ট তৈরীর অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। কেউ জরুরী ভাবে পাসপোর্ট তৈরি করে চিকিৎসার জন্য। আবার কেউ ভ্রমণে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করে সে ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি নেয়। যারা জরুরীভাবে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করে তাদের কম সময়েই পাসপোর্ট তৈরি হয়ে যায়।
অনলাইনে-পাসপোর্ট-আবেদন
আবার কেউ যদি বিদেশ যেতে চায় চাকরির জন্য সে ক্ষেত্রেও পাসপোর্ট একটু লেট করে যদি হয় তাও সমস্যা হয় না। আপনি এখন যদি জরুরি পাসপোর্ট করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ বেশি পড়বে আপনি তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট পাবেন। উল্লেখিত পাসপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তালিকা করে দেওয়া হলোঃ
মেয়াদ পৃষ্ঠা সংখ্যা দিন টাকা-ফি
৫ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ২ দিন ৭,৫০০
৫ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ৭ দিন ৫,৫০০
৫ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ১৫ দিন ৩,৫০০
১০ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ১৫ দিন ৫,০০০
১০ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ৭ দিন ৭০০০
১০ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ২ দিন ৯০০০
৫ বছর ৬৪ পৃষ্ঠা ১৫ দিন ৫৫০০
৫ বছর ৬৪ পৃষ্ঠা ৭ দিন ৭৫০০
১০ বছর ৬৪ পৃষ্ঠা ১৫ দিন ৭৫০০
১০ বছর ৬৪ পৃষ্ঠা ৭ দিন ৯৫০০

পাসপোর্ট এর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আকারে জমা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে একটু টাকার পরিমাণটা বেড়ে যায়। এই তালিকা অনুযায়ী আপনারা যত সময় অনুযায়ী করবেন সে পরিমাণ টাকা আপনাদের খরচ হবে। সেই সঙ্গে কাগজপত্র গুলো ভালো মতো সংগ্রহ করে রাখবেন।

পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলে কি করবেন

পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলে কি করবেন। পাসপোর্ট এর মেয়াদ আপনার শেষ আপনি কিভাবে সেই পাসপোর্ট রিনিউ করবেন। পাসওয়ার্ড রেনু করবেন না আবার নতুন ভাবে পাসপোর্ট তৈরি করবেন।অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদি আপনারা এ বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে উপরোক্ত পাঠ্য অংশে পড়বেন।


আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ যদি শেষ হয় সেক্ষেত্রে কি করবেন। অনেকেই আছে যারা পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলে রিনিউ করে নেয়। আবার অনেকেই আছে পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হলে নতুনভাবে দ্রুততার সঙ্গে পাসপোর্ট আবেদন করে। নতুন করে পাসপোর্ট তৈরি করে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি পাসপোর্ট রিনিউ করেন তাহলে কিভাবে করবেন 

প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট আবেদনের ফরম পূরণ করতে হবে। পুরনো পাসপোর্ট এর ফটোকপি লাগবে। ফি জমা দিতে হবে অনলাইনে অথবা ব্যাংকের চালানোর মাধ্যমে। আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে নতুন পাসপোর্ট এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। নির্দিষ্ট টাইমে আপনি আপনার পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।

শেষ কথাঃঅনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন সম্পর্কে

শেষ কথাঃঅনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন সম্পর্কে আমি এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই আর্টিকেলে কিভাবে পাসপোর্ট তৈরি করতে হয় পাসপোর্ট আবেদন ফরম কত টাকা লাগে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করবেন। যাতে করে আপনার সেই বন্ধুরাও উপকৃত হয়। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে বলবেন রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ! ভালো থাকবেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url