হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলো হার্ট ভালো রাখবেন যেভাবে

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলো হার্ট ভালো রাখবেন যেভাবে। আমাদের শরীরের বিশেষ অঙ্গ হচ্ছে হার্ট। এই হার্ট ভালো না থাকলে মানুষের চলাফেরা করতে খুবই কষ্টকর হয়ে যায়।

হার্টের-জন্য-ক্ষতিকর-খাবারআপনার যদি হার্টের সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ অনেক খাবারের মধ্যে ভেজাল থাকে যে খাবারগুলো হার্টকে দুর্বল করে ফেলে। তাই হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য যে যে নিয়ম গুলো মেনে চলবেন।

পোস্ট সূচীপত্রঃহার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলো

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলো

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলো তা হলো। আমরা সবাই জানি হার্ট আমাদের শরীরের জন্য কত বড় একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমরা প্রতিদিনের ন্যায় এমন এমন কিছু খাবার খেয়ে থাকি যেগুলো আমাদের হার্টকে দুর্বল করে ফেলে। আমরা নিজের অজান্তেই  হার্টের ক্ষতি করে ফেলি। বিভিন্ন হার্ট বিশেষজ্ঞ রা পরামর্শ দিয়ে থাকে যে যে খাবারগুলো আপনারা খাবেন না তার তালিকা।

  • হার্ট দুর্বল করে ফেলে যেগুলোঃ তৈলাক্ত খাবার তাই যেকোনো ধরনের অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার হতে সাবধান। হার্টের জন্য সবচাইতে খারাপ খাবার হল তৈলাক্ত জাতীয় খাবার। তাই যেকোনো তেলে ভাজা যেমন  চপ সিঙ্গারা আরো বাদ দিতে হবে এগ রোল চাওমিন জাতীয় খাবার। কারণ এগুলো হলো ড্রাফট ফেটে ভরা ড্রাফ ফ্যাট হলো হার্টের জন্য মারাত্মক খাবার।
  • হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলোঃ রেডমিড খাবার কারণ মাংসে প্রচুর ফ্যাচুয়েটেড ফ্যাট থাকে। আর সেগুলো রক্তনালিতে কোলেস্ট্রল জমা হওয়ার ভয় থেকে যায়। রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই যদি আপনার হার্ট দুর্বল থাকে সেক্ষেত্রে রেডমিটকে আপনার খাবার তালিকা থেকে বাদ দিন।
  • হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলোঃ লবণ আমাদের লবণ কম করে খেতে হবে। কারণ উচ্চ রক্ত চাপ থেকে সৃষ্টি হয় হার্টের ঝুঁকি। আর লবণ থেকে উচ্চ রক্তচাপ শুরু হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিদিনের ন্যায় এক চা চামচের কম লবণ খাওয়া উচিত। তাহলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলোঃ ডিমের কুসুম, ডিমের সাদা অংশ নিশ্চিন্তে খাওয়া গেলেও হার্টের রোগীদের ডিমের কুসুম খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডিমের কুসুমে রয়েছে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল। পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে একটি বড় মাত্রায় ডিমে ১৮৬ মিলি গ্রামের মতো কোলেস্টল থাকে।কারণ একটি মানুষ দিনে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি কোলেস্টেরল গ্রহণ করা উচিত নয়।

এছাড়াও যে যে খাবার গুলো থেকে আপনি বিরত থাকবেন। চিনি প্রক্রিয়া জাত খাবার যেমন কমল পানীয়, ক্যান্ডি , কেক। এই খাবারগুলো সাধারণত হার্টের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো থেকে আপনি বিরত থাকুন।

হার্টের ব্লক দূর করার খাবার

হার্টের ব্লক দূর করার খাবার যে খাবারগুলো খেলে আপনার হার্টের ব্লক দূর হবে। আমরা অজান্তেই আমাদের হার্টের সমস্যা করে বসি। আমাদের দেহে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি কোলেস্টল গ্রহণ করা উচিত নয়। আর আমাদের হার্টের নালীতে কোলেস্টল বেড়ে যাওয়ার ফলে সে থেকে হয়ে যায় হার্ট অ্যাটাক।

হার্টের ব্লক দূর করার জন্য আমরা যে ধরনের খাবার গুলো গ্রহণ করবো। প্রথমে হচ্ছে লাউ, লাউ মানব শরীরকে মোটা হওয়া থেকে বাঁচায়। এবং সেই সাথে হাইট ব্লকেজের মত সমস্যা থেকেও দূরে রাখে। লাউ সিদ্ধ করে হালকা ধনিয়া পাতা লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন খেলে হার্ট ভালো থাকবে।

এরপরে যে খাবারটি হার্টের ব্লক থেকে দূরে রাখবে তাহলে দুধ ও আমলকি। দুধ আমাদের নিয়মিত এক গ্লাস করে খেলে হাটের সমস্যা কমে যায়। এছাড়া দুধ মানুষের শরীরে পাওয়ার ব্যাংক হিসেবে কাজ করে। যা আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ।

তারপরে যে খাবারটি হার্টকে সুস্থ রাখে খাঁটি মধু খাঁটি মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এর গুন বলে শেষ করা যাবে না। নিয়মিতভাবে খাটি মধু খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি পরিমাণে বাড়বে না এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে দূরে রাখবে। স্টক স্কিমিক হার্ট ডিজিজ ও হার্ট এটাকের আশঙ্কা ব্যাপক আকারে কমে যায়।

অর্জুন গাছের ছাল বা বাকল হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে অর্জুন গাছের ছাল। এটা মূলত হার্টের সমস্যার জন্য খুবই ভালো কাজ করে থাকে। এটি মূলত হার্টেকে সুস্থ রাখে এবং হার্টের রক্ত সঞ্চালন হতে সাহায্য করে এবং করোনারি রোগ থেকে হার্টকে মুক্ত রাখে। তাই হার্টকে কে সুস্থ রাখতে আপনারা অর্জুন গাছের ছাল পানি দিয়ে ভিজিয়ে খাবেন।

হার্টের জন্য উপকারী ফল

হার্টের জন্য উপকারী ফল হার্টের জন্য ফল কতটা উপকারী। এর কারণ হচ্ছে বিভিন্ন ফলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। যেমন ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং ভিটামিন থাকে যা হার্ট রোগীদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে। এজন্য হাটকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ফল খাবেন যে যে ফলের নামগুলো বলবো সেগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

হার্টের-জন্য-ক্ষতিকর-খাবার

  • হাটকে সুস্থ রাখার জন্য প্রথমে যে ফলটি খাব এটি হলো বেরিঃ স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এতে হার্ট যন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।
  • হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য এই ফলটি গুরুত্বপূর্ণ সেটা নাম হলো আপেলঃ আপেলে রয়েছে ফাইবার ও পলি ফেনোল যা কোলারস্তলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। তাই আমরা খাবারের তালিকায় আপেল ফলটি রাখতে পারি।
  • কলা আমরা জানি কলা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী একটি ফল। বলাতে রয়েছে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ভিটামিন যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই হাটকে সুস্থ রাখতে কলা খাওয়া প্রয়োজন।
  • আমরা জানি ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আমাদের শরীর শরীর না পুরো শরীরের অর্গানগুলোতে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে হার্ট কমলা, এই ফলে রয়েতের ফ্লাবোনয়েড যা হার্টের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • আঙ্গুর ফল হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য এই ফলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় একটি ফল। আঙ্গুরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আরো রয়েছে পলিফেলন যা আমাদের হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।

এই আর্টিকেলে যে ই ফলগুলোর কথা বললাম। যদি হার্টের কোন সমস্যা হয়ে থাকে কিংবা আপনাদের হার্টকে যদি আপনার সুস্থ রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনারা এই ফলগুলো আপনাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনের জন্য রাখবেন। কারণ ফল আমাদের শরীর এবং হার্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাবার যা আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।

হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা

হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা আমরা সাধারণত রসুন তরকারিতে দিয়ে খাই। আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য রসুন খাওয়া প্রয়োজন।১৫০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে চীন এবং ভারত শরীরের রক্ত পাতলা রাখার জন্য এই রসুনের ব্যবহার করত। এটি আধুনিক চিকিৎসার জন্য সারভাইকাল ক্যান্সারের জন্য এটি ব্যবহার করেছিলেন।

আজকের এই আর্টিকেলে হার্টের জন্য রসুনের ব্যবহার।আধুনিক বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে হৃদরোগ প্রতিরোধে এই রসুনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করে দেখা গেছে যে কাঁচা রসুন খেলে হাট অনেক বেশি সুস্থ থাকে। এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। 

নিয়মিত রসুন খেলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরলের এলডিএল ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে আসে। তবে উপকারী কোলেস্ট্রল বা এইচ ডি এল বাড়াতে এবং ট্রাই কে সাইলেট কমাতে এর কোন ভূমিকা নেই। হার্টের বিভিন্ন সমস্যাকে যেভাবে রসুন সমাধান করে। রসুনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সে হার্টের সমস্যাগুলোকে দূরে রাখে ।

তাছাড়া রসুন খেলে কবিটের সময় ও অনেক উপকার হয়। বিভিন্ন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কারা জানান দেখা গিয়েছে যে সমস্ত রিত্তগী নিয়মিত রসুন খান তারা অনেক বেশি সক্রিয় থাকেন। তবে এ বিষয় নিয়েও গবেষণা থেমে থাকেনি চলতেছে। আয়ুর্বেদিক বলছেন এর ভালো ফল পেতে গেলে সাপ্লিমেন্ট না খেয়ে খেতে হবে রসুন। তাই হাটকে সুস্থ রাখার জন্য রসুন খান।

হার্টের রোগীর জন্য ডিমের গুরুত্ব কতটুকু

হার্টের রোগীর জন্য ডিমের গুরুত্ব কতটুকু তা আমরা আজকে জানবো। হার্টের জন্য উপকারী খাবার। আমরা আমাদের হার্টের সুস্থ রাখার জন্য আমরা কি ডিম খেতে পারি এ বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব। হার্টের রোগীর জন্য কেউ বলছে ডিম খাওয়া যাবে আবার কেউ বলছে ডিম খাওয়া যাবেনা। অবশ্যই যাবে কি যাবে না সেটা জানার জন্য ভালোভাবে জানুন।

ডিম খেতে পারবেন যারা হার্টের রোগী তারাও খেতে পারবেন কিন্তু খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। যারা হার্টের রোগী তাদের জন্য ডিমের কুসুম খাওয়া একেবারেই না বললেই চলে। কারণ ডিমের কুসুম রয়েছে অতিরিক্ত কোলের স্টল। যা হার্ট রোগীদের জন্য প্রচুর ভয়ানক। যারা হার্টের রোগী তাদের জন্য ডিমের কুসুম খাওয়া খুবই রিক্স।

তাই হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে বলছি তাদের ডিমের কুসুম না খেয়ে ডিমের যে সাদা অংশটি রয়েছে সেই সাদা অংশটি খেলে শরীরের জন্য উপকারও আসবে। তাই হার্ট রোগীদের ক্ষেত্রে ডিমের কুসুম না খেয়ে ডিমের সাদা অংশ খাবেন। তাহলে হার্টের রোগীদের জন্য কোন সমস্যা হবে না।

হার্টের রোগীর জন্য ড্রাগন ফলের উপকার

হার্টের রোগীর জন্য ড্রাগন ফল এর উপকার। আমরা উপরোক্ত পাঠ্য অংশে পড়েছি যে হার্টেকে উত্তরা রাখার জন্য ফল কতটুকু ভূমিকা রাখে। আমাদের হাটকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের ফল খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমাদের হাটকে সুস্থ রাখার জন্য ড্রাগন ফলের প্রয়োজন কতটুকু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।

অনেকেই জানেনা ড্রাগন ফল আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখে। বর্তমানে ড্রাগন ফল সকলের পরিচিত একটি ফল। বিভিন্ন জায়গায় চাষ হচ্ছে এটা এখন ফল। এই ফল ভিটামিন সি এর দারুন উৎস। প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সংগ্রহ করে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। 

আবার আয়রনের চমৎকার উৎস এমনকি রক্তশূন্যতার সমস্যা সমাধান হল এটা যেমন ফল। পুষ্টিবিদের মতে ড্রাগন ফলে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে না খুব বেশিও থাকে না। ওজন কমানোর জন্য আপনি ড্রাগন ফল আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে জলীয় শতাংশ থাকে ৮৭ গ্রাম, প্রোটিন 1.1 গ্রাম ফ্যাট ০.৪ গ্রাম।

বলতে গেলে এটাতে ফ্যাট নাই কার্বোহাইড্রেট ১১ গ্রাম। ড্রাগন ফলে মূলত এত পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের ডায়েট এর ক্ষেত্রে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ। রক্তশূন্যতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ড্রাগন ফলের কোন বিকল্প নাই। আর রক্তশূন্যতা থেকে সৃষ্টি হয় হার্টের রোগ উচ্চ রক্তচাপ থেকে সৃষ্টি হয় হার্টের রোগ। তাই হার্টকে ভালো রাখতে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।

হার্ট রোগের ঝুকি কমায় কোন ভিটামিন

হার্ট রোগের ঝুকি কমায় কোন ভিটামিন। যে ভিটামিন গুলোর অভাবে আমাদের হার্ট অসুস্থ হয়ে যায়। হার্টের জন্য উপকারী খাবার আমরা জেনেছি। মূলত অনেক খাবারের কথা আলোচনা করেছি এ খাবারগুলো যে ভিটামিন গুলো রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন ডি ভিটামিন ই রয়েছে এই সমস্ত খাদ্যে।

আটের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন ই খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি এর অভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এটি আমাদের শরীরের ইনফ্লামেশন কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই ভিটামিন ডি আমাদের হার্টের জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন ই আমাদের শরীরের হার্টের জন্য একটি শক্তিশালী কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। যা হার্ট রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। তাই হাটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এদের যথেষ্ট পরিমাণ আমাদের শরীরে গ্রহণ করা উচিত।

ধূমপান ও তেল হার্টের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ

ধূমপান ও তেল হার্টের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথমে আসি ধূমপান আমরা নিজের অজান্তেই আমাদের মৃত্যু দের শরীরের রোগ ডেকে আনতেছি। কারণ ধূমপান হল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান করলে শরীরের ভিতরে যে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে লিভার অকেজো হয়ে যায়। কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়। ফুসফুস ও নাড়ি পচে যায়। মাত্র এই একটা সিগারেট আমাদের জীবনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে।

কিভাবে এই ধূমপান আমাদের হাটের জন্য ক্ষতিকারক। তো এই একটা সিগারেটের ভিতরে ৭০ এর বেশি ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যেমনঃ ক্যাডমিয়াম, বেঞ্চিন, আর্সেনিক, নিকোটিন, সিসা, অ্যাসিটিক অ্যাসিড এবং ডার্ক। এই সিগারেট খেলে রক্তকে ঘন করে দেয় যার কারণে রক্তের শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যায় আর যার ফলে মানুষের হার্ট অ্যাটাক হয়।

হার্টের-জন্য-ক্ষতিকর-খাবারঅতিরিক্ত তেল আমাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে কিভাবে। অবশ্যই এই অতিরিক্ত তেল আমাদের শরীরের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে. কারণ সেচুরেটেড ফ্যাট ট্রান্সপোর্ট সমৃদ্ধ খাবার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ধরনের তেল আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা ধম নিতে প্লাক তৈরি করে।

ফলে রক্ত প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করে যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং আমরা আমাদের স্বাস্থ্য কে ঠিক রাখার জন্য আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অলিভ অয়েল এবং বাদামের তেল ব্যবহার করতে পারি। এগুলো হার্টের জন্য প্রচুর উপকারী। এই আর্টিকেলেহার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার যেগুলো হার্ট ভালো রাখবেন যেভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

হার্টের জন্য উপকারী মাছ ও সবজি 

উপকারই হার্টের জন্য উপকারী মাছ ও সবজি। হার্টের জন্য উপকারী খাবার। মাছের ক্ষেত্রে আমরা জেনে থাকি যে আপনি সব ধরনের মাছ খেতে পারবেন। বলা আছে যে মাছের যত তেল এই তেলটা আমাদের হার্টের জন্য ভালো। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ। ওই মাসের মধ্যে কি থাকে? ওমেগা থ্রি ফাটিয়েছি হার্ট এ ব্লক হওয়া রোদ করে।

সুতরাং যে সামুদ্রিক মাছের যত বেশি তেল এই তেল যুক্ত মাছের মধ্যে সারডিন, মেকরেল ও সেমন মাছ অন্যতম। এই সামুদ্রিক মাছ গুলোর মধ্যে প্রচুর তেল রয়েছে যে তেলগুলো আমাদের স্বাস্থ্য ও হার্টের জন্য ভালো। বাংলাদেশে যেটি অ্যাভেলেবেল রয়েছে ইলিশ মাছ সামুদ্রিক মাছ। এই ইলিশ মাছের তেল আমাদের হাটের জন্য খুবই উপকারি।

আরেকটি মাছ যেটা বলি সুস্বাদু মাছ পাঙ্গাস মাছ। এই পাঙ্গাস মাছ ও আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এই পাঙ্গাস মাছের তেল আমাদের শরীরের হার্টকে সুস্থ রাখে। সবজির ক্ষেত্রে যে যে সবজিগুলো আমাদের হার্টের সুস্থ রাখে। যে যে সবজিগুলো আমাদের হার্টের জন্য উপকারী সেই সবজিগুলোর একটি তালিকা আমি নিচে দিয়েছি দেখে নিন।

  • পালং শাক
  • ব্রকলি
  • গাজর
  • টমেটো
  • বিট রুট 

লেখক এর মন্তব্যঃ হার্ট সম্পর্কে

লেখক এর মন্তব্যঃ হার্ট সম্পর্কে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে হার্ট এ হার যদি সুস্থ না থাকে তাহলে মানব জীবনে চলাচল করা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে গিয়ে এই হার্ট রোগ থেকে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তাই আপনাদের হার্টকে শুকতে রাখার জন্য কিন্তু আর্টিকেলের মেনে কাজ করবেন ইনশাল্লাহ আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন শেয়ার করতে ভুলবেন না। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টও বলবেন। রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url