ইতালি যেতে কত টাকা লাগে প্রসেস সময় কত
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে প্রসেস সময় কত এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে এই আর্টিকেলে। বর্তমানে ইতালি যাওয়ার জন্য প্রায় অনেক মানুষ স্বপ্ন দেখে। ইটালি হল একটি স্বপ্নের দেশ।
পোষ্ট সূচিপত্রঃইতালি যেতে কত টাকা লাগে প্রসেস সময় কত
- ইতালি যেতে কত টাকা লাগে প্রসেস সময় কত
- ইতালি যাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবো
- বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
- ইতালিতে যেতে কি কি কাগজপত্র দরকার
- ইতালির ১ ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা
- ইতালিতে চাকরির জন্য কোন ভিসা ভালো
- ইতালির সর্বনিম্ন বেতন কত
- ইতালি ওয়ার্ক পারমিট আসতে কত দিন সময় লাগতে পারে
- স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালি যাওয়ার নিয়ম
- ইতালি যেতে কত টাকা লাগে ইতালি সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে প্রসেস সময় কত
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে প্রসেস সময় কত এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বর্তমান টাইমে ইতালি হচ্ছে একটি স্বপ্নের দেশ যে দেশে গেলে লাখপতি তো নয় কোটিপতি হওয়া যায়। এদেশের বেতন সীমা হাই ডিমান্ডের। প্রতিটা ছেলে মেয়ের স্বপ্ন থাকে যে কেউ ইতালিতে চাকরির জন্য যাবে আবার কেউ পড়াশোনার জন্য।
প্রথমে আমরা জানবো ইতালি যেতে কত টাকা লাগে। ইতালি যাওয়ার প্রসেস হলো দুইভাবে।
সরকারি মাধ্যম। আর আরেকভাবে হলো কোনো এজেন্সি মাধ্যমে। আমরা যখন সরকারি ভাবে
যাব তখন আমাদের ইতালি যাওয়ার খরচটা একটু কম পড়ে। কারণ সরকারি মাধ্যমে শুধু
আবেদন ফি, ওয়ার্ক পারমিট ফি আরো যে সমস্ত ফিউজ গুলো আছে এগুলো ধরা হয়।
আর যখন আপনি ইতালিতে কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাব সেক্ষেত্রে তারা আপনার
ইতালি যাওয়ার খরচটা বেশি নিয়ে থাকে। কারণ সেটা সরকারি মাধ্যমে নয়। একটা
আইডিয়া যদি আপনাকে দেই সরকারি মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার খরচটা পড়ে সাত থেকে আট
লাখএর কম ও হতে পারে। কিন্তু যখন আপনি এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন।
আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে যান সে
ক্ষেত্রে আপনার ইতালি যাওয়ার খরচটা মিনিমাম 10 লাখ থেকে 15 লাখ লেগে যেতে পারে
কারণ আপনি এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন। তবে আপনারা যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে
যান তাহলে আপনারা একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন যে সেই এজেন্সির মানুষটা ভালো না
খারাপ।
কারণ বর্তমানে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে অনেকে প্রতারিত হচ্ছে। আপনি যদি এজেন্সির
মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে আপনার সময়টা একটু কম লাগতে পারে প্রসেসের ক্ষেত্রে বলছি
আপনি যদি সরকারি ভাবে যান সে ক্ষেত্রে সময়টা একটু বেশি লাগবে। এজেন্সির মাধ্যমে
গেলে আপনার ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। এই হল ইতালি যাওয়ার প্রসেস
সীমা বিস্তারিত নিচে আরও থাকছে।
ইতালি যাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবো
ইতালি যাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবো এটা আসলে আমাদের সবারে জানা দরকার। কারণ আপনি যদি এই প্রসেস সীমা না জেনে থাকেন তাহলে হয়তো আপনি বিপদে পড়তে পারেন কিংবা আপনার একটু ভুলের জন্য হয়তো আপনার স্বপ্নের দেশে যাওয়ার স্বপ্নটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিংবা হয়তো আপনি নিয়ম জানেন না সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতারিত হতে পারেন।
মূলত ইতালিতে আবেদন করার জন্য প্রথমত একটি জিনিস লাগবে সেটি হল আপনার ই পাসপোর্ট।
পাসপোর্ট না থাকলে আপনি যেকোন দেশেই হোক বাইরের দেশে আপনি যেতে পারবেন না। সে
ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্টটি লাগবে। আর লাগবে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের পিডিএফ
ফাইল। পিডিএফ পাসপোর্ট সাইজের ছবি অনলাইনে।
এই সমস্ত জিনিসগুলো আপনি সংগ্রহ করে রাখবেন। মূলত এই আবেদনটি আপনি নিজেও করতে
পারেন কিংবা আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান সে এজেন্সি লোককে দিয়েও করাতে
পারেন। যেহেতু আপনি নিজে করবেন। সেক্ষেত্রে আপনার সমস্ত কাগজপত্র আপনি সংগ্রহ করে
রাখবেন।
এরপরে ইতালিয়ান এম্বাসি থেকে যখন ইতালি সরকার কাজের জন্য লোক নিয়োগ দিবে। আপনি
হয়তো জানতে পারবেন। যখন ইতালিয়ান সরকার ইতালিয়ান এমব্যাসির মাধ্যমে কাজের
নিয়োগ দেবে অনলাইনে দ্বারা আপনি আবেদন করতে পারবেন। যখন অনলাইন আবেদন চালু হয়ে
যাবে তখন আপনি আপনার কাগজপত্র নিয়ে যেকোনো কম্পিউটার দোকানে যাবেন।
যারা অনলাইনে যেকোনো ধরনের আবেদন করে থাকে। আপনি তাদের কাছে যাবেন তারপরে আপনার
সব কাগজপত্র তাদের ইতালিয়ান ওয়েবসাইটে। ওই ওয়েবসাইটে আপনি আপনার সম্পূর্ণ তথ্য
কাগজপত্র সবকিছু শো করাবেন। আপনার সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হলে আপনাকে কংগ্রাচুলেশন
বা অভিনন্দন জানাবে। এইভাবে আপনি ইতালি যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার বেশ কয়েকটি
উপায় আছে। অনেকেই ইতালিতে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা একটি
ভুল কাজ করে বসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও তারা ইতালিতে যেতে চায়। এজন্য তারা
বিভিন্ন জঙ্গল সাগর পাড়ি দেয় সে ক্ষেত্রে অনেক মানুষ মারা যায়।
তখন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আপনার কাগজপত্র নিয়ে আবেদন করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি সরকারীভাবে আবেদন করলে আপনার খরচ কম লাগবে। এছাড়া আপনি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে হয়তো টাকার পরিমান টা একটু বেশি নিবে। তাহলেও রিক্স কম থাকবে। আপনি এই উপায় গুলো মেনে ইতালিতে যেতে পারবেন।
ইতালিতে যেতে কি কি কাগজপত্র দরকার
ইতালিতে যেতে কি কি কাগজপত্র দরকার এ নিয়ে বিস্তারিত থাকবে এই আর্টিকেলে। আপনি যদি না জেনে থাকেন ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এর প্রচার সময় তাহলে উপরে অংশে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে আপনি দেখতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার উপায়। আমরা যখন ইতালিতে যাব যাওয়ার আগে আমাদের কি কি কাগজপত্র দরকার।
এক্ষেত্রে আরেকটি তথ্য হলো ইতালিয়ান সরকার যখন তার কাজের জন্য লোক নিয়োগ দেয়। তখন ইতালির যে সমস্ত মালিক রয়েছে তাদের কাজের জন্য লোক লাগে তখন তারা এই লুলুস্তা টি এপ্রুভ করিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করবেন আর ইতালি থেকে যে মালিককে ধরে আপনি কাজ নিবেন সে আপনার নুলুস্তা টি এপ্রুভ করবে।
ইটালিয়ান এম্বাসি এবং বাংলাদেশী এম্বাসি থেকে পাওয়া তথ্য তে যে যে ধরনের
কাগজগুলো আপনার প্রয়োজন সে কাগজগুলো হলোঃ
- পাসপোর্ট এর ফটোকপিঃ এক্ষেত্রে আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে এপ্লাই করান সেক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্টের একটি ছবি তুলবেন সেটি পিডিএফ আকারে ইমেইল কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন।
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপিঃ এক্ষেত্রে আপনি যেভাবে পাসপোর্টটি আপনার এজেন্সিকে পাঠিয়েছেন সেই একইভাবে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি আপনি আপনার এজেন্সিকে পাঠাবেন। সঙ্গে আপনার পিডিএফ পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
এ হলো আপনার আবেদন প্রক্রিয়া। আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হলে আপনাকে কংগ্রাচুলেশন
জানা হবে। তারপর যে কাজটি করবে সেটি হল আপনার মালিক ইতালিয়ান মালিক আপনার আবেদন
করা কাগজটি ওয়ার্ক পারমিট কিংবা লুলুস্তার মাধ্যমে বাংলাদেশী এম্বাসিতে পাঠাবে।
তারপরে আপনার যে কাজটি করা লাগবে ভিসা প্রকিয়া।
আপনি যেহেতু ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে গেছেন সেক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজটি করা লাগবে
এখন আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে ইতালিয়ান এমবাসির কাছে। ভিসার জন্য ভিএফএস
গ্লোবাল এর কাছে আপনার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে কি কি কাগজপত্র লাগবে সেগুলো
আমরা জেনে নেই
- VFS এর এপয়েন্টমেন্ট লেটার
- ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম/পূরণ করতে হবে
- আপনার পাসপোর্ট এর অরিজিনাল কপি
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি 3 পিস
- লুলুস্তা বা ওয়ার্ক পারমিটের অরিজিনাল কপি
- নুলাস্তার ফটোকপি 3 পিস
- ছবি বা ফটো ৮ থেকে ১০ কপি সাইজ 35 থেকে 40 mm lapprint
ইতালির ১ ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা
ইতালির এক ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা এটা সবারই জানার আগ্রহ থাকে। যারা যেতে চায়
ইতালিতে তারাও আবার যারা না যেতে চাই তারাও জানতে চায় যে ইতালির এক টাকা সমান
বাংলাদেশের কত টাকা। আর বিশেষ করে এটি আমাদের সবারই জানা প্রয়োজন। কারণ এগুলো
বিভিন্ন ইন্টারভিউ ভাইবা পরীক্ষায় এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে।
আমরা এখন জানবো ইতালির এক টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা। কিংবা ইতালির ১০০ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা বা ইতালির এক হাজার সমান বাংলাদেশের কত টাকা বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পরুন। আমরা জেনেছি ইতালি যেতে কত টাকা লাগে আমরা জানবো ইতালির টাকার মান।
আমরা সাধারণত বাঙালিরা বাংলাদেশের মুদ্রা কে বলি টাকা। ইন্ডিয়া রা বলে রুপি,,
কাতার এর রিয়াল, কুয়েতের দিনার একার দেশের এক এক নাম বলে থাকে
এই মুদ্রাকে। তবে ইতালিরা তাদের এই মুদ্রাকে তারা ইউরো বলে থাকে। আমরা জানবো
ইতালির ইউরো= বাংলাদেশের কত টাকা।
ইতালি ইউরো
বাংলাদেশী টাকা
১ ইউরো ১৩০.১৪ টাকা
১০ ইউরো ১৩০১.৪ টাকা
৫০ ইউরো ৬৫০৭ টাকা
১০০ ইউরো ১৩০১৪ টাকা
১০০০ ইউরো ১৩০১৪০ টাকা
ইতালিতে চাকরির জন্য কোন ভিসা ভালো
ইতালিতে চাকরির জন্য কোন ভিসা ভালো আমরা সাধারণত ইতালির কাজকে বুঝি। কিন্তু এটার
ভাগ রয়েছে যেমন আপনি যদি জানতে চান যে ইতালির ভিসা কয় ধরনের তাহলে বেশ কয়েক
ধরনেরই আছে কিন্তু আপনি যেহেতু কাজের জন্য যাবেন সেহেতু। এ ক্ষেত্রে তিন ধরনের
ভিসা ভিএস গ্লোবাল থেকে পাবলিশ করে থাকে।
- এগ্রিকালচার বা সিজনাল ভিসা
- স্পন্সর বা নন সিজনাল ভিসা
- ডোমেস্টিক ভিসা
যে তিন ধরনের ভিসার কথা বললাম আপনি যদি ইতালিতে চাকরির জন্য যেতে চান। কিংবা কাজ করার জন্য আপনি ইতালিতে যেতে চান তাহলে এই তিন ধরনের যে কোন একটা বিষয় থেকে যেতে পারেন। আমি এই তিনটা ভিসারী বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করব এ থেকে আপনারা বুঝে নিবেন যে কোন ভিসাটা ভালো।
এগ্রিকালচার বা সিজনাল ভিসাঃএগ্রিকালচার বা সিজনাল ভিসা মূলত আমরা যেটা বুঝি সেটা হলো এগ্রিকালচার বলতে আমরা বুঝি কৃষি। এগ্রিকালচার কিংবা সিজনাল ভিসা হল বাংলাদেশ যেমন কৃষিপূর্ণ দেশ তেমনি ইতালীয় অনেক ফসল আবাদ হয় সেক্ষেত্রে আপনি যদি এগ্রিকালচারে আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনি ছয় মাস কাজ পাবেন সে কাজগুলো হলোঃ
- ফলের বাগান
- সবজি চাষ
- কাট ফসল চাষ
- ধান চাষ ইত্যাদি
স্পন্সর বা ননসেজনাল ভিসাঃ স্পন্সর বা নন সিজনাল ভিসা বলতে বুঝায় যে কোন টাইমে আপনি এই কাজগুলো করতে পারেন। এগুলো সাধারণত মাঠে ঘাটে না কিংবা ফলের বাগান ধান চাষ এসব না এটা সাধারণত বিভিন্ন দোকান আরো অন্যান্য যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এগুলো কাজ এগুলোকে সাধারণত স্পন্সর দিশা বলে থাকি এর কাজ গুলো কিঃ
- হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর কাজ
- বিভিন্ন দোকানের কাজ
- বার রেস্টুরেন্ট এর কাজ
- কফি শপের কাজ ইত্যাদি
ডোমেস্টিক ভিসাঃ ডোমেস্টিক ভিসা হলো বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করাকে বলা
হয় ডোমেস্টিক ভিসা। এটা হইতে পারে আর বিভিন্ন ইতালিয়ান মালিক কিংবা ব্যবসায়িক
ইতালিয়ান দের বাসা বাড়িতে কাজ করা কে বলা হয় ডোমেস্টিক ভিসা। এই বিষয়ে আপনি
আবেদন করলে আপনি এই বাসা বাড়িতে কাজ পাবেন কিংবা ড্রাইভারিও করতে পারেন তার
বাসায়।
ইতালির সর্বনিম্ন বেতন কত
ইতালি সর্বনিম্ন বেতন কত আমরা এটা প্রায় সবাই জানতে চাই বিশেষ করে যারা ইতালিতে
যেতে চাই। যাদের স্বপ্ন যে আমি ইতালিতে যে সেটের হব তাদের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা
বেশি জানার আগ্রহ জাগে যে ইতালির বেতন কত। ইতালি কিংবা বাহির দেশের বেতন নিয়ে
যদি আপনি জানতে চান তাহলে আপনার কাজের উপর আপনার দক্ষতার উপর আপনার বেতন।
আপনি কি ধরনের কাজ জানেন আপনি কতটুকু স্কিল প্রাপ্ত এ বিষয়গুলো জেনে শুনে আপনাকে বেতন দেওয়া হবে তবে তাদের একটু নির্দিষ্ট বেতনসীমা উল্লেখ করা আছে। যারা মূলত নতুন ধরেন কৃষি ভিসায় কাজ করতে গেছে তাদের বেতনটা ঘন্টায় ৬ থেকে ৭ ইউরো ধরা হয়। এছাড়াও আরো ওভারটাইম রয়েছে যেগুলো আপনি করতে পারেন।
তারপরে স্পন্সর কিংবা ননসিজিনাল নিশা এটার হিসাব একটু আলাদা এটার জন্য মূলত ভাষা
জানা প্রয়োজন। আপনি যদি ভাষা জেনে থাকেন তাহলে আপনি কাজ পাবেন সেক্ষেত্রে আপনার
যে কোন জায়গায় কাজ পেতে পারেন। আপনি নতুন আপনি যদি কোন রেস্টুরেন্টের কাজ করেন
কিংবা কোন দোকান নেই সেক্ষেত্রে আপনার বেতন ধরা হবে ঘন্টা প্রতি ১০ ইউরো উপর।
আর এছাড়া ডোমেস্টিক ভিসা এগুলো সাধারণত বাসা বাড়ির কাজ এগুলো কাজ সাধারণত সবাই
করে না সবাই করতে চাই এগ্রিকালচার কিংবা স্পন্সর এই দুইটা ভিসাতেই সবাই এপ্লাই
করে এবং কাজ করার জন্য যায়। এখন আপনি একটু ক্যালকুলেশন করলেই বুঝতে পারবেন যে
আপনার সর্বনিম্ন সেলারি কত হতে পারে।
ইতালির ওয়ার্ক পারমিট আসতে কত দিন সময় লাগতে পারে
ইতালির ওয়ার্ক পারমিট আসতে কত দিন সময় লাগে এটা মূলত সবারই একটু জানার আগ্রহ থাকে বিশেষ করে যারা ইতালিতে চাকরির জন্য যেতে চায়। প্রথমেই বলি এটা মূলত ইটালিয়ান এম্বাসি এর উপর নির্ভর করে। কারণ তারা কোন সময়ে এসব জিনিসপত্র আপনার ডকুমেন্টস বাছাই করে এটা সাধারণত বলা খুবই মুশকিল।
তবুও তারা একটি ডেট দিয়ে রাখে মোটামুটি ভাবে আপনি আবেদন করার পর যেই পারমিটটি পাবেন সেটাকে আমরা ওয়ার্ক পারমিট কিংবা নুলস্থা বলি। আপনি কোন বিষয়ে আবেদন করেছেন সেগুলোর একটি ভাগ থাকে ধরেন আপনি এগ্রিকালচার বিষয়ে আবেদন করেছেন সে ক্ষেত্রে এটা আগে হতে পারে।
স্টুডেন্ট ভিসায় ইতালি যাওয়ার নিয়ম
স্টুডেন্ট ভিসা ইতালি যাওয়ার নিয়ম এ বিষয়ে আলোচনা করবো। মূলত কারো স্বপ্ন
থাকে যে চাকরির জন্য যাবে আবার কারো স্বপ্ন থাকে যে আমি পড়ালেখার জন্য যাব।
পড়ালেখা শেষ করে তবে আমি একটি ভাল চাকরি করব আবার কেউ মূলত পড়ালেখার জন্যই
যায়। আপনি ইতালিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পড়ালেখা করতে যেতে পাররেন।
কেউ যায় ব্যাচেলর করতে কেউ আবার ব্যারিস্টারি করতে কেউ আবার ডিপ্লোমা করতে আপনি
কোন বিষয়ের উপর যাবেন সেটা আপনার চয়েজ। মূলত সর্বনিম্ন আপনাকে এইচ এস সি পাস
থাকতে হবে। আপনার সার্টিফিকেট থাকলে আপনাকে প্রথমে আইএলস করা লাগবে, কিংবা
ইতালিয়ান ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। আপনার সবকিছু ঠিক থাকলে।
আপনি আপনার সম্পূর্ণ সার্টিফিকেট এবং আপনার পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশী এম্বাসিতে
যাওয়া লাগবে। তার পূর্বে আপনি ইতালির কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চান কিংবা
কোন ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চান সেখানে এপ্লাই করা লাগবে। আপনি যদি সেখানে উত্তীর্ণ
হন সেখানকার অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বাংলাদেশি এম্বাসিতে শো করা লাগবে।
বাংলাদেশী এম্বাসিতে গিয়ে আপনাকে আপনার কলেজের ফ্রি দেওয়া লাগবে তারপর আপনার
ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।
তারপর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করবেন আপনার ভিসা হয়ে গেলে তারপরে আপনি যেতে
পারবেন।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে ইতালি সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
ইতালি সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য হিসেবে এটুকুই বলবো বর্তমানে ইতালি হল একটি
স্বপ্নের দেশ এদেশে সবাই কাজ করা কিংবা পড়ালেখার জন্য যেতে চাই চাকরি করবে টাকা
ইনকাম করবে। সেই জন্যই যান না কেন একটু দেখে বুঝে শুনে যাবেন। এখানে ইতালি যাওয়া
প্রথম থেকে লাস্ট পর্যন্ত উপায় দেওয়া আছে।
আমি মূলত সাজেস্ট করব আপনি আগে ভাষা শিখুন তারপরে ইতালিতে যান। এই আর্টিকেলে পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে শেয়ার করবেন। এরকম আপডেট পেতে দৈনিক ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url