কিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার বিস্তারিত জানুন
কিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। আমাদের শরীরে কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি অকেজ হয়ে গেলে আমরা চলাফেরা করতে পারব না।
পোষ্ট সুচিপত্রঃকিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার
- কিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার
- কিডনির সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায়
- কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ গুলো কি কি
- কিডনি রোগ হলে প্রাথমিক যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়
- কিডনি ভালো রাখার উপায়
- কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
- কিডনি পরিষ্কার ও ভালো রাখা ১০খাবার
- কিডনি সমস্যা থেকে যে রোগগুলো হয়ে থাকে
- কিডনি ফুলে যায় কেন কি কারনে
- শেষ কথাঃকিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে
কিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। অনেকেরই কিডনির সমস্যা হয়ে থাকে কিডনি ব্যাথা করে। কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায় সাধারণত এইগুলো হয় কেন আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। আমরা জেনে নেই কিডনি এই জিনিসটা কি কিডনি হচ্ছে শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ কিডনি প্রত্যেক মানুষের দুইটি করে থাকে।
শরীরে কিডনির কাজ কি কিডনি শরীরের যে রক্ত থাকে সেটাকে ফিল্টারিং করে মূত্র তৈরি
করে। এছাড়া আমাদের শরীরের অতিরিক্ত পানি এবং বর্জ্য পদার্থ যেটি
থাকে সেটিকে বের করে দেয় কিডনি। এছাড়া আমরা যে খাবারগুলো খাঁ খেয়ে থাকি এ
খাবারগুলো খনিজ পদার্থ রক্তের সঙ্গে মিশে যাইতে সহায়তা করে এছাড়া রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখে হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
কিডনি আরো যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে নতুন রক্ত কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে
এই কিডনি। তাহলে ভাবুন কিডনি আমাদের শরীরের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ যদি ড্যামেজ
হয়ে যায় তাহলে আমাদের শরীরে কি কি সমস্যা হতে পারে। এক কিডনি গবেষক জরিপ থেকে
পাওয়া গেছে প্রতিবছর চল্লিশ হাজারের মতো কিডনি নষ্ট হয়ে থাকে কোন না কোন
মানুষের।
কিডনির কারণে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে ক্লান্তি অনুভব করা, শ্বাসকষ্ট হওয়া,
পায়ের গোড়ালি বা পা ফুলে যাওয়া এমনকি পুরো শরীর হাতেও ফুলে যায়। অসুস্থতা বোধ
করা এবং সব শেষ যেই বড় সমস্যাটি হয়ে থাকে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া। এই ধরনের
সমস্যাগুলো থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। যারা সিস্তেইসিস বা
মুত্র মনের সংখ্যায় ভোগে তাদের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
কিডনির সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায়
কিডনির সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায়। এই কিডনির কারণে আরো যে সমস্যাগুলো
হয়ে থাকে জ্বর জ্বর ভাব বা কাপুনি দিয়ে জ্বর আসা অসুস্থতা অনুভব করা। শরীরের
পিছনের দিকে ব্যথা করা। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া প্রসাবের জ্বালাপোড়া এবং প্রসাবে
দুর্গন্ধ হওয়া। এইসব উপসর্গ যদি দেখা দেয় তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ নিবেন।
- কিডনিতে পাথর কিডনির সমস্যা শুনলেই প্রথমে যে এই রক্তের কথা আসে কিডনিতে পাথর হওয়া। তবে কিডনিতে পাথর এটা যে কারণে হতে পারে। এটি বয়সেরও একটি ভাগ থাকে তাদের বয়স ৩০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কিংবা বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- কিডনিতে পাথর হওয়ার বিষয়টি দেখা যায় যে প্রতি ১০ জনের একজনের মধ্যে এই কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে। সাধারণত কিডনি বা মূত্রনালী অর্থাৎ যে নালিটি মূত্রাশয় কে কিডনির সঙ্গে যুক্ত করে সে থেকে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেশি হয়ে থাকে।
- আপনার কি সমস্যা হলে জরুরী ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এক্ষেত্রে ঘরোয়া পরামর্শে কোন কাজ হবে না। এজন্য যে রোগ গুলো বুঝবেন এগুলো হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন কিডনির সমস্যা হলে আরও যে রোগ গুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো ঃ
- তলপেটে ব্যথা করা
- থেমে থেমে তীব্র ব্যথা অনুভব করা
- অসুস্থতা বোধ করা
- বমি করা
এই লক্ষণ গুলোর সঙ্গে যদি আপনার শরীরে তাপমাত্রা বেশি হয়ে থাকে কাঁপুনি দিয়ে
জ্বর আসে তাহলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। মূলত এ ধরনের
সমস্যাগুলো হলে আপনি বাসায় কোন চিকিৎসা না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন। কারন কিডনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এ অঙ্গ না থাকলে
অনেক মানুষ বাঁচে না।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ গুলো কি কি
কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ গুলো কি কি তা আমরা বিস্তারিত জানব এতক্ষণে আমরা জানলাম কিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ গুলো কি কিকোন কোন কারণে আমাদের কিডনি ড্যামেজ হয়ে থাকে। আপনি যদি না জেনে থাকেন কী কারণে আপনার কিডনিগুলো ড্যামেজ হয় তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।
কোন ধরনের বড় রোগ হলে আমাদের শরীরে কিছু কিছু নমুনা উপসর্গ দেখা দেয়। যেগুলো থেকে আমরা বুঝে নিতে পারি যে আমাদের এ ধরনের সমস্যা হয়েছে এই রোগ হয়েছে। কিডনি নষ্ট হওয়ার লক্ষণে প্রথম যেই উপসর্গটি দেখা দেয় সেটি হল বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া। এছাড়াও আরো যেই উপসর্গগুলো রয়েছে সেগুলো হলোঃ- কিডনি ড্যামেজের লক্ষণঃপ্রথম যেই উপসর্গটি দেখতে পাবো সেটি হল দেখবেন যে ঘুম থেকে উঠে তার চোখের পাতাগুলো ভারি হয়ে থাকে।
- কিডনি ড্যামেজের লক্ষণঃতারপরে যে উপসর্গটি দেখা যায় মুখ ফুলে যাওয়া হাত-পা পুরো শরীর ফুলে যায় পায়ের গোড়ালি ফেটে ফেটে যায় এটি একটি খুব ভয়ানক উপসর্গ।
- কিডনি ড্যামেজের লক্ষণঃসেই সঙ্গে আরও যে উপসর্গ গুলো দেখতে পাবেন প্রসবের রং পাল্টে যাওয়া প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া। প্রসাব দিয়ে রক্ত বের হওয়া।
-
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণঃআবার দেখা যেতে পারে কারো গায়ের রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে
একজনের গায়ের রং ফর্সা ছিল দেখবেন এই রোগটির কারণে তার গায়ের রং হলদে হয়ে
যায় ফেকাশের মত দেখা যায় খুব একটা জন্ডিস রোগের মত।
মূলত এই ধরনের সমস্যা গুলো কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ। কিডনি ড্যামেজ হওয়ার
পূর্বে মুহূর্তে এ ধরনের উপসর্গগুলো দেখা দিয়ে থাকে। যদি এ ধরনের
উপসর্গগুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই দেরি না করে আপনাদের কাছে থাকা হসপিটাল
এবং ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
কিডনি রোগ হলে প্রাথমিক যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়
কিডনি রোগ হলে প্রাথমিক যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ বুক ধরফর করা, ঘন ঘন প্রস্রাব , প্রসাব লাল হয়ে যাওয়া, তলপেটের দুই পাশে প্রচুর পরিমাণে জ্বালা যন্ত্রণা ও ব্যথা করা, কোমরে ব্যথা করা, শরীর ফ্যাকাসি হয়ে যাওয়া, হাত পা মুখ পুরো শরীর ফুলে যাওয়া।
মূলত কিডনি রোগ হলে এ ধরনের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখা দিয়ে থাকে।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে যেগুলোর মধ্যে একটি হলো বমি
হওয়া বমির সঙ্গে রক্তবমি ও হওয়া। কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণের উপসর্গ হলো
এগুলো।
সাধারণত এই ধরনের উপসর্গগুলো দেখা গেলে আমরা অবহেলিত না করে দ্রুত ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করব। এই উপসর্গগুলো দেখা দেয়
এই উপসর্গগুলোর চিকিৎসা যদি আমরা না করি একসময় দেখা যাবে আমাদের কিডনি ড্যামেজ
হয়ে গেছে। আর কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেলে মানুষের বাঁচার আশঙ্কা আর থাকে
না।
কিডনি ভালো রাখার উপায়
কিডনি ভালো রাখার উপায় মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি এই কিডনিকে ভালো না রাখলে শরীর ভালো থাকবে না তাই আমরা কিডনির ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানব। তার আগে জানবো কিডনি সম্পর্কে একটু বিস্তারিত। শুনে অবাক হবেন বাংলাদেশের দুই কোটির ও অধিক লোক কোন না কোন কিডনি রোগে আক্রান্ত। ঘন্টায় পাঁচজন লোক অকাল মৃত্যুবরণ করে।
তাই আমাদের কিডনিকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন কিডনি ভালো রাখার জন্য যে যে
কাজগুলো আমাদের করা উচিত আমরা শেষে কাজ গুলি করবো। বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন
গবেষকরা এই কিডনি থেকে বাঁচার বেশ কয়েকটি উপায় নিয়ে এসেছে। আমরা লাইভ স্টাইলে
কিছু চেঞ্জ যদি করতে পারি তাহলে আমাদের কিডনি রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
- ছোট থেকে আপনার লাইফস্টাইলে যেগুলো পরিবর্তন করবেন এগুলোর কারণে আমরা কিডনি ভালো রাখতে পারবো। প্রথমেই আপনাকে সচল থাকতে হবে। সচল থাকা বলতে বুঝিয়েছি আপনাকে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন ১৫মিনিট করে হাঁটেন কিংবা ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার গড় আয়ু বেড়ে যেতে পারে।
- এরপর যে উপায়টি আপনি গ্রহণ করবেন সেটি হল আর যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদেরকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রত্যেকেরই আর যারা এডাল তাদেরকে বছরে অন্তত দুইবার করে রক্তচাপ আছে নাকি এটা মেপে দেখা। আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে সেটা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন ১৩০ এর নিচে রাখবেন।
- এরপরে ডায়াবেটিস ডায়াবেটিসের কারণে কিডনিতে সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আপনাকে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে হবে। সাধারণত ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আসার জন্য কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো মেনে চলবেন। মূলত ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিনিয়ত এক ঘণ্টা করে সকালবেলা কিংবা বিকেল বেলা হাঁটতে হবে। আর কিছু খাবারের নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো মেনে চলবেন।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা আপনাদের এমনভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যাতে করে ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ না হয়। কারণ একটি মানুষের ওজন যখন বেড়ে যায় সে সঙ্গে ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর ডায়াবেটিস রক্তচাপ থেকেই কিডনি রোগের সমস্যা এমনভাবে ডায়েট মেনে খাবেন আপনার ওজন যেন অতিরিক্ত ভাবে না বেড়ে যায়।
পরিমিত খাবার খাবেন অর্থাৎ খাবারে যেন ফাস্টফুড যেগুলো রয়েছে সেগুলো এড়িয়ে
চলবেন। খাবারে যেন আমিষ শর্করা ভিটামিন যেন থাকে। এমনকি যে খাবারগুলো এড়িয়ে
চলবেন চর্বি জাতীয় খাবার খাবেন না তেল জাতীয় ভাজা পড়া এ জাতীয় খাবার
খাবেন না। মূলত এ ধরনের উপায় গুলো মেনে চললে আপনার কিডনিতে সমস্যা হবে না এভাবেই
আপনি কিডনি ভালো রাখতে পারবেন।
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো
কিডনির পয়েন্ট কত হলে ভালো খুব সেন্সিটিভ একটি আলোচনা। আমাদের সবার মূলত এই
পরীক্ষাটি প্রতি বছরের ন্যায় দুইবার করে করা উচিত। কারণ আমাদের
কিডনির পয়েন্ট কত আছে এটার মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো যে আমাদের পিকনিক
সমস্যা রয়েছে কি না।
এজন্য আমাদের শরীরের যে বিশেষ অঙ্গটি রয়েছে কিডনি এই কিডনির পয়েন্ট চেক করা
প্রয়োজন। কিডনি পয়েন্ট কত হলে ভালো হয়। কিডনি পরিমাপের উপর কিডনি সুস্থতা
নির্ভর করে। একজন স্বাভাবিক সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ক্রিয়েটিনের এর
মাত্রা প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ০.৬ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম এম সি পার্টি
এল থাকা প্রয়োজন।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর ক্ষেত্রে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রা
০.৫ থেকে ১.১ মিলিগ্রাম থাকা প্রয়োজন। একজন শিশুর ক্ষেত্রে এর মাত্রাটি
তুলনামূলকভাবে কম হবে যেহেতু কম বয়সী সে তো কম হবে। একজন শিশুর ক্ষেত্রে প্রতি
ডেসি লিটার রক্তে ০.৩ থেকে ০.৭ মিলিগ্রাম থাকতে হবে।
একজন স্বাভাবিক কিশোর আমরা সাধারণত কিশোর বলতে বুঝি একজন স্বাভাবিক কিশোরের
ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনের মাত্রা প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ০.৫ থেকে ১.০ মিলিগ্রাম
পর্যন্ত হতে হবে। সাধারণত একজন মানুষের শরীরে কিডনিতে ক্রিয়েটিনের মাত্রা
এই পরিমাণে থাকা ভালো।
কিডনি পরিষ্কার ও ভালো রাখা ১০খাবার
কিডনি পরিষ্কার ও ভালো রাখা ১০খাবার। মূলত আমাদের মানব দেহের বিশেষ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি এই কিডনিকে যদি আমরা শুদ্ধ রাখতে না পারি তাহলে আমরা নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়ি। কারণ একটি কিডনি মানবদেহের বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিডনি অচল হয়ে গেলে একটি মানুষ চলাফেরা করতে পারেনা।
তাই আমাদের সবার কিডনিকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন। আমরা এই আর্টিকেলে জেনেছি কিডনি
ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আমরা এখন জানবো কি কি খাবার গুলো খেলে আমরা
কিডনিকে সুস্থ ও পরিষ্কার রাখতে পারি। আমরা খাদ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে কিডনিকে
সুস্থ রাখতে পারি কোন কোন খাবারগুলো খেলে আমাদের কিডনি সুস্থ থাকবে সেগুলো লিস্ট
দেওয়া হলঃ
- আপেল
- কমলা
- পেয়ারা
- ডাব
- পেঁপে
- খেজুর
- ড্রাগন ফল
- আঙ্গুর
- কলা
- আঁখ
উপরোক্ত যে খাবার গুলোর কথা বললাম এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পটাশিয়াম
রয়েছে। তবে কিডনিতে অতিরিক্ত ফাইবার কিংবা পটাশিয়াম মাত্রা যাওয়া ভালো নয়।
সুস্থ রাখার জন্য এই ধরনের খাবারগুলো ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণ মতো খাবেন।
এ খাবারগুলো আপনি নিয়মিত খেলে আপনার কিডনি সুস্থ থাকবে।
কিডনি সমস্যা থেকে যে রোগগুলো হয়ে থাকে
কিডনির সমস্যা থেকে যে রোগগুলো হয়ে থাকে মূলত সে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে।
আমাদের শরীরে কিডনিতে সমস্যা হলে অনেক ধরনের রোগ হয়ে থাকে। কিডনি সমস্যা হলে
কিডনি সমস্যা থেকেই বড় পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে কি সে বড় রোগ তা আমরা জানবো।
কিডনি সমস্যার কারণে আপনার পায়ের তলা ফেটে যেতে পারে।পায়ের তলায় ফেটে যেয়ে
রক্ত বের হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হয়ে থাকে। প্রসাবের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের
হয় এটি একটি বড় ধরনের সমস্যা। এমনকি মাংসপেশীতে টান লাগে পুরো শরীর ফুলে যায়।
মূলত কিডনির যে বড় বড় সমস্যাগুলো রয়েছে তার মধ্যে এগুলো।
কিডনি ফুলে যায় কেন কি কারনে
কিডনি ফুলে যায় কেন কি কারনে মূলত প্রথম কারণে কিডনি ফুলে যায় ফুলে যায় কিডনিতে পানি জমে যাওয়ার কারণে।কিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার। কিডনির ভিতরে যে বর্জ্য পানিতে থাকে এই পানিটি বের হতে পারে না এটাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় হাইড্রন এপ্রোসি।
কিডনির ফোলাটা সাধারণত দেখা যায় না এটা আলট্রাসনো না করলে বোঝা অসম্ভব। কারণ কিডনি খুব ধীর গতিতে ফোলে। এটা কিভাবে হয় মায়ের গর্ভে যখন শিশু থাকে সেই গর্ভ অবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাফ করলে এ রোগটি প্রথম ধরা পড়ে। এ রোগটি সাধারণত প্রতি দেড় হাজার জন ভূমিষ্ঠ সন্তানের ভিতর একজনের হতে পারে এটাকে আমরা বলি জন্মগত ত্রুটি।
কিডনির মুখ আর কিডনির নল দুটো যেখানে সংযুক্ত আছে সেই জায়গাটা অর্থাৎ কিডনির
নলটা একেবারে চিকন হয়ে যায়। যার কারণে কিডনির বর্জ্য পদার্থ গুলো বের
হতে পারে না এর কারণে কিডনি সাধারণত ফুলে যায়। মূলত এই কারণে কিডনি ফুলে যায়
এছাড়াও কিছু স্বাভাবিক কারণেও কিডনি ফুলে যায়।
শেষ কথাঃকিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে
শেষ কথাঃকিডনি ব্যথার লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। এই উক্ত আর্টিকেলে কিডনি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কি কারনে কিডনির সমস্যা হয় কিডনি থেকে প্রতিকার এ বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন।
তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন যাতে করে আপনার বন্ধু ও উপকৃত হয়। ভালো লেগে থাকলে দৈনিক এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আপডেট পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে বলবেন রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url