কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা আরো আটটি রূপচর্চার উপায়

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা আরো আটটি রূপচর্চার উপায়। আপনারা হয়তো শুনেছেন রূপচর্চার বিষয়ে কিন্তু কখনো হয়তো শুনেছেন কলার খোসা  রূপচর্চা। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই 

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চাআর্টিকেলে কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা ও আরো আটটি রূপচর্চার উপায়। যে রূপচর্চা গুলো করার মাধ্যমে আপনার শরীরের ত্বক ফর্সা হতে সাহায্য করবে। পুরো বিষয়টি জানার জন্য আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

পোষ্টসূচিপত্রঃকলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা আরো আটটি রূপচর্চার উপায়  

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চার উপায় ও নিয়ম

কলার খোসা রূপচর্চার উপায় ও নিয়ম। আজকে আমি আপনাদের ত্বকের বিষয়ে কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এই আর্টিকেলে। এ কলার খোসা ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতে পারেন। অবশ্যই জেনে অবাক হচ্ছেন কলার খোসা দিয়ে কিভাবে আমি আমার ত্বককে সুন্দর রাখব। অবাক হওয়ার কিছু নেই বিষয়টি ভালোভাবে পড়ুন।

এই কলার খোসা দিয়ে অনেক কাজ করা যায়। আমার খোসা শরীরের ত্বকের জন্য প্রচুর উপকারী একটি উপাদান। আমরা কলা খাওয়ার পরে এ কলাটিকে ফেলে না দিয়ে যদি এই কলাটিকে দিয়ে আমরা আমার ত্বকের রূপচর্চা বিষয়ে কাজে লাগাই অবশ্যই আমরা ত্বককে সুন্দর রাখতে পারব। আপনারা যদি না জেনে থাকেন আজকে থেকে শুরু করবেন এই কলার খোসার ব্যবহার।

কলা একটি ফল আপনারা হয়তো জানেন এই ফলে কোন ধরনের সাইন্টিফিক নাই। আপনারা কলার খোসাটি খাওয়ার পর ফেলে দিবেন না। আজকের নিয়মে ব্যবহার করবে কলার খোসা। মধ্যে এমন অনেক গুণ থাকে যা আমাদের ত্বকের জন্য প্রচুর উপকারী এমনকি আমাদের চোখের ছানির জন্য উপকারী। কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

আপনারা কলাটিকে খাওয়ার পর করার পোশাকে নিয়ে যেভাবে ব্যবহার করবেন। কলার খোসা টির ভিতরের সাদা অংশটি আপনাদের ত্বকের জন্য প্রচুর উপকার এনে দেবে। সেক্ষেত্রে আপনি কলার খোসা নিয়ে সাদা অংশটি আপনার শরীরের ত্বকের মধ্যে মিনিট পাঁচেকের মত ঘষতে থাকবেন। এতে আপনাদের শরীরে ত্বকের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না।

এভাবে মিনিট পাঁচেকের মতো কলার পোশাকে ঘষতে থাকবেন। তারপরে পাঁচ মিনিট ওয়েট করার পর কলার খোসাটিকে ফেলে দিবেন যেহেতু সেটার কাজ শেষ। তারপরে হালকা কুসুম গরম পানি করবে এমন ভাবে পানি গরম করবেন যাতে ঠান্ডা ভাবটা কেটে যায় বেশি না। তারপরে আপনার মুখটি সুন্দরভাবে গরম পানি দিয়ে ধৌত করে নিবেন।

কলার খোসা ত্বকের জন্য কলার খোসার উপকার

এতে করে হবে আপনার ত্বকের ফাইলস টিক দূর হয়ে যাবে। কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার ত্বকের ব্রণগুলোকেও ভালো করে দিবে। অনেকেরই আছে যাদের মুখে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ তারা এ কলার খোসা ব্যবহার করলে প্রচুর উপকার পাবে।

যাদের মুখে স্পট পড়ে যায় মেছতা বের হয় তাদের জন্য কলার খোসা ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। কোন ধরনের সাইন্টিফিক ছাড়া যদি সে চায় যে আমি ওই উপায় এর মাধ্যমে আমার মুখের স্পট কালো দাগ দূর করবো। তাহলে অবশ্যই অবশ্যই কলার খোসার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ সবচাইতে বেশি।

এছাড়াও আরো এক পদ্ধতিতে আপনি কলার ব্যবহার করতে পারবেন। হালকা দুধের সর কিংবা দুধ সেইসঙ্গে হলুদ নিয়ে যদি আপনার ত্বকে মেখে দেন তারপরে শুকিয়ে গেলে সেই কলার খোসাটি সাদা অংশ নিয়ে আপনার ত্বকের রাউন্ড দিবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ত্বকের সৌন্দর্যতা আরো বেড়ে যাবে মূলত এইভাবে আপনি ১০থেকে ১৫দিন করবেন আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

কলার খোসার উপকারিতা ও গুনাগুন

কলার খোসার উপকারিতা ও গুনাগুন আপনি যদি আর্টিকেলের উপরের অংশ পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন কলার খোসা দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করতে হয়। এখন আপনি জানতে পারবেন কলার খোসার উপকারিতা ও গুনাগুন কি কি পুষ্টি গুণ রয়েছে এই কলার  খোসার ভিতরে । 

বলার খোসার মধ্যে রয়েছে দ্রবনীয় এবং অদ্রবনীয় আশ। কলার খোসা দ্রবনীয় আর শরীরের লো ডান সিটি লাইপ্রপ্রটিন, অর্থাৎ বাজে কলরস্টলকে কমাতে সাহায্য করে এর মধ্যে থাকা আপনার ত্বকের আস হজমে সাহায্য করে থাকে। কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট।

কলার খোসা ব্রণ স্পট তো ক মেস্তা এসবের উপকারিতা ছাড়াও কলার খোসা আমাদের দাঁতের উপকারে সাহায্য করে। কলার খোসার মধ্যে ভিন্ন ধরনের পুষ্টি বিদ্যমান কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন বি-৬, বি বি-১২ , অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এর মত উপাদান রয়েছে যা মেটাবলিজিয়াম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই রূপচর্চার জন্য কলার খোসা খুবই উপকার।

রূপচর্চা করার বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে

রূপচর্চা করার বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করবো। আমরা উপরে জেনেছি কলার খোসার ব্যবহারিতা ও কলার খোসার উপকার। এই আর্টিকেলে কলার খোসার ব্যবহার উপকারিতা ছাড়াও। আমরা আরো বেশ কয়েকটি উপায় আমাদের ত্বকের মাধুর্যতা-সৌন্দর্যতা ফিরিয়ে আনতে পারি।

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চাবেশ কয়েক ধরনের উপায় রয়েছে আমরা যেমন কলার খোসা ব্যবহার করে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যতা ফিরিয়ে আনতে পারি তেমনি এই কলার খোসা চুলে যত যত্নে কতটা উপকারী সে বিষয়ে আমরা জানবো আমরা জানবো কলার খোসায় কোন কোন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এই আর্টিকেলে আমরা জানতে পারবো যে যে বিষয়গুলো।

  • চুলের যত্নে কলার খোসার ব্যবহার
  • চালের গুড়া দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম 
  • বেসন দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম
  • এলোভেরা দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম
  • ভাতের মাড় দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম একটি অবাক করা নিয়ম
  • কলার খোসায় কোন কোন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। যেটা আমরা একটু আগে জেনেছি আরো জানার চেষ্টা করব

আমরা এই আর্টিকেলে এই বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আপনারা যদি ভেবে থাকেন যে কলার খোসা ছাড়াও আমরা আরো বেশ কয়েকটি উপায়ে আমাদের শরীরে রূপচর্চা করবো। সেক্ষেত্রে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে তুলে ধরবো।

চুলের যত্নে কলা খোসার ব্যবহার

চুলের যত্নে কলা খোসার ব্যবহার এতক্ষণে আমরা জেনেছি কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা। এখন আমরা জানবো কলার খোসা দিয়ে আমরা কিভাবে চুলের যত্ন নিতে পারব। অনেকেরই চুল কোঁকরা অনেকেরই চুলের সৌন্দর্যতা হারিয়ে ফেলেছে তাদের জন্য এই চুলের যত্নে কলাপসার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে।

আপনার চুল হয়তো ড্যামেজ হয়ে গেছে চুল পড়ে যায় সে ক্ষেত্রে কলার খোসাটি ব্যবহার করার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। এজন্য আপনাকে প্যাক তৈরি করা লাগবে। কলার খোসাটিকে প্যাক তৈরি করে নেওয়া লাগবে। এই প্যাক তৈরি করতে লাগবে একটি কলার খোসা। প্রথমে কলার খোসাটি কে ভালোভাবে ধৌত করে নিবেন যাতে কোন ধরনের আবর্জনা না থাকে।

তারপরে কলার খোসা টিকে ছুরি বা চাকুর সাহায্যে ছোট ছোট করে কেটে নিবেন। কলার খোসা গুলো কাটা হয়ে গেলে এক পর্যায়ে কিছু পরিমাণ পানিতে কলার খোসা গুলো দিয়ে দিবেন। তারপরে সেই পানিতে দেওয়া করার খোসা পানির পাত্রটি নিয়ে পানিগুলো কলার খোসা সহকারে ফুটিয়ে নিবেন। পানি ফোটানো হয়ে গেলে চুলার হিট মিডিয়াম করে দিবেন।

সেই সঙ্গে খোসার সঙ্গে নিবেন চা পাতা চা পাতা আমাদের চুলের জন্য প্রচুর উপকারী। নিয়মিত চা পাতা ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় চুলকে কালো করতে সাহায্য করে। পানিতে কলার খোসা গুলো ফুটিয়ে নেওয়ার পরে কলার খোসা একসময় সিদ্ধ হয়ে যাবে একসময় পানি গুলো শুকিয়ে আসলে চুলাটি বন্ধ করে দিবেন।

তারপরে এই উপাদানগুলোকে যান্ত্রিক ব্লেন্ডারে নেওয়ার পরে ব্লেন্ড করে নিবেন। উপাদান ব্র্যালন্ড করা হয়ে গেলে একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে নিবেন সেইসঙ্গে দিবেন অ্যালোভেরা জেল এলোভেরা জেলে রয়েছে ভিটামিন ই যা আমাদের চুলে সিল্কি করতে সাহায্য করে। মিক্স করার পর ঠাণ্ডা করে নিবেন ঠান্ডা হয়ে গেলে আপনার ত্বকে লাগিয়ে দিবেন তারপরে কিছুক্ষণ সময় পর ধুয়ে নিবেন।

চালের গুড়া দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম

চালের গুড়া দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম আমরা এতক্ষনে জানলাম কলার খোসা সম্পর্কে। কিভাবে কলার খোসা দিয়ে চুল এবং ত্বকের যত্ন নেওয়া যায় এখন আমরা জানবো চালের গুড়া দিয়ে আমাদের শরীরের ত্বকের মাধুর্যতা কিভাবে ফিরে আসে সেই সাথে লাগবে কয়েকটি উপাদান।

চালের গুড়ার এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে প্রথমেই লাগবে একটা চামচ কাঁচা দুধ। যদি কাঁচা দুধ না থাকে সে ক্ষেত্রে বয়েল দুধ হলেও চলবে। সেই সঙ্গে লাগবে এক চামচ মধু ভালোভাবে এই দুইটি উপাদানকে সুন্দরভাবে মিশিয়ে নিবেন। তারপরে তুলো নিয়ে আপনার স্কিনটাকে পরিষ্কার করে নিবেন। এই উপাদানগুলো নিয়ে আপনার মুখ পরিষ্কার করা হয়ে গেলে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে।

এরপর একটি বাটিতে কিছু মসৃণ চালের গুড়া নেওয়া লাগবে। সেই সঙ্গে রাখবে কিছু পরিমাণ বেসন। আর লাগবে চার থেকে পাঁচ চামচ দুধ দুধটা নিলে আপনার ফেসপ্যাকটি দারুন ভাবে তৈরি হবে। সবকিছু নেওয়া হলে একটি চামচ দিয়ে সবগুলো একসঙ্গে নাড়াতে থাকবেন। একসময় দেখবেন ফেসপ্যাকটি গাঢ় হয়ে এসেছে তখন বুঝবেন আপনার ফেসপ্যাক রেডি।

এভাবে যখন আপনার ফেসপ্যাকটি রেডি হয়ে যাবে। তখন আপনি আপনার ত্বকের অংশে সেগুলো নিয়ে লাগিয়ে দিবেন ভালোভাবে। তারপরে কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর আপনার মুখটি সুন্দরভাবে ধৌত করে নিবেন। তারপরে দেখবেন আপনার মুখের সৌন্দর্যতা অনেকখানি ফিরে এসেছে। এভাবে করে আপনি সপ্তাহে দুই দিন নিয়মিত এক মাস করবেন।

অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম

অ্যালোভেরা দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম। আপনার ত্বক কে ফর্সা উজ্জ্বল নরম করতে এলোভেরা ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যালোভেরা শুধু ত্বকের ভূমিকা রাখে না অ্যালোভেরা মানুষ ওষুধ করে খায়। শরবতের মাধ্যমে এই অ্যালোভেরা মানুষকে থাকে। ত্বকের উপকারিত জন্য এলোভেরা দুই ভাবে ব্যবহার করা যায়।

প্রথম ভাবে হলো এলোভেরা ডালটি কেটে নিবেন। নেওয়ার পর ডালের অংশটি ভিতরে দেখবেন রক্তকে জেলির মত যে অংশগুলো থাকে ওই অংশগুলো আপনার ত্বকের লাগিয়ে দিবেন। লাগানো হয়ে গেলে একটু অপেক্ষা করবেন ত্বকের অংশগুলো যেন শুকিয়ে যায়। যখন দেখবেন শুকিয়ে গেছে তারপরে আপনার ত্বকটি ফেসওয়াশ দিয়ে সুন্দর ভাবে ধরে নিবেন এটা একটা উপায়।

আরো পড়ুন ঃ

আরেকটি উপায় হল অ্যালোভেরার সঙ্গে আরো কিছু উপাদান যুক্ত করে একটি উপাদান তৈরি করে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা। গাছের এলোভেরা সংরক্ষণ করবেন সেটার ভেতরের অংশ টা কেটে বের করবেন। অবশ্যই এলোভেরাটি ভালোভাবে ধৌত করবেন। একটি পাত্রে তিন থেকে চার চামচ পরিমাণ কাঁচা দুধ নিবেন। সেইসঙ্গে এলোভেরা, হলুদ।

এগুলোকে একসঙ্গে মিক্স করে নিবেন। অ্যালোভেরা জেল টি প্রথমে যদি চামচ দিয়ে ছাড়াতে সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে অ্যালোভেরা টির আধাঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখবেন। তারপরে সেই উপাদানগুলো একসঙ্গে মিক্স করার পর সেগুলো আপনার ত্বকে সুন্দরভাবে লাগিয়ে দিবেন। লাগানো হয়ে গেলে যখন শুকিয়ে যাবে তখন আপনি ফেসওয়াশ দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে নিবেন।

এভাবে করে আপনি একমাস ব্যবহার করবেন। অবশ্যই এই অ্যালোভেরার ব্যবহার রাতে করলে সব চাইতে বেশি ভালো। এভাবে আপনি অ্যালোভেরা ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের সুন্দর্য এবং মাধুর্যতা ফিরিয়ে আনতে পারবেন।

বেসন দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম

বেসন দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম সম্পর্কে আমরা জানবো। আমরা সবাই চাই আমার ত্বককে যেন সুন্দর দেখায়। ব্রণ মুক্ত মেছতা মুক্ত স্পট মুক্ত লাইভ আমরা সবাই চাই। মুখের ত্বকের জন্য বেসনের ব্যবহার প্রচুর উপকার। আপনার ত্বকের যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে আপনিও এই উপায়টি ব্যবহার করে দেখতে পারেন ১০থেকে ১৫দিন।

বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দরকারি। কারণ মেয়েরা রূপচর্চা করতে খুব পছন্দ করে। রূপচর্চার জন্য বেসনের ব্যবহার। এই বেসনের ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে বেশ কয়েকটি উপাদান লাগবে এগুলো একসঙ্গে মিক্সচার করে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে।

প্রথমেই একটি পাত্র নিবেন তারপরে এক চামচ বেসন সে পাত্রে ঢেলে দিবেন। এটা সঙ্গে লাগবে হাফ চামচের মত চালের গুঁড়ো চালের গুড়া ন্যাচারাল স্কাপিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এটি ত্বকের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি তক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তারপরে লাগবে একটি লেবু লেবুর চার ভাগের এক ভাগ কেটে নিবেন।

লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় ত্বকের স্কিনকে গ্রহণ করতে সাহায্য করে। তারপরে লাগবে গোলাপ জল। এগুলো একসঙ্গে নিয়ে হালকা এক থেকে দুই চামচ পানি দিয়ে মিশ্রণ করে নাড়তে থাকবেন। একসময় দেখবেন আপনার ফেসপ্যাকটি নাসার মত হয়ে গেছে। এগুলো তৈরি হলে আপনি আপনার ত্বকে সুন্দর ভাবে লাগিয়ে নিবেন।

তারপরে কিছুক্ষণ সময় পর সুন্দরভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার ত্বকটি ধুয়ে ফেলবেন। এইভাবে করে আপনি বেসনের ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারবেন ন্যাচারাল উপায়ে। যেই উপাদান গুলো লাগবে ফেসপ্যাক তৈরি করতে আপনাদের সুবিধার্থে আমি তার লিস্ট নিচে দিয়েছি তা ভালোভাবে পড়ুন। 

  • পরিমাণ মতো বেসন
  • চালের গুঁড়ো
  • গোলাপ জল
  • লেবু

ভাতের মাড় দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম

ভাতের মার দিয়ে রূপচর্চা করার নিয়ম সম্পর্কে শুনে একটু অবাকই হলেন। কারণ এতক্ষণ আমরা শুনেছি কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা বেসন দিয়ে রূপচর্চা চালের গুড়া দিয়ে রূপচর্চা কলার খোসার উপকারিতা। আর এইটা হল ভাতের মাড়। কারণ আমরা ভাত রান্না করার পর যেই পানিটি ফেলে দিই সেটা দিয়ে নাকি রূপচর্চা করা যায় এটা আসলেই সম্ভব।

আমরা ভাতের মাড় কিংবা ফ্যান ভাতের ফ্যান দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করবো। প্রথমে আমাদের ভাত রান্না করার পরে ভাতের ফ্যান অথবা ভাতের মাড় গুলো ঠান্ডা করে নিরো। এই উপাদানটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের ময়লা ভাব কাটিয়ে তুলবে। এবং পক্ষে দেখাবে সিল্কি এবং উজ্জ্বলতা।

কলার-খোসা-দিয়ে-রূপচর্চাতারপর আপনার ভাতের ঠান্ডা করা মাড় টি একটি পাত্রে নিয়ে নিবেন ৪চামচের মত । তারপরে এর সঙ্গে মিক্স করবেন মুলতানি মাটি পাউডার তিন থেকে চার চামচ এটি আমাদের স্কিনের ময়লা গুলো দূর করবে এবং স্কিনকে টান টান করে তুলবে। তারপরে নিয়ে নিবেন হলুদ। হলুদগুলো সম্পর্কে তাই সবারই ধারণা আছে এ বিষয় নিয়ে বললাম না।

সবগুলো একসঙ্গে মিক্স করার পর। চামচ দিয়ে নাড়াতে থাকবেন একসময় আপনার ফেসপ্যাক তৈরি হয়ে গেলে সেগুলো সুন্দরভাবে আপনার ত্বকে লাগিয়ে দিবেন। তারপরে যেভাবে কিছুক্ষণ সময় পর ধুয়ে ফেলতে হয় সেভাবে করে দিয়ে দেখবেন আপনার ত্বকের ব্রাইট অনেকখানি বেড়ে গেছে। এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে যে উপাদান গুলো লাগবে তা হলোঃ 

  • ভাতের মাড়/ফ্যান
  • মুলতানি মাটি পাউডার
  • হলুদ গুঁড়ো

কলার খোসায় কোন ভিটামিন রয়েছে

কলার খোসায় কোন ভিটামিন রয়েছে আমরা যেহেতু কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করব সেক্ষেত্রে আমাদের জানা প্রয়োজন কলার খোসায় কোন ভিটামিন রয়েছে। কলা একটি উপকারী ফল যেটা শরীরের শক্তি যোগায়। এবং কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়।

আমরা জানবো কলার খোসায় কোন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। কলার খোসায় রয়েছে প্রথমে যে ভিটামিনটি সেটি হলো প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। কলার খোসায় ভিটামিন বি6, বি 12 এবং পটাশিয়াম থাকে,এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম।

কলার খোসা আমাদের ত্বকের জন্য প্রচুর স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান। এটি সাধারণত অনেকেই জানেনা যে খোলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার মাধ্যমে আমরা আমাদের পক্ষে সুন্দর রাখতে পারি। উপরের আলোচনায় কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

শেষকথাঃকলার খোসা রূপচর্চা ও আরো ৮ রূপচর্চা সম্পর্কে

কলার খোসা রূপচর্চা ও আরো আটটির রূপচর্চা সম্পর্কে। এই আর্টিকেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো নাচেরিরই কোন ধরনের সাইন্টিফিক নাই। এই উপায়গুলো আপনারা ব্যবহার করে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য  বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। অবশ্যই অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন যাতে করে আপনার সেই বন্ধুও উপকৃত হয়। এরকম ধরনের রূপচর্চা বিষয়ে ও স্বাস্থ্য অন্যান্য বিষয়ে আপডেট পেতে আর্টিকেলটি দৈনিক ভিজিট করবেন ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url