প্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি শরীরের প্রোটিনের চাহিদা
প্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি আমাদের মানব জীবনে সুস্থভাবে চলাফেরা করার জন্য আমাদের শরীরে প্রোটিনের চাহিদা অনেক বেশি। কারো কারো প্রোটিনের ঘাটতি থাকার জন্য শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়।
আপনার শরীরে যদি প্রোটিনের ঘাটি থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কি কি ও প্রোটিনের চাহিদা কতটুকু বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি শরীরের প্রোটিনের চাহিদা
- প্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি
- প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপকারিতা
- প্রোটিন জাতীয় সবজি কোনগুলো এক নজরে দেখুন
- মানবদেহে কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন
- মাংসে কতটুকু প্রোটিন রয়েছে
- ১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলায় কতটুকু প্রোটিন থাকে
- প্রোটিন জাতীয় ফল কি কি
- ডিম দুধে কতটুকু প্রোটিন রয়েছে
- কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের নাম গুলো কি কি
- শেষ কথাঃপ্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি
প্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি
প্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। এন্টিবডি আমাদের রোগ প্রতিরোধের কাজ করে। আর এই অ্যান্টিবডি তৈরি করে প্রোটিন। এমনকি শিশুদের মস্তিষ্কে বিকাশ ঘটায় এই প্রোটিন। সুতরাং এই প্রোটিনে চাহিদা কতটুকু তা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন।
আপনি কি জানেন কোন কোন খাবারে বেশি বেশি প্রোটিন রয়েছে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। প্রত্যেকটি মানুষের অ্যান্টিবডি তৈরি ছাড়া
শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানো প্রোটিন ছাড়া অসম্ভব। যে যে খাবারগুলোতে বেশি
বেশি প্রোটিন থাকে সেগুলো হলোঃ
- ডিম
- দুধ
- বাদাম
- চিকেন ব্রেস্ট
- মসুরের ডাল
- প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ ডিম উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের তালিকায় যদি ধরা হয় তাহলে ডিম প্রোটিন যুক্ত খাবার। ডিমে রয়েছে খনিজ ভিটামিন স্বাস্থ্যকর প্যাড এবং চোখ সুরক্ষিত রাখায় বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত আমাদের ১ করে ডিম খাবারের তালিকায় রাখা উচিত। তাই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারের শীর্ষে ডিম।
- প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ দুধ নিয়মিত এক গ্লাস দুধ আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধ শুধু ক্যালসিয়ামই নয় ক্যালসিয়ামের বাইরেও প্রোটিন যুক্ত খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো দুধ। দুধ প্রোটিনের জন্য এমন কিছু ভূমিকা পালন করে যা মানব দেহে স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
- প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ বাদাম বাদাম হল ড্রাই ফুড প্রোটিনের একটি উৎস। বাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত বাদাম খেলে কারডিও ভাস্লুকাস রোগ থেকে আপনার হার্ট মুক্ত থাকবে। পাশাপাশি রক্তের শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই একটি মানুষের প্রতিদিন সকালবেলা এক মুঠ বাদাম খাওয়া প্রচুর দরকারী।
- প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ চিকেন ব্রেস্ট উচ্চ প্রোটিনের আদর্শ খাবার। মুরগির মাংসের ভিটামিন ডি এর ভাল উৎস। এটি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, এবং কলেরস্টল মাত্রা কেউ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই খাবারের তালিকায় চিকেন বেস্ট রাখা প্রয়োজন।
- প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ মসুরের ডাল এই খাবারটিও প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এটাতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম , ম্যাগানিজ ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন বি জাতীয় পুষ্টি এবং খনিজ সমৃদ্ধ উপাদান। এটি হজম শক্তি বাড়া এবং রক্তের শর্করার টা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রচুর ভূমিকা রাখে।
দেহে প্রোটিনের অভাব হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। শিশুদের অপুষ্টিজনিত
রোগ দেখা দেয়। তাই নিয়মিত সুস্থ থাকতে আপনার খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো
রাখা প্রয়োজন। এতে করে আপনার শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হবে।
প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপকারিতা
প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপকারিতা প্রোটিন যুক্ত খাবার কি ক তা যদি না জেনে থাকেন
উপর কত অংশে পড়ে নিবেন। প্রোটিন জাতীয় খাবার এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে
আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমরা সাধারণত জেনে থাকি মানুষ মাত্র খাদ্যে
প্রোটিনের প্রয়োজন।
কারণ একটি মানুষের সুস্থভাবে চলাফেরা করার জন্য তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের
ভিটামিনের পাশাপাশি প্রোটিনযুক্ত খাবার তার শরীরে প্রয়োজন। প্রোটিন আমাদের
দেহের ক্ষয় পূরণ করে থাকে।, দেহের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দেহের বেশি গঠনে
সাহায্য করে। বাচ্চা থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক উচ্চ বয়স্ক পর্যন্ত একটি মানুষের শরীরে
প্রোটিন প্রয়োজনীয়।
আরো পড়ুনঃ
পালং শাকের উপকারিতা
প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে যদি আরো বলি প্রোটিন আপনার শরীরে শক্তি
জোগাতে সাহায্য করবে। প্রোটিন আপনাকে স্বাস্থ্যবান হতে সাহায্য করবে। একটি
মানুষের শরীরে যদি প্রোটিনের ঘাটতি থাকে তাহলে সে দিন দিন রোগা হতে থাকে।
প্রোটিন আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
প্রোটিন আপনার শরীরের রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। আপনার রাতের ঘুম হওয়ার সাহায্য
করবে প্রোটিন। শিশুদের ক্ষেত্রে যদি বলি প্রোটিনের অভাবে একটি শিশু উচ্চতা বৃদ্ধি
হতে ব্যাহত হয়। তাই একটি শিশুকে সুস্থ রাখতে প্রোটিন যুক্ত খাবার তার খাদ্য
তালিকায় রাখুন। শুধু বাচ্চা নয় উচ্চ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক
পর্যন্ত সকলেরই প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
প্রোটিন জাতীয় সবজি কোনগুলো এক নজরে দেখুন
প্রোটিন জাতীয় সবজি কোনগুলো এক নজরে দেখুন। বিভিন্ন খাবারে যেমন দুধ ডিম কলা
ছোলা এসব খাবারও যেমন প্রোটিন রয়েছে। তেমনি শাকসবজির মধ্যেও অনেক পরিমাণে
প্রোটিন পাওয়া যায়। যেগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে
তোলে।
এই আর্টিকেলে আমরা জানতে পারবো প্রোটিন জাতীয় সবজি। যে সবজি গুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে সেই সবজিগুলোর নাম সম্পর্কে এবং কতটুকু পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা জানবো কোন কোন সবজির মধ্যে প্রোটিন রয়েছে তা হলোঃ
- প্রোটিন জাতীয় সবজিঃ বরবটি প্রোটিন জাতীয় সবজির তালিকায় ১ নম্বরে থাকবে বরবটি।, বরবটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। প্রতি 100 গ্রাম বরবটিত.১.৮ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
- প্রোটিন জাতীয় সবজিঃফুলকপি প্রোটিন জাতীয় সংগীত তালিকায় ফুলকপি হলো অন্যতম। প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিত.১.৯ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।
- প্রোটিন জাতীয় সবজিঃ ঢেঁড়স প্রোটিন যুক্ত সবজি হল ঢেঁড়স। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে থেকে দুই গ্রাম প্রোটিন থাকে।
- প্রোটিন জাতীয় সবজিঃ আলু শর্করা এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে ২ থেকে ৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যেমনঃ
পালং শাক, বাঁধাকপি মাশরুম ভুট্টা এগুলোতে প্রোটিন পাওয়া যায়। তবে
যেহেতু এগুলো সবজি জাতীয় খাবার সেহেতু তুলনামূলক একটু প্রোটিন কম থাকে।
মানবদেহে কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন
মানবদেহে কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন। একটি সাধারণ মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার
জন্য কতটুকু কঠিন প্রয়োজন। এটি সবারই জানা প্রয়োজন কারণ আমরা হয়তো প্রোটিন
যুক্ত খাবার সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি। কিন্তু আমাদের শরীরে সুস্থ হবে চলাফেরা করার
জন্য কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন এই সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা।
প্রোটিন কি নিয়ে গঠিত বিভিন্ন অ্যামাইনো এসিড সিকুইনজেলি থাকে বিভিন্ন
অ্যামাইনো এসিড এর মধ্যে পেপ টাইপ বর্ণ থাকে। যার ফলে একটি অ্যামাইনো এসি আর একটি
অন্য অ্যামাইনো এসিড এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকে। মূলত এই ভাবেই প্রোটিন গঠিত হয়।
একটি সুস্থ মানুষের কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা রোগী কিডনিতে
সমস্যা আরও বড় বড় রোগের সমস্যা এদের জন্য প্রোটিন খুব ডায়েটনেস মেনে খেতে
হয়। এজন্য আজকের এই আলোচনাটা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরে
কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন। যাদের বয়স ৬০ বছরের নিচে তাদের ওয়েট অনুযায়ী প্রোটিন
প্রয়োজন।
কতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন ০.৮ প্রতি কেজিতে প্রোটিন প্রয়োজন। ধরেন আপনার ওজন ৫০
কেজি তাহলে প্রতি ৫০ কেজিতে ০.৮ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। প্রতিদিনের জন্য যাদের
বয়স ৬৫ এর উপর তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি প্রোটিন প্রয়োজন সেক্ষেত্রে
বয়স্ক মানুষদের ১-১.২ প্রোটিন।
মাংসে কতটুকু প্রোটিন রয়েছে
মাংসের কতটুকু প্রোটিন রয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ
দিয়ে পড়ুন। আমরা সাধারণত মাংস হয়ে বলতে বুঝি প্রোটিনযুক্ত। মাংসের প্রচুর
পরিমাণে প্রোটিন থাকে বিশেষ করে গরুর মাংস প্রোটিন থাকে। কিন্তু গরুর মাংস সবার
জন্য খাওয়া উচিত নয়।
কারণ গরুর মাংস থাকে এলার্জি। যাদের শরীরে এলার্জি রয়েছে তাদের জন্য গরুর মাংস
খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু শরীরের প্রোটিন এর চাহিদা মিটানোর জন্য আপনি অন্য
ধরনের মাংস খেতে পারেন। কিন্তু যাদের অ্যালার্জি নেই তারা গরুর মাংস খেতে পারে
কোন সমস্যা হবে না।
গরুর মাংসে বেশ কিছু ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। গরুর মাংস দিয়ে ভিটামিন থাক
ভিটামিন12, B6, নিউসিনB3 প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে প্রায় ২৫ থেকে ৩০
গ্রাম প্রোটিন থাকে। এটি একটি ভালো প্রোটিনের উৎস বলতে পারেন।
১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলায় কতটুকু প্রোটিন থাকে
১০০ গ্রাম কাঁচা ঝোলায় কতটুকু প্রোটিন থাকে আমরা উপরোক্ত জেনেছি প্রোটিন যুক্ত
খাবার কি কি সে তালিকা করে দেওয়া আছে। এখন আমরা জানব ১০০ গ্রাম কাঁচা চুলায়
কতটুকু প্রোটিন থাকে। আমরা সাধারণত জানি কাঁচা ছোলা শরীরের জন্য প্রচুর
উপকার এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার। এটা সাধারণত শরীরের গঠন বৃদ্ধিতে সাহায্য
করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
জানুন মেথি আপনার শরীরের জন্য কত উপকারী
প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এ কাঁচা ছোলার মধ্যে রয়েছে। কাঁচা ছোলায় রয়েছে যে
ধরনের ভিটামিন তা হলোঃ থিওমিন এর কাজ শক্তি উৎপাদনের উৎস। রিভিউ ফ্লাবিং
কোষের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রচুর ভূমিকা রাখে। নিয়াসিন মেটাবলিজমে সাহায্য
করে, বি ৬ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা প্রচুর ভূমিকা রাখে, ফলেট রক্ত
তৈরিতে প্রচুর ভূমিকা রাখে।
১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলায় কাঁচা ছোলায় নিচ থেকে ২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। যা আমাদের
শরীরের জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের শরীরের দৈহিক গঠন এবং শরীরকে
সুস্বাস্থ্য রাখার জন্য প্রতিদিন সকালবেলা কাঁচা ছোলা আমাদের খাদ্য তালিকায়
রাখা প্রয়োজন।
প্রোটিন জাতীয় ফল কি কি
প্রোটিন জাতীয় ফল কি কি? আমরা উপরেই জেনেছি প্রোটিন জাতীয় খাবার সবজি মাংস
কিন্তু প্রোটিন জাতীয় ফল রয়েছে। যে ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
প্রোটিন। সেই ফলগুলো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানব। প্রোটিনের উৎস যে ফলগুলো তা
হলোঃ
- কাঁঠাল
- জাম্বুরা
- লেবু
- ড্রাগন ফল
- নারকেল
- কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম
- স্ট্রবেরি
সাধারণত এই ফলগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যেগুলো শরীরের জন্য প্রচুর
উপকারী। আমরা সাধারণত কাজুবাদামের ভিটামিন সম্পর্কে জানি। কাজুবাদাম শরীরের জন্য
প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। লেবু লেবুতে সাধারণত ভিটামিন সি থাকে এছাড়াও এর
বাইরে অনেক প্রোটিন এই লেবুর মধ্যে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
তাই শরীরে দৈহিক গঠন বৃদ্ধি, ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আমাদের প্রোটিন
জাতীয় কিংবা প্রোটিনযুক্ত ফল খাওয়া উচিত। শুধু ফল না প্রোটিনের অভাব পূরণ করার
জন্য আমাদের প্রোটিন জাতীয় সবজি বিভিন্ন প্রোটিন জাতীয় তরকারি রয়েছে সেগুলো
আমরা খাবো।
ডিম দুধে কতটুকু প্রোটিন রয়েছে
ডিম দুধে কতটুকু প্রোটিন রয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সাধারণত
উপরের পাঠ্য অংশে দুধ সম্পর্কে একটু হলেও আলোচনা করেছি। ডিম দুধ শরীরের
প্রোটিনের চাহিদা মিটানোর জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এগুলো সাধারণত
শরীরের প্রোটিন না বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে।
ডিম সাধারণত চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও শক্তি উৎপাদনে
ডিমের প্রচুর ভূমিকা। সেল শক্ত করার জন্য ডিম গুরুত্বপূর্ণ রক্ত গঠনে
সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ডিম একটি উপকারী খাবার। একটি 50 গ্রাম
ডিমে প্রায় ৭ থেকে ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রতি 100 গ্রাম ডিমের ১২ থেকে ১৪
গ্রাম প্রোটিন থাকে।
দুধ দুধ একটি শরীরের জন্য প্রচুর পুষ্টিকর জাতীয় খাবার। দুধে রয়েছে
ভিটামিন এ ভিটামিন ডি ভিটামিন এ দৃষ্টিশু কি ও ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার
জন্য প্রচুর ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। হাড়কে মজবুত
রা এছাড়াও দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাস যা আমাদের শরীরের
জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন।
কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের নাম গুলো কি কি
কম প্রোটিন যুক্ত খাবারের নাম গুলো কি কি আমরা কেন কম প্রোটিন যুক্ত খাবার
খাবো। বিশেষ করে যাদের এলার্জি রয়েছে এটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ অনেক প্রোটিন যুক্ত খাবারের এলার্জি রয়েছে। যেমন মাংস এতে প্রচুর
পরিমাণে প্রোটিন থাকে। কিন্তু মাংসতে এলার্জি রয়েছে যার কারণে যাদের অ্যালার্জি
রয়েছে তারা প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য মাংস খেতে পারবে না।
এজন্য যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য কম প্রোটিন
যুক্ত খাবার এর বাইরেও খেতে হবে। যে প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো খেলে শরীরের ক্ষতি
করবে না। এছাড়াও রয়েছে যাদের লিভারের সমস্যা কিডনির সমস্যা তাদের জন্য কম
প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কম প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো কি কি
- সাদা রুটি
- পাস্তা
- আলু
- মিষ্টি কুমড়া
- লেটুস
- শসা
- পটল
কম প্রোটিনযুক্ত ফলগুলো হলোঃ
- আপেল
- আনারস
- পেয়ারা
- কমলা
অন্যান্য খাবার গুলো থেকে এই খাবারগুলোর প্রোটিনের পরিমাণটা একটু কম। যাদের
অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাদের জন্য এই খাবারগুলো
খাওয়া প্রয়োজন। আপনি আপনার খাবারের তালিকায় এ কম প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো
খেয়ে আপনার চাহিদা মেটাতে পারবেন।
শেষ কথাঃপ্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি
শেষ কথাঃপ্রোটিন যুক্ত খাবার কি কি এ সম্পর্কে এই আর্টিকেলে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা আছে। যাদের প্রোটিনের সমস্যা শরীরে প্রোটিন কমে গেছে
তারা এই খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাদ্য খেয়ে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারবেন
প্রোটিন শরীরের জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ।
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। যাতে
করে আপনার হাত ধরে আরো অন্যজন উপকৃত হয়। এ সম্পর্কে যদি কোন জানার থাকে তাহলে
অবশ্যই কমেন্টে বলবেন রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। সবাই ভালো থাকুন
সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url