পালং শাকের উপকারিতা ও স্বাস্থ্যকর গুনাগুন

পালং শাকের উপকারিতা ও স্বাস্থ্যকর গুনাগুন জেনে নিন। আমরা বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খেয়ে থাকি এর মধ্যে অন্যতম একটি শাকসবজি হলো পালং শাক। যেটার মধ্যে রয়েছে অনেক ভিটামিন মিনারেল।
পালং-শাকের-উপকারিতা-ও-ভালো-দিক
এই আর্টিকেলে আপনি পালং শাকের জুস সম্পর্কে এবং পালং শাকের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন বিস্তারিত জানতে ভালো করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোষ্ট সূচিপত্রঃপালং শাকের উপকারিতা ও স্বাস্থ্যকর গুনাগুন  

পালং শাকের উপকারিতা ও ভালো দিক

পালং শাকের উপকারিতা ও ভালো দিক বলতে গেলে সব ধরনেরই শাখে ভিটামিন পাওয়া যায় এক্ষেত্রে পালংশাক সবুজ লাল বিভিন্ন ধরনের পালং শাক হয়ে থাকে। এলার্জি যদি না হয় সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে রিচ ফ্লাবন ওয়েজ থাকে। পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা অক্সিজেন কে ক্যারি করে।

পালং শাকের ভিটামিন এ থাকে যেটা আমাদের স্বার্থের জন্য প্রচুর উপকারী এবং ভিটামিন এ আমাদের শরীরের কত টুকু প্রয়োজন সেটা আমরা হয়তো জানেন। ভিটামিন এ টা আমাদের শরীরে কার্যকরী হওয়ার জন্য শাক টাকে ভালোভাবে তেল দিয়ে মুচমুচে করে রান্না করলে সেক্ষেত্রে ভিটামিন এটা আরো কার্যকরী হয়ে ওঠে।

পালং শাকে আরও যেই ভিটামিন গুলো পাওয়া যায় ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে পালংশাকে পাওয়া যায়। এই ভিটামিন এ, ই, কে এই তিনটি ভিটামিন ই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন কে আমাদের শরীরের অ নিউট্রিট আমাদের রক্তের সরবরাহ হতে সাহায্য করে থাকে।

তো এই পালং শাকে মূলত এই ধরনের ভিটামিন গুলো থেকে থাকে গুরুত্বপূর্ণ যে ভিটামিন টি পাওয়া যায়। সেগুলো হলো ফাইবার পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই আপনি যদি আপনার শরীরে ভিটামিন কম থাকে এক্ষেত্রে আপনি পালং শাক প্রতিনিয়ত আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।

পালং শাক খাওয়ার নিয়ম

পালং শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা সাধারণত পালং শাকটাকে সবাই চিনি এবং জানি এই পালং শাক খাওয়ার যথেষ্ট নিয়ম রয়েছে। আমরা সেই নিয়মগুলো হয়তো সবাই মেনে চলি না এজন্য পালংশাকে উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের শরীরে উপকার পাই না। তাই পালং শাক কিভাবে খাওয়া উচিত তা আমরা জানবো।

পালং শাকের নিয়ম সম্পর্কে আমরা জানবো পালং শাকটা কিভাবে খেলে ভালো হয়। তাহলে তো পালং শাস্তি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন ,ই, এবং ভিটামিন কি এমনকি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


পালং শাক খাওয়ার নিয়ম পালং শাকের সুপ তৈরি করে খাওয়া যায়। যেটাকে আমরা জুস বলি এ বিষয় নিয়ে নিতে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে। পেটের যেকোনো অসুখের  সমাধান কিন্তু এই পালং শাক। এই পালং শাকটাকে যদি আমরা হালকা অভাবে সিদ্ধ করে আপনারা কিন্তু সুপের মাধ্যমে মানে শরবত করে খেতে পারেন।

এটা রান্না করার ক্ষেত্রে হালকা মুচমুচে করে রান্না করা লাগবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যেভাবে রান্না করবেন তা হলো প্রথমে পালং শাকটিকে ভালোমতো করে ধুয়ে নিবেন। তারপর পালং শাকটিকে হালকা করে সিদ্ধ করে নিবেন। এ ক্ষেত্রে পালং শাক আপনি করেও খেতে পারেন পালং শাকের ঝোল প্রচুর উপকারী। তবে পালং শাকের ঝোল অতিরিক্ত জাল দেওয়া যাবে না।

পালং শাকটি সিদ্ধ করার পর যদি পিওরটেল থাকে সে ক্ষেত্রে আরো ভালো একটু তেল দিয়ে হালকা করে মুচমুচে হবে রান্না করলে পালং শাকের প্রচুর ভিটামিন  আমরা পাবো। এছাড়াও আপনি পালং শাক মাছের সঙ্গেও রান্না করে খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে আমিষের ভাগটা একটু বেশি থাকবে। আপনি এইভাবে মূলত পালং শাক রান্না করে খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় পালংশাকের উপকারিতা কি

গর্ভাবস্থায় পালংশাকের উপকারিতা কি তা জানতে এই আর্টিকালি ভালোভাবে পড়ুন। পালং শাক সবজি এসব কি স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। এ পালং শাক সাধারণত রক্তচাপ, চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এমনকি গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য এই পালং শাক প্রচুর উপকার।
পালং-শাকের-উপকারিতা-ও-ভালো-দিক
এজন্য আপনি যদি গর্ভবতী হন সে ক্ষেত্রে ভালোভাবে জেনে শুনে শিশুর স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য আপনাকে স্বার্থপর জিনিস খেতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টি কর খাবার হিসেবে এই পালং শাকটি রাখতে পারেন। এ পালং শাকটি আপনাকে গর্ব অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।

পালং শাকে কতটুকু ভিটামিন রয়েছে সেটা আমাদের সবারই জানা প্রয়োজন প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে ক্যালরি ২৩ প্রোটিন ২ থেকে ৩ গ্রাম শর্করা ৪গ্রাম ফ্যাট ০ গ্রাম আয়রন ৩ গ্রাম ফলিক অ্যাসিড ১৯৪ মাইক্রগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৯ মিলিগ্রাম, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যা আমি উপরেই আলোচনা করেছি।

তাই একজন গর্ভবতীকে গর্ব অবস্থায় এই ধরনের প্রোটিন, ভিটামিন ক্যালসিয়াম তার শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ও দরকারি। তাই একজন গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মহিলার প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে তিন দিন এই পালং শাক তার খাদ্য তালিকায় রাখা দরকার। 

লাল শাকের উপকারিতা কি

লাল শাকের উপকারিতা কি আমরা এতক্ষণে পালন শাকের উপকার সম্পর্কে জেনেছি। আমরা লাল শাকের উপকার সম্পর্কেও কিছু জানবো। দেখা যায় অনেকেরই শরীরের রক্ত কম অনেক রোগী আছে রক্তশূন্যতায় ভোগে। এর জন্য শাখের দিক থেকে লাল শাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ লাল সাহা রক্তের হিমোগ্লোবিনকে বাড়িয়ে তোলে।

আমাদের দেশে খুবই পরিচিত একটি সাঁক হলো লাল শাক। যেহেতু আমাদের কৃষি প্রধান দেশ সে তো এই দেশে লাল শাকের চাষ অনেক হয়। সাধারণত লাল শাক শীতকালীন সময়ে হয়ে থাকে বেশি। লাল শাক অতি দরকারি। কারণ লাল শাকের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা চোখের জ্যোতিকে বাড়িয়ে তোলে। শিশুদের আয়রন ও আয়োডিন দরকার পড়ে প্রচুর পরিমাণে।

আর লাল শাক হল আয়রনের উৎস লালসাকে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিনে থাকে। তা এ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে শিশুদের ক্ষেত্রে দের জন্য লাল শাক খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে শিশুদের জন্য লাল শাক একসঙ্গে অনেকগুলো খেতে দেওয়া যাবে না। পরিমাণ মতো নিয়ম মত খাওয়া লাগবে। এই হল লাল শাকের ভিটামিন সম্পর্কিত তথ্য।

পালং শাকের জুসের উপকার জানলে অবাক হবেন

পালং শাকের জুসের উপকার সম্পর্কে জানুন। আমরা এতদিন জেনে এসেছি আমের জুস হয় কমলার জুস হয় আরো রয়েছে অনেক ধরনের জুস আমরা এখন জানবো পালং শাকের জুস সম্পর্কে। পালং শাকের জুস বলতে আমরা সাধারণত বুঝিয়েছি পালং শাকের স্যুপ।পালং শাকের উপকারিতা ও স্বাস্থ্যকর গুনাগুন।

সাধারণত অনেক খাবারের হয় পালং শাকের সুখ সাধারণত শরীরের জন্য এমনকি পেটের জন্য প্রচুর কার্যকারী একটি খাবার। পালং শাকের সুপ যদি আপনি খান সে ক্ষেত্রে আপনি যে উপকারটি পাবেন আপনার পেটের যেকোনো ধরনের অসুখ-বিসুখ দূর হয়ে যাবে।পালং শাকের উপকারিতা ও স্বাস্থ্যকর গুনাগুন।

এ পালং শাকটি রান্না করবেন যেভাবে হালকা সিদ্ধ করে পিওর তেল দিয়ে মুচমুচে করে সেটিকে স্যুপ বানিয়ে কিংবা জুস বানিয়ে খেতে পারেন এক্ষেত্রে পেটের জন্য প্রচুর উপকার পাবেন। আমরা সাধারণত এই প্রক্রিয়াটি মেনে চলি না। আমরা সাধারণত পালং জুস কিংবা ছুপ এগুলো তৈরি করি না। যদি না করে থাকেন তাহলে আজ থেকে করবেন শরীরের উপকারের জন্য।

পালং শাকের চাষ পদ্ধতি

পালং শাকের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো সাধারণত আমাদের বাংলাদেশের চাষী ভাই যাদের কঠোর পরিশ্রমের ফসল তারা সাধারণত এই পালং শাক তারা চাষ করে থাকে। আপনি যদি পালংশাকের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে না জেনে থাকেন সে  সেজন্য ভালোভাবে আর্টিকেলটি পরুন।পালং শাকের উপকারিতা ও স্বাস্থ্যকর গুনাগুন।
পালং-শাকের-উপকারিতা-ও-ভালো-দিক
পালং শাক চাষ করার জন্য প্রথমেই যে জিনিসটি প্রয়োজন হবে সেটি হল পালং শাকের বীজ। এই পালং শাকের বীজ বাজার থেকে কিনে আনবেন অথবা আপনার কাছে যদি থাকে সেই বীজটি প্রথমত ২৪ ঘন্টার মত আর পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে যে সুবিধাটি হবে চারার কাজগুলো খুব তাড়াতাড়ি বের হবে এজন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন ২৪ ঘন্টা।

  • ২৪ ঘন্টা পর আপনি পানিগুলোকে ছেঁকে ফেলবেন। তারপর আপনি যে কাজটি করবেন আপনি যদি জমিতে পালং শাক চাষ করতে চান সেক্ষেত্রে জমিতে ভালোভাবে আপনার ও জমিটি চাষ করে নিবেন। দেখবেন আপনার মাটিটি যেন ঝুরঝুরে হয়ে থাকে। এর পরে আপনি কম্পোস্ট মিশিয়ে নিবেন।
  • আপনার কাজ সম্পূর্ণ হলে পানিতে ভেজানো সেই পালং শাকের বীজগুলো আপনার জমিতে পরিমাণমতো ছিটিয়ে দিবেন। বীজ ছিটানো হয়ে গেলে আপনি এ কাজটি করতে পারেন পলি দিয়ে আপনার জমিটি তিন চার দিনের জন্য ঢেকে দিতে পারেন। তারপরে দেখবেন তিন চার দিন পর আপনার গাছের চারা বের হয়ে গেছে।

এভাবে করে আপনি পালং শাক রোপণ করে বাজারেও বেচাকেনা করতে পারবেন। এমনকি পালং শাক খেতে পারবেন। পালং শাক সাধারণত শীত মৌসুম কালে বেশি হয়। তাই আপনি শীত মৌসুমে পালংসাক চাষ করবে সেক্ষেত্রে পালং শাক ভালো পরিমাণে পুষ্ট হয়ে থাকে। 

শেষ কথাঃপালং শাকের উপকারিতা ও স্বাস্থ্যকর গুনাগুন

পালং শাকের উপকারিতা পালং শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ সম্পর্কে এটুকুই বলবো পালং শাক আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার প্রচুর ভিটামিন রয়েছে এতে। এতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে আয়োডিন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন।

পড়ার মাধ্যমে আপনি যদি একটু হলেও উপকারিতা হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। যাতে করে আপনার সেই বন্ধুও উপকৃত হয়। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করবেন অন্যদের মাঝে এবং দৈনিক ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url