বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রসেসিং।অনেকেরই মনে স্বপ্ন থাকে যে আমেরিকা যাবো। হয়তো কেউ ঘুরতে আর নয় থেকেও ডলার কামাতে। আপনিও কি আমেরিকা যেতে চান।

বাংলাদেশ-থেকে-আমেরিকা-যাওয়ার-উপায়আমেরিকার কথাটা শুনে অনেকেই অসহ্য হয়। আমেরিকার মতো দেশে আপনি যদি যেতে পারেন আপনার লাইফ সেটেল। আর্টিকেলে আমেরিকা যাওয়ার পুরো ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে আলোচনা করবো।

পোষ্টসূচি পত্রঃবাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়। প্রিয় ভাই-বোনেরা এই আর্টিকেলটি যে যেখান থেকে সবার একটা জিনিস জানার আগ্রহ আমেরিকা যাওয়ার সহজ উপায় কি। অনেকের কাছে টাকা আছে কিন্তু কোন উপায় বা বিভিন্ন ওয়েতে যেতে পারছে না।

কারণ আমেরিকা যেতে অনেক টাকা লাগে এই টাকাটা যদি কোনক্রমে দালালের পাল্লায় পড়ে টাকাটা যদি নষ্ট হয়ে যায় এই ভয়ে অনেকেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য এগোতে পারে না। অনেকেরই আত্মীয়-স্বজন আমেরিকায় রয়েছে কিন্তু তারা হয়তো সাহায্য করে না। এই সমস্ত বাদ দিয়ে আপনি নিজে আমেরিকায় এপ্লাই করে যেতে পারবেন সবকিছু জানার জন্য আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

প্রথমে আসি টুরিস্ট ভিসায়। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে নিচে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। টুরিস্ট ভিসায় যে কেউ যেতে পারে। আপনারা চাইলে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারেন। দেখা গেল অনেকেই পড়ালেখা কমপ্লিট করে ভালো পজিশনে চাকরি পেয়ে যায়। এরপরে যে ভিসা টির নাম বলবে সেটি হল ইমিগ্রেশন ভিসা। অনেকেই ইমিগ্রেশন বা ফ্যামিলি ভিসা আমেরিকা যায়।

এরপরে আর দুইটি উপায় শেয়ার করব সেগুলো হলো প্রথম একটি হল বিজনেস। আপনি যদি বিজনেস করার জন্য আমেরিকা যেতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য যাওয়াটা আরো সহজ হবে। এরপরে যেই উপায়টি হলো সেটি হল ওয়ার্ক পারমিট। মূলত আর পারমিট ভিসার জন্য এপ্লাই করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ভিসা হাতে পাওয়া খুব সহজে দাঁড়াবে।

এই যে উপায় গুলো শেয়ার করলাম এগুলোর একেকটা কাজে লাগিয়ে আপনি আমেরিকা আপনার স্বপ্নের দেশে যেতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে এই উপায় গুলো যে কোন একটা উপায় কাজে লাগে আপনি আপনার স্বপ্নের দেশে যাওয়ার জন্য এপ্লাই করেন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার খরচ 

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার খরচ। আসলে যারা আমেরিকা যেতে চায় তারা অনেকে আবার টাকা দিক থেকে এগোতে পারে না। অনেকে জানে না আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। কোন কোন ভিসা কত খরচ।

আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট বিষয়ে আমেরিকা যান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচটা হবে একরকম। আপনি যদি ইমিগ্রেশন ভিসায় যেতে চান যেটাকে বলে ফ্যামিলি ভিসা তাহলে আপনার খরচ লাগবে আরেক রকম। এছাড়াও আপনি যদি ভ্রমণ বিষয়ে যান কিংবা স্টুডেন্ট ভিসা সেক্ষেত্রে আপনার খরচ লাগবে অন্য মতন কোনটাতে কত খরচ লাগবে সেটা লিস্ট দেওয়া হলো।

বর্তমান সময়ে আপনি যদি আমেরিকায় যেতে চান তাহলে আপনার আমেরিকা যাওয়ার খরচ পড়বে ১২ লাখ থেকে প্রায় 18 লক্ষ টাকার মতো। যেহেতু আমেরিকা মহাদেশ তাই একটু খরচ বেশি লাগে। আপনি যদি পারমিট নিয়ে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ লাগবে প্রায় 10 থেকে 12 লাখ। অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি জানা লাগবে।

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসা এপ্লাই করার একটি খরচ রয়েছে। আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় খরচ দেওয়া লাগবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো লাগে এর থেকে একটু বেশি লাগতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট যে কোন ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হয়তো আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে আমেরিকা যাওয়ার খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা পেয়েছেন। আপনার যদি এ পরিমাণে টাকা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আমেরিকা যাওয়ার জন্য এপ্লাই করতে পারেন। তবে এখানে কিছুই সময়ের প্রয়োজন হয় হুট করে চাইলে যাওয়া যায় না।

আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা। মূলত ভিসার যোগ্যতা বলতে ভিসার যে সমস্ত কাগজপত্র লাগে। মানে আপনি আমেরিকা যাওয়ার জন্য যে যে তথ্যগুলো জমা দিবেন। আমেরিকা যাওয়ার জন্য অনেকগুলো ডকুমেন্টস লাগে এগুলো না থাকলে আপনি আমেরিকা যেতে পারবেন না।

বাংলাদেশ-থেকে-আমেরিকা-যাওয়ার-উপায়প্রথমত আমেরিকা যদি আপনার যেই কাজটি করতে হবে একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। প্রথমে লাগবে আপনার একটি ই পাসপোর্ট যেটা দ্বারা আপনি ভিসার জন্য আবেদন করবেন। শুধু আমেরিকা না বাইরের যে কোন রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আপনার ই পাসপোর্ট প্রয়োজন পড়বে। এছাড়াও আরো যে সমস্ত কাগজপত্র গুলো লাগবে তাহলোঃ

পর্যটন/বিজনেস ভিসা

  • পর্যটন বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যাবেন এবং ফিরে আসবেন 
  • এজন্য লাগবে নিজের দেশে ফিরে আসার জন্য আবাসন যথেষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফি প্রদান রশিদ
  • ফটো যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের নির্ধারিত আকারে
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট আয় সম্পর্কিত।
  • প্রতিশ্রুতি প্রমাণ
  • ভ্রমণ পরিকল্পনা আগাম বুকিং

শিক্ষার্থী ভিসা

  • যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি থাকতে হবে
  • পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সাপোর্ট থাকতে হবে।
  • মিনিমাম পক্ষে এইচ এস সি সার্টিফিকেট থাকতে হবে
  • আইএলস সার্টিফিকেট লাগবে

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • DS-160 ফর্ম ও I-20 ফর্ম
  • পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফি এর রশিদ
  • একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা নদী
  • ভিসা ইন্টারভিউ জন্য প্রস্তুতি
  • আই এলস সার্টিফিকেট

কর্মসংস্থান ভিসা

যোগ্যতাঃ

  • যুক্তরাষ্ট্রের একটি বৈধ নিয়োগ কারী সংস্থার কাছ থেকে চাকরির অফার পেতে হবে 
  • চাকরির জন্য প্রয়োজনের শিক্ষা অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • DS-160 ফর্ম ও প্রাসঙ্গিক ফর্ম
  • পাসপোর্ট
  • চাকরির সাথে অফার লেটার ও নিয়োগ কর্তার সঙ্গে চুক্তি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ডকুমেন্ট

অন্যান্য যে কাগজপত্র গুলো লাগেঃ

  • পুলিশ সার্টিফিকেট বিশেষত ইমিগ্রেড ভিসার ক্ষেত্রে লাগবে
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট জরুরী
  • ইন্টারভিউ ও রিজার্ভেশন এর কাগজপত্র প্রয়োজনীয়
  • প্রবাসী ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট

আমেরিকা যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যে সমস্ত কাগজপত্র এবং আপনার যোগ্যতা থাকা লাগবে সেগুলো সম্পর্কে বিশদভাবে তথ্য দেওয়া রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং যোগ্যতা বিস্তারিত তথ্য সর্বশেষ আপডেটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করতে পারেন সেটা হল অনলাইনে।

ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়।। আপনাকে প্রথমে জানতে হবে আপনি ভারত থেকে আমেরিকা যাবেন কেন। ভারত থেকে আমেরিকা যায় কারা। মূলত অনেকেই যারা ভারতে অবস্থানরত রয়েছে। অনেকেই যারা বাঙালি ইন্ডিয়াতে গিয়ে সেখানকার নাগরিক হয়ে গেসে।

তারা চাইলে ভারত থেকে যেকোনো মুহূর্তে আমেরিকাতে যেতে পারে চাকরির জন্য হোক এমন কি ভ্রমণের জন্য হোক। মূলত ভারত থেকে আমেরিকাতে যাওয়ার প্রচেষ্টা যতটুকু ইজি বা সহজ। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার প্রচেষ্টা এতটুকু সহজ না একটু কঠিন।

আপনি কিভাবে ভারত থেকে আমেরিকা যেতে পারেন এর উপায় কি। ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় গুলো কাজে লাগিয়ে আপনি। খুব সহজে ইন্ডিয়া থেকে আমেরিকা পারি জমাতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অনেকগুলো নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। কিসে উপায়গুলো যে উপায়গুলো কাজে লাগে আমরা ভারত থেকে আমেরিকা যেতে পারবোঃ

  • ভিসার প্রয়োজনীয়তা
  • বিমান ভ্রমণ
  • ইন্ডিয়ার নাগরিকত্ব
  • যাত্রার পূর্ব প্রস্তুতি
  • স্বাস্থ্য প্রভিড সংক্রান্ত নতি
  • পাসপোর্ট
  • যোগাযোগ ও সহযোগিতা
  • ইকনোমিক টিকেট
  • ব্যাগেজ ও নিরাপত্তা

কাস্টম সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। যথাযথ বীমা নিলে সুবিধা হয়। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি। ইমিগ্রেশন ও কাস্টম প্রক্রিয়াকে সহজ করতে সম্পূর্ণভাবে ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত। এগুলো আপনি যদি শিক্ষার্থী বা চাকরির দেশে যেতে চান তাহলে এর ভিত্তিতে অন্যান্য অতিরিক্ত কাগজপত্র লাগতে পারে।

ভারত থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে

ভারত থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে। যদি আপনি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন। আপনি যদি ইন্ডিয়া থেকে আমেরিকা যেতে চান সেজন্য প্রথমে আপনাকে করতে হবে ইন্ডিয়া আধার কার্ড ও ইন্ডিয়ান নাগরিকত্ব। এগুলো থাকলে আপনার ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার রাস্তা আরো সহজ হয়ে যাবে।

ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার ভিসা বিমান ও টিকেট এর অন্যান্য কিছু খরচ থাকে যা যাত্রার দেশে পছন্দের উপর নির্ভর করে থাকে। এ সম্পর্কে নিচের উল্লেখিত একটি ধারনা দেওয়া হলো। আশা করি আপনারা সে ধারণা থেকেই বুঝতে পারবেন। ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার খরচ কত?

মূলত প্রথমে লাগে ভিসা ভিসা ফ্রি মোটামুটি প্রায় ১৩০০০ থেকে ১৫ হাজার রুপি। এটা প্রায় সব ভিসার ক্ষেত্রেই একই। এবং অতিরিক্ত SEVIS ফি আঠাশ হাজার রুপি।৩৫০ মার্কিন ডলার। এরপরে যেই খরচটি লাগবে সেটি হল বিমানের টিকেট খরচ। ইকনোমিক ক্লাস ৭০ হাজার থেকে এক লাখ 20হাজার ভারতীয় রুপি। বিজনেস ক্লাসে ২ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা।

আরো পড়ুনঃ

স্বাস্থ্য সীমা প্রায় পাঁচ থেকে দশ হাজার রুপি। এছাড়াও বাইরে যে খরচ গুলো লাগে প্রায় সব মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে একটু কম পুরো খরচ ধরে মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মত খরচ হয়। এই কলেজগুলোর সময় 89 এর উপর ভিত্তি করা কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। এজন্য আপনারা ফ্লাইট বুকিং এ সময় যাচাই-বাছাই করে নিবেন।

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার খরচ কত

আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার খরচ কত। আমরা অনেকেই ভাবনা করে থাকি আমেরিকার টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে পার্মানেন্ট হওয়ার। এটা একদম ঠিক আপনি চাইলে পুলিশ ভিসার মাধ্যমে যে আমেরিকার মতো দেশে পার্মানেন্ট ভাবে থেকে যেতে পারবেন। এর জন্য কিছু নিয়মকানুন কাজ করা লাগবে।

কিভাবে আপনি টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে গিয়ে আমেরিকায় পার্মানেন্ট ভাবে থাকতে পারবেন। টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমিকে পার্মানেন্ট ভাবে থাকতে হলে কি করা লাগবে।? প্রথমে আপনাকে টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় যাওয়া লাগবে তারপর আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেখানকার লয়ার কিংবা আইনজীবীকে ধরে একটি কেস করতে হবে।

আপনি আপনার দেশের উপর ভিত্তি করে কেসটি দিতে পারবেন। কি বিষয়ে দিবেন হয়তো রিফুজি কিংবা নিজের জীবন বিপন্ন এরকম একটি তথ্য দিয়ে আপনি আইনজীবীকে ধরে ওই দেশের কোর্টে কেস করতে পারবেন। সেখানে উল্লেখ থাকবে আমি আমার জীবনে নিরাপত্তার জন্য এই দেশে থাকতে চাই। তারা আপনার কাছ থেকে ছয় মাস কিংবা এক বছর সময় নিবে।

এর ভিতরে আপনার আমেরিকার যত পাসপোর্ট নাগরিকত্ব লাগে সবকিছু ঠিক করে দেবে। এইভাবে আপনি আমেরিকায় থাকতে পারবেন। এখন এগুলো করতে গেলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা খরচের ব্যাপার আছে। সে খরচটা কত টাকা হলে আপনি টুরিস্ট ফিশের মাধ্যমে গিয়ে আমেরিকায় সেটেল হতে পারবেন কি কি খরচ লাগে কত টাকা লাগে।

  • বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় টুরিস্ট ভিসায় ও এর খরচ কত?
  • ভিসা অ্যাপ্লাই ফি ৫০ডলার থেকে 200 ডলার
  • বিমানের টিকেট ১০০০ ডলার থেকে দেড় হাজার ডলার
  • স্বাস্থ্য বীমা ফরজ ৫০ থেকে ১৬০ ডলার
  • ডকুমেন্ট ও প্রসেসিং ফি ৮০থেকে ১০০ ডলার
  • অন্যান্য খরচ ৩০ থেকে ১০০ ডলার

মূলত টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার এগুলো খরচ লাগে। এছাড়াও আমেরিকা দেশে গিয়ে আপনি যেভাবে পার্মানেন্ট হতে পারবেন সেখানকার খরচ হিসাব মোটামুটি ভাবে আপনি যে ধরতে চান প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার ডলার। এর সঙ্গে লাগবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট মিনিমাম ৩০ হাজার ডলার দেখাতে হবে। মূলত এগুলো থাকলে আপনি টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় যেতে পারবেন।

আমেরিকার চাকরির বেতন কত

আমেরিকার চাকরির বেতন কত। খুব সেনসিটিভ একটি প্রশ্ন কারণ যারা ইউরোপ কিংবা আমেরিকার মতো দেশে যেতে চায় ইউরোপ হলে একটি মহাদেশ , তাদের মনে একটি প্রশ্ন থাকে বেতন স্কেল কিরকম। সেখানে আমি যদি চাকরি করি আমি কি ভাবে বেতন পাব আমার স্যালারি কত হবে।

মূলত প্রথমেই বলিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপ আমেরিকা মহাদেশের তুলনা করলে চলবে না। সেখানে একটা জব করা মানে আপনার লাইফ সেটেল হওয়া। আপনার বেতন স্কেল কিরকম হতে পারে তাদের বেতন কাঠামো মূলত ঘন্টা হিসেবে চুক্তি করে। মূলত তারা মাসিক চুক্তি করে তাদের বেতন স্কেল কম তাও মোটামুটি ধরতে যান আমেরিকার বেতন তিন থেকে চার লাখ টাকা।

  • দোকানে প্রতি ঘন্টায় ১৫ ডলার
  • রেস্টুরেন্টে প্রতি ঘন্টায় ১৭ ডলার
  • রেস্টুরেন্ট সেফের বেতন প্রতি ঘন্টায় ২০ডলারের উপর
  • কর্মচারীদের বেতন ঘন্টায় ১২ ডলার

সব মিলিয়ে প্রায় একটি হ্যান্ডসাম এমাউন্ট মাস শেষে ভালো একটা বেতন পাওয়া যায়। মোটামুটি ভাবে আপনারা হিসাব করে নিবেন। অনেকেই যারা রেস্টুরেন্টে জব করে তাদের বেতন তিন থেকে চার লাখ টাকার মতো। আপনারা যদি আমেরিকা যেতে চান তাহলে ভালোভাবে জেনে বুঝে যাবেন।

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার প্রসেসিং 

স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার প্রসেসিং। স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়া খুব সহজ এর জন্য কিছু যোগ্যতা আর টাকার প্রয়োজন পড়ে। আপনি কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে পারবেন। আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে সেখানে পার্মানেন্ট হতে পারবেন।

বাংলাদেশ-থেকে-আমেরিকা-যাওয়ার-উপায়অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা পড়ালেখার পাশাপাশি লাখ টাকারও বেশি মাসে ইনকাম করে। এছাড়া পড়ালেখা কমপ্লিট করার পর তার একটা ভালো চাকরি পেয়ে যায়। যেখান থেকে মাসিক সেলারি প্রায় 8 থেকে 10 হাজার ডলার পর্যন্ত পেয়ে থাকে। আপনি ভাবতেছেন যে আমি কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাবো এর প্রসেসিং কি এর যোগ্যতা কি কি কাগজপত্র লাগে।

যোগ্যতাঃ

  • এইচএসসি পাস কমপ্লিট
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা
  • এইচএসসি পয়েন্ট নূন্যতম সিজিপিএ

কাগজপত্রঃ

  • DS-160 ফর্ম ও I-20 ফর্ম
  • পাসপোর্ট
  • ভিসা আবেদন ফি এর রশিদ
  • একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা নদী
  • ভিসা ইন্টারভিউ জন্য প্রস্তুতি
  • আই এলস সার্টিফিকেট
মূলত আপনি প্রথমে আপনার যে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয় এপ্লাই করবেন সেখানে যদি চান্স পান। তারপর আপনি সেই ফর্মটা আপনি এম্বাসি কিংবা ভিসা অফিসে আপনার পাসপোর্ট সহকারে প্রদান করবেন। তারা মূলত আপনার এসব কাগজপত্র গুলো নিয়ে ইন্টারভিউ নেওয়ার পর আপনার ভিসা এপ্লাই করবে কিছুদিনের মধ্যে আপনার ভিসা আপনি হাতে পাবেন।

আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। অনেকেরই ইচ্ছা যে টাকা কত লাগতেছে কিন্তু আমেরিকার মতো দেশে গিয়ে চাকরি করা মানে লাইফ সেটেল। একটা কথা বলে রাখি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যদি আপনি আমেরিকা যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার যাওয়ার টোটাল খরচটা প্রায় অনেক পড়ে যাবে। আমেরিকা যেতে মোট কত টাকা খরচ কিভাবে আপনি যাবেন।

আপনি আমেরিকায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আসতে গেলে প্রথমে আপনাকে আমেরিকান কোন একটি কোম্পানি সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে হবে। অবশ্যই আপনার কাজের দক্ষতা থাকা লাগবে। আপনি কাজ না জানলে আপনাকে কেউই কাজে নেবে না বিশেষ করে আমেরিকার মতো দেশে। আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে সে কোম্পানিতে এপ্লাই করবেন।

আপনি এপ্লাই করার পর সে কোম্পানির মালিক আপনার কাগজপত্র ঠিক করার পর আপনার এপ্লাই অ্যাপ্রভাল করবে। সেক্ষেত্রে আপনার অ্যাপ্রুবাল অর পারমিট আসবে। সেক্ষেত্রে এওয়ার পারমিটটি অ্যাপপ্রুভাল হতে প্রায় ৮ থেকে ১০ মাসের মত লাগে এক বছরও লেগে যায়। আর ওয়ারমেডি এপ্লাই করার জন্য যে সমস্ত papers গুলো লাগে তা হলোঃ

  1. ই পাসপোর্ট
  2. কাজের অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট
  3. এসএসসি সার্টিফিকেট
  4. এনআইডি কার্ড ফটোকপি

মূলত এই সমস্ত কাগজপত্র গুলো আপনার লাগবে। আপনার পারমিট চলে আসলে আপনি এওয়ার্ড পারমিটের কপি নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। প্রায় চার থেকে পাঁচ মাসের ভিতরে আপনার ভিসা অলরেডি চলে আসবে। এখন খরচ কি রকম লাগে আমরা তো বললাম আমেরিকা যাব আমেরিকা যাওয়ার জন্য তো একটা খরচ লাগবে। কত খরচ লাগবে।

আপনার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত। যেমন এখানে খরচ দিতে আপনি ধরতে চান আপনি যে কোম্পানিতে যাবেন সেই কোম্পানির মালিক কে একটা ট্যাক্স দিতে হয়। কারণ একজন কর্মচারীকে নিয়ে আসতে গেলে তাকে একটি টেক্সট ফি প্রদান করতে হয়। তো শুধু ওয়ারমিট বের করে ভিসা আবেদন পর্যন্ত আপনার খরচ হবে প্রায় 10 থেকে 12 হাজার ডলার।

তারপর আপনার ফ্লাইট বিমান খরচ এসব মোটামুটি দুই তিন হাজারের ভিতর হয়ে যায়। তো এই হল আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রসেসিং। আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান কাজের জন্য সে ক্ষেত্রে যাবেন ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনার ওভারঅল সব মিলিয়ে খরচ হবে প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার ডলারের মত। এই processing এ আপনি আমেরিকা যেতে পারবেন।

শেষ কথাঃবাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় নিয়ে

শেষ কথাঃবাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় নিয়ে। আমেরিকা ইংরেজিতে যাকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএ এই দেশটাতে প্রায় সবাই যেতে চায়। কিন্তু এদেশে যাওয়া অতটা সহজ না। এই আর্টিকেলে আমি আমেরিকা যাওয়ার সম্পূর্ণ প্রসেসিং সম্পর্কে আলোচনা করেছি। 

আপনি চাইলে এই প্রসেসিং এর মাধ্যমে আমেরিকা যেতে পারেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্টে বলবেন। এরকম আপডেট পেতে দৈনিক ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url