পুরুষ এবং মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
পুরুষ এবং মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। চুল পড়া একটি বড় সমস্যা এই সমস্যার সম্মুখীন অনেকেই হয়ে থাকে। হয়তো আপনিও এই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন। এ সমস্যা থেকে আমরা সমাধান পেতে চাই।
পোস্ট সূচিপত্রঃপুরুষ এবং মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
- মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
- অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
- চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
- মাথায় চুল উঠে কেন
- চুল পড়া বন্ধ করার সেরা ৩ টা তেল
- ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
- কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়া শুরু হয়
- চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক
- চুলের গোড়া শক্ত ও নতুন চুল গজানোর উপায়
- পুরুষ এবং মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় শেষ কথা
মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। আমরা প্রথমে মহিলাদের চুলের সমস্যা সম্পর্কে জানব এবং মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ হওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি বিস্তারিতভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
মেয়েদের চুল পড়া বন্ধও করার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। এখানে ঘরোয়া কয়েকটি
উপায় রয়েছে। যে উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার চুলকে স্মুতলি ভালো রাখতে
পারবেন। তবে ঘরোয়া উপায়টি নিচে আলোচনা করা রয়েছে। অনেকেরই চুল পড়া
সমস্যা থাকে তাই অনেকেই চিন্তায় থাকে। এটা চিন্তা হওয়ারই কথা কারণ চুল একটি
সৌন্দর্যময় শরীরের অংশ।
তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে বলবো চিন্তার কোন কারণ নেই। এই আর্টিকেলে আপনি আপনার চুলকে
সতেজ এবং সুন্দর রাখার বেশ কয়েকটি উপায় এর ধারণা পেয়ে যাবেন। চুল পড়ার
সমস্যার নাম হল এন্ড্রোজেনেটিক। চুল পড়ার জন্য প্রথম যে কারণটি হয়ে দাঁড়ায়
হরমোনাল এর সমস্যা। মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সির সময় অনেকেরই চুল পড়া শুরু
হয়।
আমরা পথ চুলে তেল দেওয়ার সময় যে পাঁচটা ভুল করি এই পাঁচটা ভুল আমরা করবো
না। এই পাঁচটা ভুল না করলে আমরা আমাদের চুলকে সযত্নে রাখতে পারবো এমনকি আমাদের
চুল পড়া বন্ধ হবে। কি সেই পাঁচটি ভুল যেগুলোর কারণে আমাদের চুল পড়ে
যায়।
- চুলে তেল দেওয়ার পর পরই চিরনিমা ব্রাশ করা এটা তখন করা যাবে না
- চুলে অতিরিক্ত তেল দেই যেটা আমাদের চুলের জন্য ক্ষতিকর। বিষয়টা বুঝিয়ে বলি অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।
- তেল দেওয়ার সময় স্কাল্প ম্যাসাজ করবেন না
- চুলের তেল দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে টাইপ করে বেঁধে নিবেন না
- বড় যে ভুল চুলের তেল দেওয়ার পর 30 মিনিটের আগে আমরা শ্যাম্পু করে ফেলি
এছাড়াও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি সি এবং ই যুক্ত খাবার রাখতে হবে। এছাড়াও যে যে খাবার গুলো রাখবেন আপনি আপনার চুলকে মজবুত রাখার জন্য ডিম, বাদাম, সবুজ শাকসবজি এমন কি ফলমূল। এছাড়াও যে যে কাজগুলো করবেন না তা হলোঃ চুলে তাপ রাসায়নিক ব্যবহার করবেন না, আজেবাজে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। অনেকেরই দেখি চুল পড়তে পড়তে মাথা টাক হয়ে
গেছে। হয়তোবা এটি আপনারও সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। এজন্য যে যে কাজগুলো করবেন তা
হলো প্রথমত আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সাধারণত একটি সুস্থ সবল
মানুষের জন্য দৈনিক সর্বনিম্ন ৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার নিজের চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার
করুন। রাসায়নিক বিহীন প্রাকৃতিক পণ্য ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করুন। আপনার যদি চুলের সমস্যা হয়ে থাকে আপনি ঘরোয়া প্যাক
তৈরি করে চুলের যত্ন নিতে পারেন। ঘরোয়া প্যাথ গুলো কি কি দিয়ে বানানো যায় তা
হলোঃ
- মেথি বীজ
- আমলকি
- ডিম
- পেয়াজ রস
- মধু
- এলোভ্যারা জেল
এই সমস্ত দ্রব্যাদি দিয়ে আপনারা প্যাক তৈরি করতে পারবেন। যেগুলো আপনার চুলের
জন্য প্রচুর কার্যকর। আরেকটি যে কাজটি আপনারা হয়তো করেন না। অতিরিক্ত রাত জাগা
যাবে না। অতিরিক্ত রাত যখন জাগবেন এটি মাথায় মেন্টালি প্রেসার পড়ে। আর
মাথায় প্রেসার পড়লে সেটা চুলে গিয়ে আঘাত করে যার ফলে অনেকেরই চুল ওঠা শুরু
হয়।
নিয়মিত ট্রিম করুন প্রায় দুই মাস পর পর চুলের ডগা টিম করা চুল পড়া কমাতে
সাহায্য করে থাকে। কারণ এটি ফাটা দাগ দূর করে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
যদি চুল পড়া পরিমাণ বেশি হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এক্ষেত্রে আপনাদের
অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হবে।
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়। এবার আসি ঘরোয়া বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা।
আমাদের চুল পড়া কমানোর জন্য আমরা অনেকেই অনেক প্রকার ট্রিটমেন্ট করে থাকি।
এক্ষেত্রে কেউ ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে কিন্তু সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করার জন্য
সেক্ষেত্রে আরও চুলের সমস্যা বেড়ে যায়।
আপনি আর্টিকেলে চুলের যত্নের জন্য ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে
জানতে পারবেন। বেশ কয়েকটি উপায় আপনি চুলের যত্ন নিতে পারবেন। আপনি পেঁয়াজ
ব্যবহার করে চুলের যত্ন নিতে পারবেন। এটাকে বলা হয় ঘরোয়া উপায়।
আবার সেই পিয়াজের টুকরো গুলো শিল্পাটাতে বেটে আপনার চুলের সঙ্গে লাগিয়ে
নিতে পারেন। পেঁয়াজের রসের সঙ্গে গোলাপ জল দিলে প্যাকটি দারুণভাবে কাজ করে।
সপ্তাহে দুইদিন করবেন। অ্যালোভেরা জেল এবং মেথি এই দুইটাই চুলের জন্য প্রচুর
কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রথমে এলোভেরা জেল কে ছাড়িয়ে নিয়ে তার সঙ্গে মেথি
দানা যুক্ত করে নেবেন।
তারপরে অ্যালোভেরা জেল এবং মেথিদানা সঙ্গে নারকেল, গোলাপজল কালোজিরে এগুলো
একসঙ্গে নিয়ে একটি প্যাক তৈরি করবেন। সেগুলো আপনার চুলে ব্যবহার করবেন। এটি
সপ্তাহে তিন দিনও করতে পারে আবার দুইদিনও করতে পারেন। মূলত এই ঘরোয়া পদ্ধতি
অবলম্বন করলে আপনার চুলের সমস্যার সমাধান হবে।
মাথায় চুল উঠে কেন
মাথায় চুল উঠে কেন প্রশ্ন? অনেকেরই একটি প্রশ্ন থাকে যে মাথায় চুল উঠে কেন
কিসের জন্য আমাদের মাথা চুলগুলো ওঠা শুরু হয়। অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পড়ে যায়।
আমরা চুল পড়ার কারণ প্রথমেই যেটা ভেবে থাকি যে বংশগত কারণ। অনেকেরই বংশগত
কারণে জন্য চুল পড়া শুরু হয়। এছাড়াও আরো কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে যেমনঃ
- অতিরিক্ত রাত জাগা
- ঘুম না আসা
- অতিরিক্ত চিন্তা টেনশন করা
- অতিরিক্ত ধুলাবালিতে থাকা
- মাথায় প্রচুর পরিমাণে খুশকি হওয়া
- চুলে কেমিক্যাল ইউজ করা
- বিভিন্ন পুষ্টি কমে যাওয়ার কারণে
এই কমন বিষয়গুলোর জন্য বর্তমানে অনেকেরই চুল পড়া সমস্যা বেড়েই চলেছে। এবার আসি
সমাধানে আমরা উপরোক্ত পাঠ্যাংশে বেশ কয়েকটি সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছি। যদি এটা
বংশগত কিংবা জেনেটিক্যাল সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এই লাইফ স্টাইলটি
চেঞ্জ করা যায় না। আর যদি ব্যক্তিগত কারণে হয়ে থাকে সেটির অবশ্যই সমাধান
রয়েছে।
উপরোক্ত যে লিস্ট গুলো যেমন ধুলাবালি তে থাকা কেমিক্যাল ইউজ করা অতিরিক্ত চিন্তা
টেনশন এগুলো থেকে আমাদের একটু বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিন এক মুখ করে হলেও বাদাম
খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যদিও বাদামের দাম বর্তমান বাজারে অনেক বেশি তবুও কিছু
করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন বেশি বেশি।
বেশি পরিমানে যেগুলো খাবারে আয়রন ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এ ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। ভিটামিন সি ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। মূলত এই ধরনের ভিটামিন গুলো ঘাটতি হওয়ার কারণে চুল পড়া অতিরিক্ত ভাবে বেড়ে যায়। এই নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে।
চুল পড়া বন্ধ করার সেরা ৩ টা তেল
চুল পড়া বন্ধ করার সেরা ৩ টা তেল। আমরা চুল পড়ার সমস্যার সমাধান করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টিপস অবলম্বন করে থাকি। আপনার যদি চুল পড়া সমস্যা হয়ে থাকে এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়বেন। এ আর্টিকেলটিতে চুল পড়া সমস্যা সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে বলা আছে।
আমরা অনেকেই মাথায় তেল ব্যবহার করে থাকি। চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমরা যে যে
তেল গুলো ব্যবহার করি। হয়তো সেই তেলগুলো আমাদের চুলের জন্য গ্রহণযোগ্য না। আমরা
সেই তেল গুলা ব্যবহার করে থাকি। আপনি আপনার চুলের সমস্যার সমাধান করার জন্য যে
তেল গুলো ব্যবহার করবেন তার তিনটি তেলের নাম হলোঃ
- নারকেল তেল
- কুমারিকা তেল
- আমলা
এছাড়াও আরো যে তেল গুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। সেগুলো হলো জুই তেল বেনিফুল
তেল প্যারাসুট নেহার। এগুলো মেয়েরা ব্যবহার করতে পারে, ছেলেরাও পারে। কিন্তু
আমাদের ছেলেদের জন্য যে তেলটি মাথায় ব্যবহার করা প্রয়োজন সেটি হল সরিষার
তেল। সরিষার তেলে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে যেগুলো চুলের গোড়া শক্ত করে এবং নতুন
চুল গজায়।
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানার আগে আমাদের জানতে হবে ছেলেদের চুল পড়ার কারণটা কি। আপনি কারণ না জানলে এর সমাধান বের করতে পারবেন না। আজকের আর্টিকেলে আপনি ছেলেদের চুল পড়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে ভালোভাবে আর্টিকেলটি পড়ুন।
ছেলেদের বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে থাকে। এর প্রথম কারণটি হচ্ছে অ্যান্ড্রোজেনেটিক
অ্যালোপেশিয়া বা যেটাকে প্যাটার্ন হেয়ারলেস বলে থাকি। বিভিন্ন গবেষণাগারে জানা
গেছে ছেলেদের চুল পড়ার সমস্যার মধ্যে এই এন্ড্রোজেনেটিক সমস্যার
পার্সেন্টেজটা বেশি। মূলত এই সমস্যাটার জন্য ছেলেদের অনেক চুল পড়ে
থাকে।
এক্ষেত্রে মাথার দুই পাশ থেকে যেটাকে আমরা বাইটেমপাস বলি। সেগুলো থেকে চুল
পড়া শুরু হয়। এক সময় মাথা মাথা টাক হয়ে যায়। এই সমস্যাটি ভয়ানক
সাইকোলজিক্যাল টেস্ট ক্রিয়েট করে। তো এই এন্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেশিয়া চুলের
সমস্যার সমাধান হলো একটি মেডিসিন রয়েছে এটার নাম হলোঃ ওরাল মেডিসিন যেমন
ফিনেস্টা রাইট খাবারের ওষুধ।
এছাড়াও অনেক দেশের এই থেরাপি রয়েছে যেটাকে বলা হয় পিআরপি থেরাপি। যেটাকে
প্লেকেলেট রিচ প্লাসমাথেরাপি বলা হয়। এই থেরাপি টা আপনারা নিতে পারেন।
এছাড়া আমরা ছেলেরা যে কাজগুলো করি চুলে রাসায়নিক হিট ব্যবহার করি। আমাদের লাইফ
স্টাইল চেঞ্জ করার জন্য এটা থেকে আমরা দূরে থাকবো। আজেবাজে শ্যাম্পু
ব্যবহার করব না।
এছাড়াও আমাদের ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। অনেকেরই ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে
যায়। তাই চুলের জন্য যে ভিটামিন গুলো প্রয়োজন তা হলে ভিটামিন এ ভিটামিন বি এবং
ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন সি ও চুলের জন্য খুবই কার্যকর ভাবে কাজ করে। মূলত এই
নিয়মগুলো মেনে চললে ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ হবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়া শুরু হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়া শুরু হয়। প্রথমে যে ভিটামিনের অভাবে আমাদের চুল
পড়া শুরু হয় সেটি হল ভিটামিন ডি। চুল পড়া শুরু হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে
ভিটামিন ডি এর অভাব। ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করবেন কিভাবে। সহজ ভাবে যদি বলি
সূর্যের তাপ প্রতিদিন আধা ঘন্টার মত আমাদের সূর্যের আলো গ্রহণ করা উচিত।
এছাড়াও বেশ কিছু খাবারের মধ্যে ভিটামিন ডি রয়েছে যেমন দুধে ভিটামিন ডি রয়েছে
ডিমে ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়া অনেক শাক সবজি রয়েছে যেগুলোতে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ
শাকসবজি থাকে সেগুলো আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করবো।
এছাড়াও আরো দুইটি ভিটামিনের জন্য আমাদের চুলের সমস্যা দেখা দেয়। সেটি হল ভিটামিন বি এবং ভিটামিন এ আমরা এই ভিটামিন গুলো কিভাবে সংগ্রহ করতে পারি। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার শাকসবজি রয়েছে সেগুলো আমরা খাওয়ার চেষ্টা করবো। মূলত আমাদের শরীরে এ ভিটামিন গুলোর অভাব পূরণ হলে আমাদের চুল পড়া বন্ধ হবে।
চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক
চুল পড়া বন্ধ করার প্যাক। চুল পড়া বন্ধ করার প্যাকসম্পর্কে বলতে বুঝায় বিভিন্ন
দ্রবাতি ঘরোয়াভাবে যে ওষুধটি তৈরি করা হয় সেটাকে আমরা প্যাক বলে থাকি।
আমরা চুলের সমস্যার সমাধানের জন্য বিভিন্ন ভাবে প্যাক বানাতে পারি। আপনি
চাইলে এলোভেরা দিয়েও প্যাক বানাতে পারবেন।
কিংবা মধু দিয়ে প্যাক বানাতে পারবেন এছাড়াও আরো রয়েছে যেমনঃ কালো জিরে
মেথি দানা পিঁয়াজের রস। ডিমের সাদা অংশ দিয়েও প্যাক বানানো যায়। মূলত এই
দ্রব্যাদি গুলো দিয়ে আপনি আপনার চুলের জন্য প্যাক বানাতে পারবেন।
চুলের গোড়া শক্ত ও নতুন চুল গজানোর উপায়
চুলের গোড়া শক্ত ও নতুন চুল গজানোর উপায়। নতুন চুল গজাতে আপনারা পিঁয়াজের
ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজটা কিভাবে ব্যবহার করবেন এ পেঁয়াজের প্রচুর কার্যকর
গুণ রয়েছে। পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে এবং
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
গ্রামবাংলা অনেকেই পেঁয়াজের চাষ করে। আপনারা চাইলে কোন ধরনের ওষুধ পত্র ট্রিটমেন্ট না করে। ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই পেঁয়াজের রস দিয়ে আপনারা চুলের যত্ন নিতে পারেন। আর চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য আপনারা আমলকির রস ও নারকেলের তেল হালকা গরম করে গোড়ায় মালিশ করে দিলে সেক্ষেত্রে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে।
পিয়াজের রস এবং লেবুর রস ও নারকেল তেলের মিশ্রণ চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। তাই আপনারা এই দুই পদ্ধতিতে আপনার চুলের গোড়া মজবুত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোন ধরনের ইফেক্ট পরবে না। তাই নতুন চুল গজানোর জন্য আপনার পিয়াজের রস ব্যবহার করবেন।
পুরুষ এবং মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় শেষ কথা
পুরুষ এবং মহিলাদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় শেষ কথা। এই আর্টিকেলে পুরুষ এবং মহিলাদের মাথার চুল এর সমস্যা সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। পুরুষ এবং মহিলাদের চুল পড়া একটি বড় সমস্যা আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাই চুলের সমস্যা সমাধান করার জন্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে ভালোভাবে পড়ুন। আর্টিকেলটি আপনার যদি উপকৃত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। ভালো থাকবেন এবং দৈনিক এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন নতুন আপডেট পাওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url