ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি কয়েন কি?ইনকাম কেমন
ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি কয়েন কি?ইনকাম কেমন। এ ডিজিটাল যুগে এসে
ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন সম্পর্কে ধারণা অনেকেরই নেই। অনেকেই জানেনা
কয়েন কি। আবার অনেকেই মনে করে কয়েন হলো বাংলাদেশি মুদ্রা।
আমি বাংলাদেশী মুদ্রা কয়েনের কথা বলছি না। আমি বলছি
অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সি কয়েন সম্পর্কে। আপনারা কি জানেন অনলাইনে এ কয়েন
কেনাবেচা করে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। এ বিষয়ে জানতে আর্টিকেলটি ভালোভাবে
পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি কয়েন কি?ইনকাম কেমন
- ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি কয়েন কি
- অনলাইন কয়েন মার্কেটপ্লেস কি
- ক্রিপ্টোকারেন্সি কি এটি কিভাবে কাজ করে
- প্রথম ডিজিটাল কয়েন কোথা থেকে উৎপত্তি হয়
- বিটকয়েন সম্পর্কে পুরো ধারণা
- কয়েন কত প্রকার ও কি কি
- অনলাইনে কয়েন কেনাবেচা করার প্রক্রিয়া
- ক্রিপ্টো কয়েনের ভবিষ্যৎ কি ইনকাম কেমন
- অনলাইন কয়েন কিনে রাখার সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি
- ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি এ নিয়ে আমাদের শেষ কথা
ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি কয়েন কি
ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি কয়েন কি?ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো এক ধরনের ডিজিটাল
মুদ্রা, বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। ক্রিপ্তগ্রাফি ব্যবহার করে এটাকে সুরক্ষিত রাখা
হয়। এটি কোন কেন্দ্রীয় সরকার বা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে নয়। বিবেককৃত
প্রযুক্তি ব্লকচেইন দ্বারা পরিচালিত হয়।
এখানে ডিজিটাল লেনদেন করা হয়, এই ক্রিপ্টোকারেন্সি অনেক ধরনের কয়েন রয়েছে
এ কয়েন গুলোর কেনাবেচা করা হয়। মূলত এটাকে ব্লক চেইন বলা হয়। ক্রিপ্ত কারেন্সি
মূলত লেনদেন এবং গোপনীয়তা স্বাধীনতার জন্য ব্যবহৃত করা হয়ে থাকে।, বর্তমানে এটি
বইয়ের বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইন বিজনেস আইডিয়া
পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক অর্থাৎ এখানে অনেক ধরনের কয়েন এ ব্লক চেন দ্বারা
চলিত হয়ে থাকে। আমাদের প্রশ্নই ছিল কয়েন কি এর ইনকাম কেমন। যে সমস্ত কয়েনগুলো
নিয়ে ব্লক চেন পরিচালিত হয় প্রথমে হলো ১, বিটকয়েন২ ইথরিয়াম ৩, লাইক কয়েন ৪,
বিএনবি কয়েন ৫ রিপল এগুলো হলো মূলত দামি কয়েন। যেগুলোর বাজার মূল্য
বর্তমানে এগিয়ে রয়েছে।
এছাড়াও আরো হাজার হাজার কয়েন রয়েছে। যেগুলো এই ব্লক চেইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে
থাকে। ক্রিপ্টোকারেন্সি তে এই কয়েন মার্কেটে ইনকাম কেমন হয়ে থাকে। মূলত
আমরা যদি বিটকয়েনের মূল্য যদি ধরতে চাই তাহলে বর্তমান বাজারে ৯০০০০ ডলার
উপর যা বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি টাকা, এর বিস্তারিত বর্ণনা নিচে দেওয়া রইল।
অনলাইন কয়েন মার্কেটপ্লেস কি
অনলাইন কয়েন মার্কেটপ্লেস কি? এটি হল একটি মার্কেটপ্লেস যা কারেন্সি
প্লাটফর্মে ক্রয় বিক্রয় করা হয়। এবং বিনিময় করা হয়। এটি সাধারণত একটি
ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ হিসেবে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি কখনো কখনো ডলার ইউরো
ব্যবহার করা হয়।
অনলাইন কয়েন মার্কেটপ্লেস এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো। ক্রয় বিক্রয় করে
ব্যবহারকারীরা এখানে কিনতে বা বিক্রি করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের কয়েন রয়েছে
যে কয়েন গুলো আপনি চাইলে কিনে আবার বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমানে
অনলাইন মার্কেটপ্লেসের কয়েন মার্কেটপ্লেসে কিপটা কারেন্সি জগতে বাংলাদেশ ৩৫
তম।
আরো পড়ুনঃ
ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা সম্পর্কে
বর্তমানে বাংলাদেশে এটি বৈধতা পাইনি তবে বহির্বিশ্বে প্রায় সব দেশেই এর বৈধতা
রয়েছে। এছাড়াও অনেকেই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এই কয়েন মার্কেটিং করে ভালো টাকা
ইনকাম করে। এটি মূলত হল একটি ব্যবসা আপনি কম দামে কয়েন কিনে বেশি দামে সেল
দিয়েছেন। মার্কেটের অবস্থা বুঝে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন এই কয়েন
মার্কেটপ্লেসে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি এটি কিভাবে কাজ করে
ক্রিপ্টোকারেন্সি কি এটি কিভাবে কাজ করে। প্রথমেই বলেছি এটি একটি ভার্চুয়াল
মুদ্রা কিংবা ডিজিটাল মুদ্রা যা ক্রিপ্টোগ্রাফি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে
সুরক্ষিত রাখা হয়। কারেন্সি কোন কেন্দ্রীয় কৃতপক্ষে বা ব্যাংকের আন্ডারে
কাজ করে না। বরং এটি ব্লক চেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে। ব্লক চেইন প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য ব্লগ
চেইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ব্লক্সিন হল একটি বিকেন্দ্রীয় লেজার। যেখানে
লেনদেন গুলো করা হয় তথ্য এন্ড ক্রিপ্ত করে চেইন তথ্য যুক্ত করে।
প্রতিটি ব্লক একবার ফিলিফাই হলে তা আর মুছে ফেলা বা পরিবর্তন করা সম্ভব
নয়।
কোন কেন্দ্রীয় সার্ভারের উপর নির্ভর না করে এটি ব্যবহারকারীদের দ্বারা
পরিচালিত হয়ে থাকে। হাজার হাজার কম্পিউটার ল্যাপটপ নোট মিলে এটি নেটওয়ার্ক
গঠন করে থাকে। বর্তমানে এখন মোবাইলেও এটি পরিচালিত হয়। এর লেনদেন প্রক্রিয়া
হল একজন ব্যবহার কারীর ওয়ালেট রয়েছে সেখানে ওয়ালেট এবং মুদ্রা
পাঠায়।
এই লেনদেন ব্লক চীন রেকর্ড হয় এবং ভেরিফাই হয়ে থাকে মাইনারের মাধ্যমে। এটি
ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার পর লেনদেন চূড়ান্ত হয়ে থাকে এবং
এটি ব্লক চেইন স্থায়ীভাবে রেকর্ড হয়ে থাকে। এর সুরক্ষা তৃপ্ত
ব্যবহারের কারণে এর লেনদেন এর তথ্য নিরাপত্তা থাকে। প্রতিটি লেনদেন এন্ড
ক্রিপ্টেড ফলে এটি ভাঙ্গা জালিয়াতি করা খুবই কঠিন।
প্রথম ডিজিটাল কয়েন কোথা থেকে উৎপত্তি হয়
প্রথম ডিজিটাল কয়েন কোথা থেকে উৎপত্তি হয়। প্রথম ডিজিটাল কয়েন উৎপত্তি
হয় বিটকয়েন থেকে যা ২০০৯ সালে আবিষ্কার হয়। এটি হলো একটি বিকেন্দ্রিক
ডিজিটাল মুদ্রা যা সাতোশি নাকামত নামক ছদ্মারামে পরিচিত ব্যক্তি গুষ্টি
তৈরি করেছিলেন। বিটকয়েনের উৎপত্তি পটভূমি সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে
আমি বলবো।
বিটকয়েন তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি কেন্দ্রিক এবং স্বচ্ছ মুদ্রা
ব্যবস্থা গড়ে তোলা। । যা কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা কোন সরকারের আন্ডারে
থাকবে না। আশা করা যাচ্ছে ২০৪০ সাল আস্তে আস্তে বিটকয়েন দ্বারা পুরো বিশ্ব
পরিচালিত হবে। মূলত বিটকয়েনের মতো অনেক কয়েনে রয়েছে কিন্তু বিটকয়েনের
ভ্যালু অনেক এজন্য সবাই এটিকে প্রাধান্য দেয় বেশি।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করুন
প্রযুক্তি বিটকয়েন ব্লকচেন নামে একটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি
করে। ব্লক চেন একটি পাবলিক ডিস্ট্রিবিউটর লেদার যা পাবলিকের মাধ্যমে লেনদেন
তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। ২০০৯ সালে বিটকয়েনের ভ্যালু ছিল পাঁচটা বিটকয়েন
সমান একটা পিদজা। বর্তমান 2024 সালে বিটকয়েনের মূল্য ৯০ হাজার ডলারের
উপর আধুনিক কিছু কারেন্সি ইকোসিস্টেমের যাত্রা বিটকয়েন থেকে।
বিটকয়েন সম্পর্কে পুরো ধারণা
বিটকয়েন সম্পর্কে পুরো ধারণা ২০০৯ সালে যখন বিটকয়েন সাতোশি নামক একটি
গোষ্ঠী আবিষ্কার করে থাকেন। এদের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি সচ্ছ মুদ্রা
ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যাক কোন ধরনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকার কিংবা
প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে থাকবে না।
আমরা যদি ২০০৯ সালে বিটকয়েনের মূল্য জানার চেষ্টা করি তাহলে। ২০০৯ সালে
বিটকয়েনের মূল্য ছিল প্রায় সাত থেকে নয় সেন্ট ইউএসডিটি ডলারে। যা বাংলা
টাকায় ছিল ৭ টাকা। বর্তমানে আপনি এখন চিন্তা করতে পারবেন না। ২০০৯ সাল
থেকে শুরু করে ২০২৪ সালে পর্যন্ত এখন বিটকয়েনের মূল্য ৯১ হাজার
ডলার আপনি চিন্তা করতে পারেন।
এর উন্নয়ন যদি বলতে চাই ২০০৮ সালের সাতোশি নামক একটি ওয়েব পেপার প্রকাশ
করেন। যার শিরোনাম ছিল বিটকয়েন এ এই পেপারের একটি পিয়া প্রিয়ার ডিজিটাল
লেনদেনের ব্যবস্থা ধারণা ছিল। প্রযুক্তি বিষয়ক বিবরণ তুলে ধরা হয় এতে। এ
বিটকয়েন মূলত আপনার যদি প্রায় ৯০ থেকে ৯১ হাজার ডলার থেকে থাকে আপনিও
বিটকয়েন কিনে রাখতে পারবেন।
মূলত এটি কেনাবেচা হয় বিভিন্ন এক্সেঞ্জারে। কি ধরেন
বাইনান্স,বাইবিট,বিটগেট এ সমস্ত ওয়ালেটে এ ধরনের কয়েনগুলো কিনে
রাখতে পারবেন। এছাড়াও পয়েন্ট রয়েছে যেগুলো বিটকয়েনের মত। কিন্তু
বিটকয়েনের মত এত দামি না। বিটকয়েন এর বৈশিষ্ট্য গুলো যদি তুলে ধরি তাহলে
সেগুলো হলোঃ
- কোন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ নেই
- সর্বমোট 21 মিলিয়ন বিটকয়েন তৈরি করা সম্ভব
- ব্যবহারকারীদের পরিচয় গোপন থাকে
- মাইনিং প্রক্রিয়া নতুন বিটকয়েন তৈরির প্রক্রিয়া
কয়েন কত প্রকার ও কি কি
কয়েন কত প্রকার ও কি কি? এতক্ষণ আমরা বিটকয়েন সম্পর্কে
ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে বিশদভাবে ধারণা পেয়েছি। আমরা বিটকয়েন
সম্পর্কে যদি একটু জানতে পারি তাহলে আমরা বুঝে নেব এ বিটকয়েনের মতো হাজার
হাজার কয়েন রয়েছে। কিন্তু বিটকয়েনের মূল্য বর্তমান বাজার মূল্যে প্রায়
৯০ হাজার ডলার। কিন্তু অন্যান্য কয়েন গুলোর ভ্যালু এত না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিটকয়েন সম্পর্কে ধারণা অনেকেরই রয়েছে। অনেকে হয়তো
জানে যে বিটকয়েন হল কয়েন আর অন্যান্য গুলোর সম্পর্কে অতটা জানেনা। এ
বিটকয়েন এর মত কয়েন অনেকেই মাইনিং করে তৈরি করে। বর্তমানে অনেক কয়েন
রয়েছে যেগুলো বর্তমান বাজারের মূল্য অতটা না কোন গুলোর মূল্য 5000 ডলার এক
হাজার ডলার।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইনে মার্কেটিং করুন ইনকাম হবে
আবার কোনগুলোর ৫০০ ডলার আরো যে সমস্ত রয়েছে ১০ সেন্ট যে বাংলাদেশী টাকা ১০
টাকা দুই ডলার এরকম মূল্য দিয়ে অনেক কয়েন প্রচলিত হয় একটি ব্লগ চেইন
দ্বারা। কয়েন অনেক প্রকার বিভিন্ন নাম দিয়ে এক একটি কয়েন তৈরি হয়
নামগুলো যদি বলতে চাই তাহলে হলোঃ
- প্রথমে বিটকয়েন
- ইথিরিয়াম কয়েন
- বিএনবি
- ব্ল্যাব কয়েন
- নট কয়েন
- হামিস্টার কয়েন
- তিজারা কয়েন
- পিপি কয়েন
- পম কয়েন
- ডগ কয়েন
- ছলনা কয়েন
- এপি টি কয়েন
- এ টিএইচ কয়েন
- সুই কয়েন
এরকম ধরনের হাজার হাজার কয়েন রয়েছে। যেগুলো এ ব্লক চেইন মার্কেটপ্লেসে কাজ
করে। বর্তমান বাজারে এগুলোর ভ্যালু অর্থাৎ এগুলোর দাম সেরকম না। সবচাইতে যে
কয়েনের মূল্য বেশি তা হলো বিটকয়েন তারপরে হলো ইথিরিয়াম এভাবে
পর্যায়ক্রমে মূল্য নির্ধারণ করা থাকে।
অনলাইনে কয়েন কেনাবেচা করার প্রক্রিয়া
অনলাইনে কয়েন কেনাবেচা করার প্রক্রিয়া। আমরা এতক্ষণে জেনেছি ক্রিপ্টোকারেন্সি
মানে কি ব্লক চেইন কি। কয়েন কি বিটকয়েন কি বিভিন্ন ধরনের কয়েন
সম্পর্কে আমরা জেনেছি। অনেকেই আছে যারা অনলাইনে বিজনেস করতে চায়। কিন্তু
সঠিকভাবে কোন নির্দিষ্ট ওয়ে খুজে পায় না।
আপনি যদি অনলাইনে বিজনেস করতে যান তাহলে আপনি এই অনলাইনে কয়েন মার্কেটের
বিজনেস করতে পারেন। এজন্য আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগ না করলে তো আপনি
কয়েনটা কিনতে পারবেন না। কিভাবে অনলাইনে কয়েনের কেনাবেচা করবেন। ধরেন আপনার
এক লাখ টাকা রয়েছে আপনি এখন অনলাইনে মার্কেটপ্লেসে পয়েন্ট কিনবেন।
অনেক কয়েন রয়েছে যেগুলো যেগুলোর মূল্য খুবই কম বাংলাদেশি টাকায় এক টাকা ৪৮
পয়সা এরকম। অনেক কয়েন সেলার থাকে যারা এই সুযোগটা কাজে লাগায়। কিভাবে এই কম
দামি কয়েনটা তারা কিনে রেখে প্রায় এক বছর দুই বছর তিন মাস হোল্ড করে
রাখে। তারপরে দাম দেখে যখন প্রাইজ বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে তারা সেল দিয়ে
দেয়।
মূলত এভাবে করে অনেকেই কয়েন কেনাবেচা করে। আপনি যদি মনে করে থাকেন আজকের এই
প্রক্রিয়াটি দেখে আপনিও শুরু করবেন তাহলে শুরু করতে পারেন। তবে আপনাকে অবশ্যই
মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। হুটহাট করে আপনি কয়েন কেনাবেচা শুরু
করতে পারবেন না। এটাই হলো অনলাইনে কয়েন কেনাবেচার প্রক্রিয়া।
ক্রিপ্টো কয়েনের ভবিষ্যৎ কি ইনকাম কেমন
ক্রিপ্টো কয়েনের ভবিষ্যৎ কি ইনকাম কেমন। কয়েনের ভবিষ্যৎ বলতে বুঝাচ্ছে এখন
থেকে নিয়ে আগামী ১০ বছর পর এটার কিংবা পাঁচ বছর পর এটার ইনকাম কেমন হবে এটার
ভবিষ্যৎ কি। আমরা যদি বিটকয়েনের সম্পর্কে একটু আগের ইতিহাসে ফিরে যাই। তাহলে
জানতে পারবো বিটকয়েন এখন থেকে নিয়ে ১১ বছর আগে এর ভ্যালু কত ছিল।
এখন থেকে নিয়ে ১১ বছর আগের ভ্যালু ছিল এক ডলার দুই ডলার। এরপরে আরেকটি কয়েন
সেটি হল ইথি রিয়াম এটাও যখন মার্কেটে আসে তখন এর ভ্যালু ছিল এক ডলার দুই ডলার
বর্তমানে এখন এটার ভ্যালু ৫০০০ থেকে ৭ হাজার ডলারের বেশি। অনেক দিন
এই ইথিরিয়াম কয়েন নিয়ে কাজ করে এবং ভালো টাকা ইনকাম করে।
তাহলে দুইটা কয়েনের উদাহরণ আপনারা জানতে পারলেন। এ থেকে বোঝা যায় এখন
থেকে নিয়ে পাঁচ থেকে সাত বছর পর অনেক বাজারে কয়েন রয়েছে। এই আর্টিকেলে বেশ
কয়েকটি কয়েনের নাম উল্লেখ করা আছে। এগুলোর মার্কেট প্রাইজ ক্রমাগতভাবে বেড়েই
যাবে কমবে না। এর ইনকাম সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে রিচার্জ করতে হবে এ
বিষয় নিয়ে।
অনলাইন কয়েন কিনে রাখার সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি
অনলাইন কয়েন কিনে রাখার সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি? আছে অনেক সুবিধা অসুবিধা
রয়েছে এই অনলাইন মার্কেট বাজারে। আপনি শুধু কয়েন কিনে রেখে সুবিধা মত টাকা
ইনকাম করে যাবেন। তা কিন্তু নয় এর অনেক অসুবিধা রয়েছে। যেগুলো আপনি ফেস করতে
পারলে আপনি কয়েন বাজারে সফল হবেন।
অনেকেই যারা মনে করে কয়েন কিনে রেখে অনেক লাভ এটাতে ঝামেলা কম। সুবিধা অনেক
বেশি অসুবিধা নেই। হয়তো আপনি এটা নিয়ে কাজ করেন না তাই বলছেন। যারা এ বিষয়
নিয়ে কাজ করে তারা জানে এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি কি। কিছু ভাল থাকলে এর
খারাপ দিকটাও থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা এখন জানবো এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো
কি?
সুবিধা গুলো কি কিঃ
- সহজে ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন
- যেকোন স্থান থেকে লেনদেন করা সম্ভব
- প্রচলিত ব্যাংকের সিস্টেম তুলনায় লেনদেন খরচ কম হয়।
- স্বল্প মেয়াদে বড় লাভের সুযোগ রয়েছে
- এটি কোন একক প্রতিষ্ঠান বা সরকার দ্বারা প্রচলিত নয়
- ব্লক চেনের স্মার্ট কন্টাক এর মত উদ্বোধনী প্রযুক্তি ব্যবহার হয়
এর অসুবিধা গুলো কিঃ
- উচ্চ ঝুঁকি দামের কম বেশি বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে
- হ্যাকিং বা স্ক্যাম করার ঘটনা থাকে
- আইনি সহায়তা পাওয়া যাবে না
- প্রযুক্তি বোঝা সঠিকভাবে প্রথমত জটিল
- অনেক দেশে ক্রিপ্টো কারেন্সি আইনত বিধি নিষেধ
- একাউন্টের তথ্য চুরি হলে বিনিয়োগের হারানো সম্ভাবনা থাকে
অনলাইন কয়েন মার্কেটগুলোতে তিনি নিয়োগ করার আগে ভালোভাবে জেনে বুঝে বিনিয়োগ
করতে হবে। কারণ এখানে যেরকম সুবিধা রয়েছে সেরকম অসুবিধা রয়েছে। ভালোভাবে
বিবেচনা করে কয়েক মার্কেটে কয়েন বিজনেস করা উচিত। এই হলো কয়েক মার্কেটে
সুবিধা এবং অসুবিধা।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি এ নিয়ে আমাদের শেষ কথা
ক্রিপ্টোকারেন্সি মানে কি এ নিয়ে আমাদের শেষ
কথা।ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের বিষয়ে সকল প্রকার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা
করেছি এই আর্টিকেলে। ও এ সমস্ত মার্কেটের কয়েনের বাজার মূল্য কিভাবে কাজ
করবেন সে সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়েছে। অনেকেই এই কিপটো কারেন্সি নিয়ে কাজ
করে তাই আপনারা করতে পারেন।
আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই আপনাদের বন্ধু এবং
অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। যাতে করে আপনার সেই বন্ধুও উপকৃত হয়। কোন কিছু
জানার থাকলে কমেন্ট করবেন। রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবেন ইনশাল্লাহ। ভালো
থাকবেন ধন্যবাদ
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url