ডাবের উপকারিতা ও অপকারিতা জানেন কি ডাবের গুনাগুন সম্পর্কে
ডাবের উপকারিতা ও অপকারিতা জানেন কি ডাবের গুনাগুন সম্পর্কে। ডাব হয়তো অনেকেরই
চেনা ডাবের পানি সবাই খায়। কিন্তু জানে না ডাবের পানির গুনাগুন ভিটামিন
সম্পর্কে।
আপনারা কি জানেন ডাব খেলে আপনার শরীরের কি কি সমস্যা গুলোর সমাধান হবে। ডাবের
পানি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান। পুরো বিষয়টি ভালোভাবে জানতে আর্টিকেলটি
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃডাবের উপকারিতা ও অপকারিতা জানেন কি
- ডাবের পানির উপকারিতা ও ভালো দিক
- ভরা পেটে ডাব খেলে যে উপকার পাবেন
- প্রতিদিন ডাব খেলে কি হয় জেনে নিন
- ডাবের পানির অপকারিতা কিছু ক্ষতিকর দিক
- গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকার
- রাতে ডাবের পানি খেলে কি হয় জেনে নিন
- গ্যাস্ট্রিকের জন্য ডাবের পানির সমস্যার সমাধান
- ডাবের শাঁসের উপকারিতা কি জেনে নিন
- ডাব এবং ডাবের পানিতে কি কিং পুষ্টিগুণ রয়েছে
- ডাবের উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের শেষ কথা
ডাবের পানির উপকারিতা ও ভালো দিক
ডাবের পানির উপকারিতা ও ভালো দিক। ডাবের উপকারিতা বলতে আমরা যে মূল জিনিসটি বুঝে
থাকি সেটা হল ডাবের পানি। ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য গুনাগুন এবং ভিটামিন।
যেগুলো আমাদের শরীরের অনেক কাজে লাগে। ডাবের পানি অনেক রোগের ঔষধ বললেই চলে।
প্রথম হলো ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে ডাবের পানি। আপনি যদি নিয়মিত ডাবের
পানি খান তবে আপনার ত্বক হবে সুন্দর। এবং আপনার স্কিন টকটকে উঠবে। ডাবের
পানি কি আমরা প্রাকৃতিক টুনার বলে থাকি। যা ত্বক কে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে
সাহায্য করে। এবং স্কিনের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
ওজন কমা ডাবের পানি যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে
যাবে। কারণ ডাবের পানির উপস্থিতি বেশ কয়েকটি এনজাইমের হজম ক্ষমতা বাড়ানোর
পাশাপাশি মেটা বলিযমের উন্নতি তো সাহায্য করে থাকে। ফলে খাবার খাওয়া মাত্র তা
খুব সুন্দর ভাবে হজম হয়ে যায়। এছাড়াও ডাবের রয়েছে বেশ কিছু গুনাগুন।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় জলপাইয়ের উপকার সম্পর্কে জানুন
ডাবের পানি যদি আপনি নিয়মিত খান তাহলে আপনার শরীরের লবণের ঘাটতি হবে না।
প্রত্যেকে শরীরে খনিজ লবণ থাকে। যেগুলোর ঘাটতি প্রায় প্রায় সময় দেখা যায়
আপনি যদি নিয়মিত ডাবের পানি খান তাহলে এই সমস্যা আর হবে না। এমনকি আপনার ব্লাড
প্রসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও ডাবের পানি পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আপনার
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
ব্লাড সুগার বেঁধে রাখবে ২০১২ সালে জার্নাল ফুট এন্ড ফাংশন স্টাডিতে দেখা
গিয়েছিল। ডাবের পানিতে থাকা অ্যামাইনো এসিড ও ডায়েটারিও ইনসুলিনের কর্ম ক্ষমতা
বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের রাখে। মূলত ডাব
আরও অনেকগুলো উপকারে আসে আপনার শরীরের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত ডাবের
পানি খাবেন।
ভরা পেটে ডাব খেলে যে উপকার পাবেন
ভরা পেটে ডাব খেলে যে উপকার পাবেন। নারকেল কিন্তু হয় ডাব থেকেই আমরা এটা সবাই
জানি। আপনি কি জানেন ভরা পেটে যদি আপনি ডাব কিংবা ডাবের পানি খেয়ে থাকেন তাহলে
আপনার শরীরে কি কি উপকার পাবেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই
আর্টিকেলটিতে আপনি জানতে পারবেন ভরা পেটে ডাব খাওয়ার উপকার।
আরো পড়ুনঃ
লটকন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আমরা সাধারণত আমি জানি ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিকর। ভরা পেটে ডাব
খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা ও গুনাগুন রয়েছে। প্রথমে যে উপকাটি পাবেন পাঁচন
তন্ত্রের উন্নতি হবে। ডাবের পানি সহজে হজম হয়ে যায় এতে থাকা এনজাইম কম্বল ও
এসিডের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আরো যেই উপকার গুলো পাওয়া যায় ভরা
পেটে ডাব খেলেঃ
- আপনার শরীরের ভরপুর ক্লান্তি দূর করবে
- মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করবে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে
- ত্বকের যত্নে যত্নশীল
- কিডনির কর্মদক্ষতা বাড়াতে
- মূত্রনালী সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে
তবে একটি ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। তা হল যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে
ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি বেশি ডাক খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা উচিত। কারণ ভাবে
প্রাকৃতিক পরিমাণে চিনি থাকে। যারা ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা করতে পারে। তাই
সতর্কভাবে ডাবর পানি খাবেন ডায়াবেটিস রোগীরা। মূলত ভরা পেটে ডাবের পানি খেলে
আপনি এই উপকার গুলো পাবেন।
প্রতিদিন ডাব খেলে কি হয় জেনে নিন
প্রতিদিন ডাব খেলে কি হয় জেনে নিন। আমরা এখন জানবো প্রতিদিন যদি আমরা ডাব খাই
সেক্ষেত্রে কি হবে। মানে আমরা কি কোন শরীরের উন্নতি পাবো সে বিষয়ে জানব।
অবশ্যই প্রতিদিন যদি আমরা ডাব খাই তাহলে আমরা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে
উপকারিতা পেতে পারি। এজন্য আমাদের প্রতিদিন ডাবের পানি পান করা লাগবে।
আর শরীরের যদি লবণের ঘাটতি থাকে। মিনারেলস এর ঘাটতি থাকে ক্লান্তি বোধ করেন
এছাড়াও সমস্যা রয়েছে যেগুলো পুরোটা ভালোভাবে পড়লে জানতে পারবেন। এই
সমস্যাগুলো আপনি সমাধান পাবেন। অর্থাৎ এই সমস্যাগুলো থেকে আপনি মুক্তি পাবে।ডাব
আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। প্রতিদিন ডাব খাওয়ার
উপকার।
শরীরে হাইড্রেট থাকে ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ। যা আপনার
আমাদের শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে। আমাদের শরীরে কিন্তু একপ্রকার পানি
রয়েছে যেগুলো যদি না থাকে তাহলে আমরা সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারব না। এই পানির
ঘাটতিটা আপনি যদি প্রতিনিয়ত কিংবা প্রতিদিন ডাব খেয়ে থাকেন ডাবের পানি খেয়ে
থাকেন এ সমস্যার সমাধান হবে।
ও এছাড়া প্রতিদিন ডাব খাওয়া যে উপকার পাবেন আপনার শরীরের এনার্জি বাড়াবে।
প্রাকৃতিকভাবে আপনার শরীরের শর্করা শক্তি যোগাবে। আপনার কিডনি সুস্থ রাখবে।
আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলবে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবে। এতগুলো উপকার
তাহলে খাচ্ছেন না কেন প্রতিনিয়ত ডাব। প্রতিনিয়ত ডাব খান আর আপনাদের
সমস্যাগুলোর সমাধান করুন।
ডাবের পানির অপকারিতা কিছু ক্ষতিকর দিক
ডাবের পানির অপকারিতা কিছু ক্ষতিকর দিক। আমরা সবাই জানি একটি জিনিসের ভালো
দিক থাকলে কিছু খারাপ দিক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি নিজেরটাই চিন্তা করে
দেখেন যে আপনি ফুটবল খেলতে জানেন আপনি ক্রিকেট খেলতে জানেন আপনাকে যদি বলা
হয় আপনি দাবা খেলেন পারবেন। আপনি কি সব খেলা খেলতে পারবেন পারবেন না।
আপনার যেহেতু কিছু না পারা দিক রয়েছে ডাবেরও কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
তবে এগুলো নিয়মমাফিক ভাবে মেনে চললে এ ক্ষতিগুলো আর হবে না। কি সেই ক্ষতিকর
দিকগুলো প্রথমত যারা ডায়াবেটিস রোগী। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডাবের
পানি খুব নিয়ন্তান্ত্রিকভাবে খেতে হবে। আমরা যারা সুস্থ তারা কিন্তু এত
নিয়ম মানি না।
আরো পড়ুনঃ
ক্যালসিয়ামযুক্ত ফল খাবারের তালিকা
যারা ডায়াবেটিস রোগী তাদের খুব কম পরিমাণে খেতে হবে। কারণ ডাবের পানিতে
রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি এই চিনিটা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর। আপনি
প্রতিদিন নিয়মের বাইরে খেলে আপনার পেট ফেটে যেতে পারে। এটা শুধু
ডায়াবেটিস রোগী না আমরা সুস্থ মানুষরাও এই নিয়মটা মেনে খাবো। আমরা ডাব
অতিরিক্ত ভাবে বেশি খাব না এতে পেট ফেপে যেতেপারে।
এলার্জি রোগীদের ক্ষেত্রে ডাব কিংবা ডাবের শ্বাস অথবা ডাবের পানি খেলে
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত। ঠান্ডার ঝুঁকি হতে পারে ডাব সাধারণত
একটি পানি জাতীয় জিনিস যেটা খেলে আপনি ঠান্ডা লাগতে পারে। মূলত এই কয়েকটি
সমস্যা হতে পারে তবে এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেনে খাবেন আপনার
সমস্যা হবে না।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকার
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকার। অনেকে মনে করে থাকে গর্ব অবস্থায় কি ডাবের
পানি খাওয়া যাবে। ডাবর পানি খেলে কি পেটে সমস্যা হবে না। আবার অনেকেই মনে
করে থাকে ডাবের পানি খেলে যদি ঠান্ডা লেগে যায় সে ক্ষেত্রে বাচ্চার যদি কোন
সমস্যা হয়। প্রথমে ক্লিয়ার করে দেই গর্ভাবস্থায় ডাব কিংবা ডাবের পানি খেলে
আপনার উপকার হবে বিস্তারিত ভাবে জানুন।
আমরা প্রথমেই জানবো গর্ভাবস্থায় আমাদের কি কি প্রয়োজনীয় পড়ে। মূলত প্রথমে
গর্ব অবস্থায় আমরা যখন থাকি আমাদের প্রয়োজন পড়ে আমরা না মহিলাদের
ক্ষেত্রে বলছি আমাদের মা-বোনদের ক্ষেত্রে বলছি। প্রচুর পরিমাণে
মিনারেলসের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি গর্ব অবস্থায় ডাবের পানি খেয়ে থাকেন
ডাবে যেহেতু মিনারেলস রয়েছে। আপনার মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হবে।
ডাক যেহেতু একটি ফল তো প্রেগনেন্সিতে নরমালি দুই থেকে তিন রকমের ফল আমরা খেতে
বলি। কালারফুল ফল রাখতে বলা হয় গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্য তালিকা। এখানে অনেক
বেশি মায়েদের ক্ষেত্রে ভিটামিনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। একটা জিনিস মনে রাখবেন
ডাবের পানি হল ফুল অফ ইলেকট্রোলাইট। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাবেন।
সোডিয়ামের মাত্রাটা একটু কম থাকে। মায়ের পেশারটাকে স্বাভাবিক রাখে।
তাই বেশি বড় না করে ক্লিয়ার করে জেনে নিন প্রেগনেন্সি অবস্থায় অর্থাৎ
গর্ব অবস্থায় সপ্তাহে একদিন থেকে তিন দিন ডাবের পানি খাওয়ার চেষ্টা
করবেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। তাহলে আপনি সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন।
তাই গর্ব অবস্থায় খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
রাতে ডাবের পানি খেলে কি হয় জেনে নিন
রাতে ডাবের পানি খেলে কি হয় জেনে নিন। আমরা সাধারণত ডাবের পানি খুব গরম
পড়লে। কিংবা দিনের বেলায় যখন অতিরিক্ত তাপমাত্রা যায় সে ক্ষেত্রে আমরা
স্যালাইন কিংবা ডাবের পানি বিশেষ করে খেয়ে থাকি। কারণ আমরা যে উপকারটা পাই
সেটা হল আমাদের শরীরের লবণের মাত্রা পূরণ করে এবং ক্লান্তি বোধ দূর করে।
আপনারা কি জানেন রাতে যদি আপনি ডাবের পানি খান সেক্ষেত্রে কি উপকার পাবেন।
হয়তো জানেন না কিংবা হয়তো অনেকেই জানেন যারা জানেন না তারা ভালোভাবে
মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে সোডিয়াম ও
ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ। এসব উপকারগুলো থাকার
কারণে অবশ্যই এটা দের জন্য উপকারী।
অনেকেরই বমি হয় কারণ অতিরিক্ত তাপমাত্রা পড়লে বমি হয় অনেকেরই। আপনি যদি
রাতের বেলা সপ্তাহে তিন দিন করে খান তবে আপনার এই সমস্যার সমাধান হবে। ও
রাতের বেলা ডাবের পানি খেয়ে আরামসে একটা ঘুম দিবেন আপনার শরীরের কষ্ট
কাঠিন্যের সমস্যা সমাধান হবে। তাই বেশি কিছু না প্রতিদিন রাতের বেলা
সপ্তাহে ডাবের পানি খাবেন তিন দিন।
গ্যাস্ট্রিকের জন্য ডাবের পানির সমস্যার সমাধান
গ্যাস্ট্রিকের জন্য ডাবের পানির সমস্যার সমাধান। অনেকেরই গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা থাকে পেট জ্বালাপোড়া গ্যাস্ট্রিকের জন্য অনেক বড় ধরনের রোগ সৃষ্টি
হয়। ধরেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আপনি কি করবেন। প্রাকৃতিক কোন উপায়ে
আপনি কি এটি সমস্যা সমাধান করতে চাচ্ছেন।
ডাব আপনার পেটের অম্বল এবং এসিডিটি কমাবে। এবং পাকস্থলীতে একটি শীতল প্রভাব
ফেলে যা গ্যাস্ট্রিকের এসিডের সমস্যা সমাধান করে। ডাবের পানিতে একটি এনজাইম
রয়েছে যা আপনার হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। এবং গ্যাস্ট্রিকের কারণে হওয়া
পেটের গ্যাস এর সমস্যার সমাধান করে।
আরো পড়ুনঃ
খেজুর খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা
অনেকেরই পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। কারো ভাজাপোড়া এবং অন্যান্য
খাবারের কারণে এ সমস্ত সমস্যা হয়ে থাকে। আবার কারো এটি একটি রোগী পরিণত
হয়। যাই হোক আপনাদের যদি কোন কারো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে
আপনারা প্রতিনিয়ত ডাবের পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি আপনাদের গ্যাসের
সমস্যা আর থাকবেনা।
ডাবের শাঁসের উপকারিতা কি জেনে নিন
ডাবের শাঁসের উপকারিতা কি জেনে নিন আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পুনরায় পড়ে
থাকেন অবশ্যই আপনি জানতে পারবেন ডাবের কি কি গুনাগুন রয়েছে। ডাবের অসংখ্য
গুনহার রয়েছে ডাবের পানি যেমন ত্বকের স্কিন গ্লো করতে সাহায্য করে। তেমনি
ডাবের শ্বাস আমাদের শরীরের বেশ কয়েকটি ভাবে উপকার করে।
অনেকেই আছে যারা ডাবের জলটুকু খেয়ে, কিংবা ডাবের পানিটা খেয়ে ডাবটি
ফেলে দেয়। এই ডাবের ভিতরে একটি নরম দুধ তুলে শাঁস থাকে এই শ্বাসটাকে
অনেকেই মালাইও বলে থাকে। এটি তেমন কাজের নয় বলে অনেকেই ফেলে দেয়। তবে
সত্যিটা জানো এবং ডাবের সেই শাস টি না ফেলে দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন
আপনার শরীরের উপকার পাবেন।
ডাবের শ্বাস পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম ডাবের সঙ্গে রয়েছে ৩৫৪ গ্রাম
ক্যালোরি। এ প্রায় ৩৩ গ্রাম ফ্যাট ২০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম ৩৫৬ মিল গ্রাম
পটাশিয়াম তিন গ্রাম রয়েছে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এছাড়া ভিটামিন
সি ও রয়েছে। ও এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম,
ভিটামিন এবার জানি ডাবের শাঁস খেলেকি হয়ঃ
- আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে
- আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর করবে
- ত্বককে সুন্দর রাখবে
- ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখবে
- দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখবে
মূলত ডাবের পানি খেলে যে যে উপকার গুলো হয় সেম ডাবের শাঁস খেলেও ওই উপকার
গুলো হয়ে থাকে। তাই আপনারা ডাবের শ্বাসটিকেঅবহেলিত না মনে করে সেটিকে
খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনাদের শরীরের বেশ কয়েকটি উপকার দেখতে পাবেন।
ডাব এবং ডাবের পানিতে কি কিং পুষ্টিগুণ রয়েছে
ডাব এবং ডাবের পানিতে কি কিং পুষ্টিগুণ রয়েছে। ডাব এবং ডাবের পানি বিভিন্ন
পুষ্টিতে ভরপুর। দাঁত এবং ডাবের পানি খেলে আমরা শরীরের অনেক উপকার পাব।
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ডাবের
পানিতে থাকে যে যে ভিটামিন গুলো রয়েছে তা হলোঃ
ভিটামিন সি ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এমনকি ত্বকের জন্য ভিটামিন সি প্রচুর
ভূমিকা রাখে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন বি থিয়ামিন স্নায়ুতন্ত্রের
কার্যকর উন্নত করে। এছাড়াও ভিটামিন বি টু রিবো প্লাবিন আমাদের শরীরের
শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে।
ও এছাড়া কোষের বিকাশ ও বিপাকীয় প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণভাবে কাজ করে।
অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে যেমন পটাশিয়াম শরীরে তরল ভারসাম্য বজায় রাখে।
এছাড়াও রয়েছে সোডিয়াম ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে। রয়েছে
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম জাহার মজবুত করে এবং মাংসপেশিতে শক্তি যোগায়।
ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর কার্যকর।
ডাবের উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের শেষ কথা
ডাবের উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের শেষ কথা। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর
ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ যা এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডাবের পানির
উপকার সম্পর্কে বিস্তারিত হবে ধারণা পাবেন।
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই অন্যদের মাঝে
শেয়ার করবেন। এবং দৈনিক এসব বিষয়ে আপডেট পাওয়ার জন্য এই আর্টিকেলটি
প্রতিনিয়ত ভিজিট করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন রিপ্লাই
দেওয়ার চেষ্টা করবেন ইনশাল্লাহ! ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url