গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়। বর্তমানে ম্যাক্সিমাম মানুষেরই এখন
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। এটি একটি বড় সমস্যা পেট জ্বালাপোড়া করা এসিডি
টি সবমিলিয়ে বড় সমস্যা।
এই গ্যাসের সমস্যা থেকে বড় বড় রোগ হয়। এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে অনেকেই ডিপ্রেশনে পড়ে। আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃগ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়। আমরা এই আর্টিকেলে আমাদের পেটের
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আপনাদের মূলত যদি গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে এই আর্টিকেলে আপনি কিভাবে গ্যাস্ট্রিক বা
আপনার পেটের গ্যাস ভালো করবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এই আর্টিকেলে দেওয়া
থাকবে।
এছাড়াও এই আর্টিকেলে আরো যে ৮ টি উপায়ে আপনি আপনার পেটের গ্যাসটিক বা
এসিডিটি ভালো করতে পারবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি
এগুলো মেনে চললে আপনারও পেটের গ্যাসটি ভালো হয়ে যাবে।
এবার আসি আপনার পেটের সমস্যা হলে আপনি ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে আপনার পেটের সমস্যা
সমাধান করতে পারেন। প্রথমত আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি
কি ধরনের সমস্যায় ভুগবেন। মূলত প্রথমে আপনার গলা বুক যন্ত্রণা করবে জ্বালাপোড়া
করবে। এরপরে আপনার পেট ফাঁপা লাগবে। মুখ একটু টক টক লাগে বমি আসে।
মূলত এ ধরনের সমস্যা গুলো আমরা সবাই ফেস করে থাকি। এ ধরনের সমস্যাগুলো আমরা ওষুধ
না খেয়েও ঘরোয়া উপায়ে ভালো করতে পারি। আমি সংক্ষেপে পাঁচটি ঘরোয়া উপায় এর
তালিকা নিচে দিয়ে দিলাম এগুলো আপনারা বিস্তারিতভাবে পড়ে নিবেন।
আদাঃ আদা প্রাকৃতিক ইনফলোমেটরি যা আপনার হজমের সাহায্য করবে।
পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতা মূলত হজমের কাজ করে থাকে। এক গ্লাস পানিতে পুদিনা
পাতা মিশিয়ে খান সেটা সেদ্ধ করে।
আপনি জিরার পানি খেতে পারেন জিরা পানি হজমকে খুব ইজি করে দেয়। সে ক্ষেত্রে
আপনি হালকা কুসুম গরম পানি করে সেই পানিতে জিরা গুলো দিয়ে সে পানিগুলো খেতে
পারেন।
ভারি বা তেল মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা। ছোট ছোট পরিমাণে খাবার খাবেন। এভাবে
খেলে আপনার শরীরের হজম বৃদ্ধি পাবে।
সব শেষ ঘরোয়া উপায়টি হলো প্রতিদিন বেশি বেশি পানি পান করা। প্রতিদিন একটি
মানুষের ৪ লিটার পানি পান করতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করলে গ্যাস্ট্রিকের
প্রবলেম হয় না।
গ্যাসের সমস্যা হলে করণীয় কি
গ্যাসের সমস্যা হলে করণীয় কি গ্যাসের সমস্যায় প্রায় সবাই পড়ে। কেউ বেশি বেশি
খাবার খাওয়ার কারণে। খাবারগুলো হল তেলযুক্ত খাবার যেগুলোতে প্রচুর সেচুরিটি
ফ্যাট রয়েছে। সেই খাবারগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার জন্য আমাদের গ্যাসের
প্রবলেম হয়ে থাকে।
আবার অতিরিক্ত ভাবে ভাজাপোড়া খাওয়ার জন্য গ্যাসের প্রবলেম দেখা দেয়। এই
ভাজাপোড়া গুলো পেটের ভিতরে গিয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন
ধরনের ভাজাপোড়া খাদ্য রয়েছে এই খাদ্যগুলোতে প্রচুর পরিমাণে তেল ব্যবহার
করা হয়। আপনি ভাজাপোড়ার দিক থেকে কোন কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন তা হলোঃ
চপ
পিয়াজু
বেগুনি
চানাচুর
ইত্যাদি
মূলত এই খাবারগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে অনিয়মভাবে খাওয়ার জন্য অনেকেরই হঠাৎ
গ্যাসের প্রবলেম দেখা দেয়। আপনার যদি গ্যাসের প্রবলেম হয় সে ক্ষেত্রে আপনি
প্রথমেই বেশি বেশি করে পানি খাবেন। তারপরে আপনি পুদিনা পাতা গরম পানির সঙ্গে
মিশিয়ে খাবেন। আপনি আদা এবং গরম জল একসঙ্গে খেয়ে নিবেন।
মূলত আপনার গ্যাসের প্রবলেম হলে আপনি এই কাজগুলো করবেন। সবচাইতে যে কাজটিতে বেশি
ফোকাস দিবেন তা হল ভাজাপোড়া খাওয়া বাদ দিয়ে দিবেন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে
অতিরিক্ত পানি খাবেন। আশা করা যায় আপনার গ্যাসের সমস্যার সমাধান হবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কি খাওয়া উচিত। মূলত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে আমরা যে
ধরনের সমস্যাগুলো ফেস করে থাকি। আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় আপনি বিশেষ
করে এই লক্ষণগুলো দেখবেন। যে আপনার বমি ভাব হচ্ছে কিনা আপনার বুক এবং পেট
জ্বালাপোড়া করছে কিনা। পেট ফেঁপে ফুলে গেছে কিনা।
মূলত এই ধরনের সমস্যাগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে বুঝবেন আপনার পেটে গ্যাস্ট্রিক
কিংবা যেটাকে এসিডিটি বলা হয় সেই সমস্যাটি হয়েছে। মূলত এ ধরনের সমস্যাগুলো হলে
আমরা বিভিন্নভাবে সমাধান করতে পারি। সেটি খাবারের মাধ্যমে কি কি খাবারের মাধ্যমে
আমরা আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করতে পারি। চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আপনাকে প্রথমত পানি বেশি পরিমাণে খেতে হবে
অতিরিক্তভাবে তেলেভাজা খাবার খাওয়া যাবেনা
বেশি ঝাল জাতীয় জিনিস খাওয়া যাবেনা
আপনার গ্যাসের সমস্যা হলে কালোজিরা খেতে পারেন
অঙ্কুরিত সবজি নিয়মিত খান
আবা এবং গরম পানি মিশ্রণ করে খান
মূলত আপনার পেটে এসিডিটি কিংবা গ্যাসটিকের সমস্যা হলে আপনারা এ খাবারগুলো খাবেন।
এখানে মূলত কয়েকটা খাবার কে এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে। সেগুলো
মেনে চলবেন। অঙ্কুরিত খাবার সম্পর্কে বলা হয়েছে সেটি হল ছোলা বুট মসুর
ডাল। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা পেটের মধ্যে গ্যাস জমা হতে বাধা
দেয়।
গ্যাসের সমস্যার জন্য চিয়া সিডের উপকার
গ্যাসের সমস্যার জন্য চিয়া সিডের উপকার। অনেকের প্রশ্ন থাকে প্রতিনিয়তিয়া সিট
খেলে কোন সমস্যা হবে কিনা। উত্তর হবে না কারণ সি এসিড যেহেতু ফাইবার সমৃদ্ধ
খাবার। এটি মূলত অনেকেই পানির সঙ্গে খায় আবার অনেকেই দুধের সঙ্গে খেয়ে
থাকে।চিয়া সিড এর
কার্যকারিতা অনেক বেশি।
চিয়া সিড এ রয়েছে ফাইবার রিচ এন্টিঅক্সিডেন্ট ওমেগা থ্রি বহন করে থাকে তাই
এটি প্রতিদিন পরিমাণ মতো খেলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকার আসবে সে
ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান হবে। এমন কি চিয়া সিড আপনার শরীরের আরও উপকার করে থাকে।
অর্থাৎ আপনি এটি এক চা চামচ প্রতিদিন আপনি আপনার খাবারের সঙ্গে নিতে পারেন।
এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় কুসুম গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ চিয়া সিড ঢেলে দিয়ে একটু নাড়া দিয়ে খাওয়া যায়। আবার এগুলো দুধের সঙ্গেও
খাওয়া যায়। গ্যাস্ট্রিক কিংবা অ্যাসিডিটি আলসার সমস্যা থাকলে আপনি
এগুলো প্রতিদিন খাবেন আশা করি ভালো হবে।
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ
পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ। আমাদের পেটে গ্যাসের ব্যাথা হলে কি ওষুধ
সাধারণত আমরা খেতে পারি। যেটা খেলে আমাদের শরীর আরামদায়ক হয় আমরা আমাদের
পেটকে আরাম দিতে পারি। পেটে গ্যাসের ব্যথা হলে কিংবা গ্যাস হলে অনেক
ধরনের ওষুধ রয়েছে যেই ওষুধগুলো সেবন করে আমরা পেটে গ্যাসের ব্যথা কিংবা
গ্যাস এসিডিটি ভালো হতে পারি।
তবে একটি বিষয় সতর্কতা যদি আপনার এই পেটে গ্যাসের ব্যথা কিংবা গ্যাস লং
টাইম হয়ে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে জরুরিভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আপনাদের পেটে গ্যাস এবং গ্যাসের ব্যথা হলে যে যে
ওষুধগুলো সেবন করবে সে ওষুধগুলো তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
অ্যান্টাসিড ট্যাবলেটঃ এই ট্যাবলেট মূলত পেটের এসিড কমাতে
সাহায্য করে থাকে। যা গ্যাসের ব্যথা থেকে আরাম দিতে পারে।
ডোমেইন ট্যাবলেটঃ সাধারণত এই ট্যাবলেটটি পেটের গ্যাসটিক এবং
পেট ফাঁপা বমি সঙ্গে পেটের ব্যথার রোগের সমস্যা সমাধান করে থাকে।
ইনোঃ একটি স্লাইন যুক্ত ওষুধ হচ্ছে ইনো। এ খাবারটি মূলত পানিতে
মিশিয়ে খেতে হয়। আপনি যদি স্যালাইন চিনে থাকেন তাহলে স্যালাইন
যেভাবে পানিতে মিশিয়ে খেতে হয় সেভাবে এটি খেতে হবে। সেক্ষেত্রে দেখবেন
পাঁচ মিনিটের মধ্যে আপনার পেটের গ্যাস এসিডিটি দূর হয়ে গেছে।
ওমে প্লাজল , ইসমে প্লাজোল, রবি প্লাজল মূলত এই ট্যাবলেটগুলো
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করে থাকে। আমাদের নরমাল ভাবে পেটে গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা দেখা দিলে আমরা এই ট্যাবলেট গুলো সেবন করে থাকি। এগুলো সাধারণত ভালো
কোন ধরনের ইফেক্ট নাই। আপনারা আপনাদের পেটের এসিডিটি দূর করার জন্য
এই ট্যাবলেট গুলো সেবন করতে পারেন।
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ব্যায়াম
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ব্যায়াম। আমরা হয়তো জানি না আমাদের শরীরের গ্যাসের
সমস্যা সমাধান করার জন্য ব্যায়াম করা প্রয়োজন। অনেকে হয়তো অবাক হচ্ছেন পেটে
গ্যাসের ব্যথা কিংবা গ্যাস এসিডিটি কমানোর জন্য প্রতিদিন কেন ব্যায়াম করা
লাগবে। কারণ ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ অর্গানকে সুস্থ
রাখে।
সেক্ষেত্রে আমাদের পেটের ভেতরেও কোন ধরনের এসিডিটি কিংবা এসিড জমতে পারে না।
আসুন আমরা জানি কিভাবে ব্যায়াম করলে কোন নিয়মে ব্যায়াম করলে আমাদের পেটের
গ্যাসের সমস্যা দূর হবে। অবশ্যই এই ব্যায়ামের কিছু নিয়ম রয়েছে। যে নিয়ম
গুলো মেনে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন।
হাটাহাটিঃ খাওয়ার পর প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট হালকা হাটাহাটি
করবেন। এতে করে আপনার হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে গ্যাস জমা হওয়ার
সম্ভাবনা থাকবে না।
পবনমুক্তাসনঃ এই আসনটি বিশেষভাবে গ্যাসের সমস্যা সমাধান করে থাকে।
কিভাবে এই আসন গুলো মেনে চলবেন এর নিয়ম কি?
মেঝেতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন
একটু হাঁটু বুকের দিকে আনুন এবং হাত ধরে রাখুন
ছেড়ে অন্য পাট আনবেন এবং বুকের সঙ্গে মিলিয়ে রাখবেন।
কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখবেন তারপর ধীরে ধীরে ছেড়ে দিবেন।
৫ থেকে ১০ বার পুনরাবৃত্তি ভাবে করতে পারেন
টুইস্টিংঃপাশের দিকে দেহো মসড়ানো। পেটের ব্যায়াম হিসেবে খুবই
কার্যকরী। এটি যেভাবে করবেন তা হলোঃ চেয়ারে বা মেঝেতে সোজা হয়ে বসুন, ডান
দিকে মোছুর দিন এবং কিছুক্ষণ পরে বাম দিকে মোছর দিন।
কাঁধে পা তুলে আনাঃ এই ব্যায়ামটি করলে মূলত পেটের মাংসপেশি
শক্তিশালী করে তোলে এবং গ্যাসের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। এই
ব্যায়ামগুলো করবেন কিভাবে? প্রথমত মেঝেতে চিত হয়ে শুয়ে পড়তে হবে, ধীরে
ধীরে দুই পা একসঙ্গে তুলুন, কয়েক সেকেন্ড ধরে উপর রাখবেন তারপরে ধীরে ধীরে
নামিয়ে নিবেন।
আপনাদের পেটের গ্যাসের সমস্যা সমাধান করার জন্য এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করবেন।
এতে করে আপনার পেটের সমস্যা কমে আসবে। তবে একটি জিনিস বারবার খেয়াল করিয়ে
দেওয়ার চেষ্টা করি সেটি হলো। আপনার পেটের ব্যাথা অতিরিক্ত ভাবে বেশি হলে জরুরি
ভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করবেন।
পেটের গ্যাস ভালো করার জন্য শসা খান
পেটের গ্যাস ভালো করার জন্য শসা খান। শসা হচ্ছে একটি পুষ্টিকর খাদ্য এবং হালকা
সবজিও বলতে পারেন। যা গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে বেশ কয়েকটি
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী।
শ্শায় যে ধরনের ভিটামিন থাকে। ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফাইবার,
পটাশিয়াম, শসা গ্যাসের জন্য যেভাবে উপকার করে তা হলোঃ প্রাকৃতিকভাবে জলীয়
উৎপাদন করে। কারণ শসার প্রায় ৯৫ %পানি রয়েছে। এনজায়িম ও এন্টিঅক্সিডেন্ট
রয়েছে যা হজমের সাহায্য করে।
সসা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে
এবং আমাদের পেটের গ্যাস কমিয়ে আনে। সাধারণত শসা কাঁচায় খেলে বা সালাতে ব্যবহার
করে যদ।খান সেক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাবেন। তবে আপনার যদি গ্যাস্ট্রিক দীর্ঘ
সময় ধরে থাকে বেশি পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে
চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য ড্রাগন ফলের উপকার
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য ড্রাগন ফলের উপকার। আমরা এই উপরোক্ত অংশে গ্যাসের
সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আরো জেনেছি পেটে গ্যাসের
ব্যথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কে। মূলত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মতামতের
প্রেক্ষাপটে প্রায় সবারই হয়ে থাকে।
কারণ বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যে খাবার গুলো আপনি খেলে গ্যাসের
পরিমাণ অতিরিক্তভাবে বেড়ে যায়। আরে অতিরিক্ত ভাবে বেড়ে গেলে আমরা একটি ফল
খাবো সেটি হল ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিরাময়ের সাহায্যে
করতে পারে এর কিছু উপকারিতা হলোঃ
ফাইবার সমৃদ্ধঃ ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজম প্রক্রিয়াকে
বৃদ্ধি করে। প্রক্রিয়াটিক উপাদান। ড্রাগন ফলে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান রয়েছে
যার নাম হল প্রবায়োটিক পেটের উপকারের জন্য ব্যাকটেরিয়া পরিমাণ বাড়ায়। ড্রাগন
ফলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এমনকি জলীয় উপদান রয়েছে।
প্রাকৃতিক শর্করা ড্রাগন ফলের প্রকৃতিক ভাবে রয়েছে যা পাকস্থলীর অ্যাসিড
নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই এই গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য
আপনারা ড্রাগন ফল আপনাদের খাদ্য তালিকায় সপ্তাহে তিন দিন রাখবেন। আশা করা যায়
আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান হবে।
গ্যাসের সমস্যা থেকে যে ধরনের রোগ হতে পারে
গ্যাসের সমস্যা থেকে যে ধরনের রোগ হতে পারে। আমাদের কিছু ভুলের জন্য আমরা
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় পড়ি আর এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বিশাল বড় রোগ
হয়ে যায়। যে রোগটা আমাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কি কি রোগ গুলো হতে
পারে গ্যাস্ট্রিক কিংবা এসিডিটি থেকে।
প্রথমে আপনাকে জানতে হবে গ্যাস্ট্রিক কেন হয়। মূলত ভাজাপোড়া ধরনের খাবার
যদি খেয়ে থাকেন তাহলে গ্যাস্টিক হয়ে থাকে। এটাকে অনেকেই এসিডিটি বা
আলসার বলে থাকে। মেডিকেল সাইন্টিফিক ডাক্তারের চিকিৎসা থেকে গ্যাসের
থেকে যে রোগ সৃষ্টি হয় তা নিচে দেওয়া হলোঃ
লিভারের সমস্যা
আলসার
গ্যাস্ট্রাইটিস
হেয়াটাল হার্নিয়া
এসো ফুজিয়াল ক্যান্সার
পাকস্থলীতে ইনফেকশন
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যদি লং টাইম ধরে হয়ে থাকে তাহলে এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা
থেকে এ ধরনের রোগ গুলো হয়ে থাকে। যে রোগ গুলো থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত
হয়ে যায়। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে অবহেলিত না করে দ্রুত ডাক্তারের
সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় আমাদের শেষ কথা
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় আমাদের শেষ কথা। মূলত আর্টিকেলে
গ্যাসের সমস্যা সমাধান করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় আলোচনা করা রয়েছে। যদি
আপনাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা এই উপায় গুলো ব্যবহার
করতে পারেন।
এমনকি যদি আপনাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি সময় ধরে হয়ে থাকে তাহলে
অবহেলিত না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি উপকৃত
হয় তাহলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। কিছু জানার থাকলে কমেন্টে
বলবেন। ভাল থাকবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url