গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি? এর ভালো এবং খারাপ দিকটা জানুন
গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি? এর ভালো এবং খারাপ দিকটা জানুন। গর্ব অবস্থায় প্রতিটি মেয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না?
পোস্ট সূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি
- গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি
- জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
- জলপাই এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানুন
- জলপাই খাওয়ার উপকারিতা ও ভালো দিক
- গর্ব অবস্থায় যেভাবে জলপাই খাবেন জলপাই খাওয়ার নিয়ম
- জলপাই এর অপকারিতা
- যেভাবে জলপাই সংরক্ষণ করবেন
- জলপাই আচারের উপকার এতে কোন ভিটামিন রয়েছে
- গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা
- গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি এ নিয়ে আমাদের শেষ কথা
গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি? জলপাই হলো একটি সিজনাল ফল। তবে সিজনাল ফল হলে কি হবে? এই ফলটি একবার খেলে সারা বছরের জন্য মানুষের মনকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। তাই অনেকেই এই জলপাইকে বিভিন্ন প্রকার আচার বানিয়ে সারা বছরের জন্য রেখে দেন। জলপাই রয়েছে নানা রকম উপাদান যেমন ভিটামিন মিনারেল অর্থাৎ খনিজ লবণ।
ওকে ছাড়াও রয়েছে ভেজোস উপাদান আয়রন কপার। ফেনোলিক উপাদান ফলিক এসিড বিভিন্ন
পুষ্টিগুণে ভরপুর হলো এই জলপাই। আসুন জেনে নিই গর্ব অবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে
কি যাবে না। অবশ্যই গর্ব অবস্থায় জলপাই খেলে যে যে উপকার গুলো পাবেন তা
হলো। জলপাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই
প্রয়োজন।
এটা সাধারণত তার ত্বক ও নবজাতক শিশুর ত্বক চুলের জন্য কাজ করে থাকে। গর্ব অবস্থায় আপনার দেহে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে আপনি জলপাই খেতে পারেন কারণ গর্ব অবস্থায় রক্ত চলাচলকে সচল রাখতে জলপাই খুব ভালোভাবে কাজ করে। জলপাই খেলে ক্ষতিকর লাইপ্রোটিনের পরিমাণ কমে। হৃদপিণ্ড ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
জলপাইয়ের খোসায় কি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়রিয়া ফাইবার আঁশ রয়েছে।
যা আপনার পাকস্থলীর বিভিন্ন অংশ যেমন বৃহ দান্ত, ক্ষুদ্রান্ত, ও পলনের
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই আঁশ খাবার সঠিকভাবে আপনার খাবার
সঠিকভাবে হজম করে। কারো জলপাই প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে আমরা একটা কথা সবাই জানি
কম বেশি যে আয়রন গর্ভকালীন সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে।
শরীরের আয়রনের অভাব হলে শরীরের অক্সিজেনের অভাব দেখা যায় ফলে শরীর দুর্বল
হয়ে পড়ে। আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রয়োজনীয়
পরিমাণ অক্সিজেন বহন করতে পারে না। গর্ভের শিশু অক্সিজেনের অভাবে পর্যাপ্ত খাদ্য
সরবরাহ না পেয়ে ব্রণটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই গর্ব অবস্থায় জলপাই খাওয়া
যাবে।
জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন। জলপাই বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত ফল। অনেক
আচার ওয়ালা জলপাইয়ের আচার করে নিয়ে এসে বিভিন্ন গ্রামে বিক্রি
করে বেড়ায়। কাঁচা জলপাই বেশ পুষ্টিকর প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। কাঁচা ফল
রান্না করে এবং আচার তৈরি করে খাওয়া হয়। এই জলপাই আচারের জন্য খুবই
দুর্দান্ত।
জলপাইয়ের আচার কিভাবে তৈরি করে? কাঁচা ফলগুলো প্রথমে কড়াতে সিদ্ধ করা হয়।
তারপরে তেল গরম করে বিভিন্ন মসলাপাতি দিয়ে তৈরি করে এই আচার। কিন্তু আপনি কি
জানেন কাঁচা জলপাই খাওয়ার পুষ্টিগুণ অনেক। প্রতিদিন যদি আপনি জলপাই খাওয়ার
অভ্যাস করেন আপনার শরীরে অনেক পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে ও আপনার স্বাস্থ্য ভালো
থাকবে।
জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। আঁশ নিয়মিত খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে পাশাপাশি পাকস্থলীতে কোলন ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে জলপাইয়ের তেল আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ১০০ গ্রাম জলপাই য়ে খাদ্য শক্তি ৭০ ক্যালরি।
- শর্করা ৯.৭
- ক্যালসিয়াম ৫৯ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম
জলপাই এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানুন
জলপাই এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানুন। জলপাই একটি জনপ্রিয় ফল তা আপনারা সবাই
জানেন। বিভিন্ন ধরনের হয় মূলত এর আকার রং ও সাজের ভিত্তিতে একটু আলাদা
হয়ে থাকে। এর বেশ কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে নিচে প্রকারভেদ গুলো উল্লেখ করা
হলো।
- সবুজ জলপাইঃ এটি পরিপক্ক হওয়ার আগে অবস্থা সাধারণ সবুজ থাকে তিতা ও সাধের হল এটি পুষ্টিগড় তেল উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে এই সবুজ জলপাই।
- কালো জলপাইঃ জলপাই পরিপক্ক হওয়ার পরেই জলপাইয়ের রং কালো হয়ে থাকে। এই জলপাই কালো রং ধারণ করে। এটি অধিকাংশর কাছেই প্রিয় এবং এটি বিভিন্ন খাদ্যের তৈরি হিসেবে ব্যবহার হয়। বিশেষ করে জলপাই আচারে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
- কাল মাতা জলপাইঃ এটি গ্রীষ্মের একটি জলপাই যা আকারে বড় এবং বেগুনি কালো রংয়ের হয়ে থাকে। এটি সাধারণত সালাত এবং অন্যান্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই জলপাইটি সাধারণত বাংলাদেশে খুব কমই পাওয়া যায়।
- গোডাল জলপাইঃ এই জল পার্টি বাংলাদেশের না এই জলপাইটি হলো স্পেনের উৎপন্ন সবুজ জলপাই। যা সাদৃপ্ত হল প্রায় স্নাক্স হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। জল কয়টি স্পেনের বিখ্যাত জলপাই। ও এছাড়াও স্পেনের আরো একটি জলপাই রয়েছে সেটি হল মান জামিলা জলপাই যা হালকা মিষ্টি তিক্ত স্বাদের জন্য পরিচিত।
ওকে ছাড়াও ইটালিয়ান জলপাই রয়েছে যার নাম হলো লিগুরি অঞ্চল পাই ইটালি একটি
বিশেষ ধরনের জলপাই যা আকারে ছোট এবং গাড়ো রঙের হয়ে থাকে। ইটালিয়ান জলপাই
সাধারণত তেলের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। জলপাইয়ের বিভিন্ন প্রকার ও খাদ্য তেলের
জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি অঞ্চল ভেদে এর আকার ও স্বাদের ভিন্ন হয়ে থাকে।
জলপাই খাওয়ার উপকারিতা ও ভালো দিক
জলপাই খাওয়ার উপকারিতা ও ভালো দিক। জলপাই হল বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল।
সাধারণত এটির আচার খেতে খুবই সুস্বাদু। জলপাই খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি
স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। পুষ্টিগুণের সম্পূর্ণ এই জলপাই।
আসুন আমরা জলপাই সম্পর্কে কিছু ভালো দিক এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
জলপাই খাওয়ার প্রথম উপকারিতা হলো এটি হিপ যন্ত্রের জন্য কিংবা এই যন্ত্রের
স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে। জলপাই রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট উপাদান যা
বিশেষত ম্যানু আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা আপনার শরীরের ভালো কোলের স্তর কে
বাড়িয়ে খারাপ কোলের স্টল কমাতে সাহায্য করে থাকে। এটি আপনার শরীরে রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ করবে এবং হার্টের ঝুঁকি কমাবে।
জলপাইয়ে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। জলপাইয়ের রয়েছে প্রতিফলন নামক একটি
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার দেহের কোষগুলোকে মুক্ত ও মৌলিক পদার্থের
ক্ষতিকর থেকে রক্ষা করবে। এটি আপনাকে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করবে।
ও এছাড়াও আরো যে উপকার গুলো করবে তা হলোঃ আপনার হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করবে,
হাড়ের জন্য উপকারী, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে, ব্যথা ও প্রদাহ
কমাতে সাহায্য করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী। জলপাই শুধু আপনার স্বাস্থ্যের
জন্যই নয় এর পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা জন্য অনেক ভালো এটি নিয়মিত খান
এবং সুস্থ থাকুন।
গর্ব অবস্থায় যেভাবে জলপাই খাবেন জলপাই খাওয়ার নিয়ম
গর্ব অবস্থায় যেভাবে জলপাই খাবেন জলপাই খাওয়ার নিয়ম। গর্ভাবস্থায় মানে
নানাদিক উপকারে ফল খাওয়া। আর সেই ফল ডিজিট হয়ে থাকে টক জাতীয় ফল তাহলে তো কোন
কথাই নেই। তবে জাতীয় ফলের মধ্যে সেই ফলটি যদি আবার হয়ে থাকে জলপাইয়ের
মত ফল। এবং এই ফলটি খেয়ে আপনি শিশুর পরিপূর্ণ পুষ্টি নিশ্চিত করতে
পারেন।
জলপাইটি খাবেন কিভাবে কিছু নিয়ম রয়েছে। গর্ভাবস্থায় অনেকেই আচার খেতে পছন্দ
করে। তাই আপনি যদি গর্ব অবস্থায় জলপাইয়ের আচার খান সেক্ষেত্রে আপনার মুখের
স্বাদবৃদ্ধি হবে। এমন কি আপনার শরীরের ভিটামিন এবং আপনার গর্ভের বাচ্চার ও পুষ্টি
চাহিদা পূরণ হবে।
এছাড়াও আপনি জলপাইকে সেদ্ধ করে লবণ মরিচ দিয়ে ভর্তা করে খেতে পারেন। পাতা করে
খেলেও আপনার শরীরের অনেক ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে বিশেষ করে আপনার
শরীরের ভিটামিন সি এর অভাবে ঘাটতি পূরণ হবে। গর্ভাবস্থায় অনেকেরই
কষ্ট কাঠিন্যর সমস্যা হয়ে থাকে। আপনি জলপাইয়ের খোসা খেয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য
এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারেন।
আপনি জলপাইয়ের তেল খেতে পারেন, জলপাই তেল শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী। এই জলবায়ু তেল আপনি আপনার তরকারির সঙ্গে খাবেন। এছাড়াও আরও একটি জলপাই খাওয়ার নিয়ম আপনি কাঁচা জলপাই হালকা একটু লবণ দিয়ে ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে খাবেন সে ক্ষেত্রে উপকার পাবেন। মূলত আপনি এই নিয়মে জলপাই খেলে আপনার শরীরের উপকারের পাবেন।
জলপাই এর অপকারিতা
জলপাই এর অপকারিতা জলবা একটি উপকারিতা ফল। এ ফলের অনেক গুনাগুন ওভিটামিন রয়েছে
এই গর্ব অবস্থায় জলপাই খেলে শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়। জলপাই অনেক পুষ্টি
জাতীয় ফল কিন্তু জলপাইয়ের কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
সবার জন্য জলপাই ক্ষতিকারক নয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে জলপাই ক্ষতিকারক হয়ে
ওঠে। যেমন যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চায় তাদের ক্ষেত্রে জলপাইয়ের অপকারিতা
বললেই বলা যায়। যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চায় তাদের ক্ষেত্রে বেশি বেশি জলপাই না
খাওয়াটাই ভালো।
কারণ বেশি বেশি জলপাই খেলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে না। বরঞ্চ আপনার শরীরের
ওজন কমে যাবে তবে একেবারে কমে যাবে তা নয়, নিয়মিতভাবে যে ওজনটি থাকে সেটি
থাকবে। এর সঙ্গে খালি পেটে খাবেন না এক্ষেত্রে পেটে সমস্যা করতে পারে। এছাড়াও
এলার্জির দিকটা বলি কিছু কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দিতে পারে।
তবে সব মানুষের জন্য নয় অনেক মানুষের জলপাই এলার্জি রয়েছে জলপাই তেলে সংবেদনশীলতা বা এলার্জি দেখা দিতে পারে। এতে ত্বকের সমস্যা ও শ্বাসকষ্ট এনার্জি লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অম্বল ভাবের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত চর্বির প্রভাব তাই জলপাই খাওয়ার আগে এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন থাকবেন।
যেভাবে জলপাই সংরক্ষণ করবেন
যেভাবে জলপাই সংরক্ষণ করবেন। জলপাই পুষ্টিগুনে ভরা একটি ফল। জলপাই শরীরের
জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। আপনারা যখন জলপাই খাবেন তার আগে জলপাইটা
পাবেন কোথায়। জলপাই তো আপনাদের সংরক্ষণ করা লাগবে। আপনারা কীভাবে জলপাই
সংরক্ষণ করবেন। এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
অবশ্যই আপনাকে বাজার থেকে জলপাই কিনে নেওয়া লাগবে। তারপরে একটি পাত্রে জলপাইগুড়ি রেখে সুন্দর মত পানি দিয়ে ধৌত করে নেওয়া লাগবে। আপনারা জলপাইগুড়ি সুন্দরভাবে ধুয়ে নিবেন। তারপর একটি পাত্রে সুন্দর করে জলপাইগুড়ি নিবেন। তারপর জলপাইয়ের মুখগুলো সুন্দর করে ছাল ছাড়িয়ে নিবেন ছুরি দিয়ে।
জলপাইগুড়ি দুই ভাবে সংরক্ষণ করবেন। প্রথম ভাবে আত্ম সংরক্ষণ করবেন মানে হালকা
করে মাঝেমধ্যে কেটে দিবেন। আরেকভাবে সংরক্ষণ করবেন কিছু কিছু জলপাই টুকরো টুকরো
করে নিবেন। যে জলপাইগুড়ি আসতে সংরক্ষণ করবেন সেগুলো একটি পলিব্যাগে নিবেন। আর
যেগুলো টুকরো টুকরো করে কাটবেন সেগুলো একটি পাত্রে নিবেন।
তারপর সেই পাত্রের সংরক্ষণ করা জলপরী গুলো নিজের মধ্যে রেখে দিবেন। আর যেগুলো
আস্ত জল পাই সেগুলো একটি ফাইবার ব্যাগে নিয়ে সংগ্রহ করতে পারবেন আপনি মূলত
এভাবে জলপাই সংগ্রহ করতে পারবেন তারপর এ জলপাইগুড়ি আচার করে খেতে পারবেন। মূলত
এভাবে আপনি জলপাই সংরক্ষণ করতে পারবেন।
জলপাই আচারের উপকার এতে কোন ভিটামিন রয়েছে
জলপাই আচারের উপকার এতে কোন ভিটামিন রয়েছে। জলপাই বাংলাদেশের একটি সুস্বাদু ফল।
এটি সাধারণত অনেক মানুষ আচারের মাধ্যমে খায় অনেকেই লবণ ঝালে চটকিয়ে খায়। জলপাই
এর উপকার বলতে জলপাই মানুষের শরীরে অনেক উপকার এনে দেয় যেমনঃ
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
- ক্লোরিস্টলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে
- ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে
- হৃদযন্ত্রের উপকারী
- ত্বকের যত্নে সহায়ক
- আরেক যত্নে উন্নত
- ক্যান্সারে ঝুঁকি কমায়
মূলত জলপাই এ ধরনের উপকার গুলো পাওয়া যায়। আপনি যদি এ ধরনের উপকার গুলো পেতে
চান তাহলে নিয়মিত ভাবে জলপাই খাওয়ার অভ্যাস করবেন। কিভাবে জলপাই খাবেন তা উপরে
আলোচনা করা হয়েছে। প্রশ্ন হল জলপাই কি কি ধরনের ভিটামিন থাকে জলপাই নানান ধরনের
ভিটামিন থাকে।
- ভিটামিন ই
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন সি
- ভিটামিন কে
এছাড়াও জলপাইয়ে কিছু পরিমাণ ভিটামিন বিও থেকে থাকে যা শক্তি উৎপাদনে সাহায্য
করে থাকে। এমনকি জলপাই আমাদের মস্তিষ্কে কার্যকর ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই
আপনাদের যদি এই ভিটামিন গুলো ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে আপনারা জলপাই খাবেন।
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা। গর্ভাবস্থায় অনেক কিছু খাওয়া যাবে আমার অনেক
কিছু খাওয়া যাবেনা। প্রশ্ন হল গর্ব অবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেনা। বিশেষ করে
মহিলারা গর্ভ অবস্থায় কি কি খাবেন না এটা খুবই সেনসিটিভ বিষয়। কারণ গর্ভকালীন
অবস্থায় একটু নিয়মমাফিক পাবে চলাফেরা করতে হয়।
কারণ আপনি যদি নিয়ম মত খাবার না খেয়ে থাকেন হয়তো আপনার সাথে পুষ্টির ঘাটতি
দেখা দিতে পারে। এমনকি আপনার পেটের বাচ্চার যেকোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই আপনি গর্ব অবস্থায় কি ধরনের খাবার খাবেন আর কি ধরনের খাবার খাবেন না এটার
লিস্ট নিচে দেওয়া হলোঃ
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবেঃ
- তাজা ফল
- আপেল
- কমলা
- কলা
- গাজর
- পালং শাক
- বিট
- মিষ্টি কুমড়ো
- ডাল মসুর ডাল
- ডিম
- দুধ
- মাংস ও মাছ
- বাদাম
- পূর্ণ শস্য
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি
- এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার
যে খাবারগুলো খাবেন না বা এড়িয়ে চলবেনঃ
- কাঁচা বা আদা সিদ্ধ মাছ মাংস
- অপরিষ্কার বা নিরাপদ খাবার
- অপরিষ্কার বা নিরাপদ পানি
- অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানিও যেমন কফি
- প্রক্রিয়া খাবার এবং ফাস্টফুড
- প্রক্রিয়াজাত মাংস
- অতিরিক্ত ক্যাফেইন
- অ্যালকোহল
- অতিরিক্ত ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার
- কাঁচা বা আধা সেদ্ধ ডিম
মূলত আপনি গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো খাবেন আর যে খাবার গুলো খাবেন না তার তালিকা
এই আর্টিকেলে দেওয়া হলো। আপনি নিয়মিত এই তালিকা অনুযায়ী খাবার খাবেন। আশা করা
যায় আপনার শরীরের কোন ধরনের সমস্যা হবে না। এখানে সম্পূর্ণ খাবারের তালিকা
বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি এ নিয়ে আমাদের শেষ কথা
গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া যাবে কি এ নিয়ে আমাদের শেষ কথা। জলপাই হলো একটি পুষ্টিকর ফল। প্রচুর গুনাগুন রয়েছে এই ফলে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানতেন না জলপাই খেলে কি হয় এর উপকার কতটুকু। আপনি যদি আর্টিকেলে ভালোভাবে পড়ে থাকেন অবশ্যই এর বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য জলপাই খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিয়মিত
জলপাই খাওয়ার অভ্যাস করবেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জুতো উপকৃত হয়ে থাকেন
অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। এরকম আপডেট পেতে দৈনিক আর্টিকেলটি ভিজিট করবেন
ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url