সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ২০ টি গুণ

সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ২০ টি গুণ। খেজুর আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। বিশেষ করে এই খেজুরটি ব্যবহার হয়ে থাকে রমজান মাসে। 
সকালে-খেজুর-খাওয়ার-উপকারিতা
রমজান মাসে একটু খেজুর দিয়ে রোজা খোলার নিয়ামত অনেক। এর বাইরেও আপনি প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার জন্য অনেক উপকারিতা পাবেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন এই আর্টিকেলে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারববেন।

পোষ্ট সূচি পত্রঃসকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ২০ টি গুণ

সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা হাজার বছর ধরে এই খেজুর নানা উপকারে লেগে আসে। এর বাইরেও মানুষের সাধের দিক থেকে মন কেড়ে নিয়েছে এই খেজুর। সুস্বাদু এই ফলটিতে রয়েছে নানা পুষ্টি ও গুনাগুন। এটাতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার খনিজ লবণ ও ভিটামিন।

খেজুর আপনি নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি খেজুর খেলে আপনার শরীরের ওজন বাড়বে। এটা অনেকেরই না জানান কারণ খেজুর শরীরের জন্য প্রচুর উপকার একটি ফল। যাদের পেটে সমস্যা বিভিন্ন ওয়েতে পেটের সমস্যায় ভুগছেন আর তাদের জন্য এই খেজুরের প্রচুর উপকার রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ শসার ২০ টি উপকার 

সকালে খালি পেটে আপনি যদি তিন থেকে চারটি খেজুর ধুয়ে নিয়ে খান সেক্ষেত্রে প্রচুর উপকার পাবেন। সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে আপনি কি কি উপকার গুলো পাবেন তা হলোঃ সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে শক্তি বৃদ্ধি খেজুরের প্রকৃত শর্করা থাকে। আর এ শর্করা শরীরের শক্তি যোগায় যার ফলে সকালে খেজুর খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও দিয়ে উপকার গুলো পাওয়া যায় ত হলোঃ
  • হজম বৃদ্ধি করে
  • ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
  • হাড়ের মজবুত
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
  • বিশেষ করে হার্টের জন্য উপকার।

তবে সাবধানতা দিক থেকে সাবধান করতে চাই। খেজুরে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি থাকে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে। তাদের খেজুর পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের চিনি থেকে দূরে থাকা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমাণ মতো খেজুর খাওয়া উচিত।

খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা। খেজুর একটি ক্যালোরি খাবার। এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন মিনারেল রয়েছে। এই ভিটামিনের মধ্যে রয়েছে রিবফ্লাবিন, থায়ামিন এবং ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে রয়েছে খেজুরের মধ্যে। এছাড়া মিনারেল স গুলোর মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।


খেজুর ভিজিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বিশেষ খেজুর ভিজিয়ে খেলে এটি সহজভাবে হজম হয়ে যায়। শরীরের দ্রুত পুষ্টি বাড়িয়ে তোলে। খেজুরের প্রাকৃতিক ভাবেই ফাইবার রয়েছে। এছাড়া রয়েছে আরও অনেক ধরনের গুনাগুন। আপনি খেজুর ভিজিয়ে খাবেন সে ক্ষেত্রে উপকার পাবেন। অনেকে দেখবেন খেজুর পানি দিয়ে হালকা ধুয়ে খায়।

খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকার গুলো হলোঃ
  • ত্বক ও চুলের জন্য প্রচুর উপকারী
  • দাঁতের জন্য উপকার
  • রক্তস্বল্পতা কমাতে সাহায্য করে
  • শরীরের শক্তি সরবরাহ করে
  • রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় এটা জানি
  • হজম শক্তি বাড়ায়
মূলত এই ধরনের সমস্যাগুলোতে আমরা প্রায় মানুষই পড়ি। আমরা প্রতিদিন যদি খেজুর ভিজিয়ে খাই সেক্ষেত্রে আমাদের এ ধরনের সমস্যাগুলো দেখে মুক্তি পাবো। কারণ রক্তস্বল্পতা এমন একটি রোগ যে রোগ থেকে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। ত্বক ও চুলের যত্ন আমরা সবাই নেই। হজম শক্তি অনেকেরই দুর্বল সেক্ষেত্রে আমরা খেজুর ভিজিয়ে খাব।

আজোয়া খেজুর এর উপকার

আজোয়া খেজুর এর উপকার টানা একটি মাস আজুয়া খেজুর খেলে আপনি আপনার শরীরের বড় একটি পরিবর্তন দেখতে পারবেন। খেজুর খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। আপনি নিয়ম অনুযায়ী যদি আদওয়া খেজুর খান সেক্ষেত্রে আপনার রোগ ব্যাধি হবে না।

ডাক্তারি পরামর্শে গবেষকরা গবেষণা করে পেয়েছে প্রতিদিন সকালবেলা যদি সাতটি করে আজোয়া খেজুর খাওয়া যায়। কিংবা আপনি যদি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি করে আজও খেজুর খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের অনেক রোগ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। যেমন আপনার পেটের গ্যাস্টিকের প্রবলেম দূর হবে।
সকালে-খেজুর-খাওয়ার-উপকারিতা
পুষ্টিগুণে অন্যান্য ফলের থেকে আজুয়া খেজুরের ক্যালরির পরিমাণ বেশি। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে প্রোটিন ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও একাধিক পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে। যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ আজওয়া খেজুরের উৎপত্তি হয়েছে সৌদি আরবের মদিনা থেকে। আযোওয়া খেজুরের অনেক গুন। 

খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন 

খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন আজয়া খেজুর কিংবা এমনি নরমাল খেজুর। যে খেজুরের কথাই বলেন না কেন সেগুলো যদি আপনি নিয়ম মেনে না খান সেক্ষেত্রে আপনি উপকারিতা ভালোভাবে পাবেন না। সব জিনিসেরই একটা নিয়ম রয়েছে সেই নিয়মের বাইরে গেলে সেটা বিপরীত পর্যন্ত হয়ে যায়।

আপনাকে পরিমাণ মতো খেজুর খেতে হবে। প্রতিদিন ৩ থেকে।৭ খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। খেজুরের প্রাকৃতিক ভাবে চিনি থাকে বেশি সেক্ষেত্রে যাদের সুগারের প্রবলেম আছে তারা কম পরিমাণে খেজুর খাবেন। এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্যও খেজুরের পরিমাণ কম ভাবে খাওয়া উচিত সে ক্ষেত্রে আপনি ২ খেজুর খেতে পারেন।


সকাল বেলা আপনাকে খালি পেটে খেজুর খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে সকালবেলা যদি আপনি খালি পেটে খেজুর খান আপনি খেজুরের উপকারটা বেশি পাবেন। কারণ এতে আপনার পেটের গ্যাসটি এমনকি কষ্টকাঠিন্য এমন কি আপনার শরীরকে এনার্জি দিতে সক্ষম হবে। 

খেজুর যদি শক্ত হয় সেক্ষেত্রে গরম জলে ভিজিয়ে খাবেন। এক্ষেত্রে শক্ত খেজুর গরম জলে ভিজিয়ে খেলে সেটা নরম হয়ে যায়। আর আপনার খেজুর খাওয়াও সহজ হয়। আপনি অন্যান্য খাবারের সঙ্গেও খেজুর বিষিয়ে খেতে পারেন যেমনঃ খেজুর মাখন, বাদাম বা দইয়ের সঙ্গে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে খেজুরের সাত বাড়ে এবং পুষ্টি গুনাগুন বৃদ্ধি হয়।

খেজুরে কি কি ভিটামিন থাকে

খেজুরে কি কি ভিটামিন থাকে খেজুরে অনেক ধরনের ভিটামিন থাকে। যে ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আপনি প্রতিনিয়ত খেজুর খেলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ওয়েট বাড়বে। আপনি যদি মনে করেন আপনার ওজন কম সে ক্ষেত্রে। আপনি খেজুর খেয়ে ওজন বাড়াতে পারবেন। অবশ্যই দুই মাসের মত খেতে হবে।

খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এঃ যা আমাদের চোখে স্বাস্থ্য এবং ত্বককে সুস্থ রাখে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স খেজুর রয়েছে। ভিটামিন বি থায়ামিন, রাই বপ্লাবিন, নায়াসিন, এবং প্রান্তথেনিক এসিড এইগুলো আমাদের শরীরের মেটাবলিজমের জন্য দরকার।

ফোলেট ভিটামিন বি৯ঃ গর্ভাবস্থায় ফোলেট গুরুত্বপূর্ণ। যা শিশুর বিকাশে ভালোভাবে সাহায্য করে। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন কে যা আমাদের শরীরের রক্ত জমাট বাধা হাড়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখে। খেজুরে আরো রয়েছে খনিস পদার্থ পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন ও থাকে। এগুলো আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারি।

খেজুর এবং শসা একসঙ্গে খাওয়ার উপকার 

খেজুর এবং শসা একসঙ্গে খাওয়ার উপকার। প্রথমে বলি শসা এবং খেজুর একসঙ্গে খেলে শারীরিক দুর্বলতা কমে যায়। যারা শারীরিকভাবে দুর্বল তারা খেজুরা শসা একসঙ্গে মিশ্রণ করে খেতে পারেন। আমরা জেনেছি খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। খেজুর মূলত পৃথিবীর সুস্বাদু ফল গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম ফল।

খেজুর আর শসা একসঙ্গে খেলে আপনার হার্ট এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে। যা আপনার ক্যান্সার রোগের প্রতিশোধক। ক্যান্সার রোগ হওয়া থেকে আপনাকে দূরত্ব রাখবে। এছাড়াও খেজুর এবং শশা একসঙ্গে খেলে আপনাদের ব্রেনশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

খেজুর এবং শসা একসঙ্গে খেলে হজমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে। কারণ আমরা সবাই জানি শসা আমাদের শরীরের হজম বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। সেক্ষেত্রে খেজুরও আমাদের শরীরের হজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা হজমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং শশায় রয়েছে হাইড্রিটিং এর এগুলো আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।


ত্বকের জন্য উপকারী খেজুর খেলে যেমন আমাদের ত্বকের মাধুর্যতা ফিরে আসে। ত্বক সৌন্দর্য বাড়ায় তেমনি শসা খেলে আমাদের শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। সেক্ষেত্রে দুইটা খাবার একসঙ্গে মিশ্রণ করে খেলে আমাদের পুষ্টিগুণ আরো দ্বিগুণ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও শসার হাইডিটিং ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে।

তবে সতর্কতার দিক থেকে একটি জিনিসই লক্ষ্য রাখবেন পরিমিত বজায় রেখে খাবেন। নিয়ম তান্ত্রিকভাবে খাবেন সেক্ষেত্রে আপনাদের শরীরের কোন সমস্যা হবে না। বিশেষত যদি আপনাদের ডায়াবেটিস থাকে সেক্ষেত্রে পরিমাণ মতো খাবেন তাহলে আপনাদের আর ডায়াবেটিস আক্রান্ত করতে পারবে না। 

দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে খাওয়ার উপকার

দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা। একটু আগে আমরা জেনেছি শসা এবং খেজুর একসঙ্গে মিশ্রণ করে খেলে কি উপকার পাওয়া যায়। খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি আমরা এ সম্পর্কেও জেনেছি। দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে খেলে কি উপকার পাওয়া যায়।

সাধারণত দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে খেলে। খেজুর খেলে আমরা যে উপকার গুলো পাই মূলত ওই উপকারগুলোই আসে। তবে একটু ক্ষেত্রে আলাদা হয় যেগুলো আমরা জানি না যে দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে যদি খায় সেক্ষেত্রে কি উপকার আসে। প্রথমেই ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ হয়। যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তারা দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে খাবেন।

দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যাদের হাড়ের সমস্যা তারা দুধ এবং এদের একসঙ্গে খাবেন সেক্ষেত্রে আপনাদের হৃদরোগের সমস্যা কমে যাবে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। কিভাবে আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায় এই দুই মিশ্রনে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।

এগুলো ছাড়াও দুধ এবং খেজুর একসঙ্গে খাওয়া শরীরের আয়রন ভিটামিন ডি এগুলো আমাদের শরীরে সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও আমাদের অ্যামাইনো এসিড সরবরাহ করে যার সামগ্রিক স্বার্থের জন্য উন্নতিতে সাহায্য করে থাকে। মূলত এই উপকার গুলো দুধএবং খেজুর একসঙ্গে খেলে পাওয়া যায়।

গর্ব অবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকার কি 

গর্ব অবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকার কি গর্ব অবস্থায় নারীদের খাদ্য তালিকায় অনেক পরিবর্তন আনা দরকার। এই সময় উচ্চপুষ্ট সম্পন্ন খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এবং বাজে খাবার থেকে দূরে থাকার জন্য চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়ে থাকে। এই সময়টাতে গর্ববতী মহিলাদের একটু সচেতন ভাবে চলাফেরা এবং খাওয়ার ডায়েট মেনে চলা উচিত।
সকালে-খেজুর-খাওয়ার-উপকারিতা
গর্ব অবস্থায় সুষ্ঠ সঠিকভাবে পুষ্টিকরখাবার খেলে একটি সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান ধারণ করে থাকে। তাই এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গর্ভবতী মায়েদের খাবারের তালিকা সঙ্গে ফল শাকসবজি আমি জাতীয় খাদ্য এর সঙ্গেও যে খাদ্যটি রাখবেন সেটি হল খেজুর। খেজুর গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার।

গর্ভবতী মহিলাদের খেজুর খেলে কি হয়। খেজুর একটি উচ্চ প্রোটিন ও ক্যালরি সম্পন্ন খাবার। এর মধ্যে রয়েছে ফলের অন্যান্য ভিটামিন যেমন পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়রন সমৃদ্ধ আরো ভিটামিন রয়েছে।যেগুলো গর্ভবতী মহিলাদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি করেন বিকাশ ঘটিয়ে থাকে। এছাড়াও যে যে উপকার গুলো পাওয়া যায় তা হলোঃ
  • প্রসবকে সহজ করে
  • রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ
  • হাড় এবং দাঁতের বিকাশে সহায়ক
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে
তবে গর্ব অবস্থায় খেজুর খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেজুর খেলে বেশি ভালো হয়। তাই আপনারা যারা গর্ভবতী মহিলা রয়েছে আপনারা গর্ব অবস্থায় দৈনিক সকালবেলা তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খেজুর খাবেন। তাহলে আপনাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।

খেজুর খেলে যে ২০ টি উপকার পাবেন 

খেজুর খেলে যে ২০ টি উপকার পাবেন। আমরা উপরোক্ত পাঠ্য অংশে জেনেছি খেজুরের গুনাগুন সম্পর্কে। খেজুরে কি কি ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায় তা এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমরা জানবো খেজুর খেলে যে ২০ উপকার পাওয়া যাবে। 

খেজুরে অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে বিভিন্ন উপকারে আসে আমাদের শরীরে। আমরা যদি প্রতিদিন তিনটা থেকে সাতটা করে খেজুর সকাল বেলা কিংবা বিকেল বেলা খেয়ে থাকি সে ক্ষেত্রে আমরা কি কি উপকার গুলো পাবো। খেজুর খাওয়ার ২০ টি উপকারের তালিকা নিচে দেওয়া  হলোঃ 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • রক্তশূন্যতার প্রতিরোধ করে
  • প্রসবকে সহজ করে মহিলাদের
  • প্রাকৃতিক শক্তির উৎস
  • আর ও তাদের বিকাশে সহায়ক 
  • প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
  • রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
  • ওজন বাড়ায়
  • হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করে
  • মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে
  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে
  • লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে
  • ঘুম বৃদ্ধি করে
  • শরীরের পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • আমাদের দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
  • মেজাজ উন্নত রাখতে সাহায্য করে
  • হজমের সমস্যা দূর করে
  • ক্যান্সার রোগের রোগী কমায়
  • যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি করে
মূলত এই তালিকায় ২২ টি উপকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আপনাদের এগুলোর মধ্যে যে যে সমস্যাগুলো আছে আপনারা চাইলে প্রতিদিন আপনাদের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন। কারণ খেজুর খেলে আপনাদের শরীরের এই রোগ গুলো থেকে সমাধান পাবেন। সোজা বাংলা কথায় একটি কথা বলি। যেটা ওষুধ দিয়ে হয় না সেইটা খাবারের মসলা দিয়েও হয়।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকর শেষ কথা

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকর শেষ কথা। বর্তমানে অনেকেরই শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা লেগেই থাকে। এগুলো আমরা ওষুধ খেয়েও ভালো করতে পারি না সহজে। খেজুরে অনেক উপকার রয়েছে। খেজুরে ২০ থেকে ২২ টা উপকার পাওয়া যায় উপকার পাওয়া যায়।

আপনারা আপনাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আপনাদের খাদ্য তালিকায় দৈনিক না হলেও তিনটা করে খেজুর রাখতে পারেন। এ আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন। তো সম্পর্কে জানতে দৈনিক ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url