মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কিভাবে কতটুকু খাবেন
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কিভাবে কতটুকু খাবেন।স্বাদ গুনেভরপুর হলো
মিষ্টি কুমড়া, আপনারা হয়তো অনেকেই মিষ্টি কুমড়া খেয়েছেন আপনি কি জানেন মিষ্টি
কুমড়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
মিষ্টি কুমড়ার অনেক উপকার গুনাগুন রয়েছে। এই আর্টিকেলে আপনারা মিষ্টি কুমড়া
উপকার এবং গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাই বিস্তারিত জানতে
আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।
পোর্ট সূচিপত্রঃমিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- বাচ্চাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা
- মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে কি হয়
- মিষ্টি কুমড়ায় কি কি ভিটামিন রয়েছে
- মিষ্টি কুমড়া খেলে কি অ্যালার্জি হয়
- মিষ্টি কুমড়া কিভাবে খাবেন কতটুকু খাবেন
- মিষ্টি কুমড়ার চাষ পদ্ধতি
- গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকার
- মিষ্টি কুমড়ার আরো ১২ টি উপকারিতা
- মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এ নিয়ে শেষ কথা
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও ভালো দিক
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও ভালো দিক। মিষ্টি কুমড়া বেশ কয়েকটি ভালো দিক রয়েছে।
বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়া অনেক উপকারী। আপনি কি জানেন
মিষ্টি কুমড়া মেয়েদের ক্ষেত্রে যে উপকারটি করে তা হল মেয়েদের চুল ওঠা বন্ধ
করে।
এছাড়াও আরো যে উপকারগুলো করে তা হলো কষ্টকাঠিন্য এ সমস্যাটা প্রায় সবারই এ
সমস্যাটা সমাধান করে। এছাড়াও আপনাদের যদি গ্যাস্ট্রিকের কিংবা আলসারের প্রবলেম
থাকে। আপনারা মিষ্টি কুমড়া খাবেন সে ক্ষেত্রে আপনাদের এই গ্যাস্ট্রিক এবং
আলসারের সমস্যা দূর হবে।
আরো পড়ুনঃ
কাঁচা রসুনের উপকারিতা
এছাড়াও ত্বকের যত্নে মিষ্টি কুমড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে। অনেকেই
দেখবেন ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে মিষ্টি কুমড়া খেলে এই সমস্যা আর হবে না।
এছাড়াও কিডনি লিভার বাতের ব্যথা ভালো করে। দাঁত ও হাড়ের উপকারিতা মিষ্টি
কুমড়া। সুতরাং আপনাদের এই সমস্যাগুলো থাকলে আপনারা মিষ্টি কুমড়া খাবেন মিষ্টি
কুমড়া ভালো একটি খাবার।
বাচ্চাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা। আমরা সবাই জানি, মিষ্টি কুমড়া হল একটি
সবজি। এই সবজি সাধারণত খেতে খুব সুস্বাদু।, এই সবজি আপনি তরকারির করে খেলে মিষ্টি
মিষ্টি করে। আপনি যদি এসব জি সপ্তাহে তিন দিন খান তাহলে অনেক উপকার পাবেন।মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
আরো পড়ুনঃ
শসার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রশ্ন হচ্ছে বাচ্চাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা কতটুকু। মিষ্টি কুমড়া
যেগুলো প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ রয়েছে তারা যদি খান সেক্ষেত্রের উপকার পাবেন।
বাচ্চারা যদি মিষ্টি কুমড়া খায় সে ক্ষেত্রে আসলে কি উপকার পাওয়া যাবে। অবশ্যই
বাচ্চাদের জন্য মিষ্টি কুমড়ার অনেক উপকার রয়েছে। কি কি সেই উপকার
গুলো তা নিচে লিস্ট আকারে দেয়া হলোঃ
- বাচ্চাদের ব্রেনের জন্য উপকার
- বাচ্চাদের চোখের জ্যোতি বাড়ায়
- উচ্চফাইবার এর ঘাটতি কমায়
- দেহের জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর করে
- পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে
- পুষ্টির চাহিদা মিটায়
- ত্বকের যত্নে কার্যকর
মূলত আপনি আপনার বাচ্চাকে মিষ্টি কুমড়া খাওয়ালে আপনি এই উপকার গুলো পাবেন।
যেগুলো একটি বাচ্চার জন্য প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে একটি বাচ্চার ছোটবেলা
থেকে যদি ব্রেনের দিকে খেয়াল রাখতে হয় তাহলে আপনি মিষ্টি কুমড়া খাওয়াবেন।
এছাড়াও আরো অনেক গুন রয়েছে। মূলত আপনি আপনার বাচ্চাকে মিষ্টি কুমড়া খাওয়াবেন
এটা ভালো এবং উপকারী।
মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে কি হয়
মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে কি হয়। আপনি হয়তো জানেন মিঠু কুমড়া হল একটি
সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় সবজি। প্রায় সারা বছরে এটি পাওয়া যায় যদি বলেন কোথায়
পাওয়া যায় তাহলে যারা চাষ করে কিংবা আপনি হাটে বাজারে পেয়ে যাবেন। তরকারি
কিংবা ভাজি সব ভাবেই এটি খাওয়ানো যায়।
এটি শুধু স্বাধীন নয় এবং গুনেও একটি সবজি নামে পরিচিত। অনেকের প্রশ্ন থাকে
মিষ্টি কুমড়া খেলে কি হয় কি উপকার হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অফ হেল্প তথ্য অনুসারে এক কাপ পরিমাণ রান্না করে মিষ্টি কুমড়া প্রতিদিনের
চাহিদা প্রায় ২০০ ভাগ ভিটামিন এ থাকে। মিষ্টি কুমড়া দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
দারুন ভাবে কাজ করে।
প্রশ্ন মিষ্টি কুমড়ার বিচি খেলে কি হয়। মিষ্টি কুমড়ার বিচির অসাধারণ
উপকারিতা রয়েছে তবে এর অপকারিত কিছু রয়েছে। একটি জিনিসের যদি ১০০ টি উপকার
থাকে তাহলে ধরে নিবেন সেটির দুইটি হলেও অপকার রয়েছে। প্রথমে আসি উপকারের কথা
মিষ্টি কুমড়ার বিচি আমাদের শরীরের জন্য কি উপকার করে।
- হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী
- প্রয়োজনীয় চর্বি ফাইবার রয়েছে
- ও রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট
- খারাপ রক্তের কোলেস্টরেল কমায়
- এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
- যাদের ঘুম না হয় তাদের জন্য উপকারী
- পেশির জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমায়
- বাতের ব্যথা কমায়
মূলত কুমড়ার বিচি যদি আপনি খান তাহলে এই উপকার গুলো পাবেন। এবার আসি অপকারের
কথা মানে কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে তা হল কুমড়োর
বিচি যদি আপনি অতিরিক্ত বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পেটের সমস্যা হতে পারে।
কারণ আপনি হয়তো ভেজে খাবেন সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খেলে আপনার পেট ফেফে যেতে
পারে।
মিষ্টি কুমড়ায় কি কি ভিটামিন রয়েছে
মিষ্টি কুমড়ায় কি কি ভিটামিন রয়েছে। আমরা তো আমাদের শরীরের উপকার করার জন্য
মিষ্টি কুমড়া খাবো। অর্থাৎ আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারের জন্য আমরা মিষ্টি
কুমড়া খেয়ে থাকি। আপনি কি জানেন মিষ্টি কুমড়া কি কি ভিটামিন রয়েছে। যে
ভিটামিন গুলোর জন্য মিষ্টি কুমড়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভাবে উপকার করে।
ভিটামিন এ মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা বিটা ক্যারোটিন
সমৃদ্ধ শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি শক্তি
ভালো রাখে। ও ত্বকের সুরক্ষিত রাখে, এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
আরো মিষ্টি কুমড়া রয়েছে ভিটামিন সি, এটিও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় শরীরের
কোষ মেরামত করে।
আরো পড়ুনঃ
সরিষার তেলের উপকারিতা
ভিটামিন ই মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
তক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। মিষ্টি কুমড়া রয়েছে ভিটামিন কে যার রক্ত জমাট
বাধা দেয়। হাড় শক্তিশালী করে। ও আরো রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, বি১,
বি২,বি৩,বি৬ ও ফলেট যা শরীরে বিভিন্ন উপকার করতে সাহায্য করে।
মিষ্টি কুমড়া খেলে কি অ্যালার্জি হয়
মিষ্টি কুমড়া খেলে কি অ্যালার্জি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক মানুষের
এলার্জি থেকে থাকে। কিছু কিছু খাবারে এলার্জি রয়েছে যে খাবারগুলো যদি আপনি
খান আপনার শরীরে যদি এলার্জি থাকে তাহলে সেটি ভয়ানক আকার ধারণ
করতে পারে। লাল জাতীয় যেসব সবজি রয়েছে এর মধ্যে গাজর এবং মিষ্টি
কুমড়া টমেটো এ ধরনের সবজিতে এলার্জি থাকে।
তাই ব্যক্তি বিশেষ কোন কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে সেগুলো আগে ভালোভাবে যাচাই
করা দরকার। এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সে খাবার গুলো গ্রহণ করা
প্রয়োজন। আপনার যদি অ্যালার্জি থেকে থাকে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী
মিষ্টি কুমড়া খাবেন।
যদি অ্যালার্জি থেকে থাকে তাহলে আপনি মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার পরিমাণটা কমিয়ে
দিবেন। আগে খেতেন ১ সার্ভিস কিংবা দুই সারভিং এখন খাবেন হাফ সার্ভিস।
সেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন তাহলে আপনাদের এই সমস্যা হবে না।
সুতরাং বলা যায় মিষ্টি কুমড়ায়এলার্জি রয়েছে।
মিষ্টি কুমড়া কিভাবে খাবেন কতটুকু খাবেন
মিষ্টি কুমড়া কিভাবে খাবেন কতটুকু খাবেন। মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অনেকগুলো
নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি নিয়ম মেনে খান সেক্ষেত্রে উপকার বেশি পাবেন। এখন
হয়তো ভাবছেন মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার আবার নিয়ম কিসের। সব জিনিসেরই কিছু
নিয়ম রয়েছে সে নিয়ম গুলো মেনে আপনি চললে আপনি অনেক অনেক উপকার পাবেন।
মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত্রেও সেই একই বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আপনি কিছু
কিছু নিয়ম অবলম্বন করে খাওয়ালে উপকার পাবেন। আপনি মিষ্টি কুমড়া রান্না
করার ছাড়াও বিশেষভাবে খেতে পারবেন। অন্য নিয়মে আপনি মিষ্টি কুমড়ার সুপ
বানিয়ে খেতে পারবেন। এটি খুবই কার্যকর এবং পুষ্টিকর হালকা খাবার হিসেবে
মিষ্টি কুমড়া সুপ উপযুক্ত।
আরো পড়ুনঃ
পেঁপে পাতার উপকারিতা ও পেঁপের উপকার
ডেজার্ট বা মিষ্টি খাবার বানিয়ে খাওয়া যায়। এমনকি মিষ্টি কুমড়া রেকর্ড বা
গ্রিল করে মধু মিশিয়ে কিংবা মধু দিয়ে পরিবেশন করে খেলে সেটি সুস্বাদু হয়।
কাঁচা খাওয়া মিষ্টি কুমড়া কাঁচা খাওয়া অবস্থায় সালাদের মধ্যে ছোট ছোট
টুকরো করে আপনি খেতে পারবেন। এটি নরম করার জন্য হালকা একটু লেবুর রস দিবেন
কিংবা বেকিং সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করবেন।
মিষ্টি কুমড়ার চাষ পদ্ধতি
মিষ্টি কুমড়ার চাষ পদ্ধতি, মিষ্টি কুমড়া অনেক উপকারী একটি সবজি। বর্তমানে
মিষ্টি কুমড়ার দাম অনেক। আপনি যদি মনে করে থাকেন আপনি মিষ্টি কুমড়া চাষ করে
সেগুলো আবার বাজারে ভালো দামে বিক্রি করবেন। তাহলে আপনি এই উপায়ে চাষ করতে
পারেন। এছাড়াও আপনি মিষ্টি কুমড়া চাষ করে নিজের বাসার জন্য রাখতে
পারেন।
প্রথমে আসি আপনি যদি অনেক বেশি বেশি মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে চান সে ক্ষেত্রে
আপনাকে খেতে চাষ করতে হবে। ক্ষেতের জন্য মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি কি? আপনাকে
প্রথমে খেতের মাটিগুলো উর্বর করে নিতে হবে। তারপরে মাটিতে পরিমাণ মতো জৈব সার
দেওয়া লাগবে। জৈব সার দেওয়া হয়ে গেলে এরপর মাটিগুলোকে আবার সুন্দর করে
উর্বর করতে হবে।
অবশ্যই আপনার মাটি রসালো হয়ে থাকতে হবে। যে মাটিতে চাষ করবেন সে মাটি
যেন রসালো হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বীজগুলো খুব তাড়াতাড়ি হবে। আপনার
সবকিছু কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনি চারা নিয়ে আসবেন। তারপরে তিন হাত ফাঁকা
ফাঁকা করে আপনি সেই চারা গুলো রোপন করবেন। সে চারাগুলোর্পণ করার সঙ্গে আপনি
আবার জৈব সার কিছু কিছু করে দিবেন।
এভাবে করে আপনি আপনার জমির পরিমাণ অনুযায়ী লাগিয়ে দিবেন। তারপরে পাঁচ থেকে
সাত দিন পর কীটনাশক বিষ ব্যবহার করবেন। এভাবে করে আবার কিছুদিন পর যখন সেই
বীজগুলো বড় হবে তখন আপনি আবার বিশ স্প্রে করবেন। যাতে করে
পোকামাকড় দমন না করতে পারে। এভাবে করে যখন মিষ্টি কুমড়ার ফুল আসবে আপনি
আবার বেশি স্প্রে করবেন।
একসময় দেখবেন ফুল থেকে ফল হয়ে গেছে তখন আপনি কৃষি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে
পারেন। এভাবে করে আপনি আপনার মিষ্টি কুমড়া গুলোকে ভালোভাবে চাষ করতে পারবেন
এবং কি বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর খাওয়ার জন্য
যদি বাসায় লাগান এভাবে লাগাবেন এই উপায় ব্যবহার করবেন আশা করি আপনার
চাষ পদ্ধতি সফল হবে।
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকার
গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকার। একটি শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য দরকার
গর্ব অবস্থায় মায়ের সুষম খাবার নিশ্চিত করা। গর্ভাবস্থায় শিশু পুরোপুরি
আপনার উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠবে। কারণ আপনি গর্ভ থাকাকালীন আপনার শরীরে
আপনি সঠিক সুষম পুষ্টি খাবার যদি না দেন কিংবা না গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শিশুও
সঠিক পুষ্টিবান হবে না।
কারণ শিশু তার দেহের এবং মস্তিষ্কের গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় যেসব পুষ্টিগুলো
প্রয়োজন পড়ে তা আপনার শরীর থেকে গ্রহণ করে। তাই গর্ব অবস্থায় আপনাকে খাদ্যের
উপর দিতে হবে বিশেষ গুরুত্ব। গর্ভাবস্থায় যে খাবারটা রাখবেন তা হল মিষ্টি
কুমড়া। গর্ভ থাকা কালীন মিষ্টি কুমড়া কেন রাখবেন। মিষ্টি কুমড়া হল সুস্বাদু
এবং পুষ্টিকর সবজি গুলোর মধ্যে একটি।
মিষ্টি কুমড়ার মত সুস্বাদু সবজি খুব কমই পাওয়া যায়। হালকা
মিষ্টি স্বাদের এই সবজিটি খুবই সহজলভ্য এবং এটি পাওয়া যায় সারা বছর
জুড়ে। গর্ভাবস্থায় মায়েদের মুখের রুচি কমে যায় প্রায় সবারই । এজন্য মায়ের
রুচি বানানোর জন্য আপনারা মিষ্টি কুমড়া খাবেন। কারণ মিষ্টি কুমড়া খেলে
মুখের রুচি বাড়ে।
গর্ব অবস্থায় মিষ্টি কুমড়ার উপস্থিত আপনাকে রাখতে পারে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে
দূরে। কারণ মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে নানা রকম পুষ্টিগুণ। মিষ্টি কুমড়া শুধু
তরকারি ভাজি হিসেবে নয় অন্যান্য ফলের মত জুস কিংবা সুপ সুপ করেও খাওয়া যায়।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রায় সবারই হয়। এটি থেকে দূরে
থাকার জন্য মিষ্টি কুমড়া খাবেন নিয়মিত।
কারণ মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডাইটেরিয়া ফাইবার। যা গর্ব
অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কমন সমস্যা কেউ দূরে রাখে। এছাড়াও ত্বকের
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে মিষ্টি কুমড়ার জুড়ি মেলা ভার। তাই গর্ব অবস্থায় মিষ্টি
কুমড়া খাবেন আপনাদের নানা রকমের সমস্যা থেকে মুক্তি থাকবেনএবং পুষ্টি পাবেন।
মিষ্টি কুমড়ার আরো ১২ টি উপকারিতা
মিষ্টি কুমড়ার আরো ১২ টি উপকারিতা। এই আর্টিকেলেমিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা কিভাবে কতটুকু খাবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা
হয়েছে। অনেক উপকারিতা এবং সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা কিংবা ধারণা
দেওয়া হয়েছে। আপনার যদি মনে হয় আপনার শরীরে অনেক পুষ্টির প্রয়োজন
তাহলে আপনি মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।
এছাড়াও আরো মিষ্টি কুমড়া যে সমস্ত উপকারিতা গুলো রয়েছে তা এই পাঠ অংশে
লিস্ট আকারে দেওয়া হবে। মিষ্টি কুমড়া বিচি সম্পর্কেও আমরা এই আর্টিকেলে
বিস্তারিত ধারণা পেয়েছি। নিচে উল্লেখিত মিষ্টি কুমড়ার ১২ টি উপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।
- ভিটামিন সমৃদ্ধ চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শরীরের কোষ কে রেডিকেলের ক্ষতি থেকে মুক্তি করে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে
- ব্রণ প্রতিরোধ কার্যকর
- হজম শক্তি উন্নত করে
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়
- লিভারকে সুস্থ করে
- ফ্যাটি লিভার ঝুঁকি কমায়
- পানিসূন্যতা দূর করে
- মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়
- স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
মিষ্টি কুমড়া কাঁচা রান্না করে কিংবা সুপ হিসেবে আপনি খেতে পারেন। এটি শরীরের
অভ্যন্তরীণ শরীরের বহিক সুস্থতা বজায় রাখে। এমনকি মিষ্টি কুমড়া আমাদের শরীরের
জন্য প্রচুর উপকারী একটি খাবার। মূলত অনেকেই আমরা এই খাবারটি সবজি হিসেবে
চিনি। তাই আমরা মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত না পারলেও সপ্তাহে তিন দিন খাওয়ার
চেষ্টা করবো।
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এ নিয়ে শেষ কথা
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এ নিয়ে শেষ কথা। এই উক্ত আর্টিকেলে
মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা
হয়েছে। কতটুকু উপকারী আপনার শরীরের জন্য মিষ্টি কুমড়া। তা এই আর্টিকেলটি
ভালোভাবে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি অন্যদের মাঝে
শেয়ার করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন কমেন্ট বক্সে রিপ্লাই দেওয়ার
চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। এরকম আপডেট পেতে দৈনিক ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। ভালো
থাকবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url