২৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট জানেন কি

২৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট জানেন কি। অনেকেরই চিন্তা টেনশন থাকে। অনেক চিন্তিত ভাবে থাকে যে আমার ওজনটা যদি একটু কম। হয়তো বা আপনিও এই সমস্যায় আছেন।

২৫-দিনে-১০-কেজি-ওজন-কমানোর-ডায়েট-চার্টআপনি যদি এই সমস্যায় থেকে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে কম সময়ে আপনার ওজন কমে যাবে। তাই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট 

১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট 

২৫ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট। আপনার যদি ওজন নিয়ে কোন সমস্যা থাকে। হয়তো বা আপনি অনেক ওজন নিয়ে চিন্তিত আপনার ওজন অনেকখানি বেড়ে গেছে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছেন না। শরীর মনে হচ্ছে ভারী হয়ে আসতেছে এরকমটা শুধু আপনার না অনেকেরই হয়ে থাকে।

আপনার যদি কোন ওজনের সমস্যা হয়ে থাকে ওজন যদি কমাতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে শর্করা চিনতে হবে। শর্করা চিনে আপনাকে শর্করা খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। আপনাকে শাকসবজি খেতে হবে। মূলত আপনাকে যে খাবারটি বাদ দিতে হবে সৃষ্টি হল ফ্যাট যুক্ত খাবার ফ্যাট যুক্ত খাবার খেলে শরীরের ওজন অনেকখানি বেড়ে যায়।

একটি জিনিস মনে রাখবেন তাড়াহুড়ো করে কখনো কোন জিনিস সফলভাবে হয় না। সেরকম তাড়াহুড় করে করে ওজন কমানো যায় না। আপনাকে ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। ধরেন উদাহরণ দিয়ে যদি বলি আপনি দিনে ৫০ ক্যালোরি যুক্ত খাবার আপনি খাচ্ছেন। সেই জায়গায় আপনাকে সেটাকে ফিফটি পার্সেন্ট কমাতে হবে।

মূলত আপনি এভাবে করে নিয়মিত এক মাস করুন। ১০০% গ্যারান্টি আপনার ওজন কমবে। শুধু ওজন কমবে না আপনার শরীর অনেকটাই ফিটনেস চলে আসবে। আরেকটি খাবার বাদ দিবেন সেটি হলো চর্বি জাতীয় খাবার। চর্বি শরীরের জন্য প্রচুর ক্ষতিকর শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে তাই চর্বি জাতীয় খাবার বাদ দিন। এই চাট অনুযায়ী আপনি একমাস মেনে চলুন আপনার ওজন কমবে।

ওজন কমানোর সেরা উপায়

ওজন কমানোর সেরা উপায়। এই আর্টিকেলে আপনি ওজন কমানোর সেরা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। বেশ কয়েক ভাবি কিন্তু ওজন কমানো যায়। এর জন্য অনেকে মনে করে হয়তো টাকা খরচ হয়। না ওজন কমাতে কোন টাকা খরচ করা লাগেনা।

শুধুমাত্র নিয়ম মত ডায়েট কন্ট্রোল চাট মেনে আপনি যদি চলতে পারেন। অবশ্যই আপনার ওজন কমে আসবে। এই আর্টিকেলে ওজন কমানোর সেরা উপায় সম্পর্কে বেশ কয়েকটি ভাবে ধারণা পাবেন। তাহলে আমরা জেনে নেই ওজন কমানোর বেশ কয়েকটি সেরা উপায়। যে উপায়গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে
  • চর্বি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
  • প্রতিদিন এক ঘন্টা হাটাহাটি করবেন
  • অলসতা বাদ দিন
  • কায়িক শ্রমের দিকে নজর দিন
  • লিফট থাকলে লিফট ব্যবহার করবেন না
  • খাবারের পরিমান কমিয়ে দিন
  • স্যাচুরেটি যুক্ত খাবার কম খান
  • কম ক্যালরি শরীরের গ্রহণ করুন

মূলত এই নিয়মগুলো মেনে আপনি চলুন। আপনার ওজন ধীরে ধীরে কমা শুরু হবে। একটি জিনিস বললাম সেটি হল ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খাবেন। এখন যদি বলেন আমাদের শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হবে। না যাদের ওজন বেশি তাদের শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হবে না। আপনি ক্যালোরি কম গ্রহণ করুন আপনার ওজন কমবে।

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট 

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট। সুপ্রিয় বোনেরা আপনাদের ওজন যদি অতিরিক্ত বেশি হয়ে থাকে। আপনারা চাচ্ছেন আপনাদের ওজন একটু কমাতে। যেন শরীরের ফিটনেস আসে। নিজেকে হালকা মনে হয় এরকম তো সবাই চায়। আপনার যদি ওজন নিয়ে কোন সমস্যা থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে আপনি ওজন কমানো সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

শুধু ধারনাই নয় এই ডায়েট চার্ট অনুযায়ী আপনি একমাস কাজ করবেন আপনার ওজন অনেকটাই কমে যাবে। এই স্টেপ হল মেয়েদের ওজন কমানো ডায়েট চার্ট। সাধারণত মেয়েরা যখন বিবাহ করে বিবাহের পর। অটোমেটিকলি মেয়েদের ওজনটা অনেকখানি বেড়ে যায়। এটা সাধারণত 80% মেয়েদের পক্ষে হয়ে থাকে।

২৫-দিনে-১০-কেজি-ওজন-কমানোর-ডায়েট-চার্টএই আশি পার্সেন্ট মেয়েদের ভেতর আপনারও যদি ওই একই সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে আপনিও আজকের এই আর্টিকেলে দেওয়া ডায়েট চারটি মেয়ে এক মাসের মত কাজ করবেন। আশা করা যায় আপনার ওজন প্রায় পাঁচ থেকে সাত কেজির মতো ওজন কমবে। পাঁচ থেকে সাত কেজি ওজন কমলে আপনার শরীরের অনেকটাই ফিটনেস চলে আসবে।

তাহলে চলুন দেখা যাক কি সেই উপায়গুলো যে উপায় বা ডায়েট চাট মেনে আমরা আমাদের ওজন কমাতে পারি। মূলত এই ডায়েট চারটি লিস্ট আকারে দেওয়া হল। এই তালিকাটি আপনি ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন।

সকালের নাস্তা ৭.৩০-৮ টা 

  • সকালে এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন
  • নাস্তার টেবিলে একটি পরোটা কিংবা একটি রুটি খাবেন
  • সকালের নাস্তায় একটি সিদ্ধ ডিম খাবেন
  • এক গ্লাস ফ্যাট ছাড়া দুধ খাবেন

দুপুরের খাবার ৬০০ ক্যালোরি ১.৩০-২ টা 

  • ভাত ৩ সারভিং অথবা দেড় কাপ ভাত খাবেন
  • মাছ অথবা মাংস ২ সারভিং ১২০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা ফ্যাট ছাড়া
  • ডাল ১ সারভিং এক কাপ মাঝারি ঘন ডাল
  • শাক সবজি ৪ সারভিং পাতাযুক্ত শাকসবজি

রাতের খাবার ৪০০ ক্যালোরি রাত ৮ থেকে ৯টা

  • দুইটা রুটি পরিমাণ ১০০ গ্রাম গমের রুটি অথবা ময়দা
  • মাছ অথবা মাংস ১ সারভিং
  • ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ ফ্যাট ছাড়া
  • শাকসবজি তিন সারভিং পাতাযুক্ত শাকসবজি এক কাপ

মূলত এই চার্ট অনুযায়ী আপনি প্রায় এক থেকে দুই মাসের মতো যদি খাওয়া-দাওয়া মেন্টেন করে চলেন। তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনার ওজন প্রায় ১০ কেজির মত কমবে। মেয়েদের জন্য এই ডায়েট চার্ট হল সবচাইতে সেরা চার্ট। এই নিয়ম মেনে আপনি কাজ করবেন আপনার ওজন ধীরে ধীরে দেখবেন অনেকটাই কমে এসেছে।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ওজন কমানোর সেরা উপায়

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ওজন কমানোর সেরা উপায়। আপনারা কি জানেন অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কি। হয়তো এটা শুনে মনে করবে অ্যাপেল সিডার মনে হয় ফল। কারণ নামটা যে অ্যাপেল। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার হলো কোনো ফল না এটি হলো একটি তরল পদার্থ। যেটির সাহায্যে আপনি আপনার ওজন দ্রুত কমাতে পারেন।

এটি মূলত বাজার থেকে কিংবা কোন দোকান থেকে ক্রয় করতে হয়। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার আপনার শরীরের কি কি কাজে লাগবে। প্রথমেই যে কাজটি করবে তা হলো আপনার চর্বি গলাবে। এটি মূলত প্রাকৃতিকভাবে অম্লীয় হওয়ার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ক্ষুদা কমায়ঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার থাকা এসিড ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ইনসুলিন ও গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে রক্তের শর্করা উঠানামা খুব কম হয়।

মেটাবলিজম বাড়ায়ঃ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে তোলে যার ফলে শরীরের ক্যালরি পোড়ানোর হার বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি শরীরে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।

হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করেঃ অ্যাসিটিক অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে যার ফলে খাদ্যের পুষ্টি ভালোভাবে শরীরে শোষিত হয়। এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি জমতে বাধা দিয়ে থাকে।

এছাড়াও পানির ওজন কমায় এটা শরীরের অতিরিক্ত পানি ধরে রাখতে বাধা দিয়ে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-দুই চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস পানির সাথে মিশে খাবেন। খাবারের আগে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন এতে হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। তবে সতর্কতা দিক থেকে বলছি অতিরিক্ত অ্যাপেল সিডার ভিনেগার গ্রহণ করবেন না।

ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি

ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করার সঠিক পদ্ধতি। আপনি হয়তো ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় গ্রহণ করে রাখতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের খাওয়ার নিয়ম মেনে চলা। এর পাশাপাশি অনেকেই ওজন কমানোর জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেয়ে থাকে। এবং সেটার ভিনেগার খেলে শরীরের ওজন কমে এটি একটি ভালো উপায়।

এর পাশাপাশি আপনি ব্যায়াম কিংবা এক্সারসাইজের মাধ্যমে ওজন কমাতে পারবেন। কিন্তু ব্যায়াম কিংবা এক্সারসাইজ এটি শরীরের জন্য একটু কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। এর জন্য অনেকেই ব্যায়াম করতে চায়না। কিন্তু সঠিক নিয়ম হল ব্যায়াম করে নিজের ওজনকে কন্ট্রোলে আনা। আপনিও চাইলে ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের ওজনকে কন্ট্রোলে আনতে পারবেন।

কিভাবে ব্যায়াম করলে আমরা আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো। শুধু ব্যায়াম করলেই নয় এর নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন রয়েছে। নিয়ম-কানুন অনুযায়ী আপনি যদি ব্যায়াম না করে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন তুলনামূলক সেই পরিমাণ কমবে না। তাহলে চলুন জেনে নেই কোন কোন উপায়ে আমরা ব্যায়াম করবোঃ

  • সকালে উঠে এক থেকে দুই কিলো হাটাহাটি করতে হবে
  • হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি একটু দৌড়ঝাঁপ করতে হবে
  • সাইকেলিং এটি পায়ের বেশি গঠন এবং ফ্যাট কমায়
  • জগিং এবং সুইমিং করুন এগুলো শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমায়

শক্তি বা ওয়েট ট্রেনিং করে ওজন কমানোর উপায়

  • ডাম্বেল বা বারবেল লিফটিং বেশি গঠনের মেদ কমাতে সাহায্য করে
  • ল্যাঙ্গগেস এবং হিপসের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে থাকে

যোগ ব্যায়াম করে ওজন কমানোর উপায়

  • পুরো শরীরের জন্য উপকারী ম্যাপ কমাতে পারেঃ সূর্যন মস্কার 
  • ব্রিজ পোজ করুন একটি যোগ ব্যায়ামের একটি অংশ
  • প্লান পোজ ঃ পেট কমর এবং পিটের মেদ কমাতে সাহায্য করে

এছাড়াও প্রাকৃতিক নিয়মে লাস্ট যে উপায়টি মেনে চলবেন তা হল সাঁতার। প্রতি দিন দুপুরবেলা প্রায় আধা ঘন্টা পরে কিংবা ১৫ মিনিট যদি একিনাগারে সাঁতার কাটেন। তাহলে আপনার শরীরের অনেকটাই চর্বি গলে যাবে। এরপরে আপনার ওজন অনেকটাই কমে আসবে। 

শাকসবজি খেয়ে ওজন কমান

শাকসবজি খেয়ে ওজন কমান। শরীরের ব্যায়াম অ্যাপেল সিড ভিনেগার এগুলো খাওয়া কিংবা করার মাধ্যমে যেভাবে ওজন কমে। আপনি কি জানেন সবজি কিংবা শাক খেয়ে আপনি আপনার শরীরের ওজন কমাতে পারেন। এমন এমন শাক রয়েছে যেগুলোতে ক্যালরির পরিমাণ কম এবং আপনার শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।

যার ফলে শরীরের ওজন অনেকটাই কমে আসে। আমরা জানবো কি কি শাকসবজি খেলে আমাদের শরীরের ওজন আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো। কিংবা কি কি শাক সবজি কোন কোন নিয়মে খেলে আমরা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে পারবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শাকসবজি এবং কিভাবে খেলে আমাদের ওজন আমরা কমাতে পারবোঃ

মূলত পালং শাক খেলে শরীরের ওজন কমে। কারণ পালং শাকে রয়েছে ফাইবার, আয়রন ভিটামিন এ সি কে সমৃদ্ধ এটি কম ক্যালোরি হওয়ায় অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং হজম প্রক্রিয়া বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও আরো যেই শাকসবজি গুলোর রয়েছে তার নামগুলো হলোঃ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

  • ব্রকলি
  • ঢেঁড়স
  • শসা
  • বাঁধাকপি 
  • লাল শাক 
  • করলা
  • বিট
  • লেটুস
  •  কাঁচা টমেটো

মূলত আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনার শরীরের ওজন কমাবেন। তাহলে আপনি এই শাক সবজিগুলো পরিবার মত খেয়ে আপনি আপনার ওজন কমাতে পারেন কারণ কমিটিতে লাইক ওফেন নামে একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে থাকে। আপনার ওজন কমানোর জন্য এই শাকসবজি গুলো আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন।

শসা খেয়ে ওজন কমানোর সেরা উপায়

শসা খেয়ে ওজন কমানোর সেরা উপায়। আপনি যদি আর্টিকেলটি পুরোটাই পড়ে থাকেন। তাহলে একটু আগেই উপরের লিস্টেই ওজন কমানোর তালিকায় শশা রয়েছে। কারণ ওজন কমানোর জন্য শাকসবজি গুলোর মধ্যে থেকে শসা হলো খুব কার্যকরী একটি খাবার।

শসা মূলত যেভাবে ওজন কমিয়ে থাকে তা হলো শসা আমাদের শরীরের মেটাবলিজমকে বাড়িয়ে তোলে যার ফলে হজম প্রক্রিয়া অনেকটাই বেড়ে যায়। শসা আমাদের চর্বি গলাতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে অতিরিক্ত যদি চর্বি হয়ে যায় তাহলে আমাদের শরীর ওজনটাও অনেক বেড়ে যায়। তাই চর্বি বাড়ানোর জন্য শসা খাওয়া প্রচুর দরকার।

এছাড়াও শ্মশায় রয়েছে ফাইবার, শসাতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে এটি ডিটক্সি ফাইং হিসেবে কাজ করে থাকে আমাদের শরীরে। যেটা আমাদের শরীরে ওজন কমানোর জন্য প্রচুর ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন হলেও কিছু পরিমাণে শসা খাওয়া প্রয়োজন। 

উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত

উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত। আমরা যারা স্বাস্থ্য সচেতন তাদের মনে অনেক সময় একটি প্রশ্নই ঘোরাঘুরি করে। আমার শরীরের ওজন কি ঠিক আছে কিনা। আমার ওজন কি আদৌ বেড়ে গেছে যদি বেড়ে যায় তাহলে করণীয় কি। কিভাবে আমি আমার ওজন টাকে কমাতে পারি।

সব জিনিসের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন যদি না মিলে তাহলে আপনি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবেন না। ধরেন আপনার ওজন ৫-৬" ইঞ্চি এখন এই হিসেবে আপনার ওজন হতে হবে 60 থেকে 65 কেজি। এটা না হয়ে আপনার ওজন হয়ে গেছে প্রায় ৮০ কেজি কিংবা ৭০ কেজি। সেইটা কি স্বাস্থ্যবান শরীর বলে, না।

২৫-দিনে-১০-কেজি-ওজন-কমানোর-ডায়েট-চার্টআপনার ওজন হইতে হবে আপনার উচ্চতা অনুযায়ী একদম মাপের মত। আসুন আমরা জেনে নেই আমাদের ওজন অনুযায়ী উচ্চতা কত হওয়া উচিত। অর্থাৎ আমাদের উচ্চতা অনুযায়ী আমাদের ওজন কত হলে আমরা ঠিক আছি। সেই জিনিসটা নিয়েই একটি চার্ট অনুযায়ী আজকের আর্টিকেলে থাকবে বিস্তারিতভাবে দেখে নিন।

উচ্চতা অনুযায়ী ওজনঃ

উচ্চতা আদর্শ ওজন (কেজি ) BMI ( স্বাভাবিক পরিসীমা )
৪'১০" ৪১-৫২ ১৮.৫-২৪.৯
৫'০" ৪৪-৫৬ ১৮.৫-২৪.৯
৫'২" ৪৭-৫৯ ১৮.৫-২৪.৯
৫'৪" ৫০-৬৪ ১৮.৫-২৪.৯
৫'৬" ৫৩-৬৮ ১৮.৫-২৪.৯
৫'৮" ৫৭-৭২ ১৮.৫-২৪.৯
৫'১০" ৬০-৭৭ ১৮.৫-২৪.৯
৬'০" ৬৪-৮২ ১৮.৫-২৪.৯

BMI কিভাবে গণনা করবেন/বিএমআই এর শ্রেণীবিভাগঃ

  • ১৮.৫ এর নিচে: কম ওজন
  • ১৮.৫-২৪.৯: স্বাভাবিক ওজন
  • ২৫-২৯.৯: অতিরিক্ত ওজন
  • ৩০ বা এর বেশি স্থূলত্ব

মূলত এইভাবে আপনাদের ওজন বিন্যাস করবেন। এখানে বিএমআই এর সংক্ষিপ্তভাবে শ্রেণীবিভাগ করে দেওয়া হলো ও এর টেবিল হিসেবে বর্ণনা করা হলো। আপনাদের ওজন অনুযায়ী উচ্চতা এবং বিএমআই পরীক্ষা করে নিবেন। সাধারণত আপনার ওজন এবং উচ্চতা এবং বিএমআই এই লেভেলে থাকলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য সব ঠিকঠাক আছে।

অতিরিক্ত ওজন মানুষের জন্য কতটা বিপদজনক 

অতিরিক্ত ওজন মানুষের জন্য কতটা বিপদজনক। অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি কি দীর্ঘ মেয়াদী রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে। এর কিছু বিপদজনক রোগের নাম ও বিস্তারিতভাবে সমস্যাগুলো প্রদান করা হলো বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন।

হৃদরোগ ও রক্তচাপঃ অতিরিক্ত ওজনের কারণে মানুষের যেই হৃদয় তাকে হৃদপিণ্ড বেশি বেশি কাজ করতে হয়। যা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদপিন্ডের রক্ত নারীতে চর্বি জমা হয়ে যায়। এতে করে হৃদপিন্ডের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

ডায়াবেটিসঃ অতিরিক্ত ওজন মানুষের ডায়াবেটিসের কারণ। এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস শরীরের অঙ্গ যেমন চোখ কিডনি স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে।

স্টকঃ রক্তের কোলেস্টেরল এবং চর্বি জমার ফলে মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ বাধা সৃষ্টি করে। আর এতে করে শরীরের স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

স্লিপ এপনিয়া ও শ্বাসকষ্টঃ ওজন বেশি হলে গলা চারপাশে চর্বি জমে যায়। যা শ্বাসনালীতে সমস্যা করে। ফলে ঘুমের সময় অ্যাপ নিয়া বা শ্বাসকষ্টের অস্বাভাবিকতা তৈরি করে ফেলে। ও এছাড়াও ক্যান্সার কিংবা মানসিক রোগীর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য ওয়েবসাইটি এবং এর থেকে সৃষ্টির সাহায্য করে।

১০কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট নিয়ে আমাদের শেষ কথা

১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট নিয়ে আমাদের শেষ কথা। অতিরিক্ত ওজন আমাদের শরীরের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। বেশি ওজন থাকা ভালো না মিনিমাম পর্যায়ে একটি ফিটনেস শরীর থাকলে ভালোভাবে চলাফেরা করা যায়। এই আর্টিকেলে ওজন কমা বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া আছে।

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ফেসবুক কিংবা মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে শেয়ার অপশন এ শেয়ার করবেন। এবং দৈনিক এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url