অনলাইন বিজনেস আইডিয়া কিভাবে শুরু করবেন

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া কিভাবে শুরু করবেন। আপনারা হয়তো অনেকেই অনলাইন বিজনেস করতে চাচ্ছেন। অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে হয়তো অতটা বোঝেন না। আপনি যদি না জেনে থাকেন

অনলাইন-বিজনেস-আইডিয়া-কিভাবে-শুরু-করবেনঅনলাইন বিজনেস সম্পর্কে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলে আপনি অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে পুরো ধারণা পাবেন। এমনকি অনলাইন বিজনেস কিভাবে শুরু করবেন এর নীতিমালা সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃঅনলাইন বিজনেস আইডিয়া কিভাবে শুরু করবেন 

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া কিভাবে শুরু করবেন

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া কিভাবে শুরু করবেন। অনলাইন বিজনেস বলতে আমরা কি বুঝি আমাদের প্রথমে এই জিনিসটি জানা প্রয়োজন। কেন জানা প্রয়োজন যেহেতু আমরা অনলাইন বিজনেস করবো সেক্ষেত্রে অনলাইন সম্পর্কে যদি ধারণা না থাকে তাহলে আমরা সাফল্য পাবো না।

সংক্ষিপ্ত আকারে যদি অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে বলি তাহলে, অনলাইন বিজনেস হল একটি ব্যবসার মডেল যেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য সেবা কেনাবেচা বিজ্ঞাপন বা অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এটি ডিজিটাল প্লাটফর্মে পরিচালিত হয়। আপনি এটি কম খরচেও শুরু করতে পারবেন। অনলাইন বিজনেস আইডিয়া।

কিছু লাভজনক অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বলব তা হল ই-কমার্স। অনলাইন বিজনেস আইডিয়ার মধ্যে এটি একটি লাভজনক সাইড হল ই-কমার্স স্টোর চালু করা। পণ্য পোশাক গয়না ইলেকট্রিক স্বাস্থ্য সৌন্দর্য এসব নিয়ে আপনি অনলাইনে বিজনেস করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আরো যেই কাজগুলো করতে পারবেন সেগুলো হলোঃ

  • ড্রপ শিপিং বিজনেস
  • ডিজিটাল পূর্ণ বিক্রি
  • ফ্রিল্যান্সিং সেবা
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ব্লগ তৈরি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সি 
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট 
  • শিক্ষক ও পরামর্শ সেবা

মূলত আপনি এই সমস্ত কাজগুলো নিয়ে আপনি অনলাইনে বিজনেস করতে পারবেন। আপনি যদি এই সমস্ত কাজগুলো যে কোন একটি জেনে থাকেন তাহলে আপনি এগুলো অনলাইন দ্বারা প্রচারিত করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। যদি বলেন শিক্ষক পরামর্শ সেবা এটি একটি বিজনেস কিনা অবশ্যই এটি একটি বিজনেস।

কিভাবে বিজনেস আপনি দুইটা টিচার নিলেন পার্ট টাইম। আপনার অনেকগুলো স্টুডেন্ট আছে আপনি সেই স্পেনগুলোকে সে টিচার দ্বারা অনলাইনে পড়াবেন সেক্ষেত্রে আপনার বেনিফিট আছে। কিভাবে শুরু করবেন আপনি প্রথমে ছোট থেকে শুরু করুন। এবং ধীরে ধীরে আপনার পজিশন অনুযায়ী আপনার ব্যবসাকে বড় করুন।

এছাড়াও আপনাকে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে প্রত্যেকটি ব্যবসার জন্য আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাখতে হবে। আপনি যদি টার্গেট ঠিক না রাখেন তাহলে আপনি ওই জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন না। এবং আপনাকে মার্কেটিং বিষয়ে জানতে হবে। অনলাইন বিজনেস শুরু করার আগে গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। 

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া ২০২৫

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া ২০২৫, আপনি ২০২৫ সালে এসে যদি মনে করেন আমি অনলাইন বিজনেস করে ইনকাম করব। তাহলে আপনি একদম সঠিক ডিসিশন নিয়েছেন। ২০২৫ সালে অনলাইন বিজনেস করার আইডিয়া সম্পর্কে যদি বলি তাহলে আপনি এই কাজগুলোও করতে পারবেন। কোন কাজগুলো করলে আপনি ২০২৫ সালের সফল হবেন।

আপনি ড্রপ শিপিং বিজনেস করতে পারেন। বর্তমান ২০২৪ সালে ড্রপ শিপিং বিজনেস অনেক উন্নত হয়েছে। আশা করা যায় 2025 সালে এটি আরো উন্নত হবে। তাই আপনি ২০২৫ সালের লক্ষ্য স্থির করে বিজনেস করতে পারেন। এছাড়াও আপনি মার্কেটিং করতে পারেন। মার্কেটিং করবেন কিভাবে আপনাকে সেই জিনিসটা জানা প্রয়োজন।

২০২৪ সালে মোবাইল ইউজারদের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি সেখান থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করে প্রায় তিন কোটি। ২০২৫ সালে এসে এটির সংখ্যা এসে দাঁড়াবে এর দ্বিগুণ। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন। মার্কেটিং হলেও একটি বিজনেস এই বিজনেস করে অনেকেই আজকে সফল।

২০২৫ সালে আপনি যেভাবে মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। আপনাকে প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করা লাগবে। কিংবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকলে বেশি ভালো। আপনি এই ফেসবুক পেজ ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিবেন আপনার পণ্যের। সেই পণ্যগুলো বাজারের মূল্য লক্ষ্য স্থির করে রাখবেন এবং এগুলো যখন গ্রাহক দেখতে পাবে।

সেই সময় এগুলো পছন্দমত তারা অর্ডার করবে। মূলত এইভাবে করে আপনি অনলাইনে বিজনেস অর্থাৎ সেবা দিতে পারবেন। ধীরে ধীরে আপনার সেল বাড়াবেন এবং আপনার বিজনেস বড় করে তুলবেন। মূলত আপনি প্রকাশিত করবেন আপনার প্রোডাক্টের ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম টিকটক দিয়েও করতে পারেন। ২০২৫ সালের অনলাইন বিজনেসের আরো বেশ কয়েকটি আইডিয়াঃ

  • ডিজিটাল পণ্য বিক্রি
  • ফ্রিল্যান্সিং সেবা
  • বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রোডাক্ট বিক্রি

ঘরে বসে অনলাইন বিজনেস করবেন কিভাবে

ঘরে বসে অনলাইন বিজনেস করবেন কিভাবে? অনলাইন বিজনেস বলতে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থাৎ অনলাইনে পণ্য বিক্রি করবেন। মূলত এটাই হল অনলাইন বিজনেস। আপনি যদি চান যে আমি এটি বাসায় বসে করতে পারব কিনা। অনেকেই চাই যে আমি বাসায় থেকে অনলাইন বিজনেস করবো। আসলে কি বাসা থেকে অনলাইন বিজনেস করা সম্ভব।

হ্যাঁ অবশ্যই বাসায় থেকে অনলাইন বিজনেস করা সম্ভব। বাসায় বসে অনলাইন বিজনেস করার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে আইডিয়ার হয়েছে। যে উপায় গুলো আপনি ব্যবহার করে বাসায় বসে অনলাইন বিজনেস করতে পারবেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি বলি অনেক মেয়েরা আছে যারা কাপড় সেলাই করতে পারে। আপনি কাপড় সেলাইয়ের কাজটি করে অনলাইনে বিজনেস করতে পারবেন।

অনলাইন-বিজনেস-আইডিয়া-কিভাবে-শুরু-করবেনকিভাবে ধরেন আপনি কাপড় সেলাই করতে পারেন। জামা তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি যে কাজটি করবেন ফেসবুক কিংবা ওয়েবসাইট। মূলত আপনি ফেসবুক দিয়েই অনলাইনে একটি বিজ্ঞাপন দিবেন। আপনার জামা তৈরির বিষয়ে। দেখবেন অনেক গ্রাহক রয়েছে যারা ফেসবুকের জামাকাপড়ের বিজ্ঞাপন দেখে এগুলো নেওয়ার জন্য আপনাকে কল করবে।

আপনি তখন অনলাইনের মাধ্যমে এই জামা গুলো সেল করতে পারবেন আপনার গ্রাহকদের কাছে। তবে প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিতে হবে ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে। ঘরে বসে বিজনেস করার আরো আইডিয়া হল শিক্ষা। আপনি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইন বিজনেস করতে পারেন।

ই-কমার্স সাইট এর কাজ করতে পারেন ঘরে বসে। মূলত বেশি কাজ না আপনি এই কয়েকটি কাজ দিয়ে শুরু করেন ঘরে বসে। আপনি সফল হবেন একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ যখন আপনি নিবেন তখন আপনি সফলভাবে করেউঠতে পারবেন না। তাই এই পদ্ধতিতে আপনি ঘরে বসে অনলাইন বিজনেস করতে পারেন।

অনলাইন বিজনেস করার জন্য মার্কেটিং

অনলাইন বিজনেস করার জন্য মার্কেটিং, মূলত অনলাইনে বিজনেস করার জন্য মার্কেটিং প্রয়োজন পড়ে। কিভাবে যখন আপনি একটি অনলাইনে বিজনেস করতে যাবেন ধরেন আপনার একটি ঘড়ির দোকান রয়েছে ব্রান্ডের ঘড়ি। আপনি চাচ্ছেন সেগুলো অনলাইনে সেল করতে। অবশ্যই অনলাইনে সেল করে অনেক টাকা কামানো যায়।

তাহলে আপনি তো শুধু এমনি এমনি অনলাইনে আপনাকে ঘড়িগুলো বিক্রি করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে প্রথমে মার্কেটিং করা লাগবে। আমি আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজন পড়বে আপনার একটি ক্যামেরা কিংবা মোবাইল ফোন। কেন ক্যামেরা মোবাইল ফোন প্রয়োজন হবে।

মূলত আপনি যখন আপনার ব্র্যান্ডের ঘড়িগুলো অনলাইনে সেল করতে যাবেন। আপনার প্রয়োজন পড়বে অনলাইনে বিজ্ঞাপন। আর আপনি অনলাইনে বিজ্ঞাপন যদি দেন তাহলে অবশ্যই সে ঘড়ি র ভিডিও আপনাকে বানিয়ে দেওয়া লাগবে অনলাইনে।, মূলত আপনি একটি কান্ডের তৈরি করবেন এ ঘড়ির বিষয়ে আপনি যে জিনিস বিক্রি করবেন সেই বিষয়ে।

তারপর আপনি আপনার ফেসবুক কিংবা instagram এর পেজে সে কনটেন্টটি সুন্দরভাবে কাস্টমাইজ করার পর আপলোড দিবেন। যাতে মানুষ কিংবা গ্রাহকরা দেখতে পায়। কারণ গ্রাহকরা আপনার বিজ্ঞাপন না দেখলে আপনার কাছে অর্ডার করবে না। মূলত আপনার অনলাইনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে কাস্টমার এর কাছে পণ্য বিক্রি করাকেই মার্কেটিং বলে।

ফেসবুক আইডি না ফেসবুক পেজ অনলাইন বিজনেসের জন্য

ফেসবুক আইডি না ফেসবুক পেজ অনলাইন বিজনেসের জন্য। অনলাইন বিজনেস আইডিয়া ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী কোনটি ভালো হবে। ২০২৫ সাল তো অলরেডি চলে আসছে। আর এক মাস যেহেতু ২৫ সাল সে তো সেই সাল অনুযায়ী আপনাকে অনলাইনে বিজনেস করতে হবে।

তো অনলাইনে বিজনেস করার জন্য প্রয়োজন পড়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার। আপনি যে জিনিসটি অনলাইনে বিক্রি করবেন সেই জিনিসটি উপর ভিত্তি করে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে হয়। তো এই বিজ্ঞাপনটি আপনি কিসের মাধ্যমে আপনার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাবেন। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, tiktok, না ফেসবুক আইডি।

মূলত বর্তমানে যারা ইন্টারনেট ইউজ করে তাদের মধ্যে ৭০% মানুষই ফেসবুকে ইউজ করে। ফেসবুকে সময় পার করে সেক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করব ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার। তাহলে সেক্ষেত্রে আমরা বেশি বেশি সেল জেনারেট করতে পারবো। এর জন্য ভালোভাবে কোনটা ফেসবুক আইডি না ফেসবুক পেজ।

প্রথমত আমি বলব ফেসবুক পেজ কারণ ফেসবুক পেজের অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে এখন অনেকেই ফেসবুক পেজ দিয়েও বিজ্ঞাপন দেয় আবার ফেসবুক আইডি দিও। তবে আমি সাজেস্ট করবো ফেসবুক পেজ তৈরি করে আপনারা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেন। কারণ ফেসবুক আইডি থেকে দিবেন না এটা একটা পার্সোনাল জায়গা।

তাই 2025 সাল অনুযায়ী আপনি যদি অনলাইন বিজনেস করতে চান সেক্ষেত্রে। আপনি চাইলে ইনস্টাগ্রাম ইউটিউব এসবের মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তবে সবথেকে ভালো হয় ফেসবুক আর এই ফেসবুকের মধ্যে ফেসবুক পেজ দিয়ে আপনারা বিজ্ঞাপন দিবেন। সে ক্ষেত্রে আপনারা লাভবান হবেন বেশি।

গ্রামে অনলাইন ব্যবসা করে ইনকাম

গ্রামে অনলাইন ব্যবসা করে ইনকাম। অনেকে রয়েছে যারা গ্রামে ব্যবসা করে এখন তারা ভাবে যদি আমরা গ্রামে অনলাইন বিজনেস করতে পারতাম। প্রথমে তো বলেছি আপনারা পড়ালেখা শিক্ষা প্রদান যে কোন জায়গা থেকে করতে পারেন। এছাড়াও গ্রামে আর কি অনলাইন বিজনেস রয়েছে যেগুলো আপনারা করে ইনকাম করতে পারেন।

রয়েছে আপনি যদি ভেবে থাকেন গ্রামে অনলাইন বিজনেস করবেন তাহলে এই আইডিয়ার মাধ্যমে আপনি বিজনেস করতে পারবেন। বর্তমানে আম উৎপাদন হয় গ্রামে। আপনার অনলাইনে আমার ব্যবসা করতে পারেন। এখন হয়তো আপনারা অবাক হবেন অনলাইনে আবার কিসের আমের বিজনেস। অনলাইনে আমের বিজনেস কি সম্ভব।

অবশ্যই সম্ভব আপনি যদি মনে করে থাকেন। আপনি গ্রামে রয়েছেন আপনি অনলাইনে বিজনেস করবেন তাহলে আপনি আমার ব্যবসা করুন। অনেকেই শহর বন্দরে যারা রয়েছে তারা ভালো ফ্রেশ আম চায়। এজন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে অনলাইনে। সে ক্ষেত্রে সহজ পদ্ধতি রয়েছে আপনি প্রথমে অনলাইন বিজ্ঞাপন দিবেন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।

তারপরে সেই বিজ্ঞাপন দেখে তারা আপনার কাছে অর্ডার করবে। তবে চেষ্টা করবেন সবথেকে ভালো আম দেওয়ার। সততার মাধ্যমে আপনি বিজনেস করবেন। আপনি অনলাইনে আপনার আমের বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর তারা অর্ডার করবে। তারপর আপনি আপনার প্রোডাক্ট অর্থাৎ আম তাদের ঠিকানা মত কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে দিবেন।

এক্ষেত্রে এই ব্যবসাটি যদি তিন থেকে চার মাসের মধ্যে হয়ে থাকে তবুও এটাতে প্রচুর লাভ। আমার দেখা এই তিন থেকে চার মাসে আমি আমার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করছি। যেহেতু আমি গ্রামের ছেলে আমি অনলাইনের মাধ্যমেও আম কেনাবেচা করি। তাই আপনারা যদি গ্রামে থেকে থাকেন আপনার যদি চান অনলাইনে বিজনেস করবেন। তাহলে চোখ বন্ধ করে আমের বিজনেস করুন অনলাইনে।

অনলাইনে বিজনেস করার সুবিধা অসুবিধা গুলো কি

অনলাইনে বিজনেস করার সুবিধা অসুবিধা গুলো কি? অনলাইনে বিজনেস করার অনেকটাই সুবিধা রয়েছে আবার অনেক অসুবিধা রয়েছে। তবে অসুবিধা এর ভাগটা খুব কমই। একবারে যে অনলাইনে বিজনেস করলে আপনি শুধু সুবিধায় ভোগ করবেন তা নয়। কিছু অসুবিধাও রয়েছে তবে এগুলো আপনারা একটু দেখে শুনে করলেই আর সমস্যা হবে না।

আবার এই ছোট অসুবিধা গুলোর জন্যও অনলাইনের বিজনেস এর রেজাল্ট খারাপ হয়ে যায়। কারণ এই অসুবিধাগুলো হয়তো আপনি অজান্তেই ভুলগুলো করে বসেন। যেগুলোর কারণে আপনার গ্রাহক আপনার কাছ থেকে সেবা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। অনলাইনে ব্যবসা করার সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি নিচে লিস্ট টা কারে দেয়া হলোঃ

অনলাইনে ব্যবসা করার সুবিধাঃ

  • কম খরচে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করা যায়
  • স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালনা করা যায়
  • সময় স্থান ও স্বাধীনতা রয়েছে
  • স্বয়ংক্রিয়তা অর্থাৎ পেমেন্ট অর্ডার প্রসেসিং সম্পন্ন হয় ভালোভাবে
  • মার্কেটিং এর সহজ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বেচাকেনা
  • ডাটা বিশ্লেষণের সুযোগ
  • বিভিন্ন উৎস ভালো ইনকাম

অনলাইনে বিজনেস করার অসুবিধাঃ

  • প্রতিযোগিতা বেশি হয়
  • বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরীর চ্যালেঞ্জ
  • প্রযুক্তিগত জটিলতা
  • লজিস্টিকস ডেলিভারি সমস্যা
  • ইন্টারনেটে নির্ভরতা
  • প্রাইভেসি সিকিউরিটি ঝুঁকি
  • গ্রাহক সেবা পরিচালনা চ্যালেঞ্জ

মূলত অনলাইন বিজনেস করার এই হল সুবিধা এবং অসুবিধা। অনলাইনে ব্যবসা করে সুবিধা জনক হলেও এতে প্রতিযোগিতা বেশি হয়। গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে হয়। এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। মার্কেটিং বিষয়ে জানা প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা ক্রমাগত উন্নয়নে অনলাইন ব্যবসা সাফল্যের চাবিকাঠি।

অনলাইন বিজনেস ক্যারিয়ার কেমন হবে

অনলাইন বিজনেস ক্যারিয়ার কেমন হবে। আমরা বাঙালিরা একটা কথা বলে থাকি সবসময় চাকরি মধ্য ব্যবসা উত্তম। তো আপনারা যদি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান। সেক্ষেত্রে এই আর্টিকেলে অনলাইন ব্যবসা বেশ কয়েকটি আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা দেওয়া হয়েছে।

আপনারা এগুলোর মধ্যে থেকে যেকোন একটি অনলাইনে বিজনেস করে আপনাদের ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে পারবেন। আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যেহেতু আমি গ্রামে থাকি, সেতু আমার এখানে আম উৎপাদন হয় অনেক। তো এই আমের সিজনে আমি মানুষ সারা বছরে যে টাকা ইনকাম করে আমি তিন থেকে চার মাসে ওই টাকা ইনকাম করি।

অনলাইন-বিজনেস-আইডিয়া-কিভাবে-শুরু-করবেনতারমানে আপনি কি বুঝতেছেন আমি তিন থেকে চার মাসে আমের বিজনেস করে অনলাইনে এত টাকা ইনকাম করি। যা এক একটা মিডিয়াম চাকরিজীবীর থেকেও বেশি। তবে এখানে মার্কেটিং বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা থাকা লাগবে। অনলাইন বিষয় যদি আপনাদের ধারণা থাকে তাহলে আপনারা শুরু করতে পারেন অনলাইন বিজনেজ।

আপনাদের যদি এ অভিজ্ঞতা বলে থাকে। তাহলে আপনারা নিশ্চিন্তে অনলাইন বিজনেস শুরু করতে পারেন। প্রথম প্রথম হয়তো আপনাদের সেলারি খুব একটা বেশি হবে না। তবে আপনারা যদি এটিকে বৃহৎ পর্যায়ে নিয়ে যান অবশ্যই আপনাদের এটিতে ভালো পরিমাণের ইনকাম করতে পারবেন। এবং আপনারা একটি সুন্দর ক্যারিয়ার করতে পারবেন।

অনলাইন বিজনেস করে সর্বোচ্চ কত টাকা ইনকাম করা যায়

অনলাইন বিজনেস করে সর্বোচ্চ কত টাকা ইনকাম করা যায়। আসলে এটি নির্ভর করে আপনার ব্যবসার উপর। আপনার ব্যবসার স্কিল এর উপর এটি নির্ভর করে। অনলাইন বিজনেস করে অনেকে বছরে অনেক টাকা ইনকাম করে প্রায় কোটি কোটি।

তবে আপনি প্রথমে যদি শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে ছোট দিয়ে শুরু করতে হবে। আপনি যদি মনে করে থাকেন একবারই কোটিপতি হয়ে যাবেন তাহলে এটা ভুল কথা। আপনি যদি মার্কেটিং করেন ধরেন বিভিন্ন দোকানের মার্কেটিং করেন সে ক্ষেত্রে আপনার স্কিল অনুযায়ী আপনার সর্বোচ্চ বেতন হতে পারে এক লাখ টাকার উপরে।

কারণ এই অনলাইন ব্যবসাতে আপনি যত সেল জেনারেট করতে পারবেন আপনার তত ইনকাম। আপনি একটা সেল করে যদি ১০ টাকা লাভ করে থাকেন। এরকম ভাবে আপনি যদি মাসে ১ লাখ সেল করতে পারেন তাহলে আপনার দশ লাখ টাকা লাভ আসবে। এখন আপনি ভেবে নেন আপনি অনলাইনে কতটুকু প্রোডাক্ট সেল দিতে পারবেন।

অনলাইন বিজনেসটা হলো বিশাল বড় প্ল্যাটফর্ম। আপনার যদি নেটওয়ার্ক সেরকম থাকে তাহলে আপনি শুধু নিজের দেশেই না। আপনার নিজের দেশের প্রোডাক্ট আপনি বিদেশেও সেল করতে পারবেন। অনেকেই আছে যারা অনলাইনে বিজনেস করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে। তারা সেই লেভেলের বিজনেসম্যান। এখন আপনি কি রকম পারবেন সেটা আপনি ভালো জানেন।

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আমাদের শেষ কথা

অনলাইন বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আমাদের শেষ কথা। আপনার যদি মনে করে থাকেন যে আমি অনলাইনে বিজনেস করে জীবনে কিছু করতে চাই। তাহলে আপনারা শুরু করতে পারেন অনলাইন বিজনেস। বর্তমানে আমি অনলাইনে আম সেল করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি।

তাই আপনারাও ছোট থেকে শুরু করতে পারেন অনলাইন বিজনেস। এবং একপর্যায়ে যে এটিকে বিশাল আকারে রূপ দেবেন। ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য অনলাইন বিজনেস হল একটি বিশ্বাস জনক প্ল্যাটফর্ম। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করবেন কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url