রাতে ঘুম না আসলে করণীয় কি
রাতে ঘুম না আসলে করণীয় কি? অনেকেরই রাতে ঘুম আসে না রাতে ঘুম না আসার বেশ কয়েক টি কারণ রয়েছে। আবার রাতে যদি ঠিকমতো ঘুম না আসে তাহলে শরীরের ক্ষতি হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃরাতে ঘুম না আসলে করণীয় কি
- রাতে ঘুম না আসলে করণীয় কি
- কোন ভিটামিনের অভাব হলে ঘুম কম হয়
- রাতে ঘুম আসে না কেন
- ঘুম আসার পাঁচটি সহজ উপায়
- ঘুম না হলে শরীরের কি ক্ষতি হয়
- ৫ মিনিটে ঘুম আসার সহজ উপায়
- ঘুম আসার জন্য যে ওষুধ গ্রহণ করবেন
- ঘুম না আসলে কোন ডাক্তার দেখাবো এবং কেন
- কোন খাবার খেলে রাতে ঘুম হয়
- রাতে ঘুম না আসলে করণীয় কি লেখকের শেষ কথা
রাতে ঘুম না আসলে করণীয় কি
রাতে ঘুম না আসলে করণীয় কি? আমাদের প্রায় সবার ঘুম আসতে দেরি হয় তখন আমরা কি করি বিছানার এপাশ ওপাশ করি। খুব শীটবিট মনে হয় অনেকেই নিদ্রাহীন অভাবে ভুগি। তারপরে কি হয় দিনের বেলায় হাই তুলতে থাকি। কাজকামের মন বসে না সারাদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। এর প্রবলেম গুলো আমাদের হয়ে থাকে।
এখন আমরা এই সমস্যার সমাধান কিভাবে করব রাতে ঘুম না আসলে করনীয় কি আমাদের।
আর্টিকেলে প্রায় ১০ থেকে ১২টি সমস্যার কারণগুলো থাকবে এর সমাধানও থাকবে। এগুলো
সম্পূর্ণটাই গবেষণা থেকে তুলে ধরা। প্রথমেই এক নম্বরে যে সমস্যাটা যে কারণটা
সেটা হল ঘুমানোর সময় অনেকেরই নানান ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসে।
এ দুশ্চিন্ত আসার কারণে অনেকেরই ঘুম আসে না। এর কোন ওষুধের সমাধান না থাকলেও এর
একটি সমাধান হচ্ছে আপনারা একটা টাইম মেন্টেন করবে যে টাইমে আপনি সেই
দুশ্চিন্তাগুলো নিয়ে ভাববেন। এর ফলে আপনার সেই সময়টাতে সেই দুশ্চিন্তার
সমাধান বের করবেন। তাহলে রাতে আর এই চিন্তাগুলো আপনার মাথায় ঘুরপাক খাবে না
আপনার ঘুম ভালো হবে।
আপনাকে প্রথমে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।, একটা জিনিস খেয়াল করবেন অনেকেই
দেখবেন প্রচুর পরিমাণে রঙ চা খেয়ে থাকে। আপনি কি জানেন রং চায়ে যে চাপাতি
ব্যবহার করা হয়। সেগুলো যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খান তাহলে আপনার ঘুম আসবে
না। আরো যে পানিগুলো খাবেন না সেগুলো হলো কফি, কোমল পানীয়, আর এনার্জি
টুইন।
কারণ এগুলোতে থাকে ক্যাফিন ক্যাফিন কি করে। ঘুম আসতে দেয় না ঘুম আসলেও সে
ঘুমটাকে গভীরভাবে আসতে দেয় না। ঘুম আসার জন্য আরেকটি খাবার আপনি গ্রহণ
করতে পারেন সেটা হল গরম দুধ। গরম দুধে রয়েছে তৃপ্ত ফ্যান এটা মূলত ঘুম
ভালোভাবে হওয়ার জন্য প্রচুর কার্যকর। আরেকটি ঘুমানোর সমাধান হলো ঘুমাতে
যাওয়ার আগে এক ঘন্টা রিলাক্স করুন।
কোন ভিটামিনের অভাব হলে ঘুম কম হয়
কোন ভিটামিনের অভাব হলে ঘুম কম হয়। আপনি কি জানেন আপনার শরীরে এমন একটি
ভিটামিন কম যেটার কারণে আপনার রাতে কিংবা দিনে একসময় ঘুম আসে না। ঘুম না আসলে
শরীরে কি কি ধরনের সমস্যা হয় সেগুলো এই আর্টিকেলে ভালোভাবে জানতে পারবেন। এখন
প্রশ্ন কোন ভিটামিনের অভাবে আমাদের ঘুম কম হয় কিংবা ঘুম আসে না।
আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব থাকে তাহলে আপনার ঘুম হবে না। আপনি এটা
বুঝতে পারবেন যখন আপনার ঘুম আসবে না তখন আপনি মনে করবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি
এর অভাব রয়েছে। এই ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শরীরের যেই মেলাটোনিন হরমোন রয়েছে
সেটার উৎপাদন কমে যায় যার কারণে ঘুম কম হয়।
তাছাড়া ভিটামিন ডি আমাদের নার্ভাস কম করে। এমনকি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
ফুসফুস ভালো রাখে। ও হৃদপিন্ডের পেশিগুলোকে শিথিল করে গভীরভাবে ঘুম আনতে
সহযোগিতা করে। তাই প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে গায়ের সূর্যের রোদ লাগান। এমনকি
ভিটামিন ডিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
রাতে ঘুম আসে না কেন
রাতে ঘুম আসে না কেন? ঘুমের সমস্যা হওয়াকে ডাক্তারি কিংবা মেডিকেল সাইন্টিস্ট
ভাষায় বলা হয় ইনসমনিয়া। আমাদের সকলেরই দেখা যায় জীবনের কখনো কখনো ঘুমের
সমস্যা দেখা দেয়। তো এটাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় ইনসমনিয়া। তো এই রোগটা
সাধারণত কেন হয় অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় সাধারণ কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়
না।
এছাড়াও এমন কোন কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক মানসিক দুশ্চিন্তা রয়েছে
যেগুলোর কারণে একজন স্বাভাবিক মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। এটার আরেকটা কারণ
রয়েছে অনেকে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ড্রাগস কিংবা নেশা গ্রহণ করে। যারা এই
ধরনের নেশা কিংবা ড্রাগস গ্রহণ করে তাদের কিন্তু ঘুম কম হয়। এছাড়াও
বিভিন্ন হরমোনাল কারণেও ঘুম আসে না।
ঘুম আসার পাঁচটি সহজ উপায়
ঘুম আসার পাঁচটি সহজ উপায়। ঘুম না আসার সমস্যাটা সাধারণত প্রায় সবারই হয়ে
থাকে। আপনার যদি এখন ঘুম না আসে আপনি কি করবেন। অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন আর
না হলে বিভিন্ন ইউটিউব গুগোল থেকে পরামর্শ নিবেন। আপনি যদি গুগল থেকে এই
ওয়েবসাইটে এসে এই পোস্টটি দেখেন তাহলে এই পোস্টে ঘুম আসার পাঁচটি সহজ উপায়
সম্পর্কে ধারণা থাকবে।
ঘুম আসার পাঁচটি সহজ উপায় যে উপায় গুলো আপনার ঘুম না আসার সমস্যা সমাধান করবে। প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে আপনাকে নিয়মিত ঘুমানোর একটি সময় নির্ধারণ করতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাবেন এবং উঠার অভ্যাস করুন। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি এবং আপনার বডি ব্লক ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
ঘুমানোর আগে রিলাক্স করুন, ঘুমানোর আগে মস্তিষ্ক শান্ত করার জন্য কিছু কাজ আপনি করতে পারেন যেমনঃ
- হালকা স্ট্রেচিং
- গভীর শ্বাস প্রশ্বাস
- হালকা মিউজিক সোনা
- গরম পানিতে গোসল করা
- বই পড়া
- কিংবা ধর্মীয় কিছু মাসালা শোনা
- আলোকম রাখুন
- শব্দ কমান
- ঘরকে আরামদায়ক এবং তাপমাত্রা নিশ্চিত করুন
- ভালো মনের বালিশ এবং বিছানা চাদর ব্যবহার করুন
- খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
- ঘুমানোর আগে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন
- ক্যাফিন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
- ঘুমানোর আগে দুধ এবং গরম পানি পান করুন
ঘুম না হলে শরীরের কি ক্ষতি হয়
ঘুম না হলে শরীরের কি ক্ষতি হয়। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এবং সুস্বাস্থ্যের
জন্য ঘুম প্রচুর প্রয়োজন এবং জরুরী একটি শরীরের খাদ্য। এই জন্য বিভিন্ন
ডাক্তার গবেষকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন দিনে অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমানোর জন্য।
আপনাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্তত আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে। কারণ ঘুমানোর মাধ্যমে
আমাদের শরীরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধান হয়।
তাই ঘুম আমাদের শরীরের প্রচুর প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য। ঘুম
যদি শরীরে ভালোমতো কিংবা পরিমাণ মতো না হয় তাহলে আমাদের শরীরে কি কি ক্ষতি হতে
পারে। এটা হয়তো অনেকেরই না জানা আবার অনেকে মনে করেন ঘুম যদি না হয় তাহলে
শরীরে আবার কি ক্ষতি হবে। অবশ্যই আপনার শরীরে যদি পরিমাণ মতো ঘুম না
হয় আপনি সমস্যায় ভুগবেন।
আপনার শরীরে যদি পরিমাণ মতো ঘুম না হয় তাহলে আপনি কি কি সমস্যা গুলোর
মধ্যে দিয়ে যাবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- শরীর শুকিয়ে যাওয়া কিংবা পাতলা হওয়া
- চোখের তলে কালো দাগ পড়া
- মুখে ব্রণ মেস্তা বের হওয়া
- মেজাজ খিটখিটে হওয়া
- মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়া
- মানসিক সমস্যা দুশ্চিন্তা অবসাদ
- হার্টের উপর প্রভাব পড়ে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ হয়
মূলত আপনার শরীরে যদি ঘুম কম হয় তাহলে আপনি যে যে সমস্যাগুলো ভুগবেন তা হল
এইগুলো। তাই এগুলো বিষয়ে খুব সতর্ক থাকবেন এবং সময় মত ঘুমাবেন। এতে করে আপনার
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ ঘুমানোর মধ্য দিয়ে অনেকেরই
শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সমস্যার সমাধান হয় তাই ঘুম খুবই জরুরী।
৫ মিনিটে ঘুম আসার সহজ উপায়
৫ মিনিটে ঘুম আসার সহজ উপায়। আপনার যদি ঘুম না আসে আপনি এই উপায়টি ব্যবহার
করে দেখবেন আপনার 5 মিনিটের মধ্যে ঘুম আসবে আশা করা যায়। মূলত এটি সবার
ক্ষেত্রে আবার নাও হতে পারে তবে আপনি চেষ্টা করে দেখবেন চেষ্টা করতে তো কোন
ক্ষতি নাই।
আপনার যদি ঘুম না আসে আপনি যে কাজটি করবেন। এই উপায়টি মূলত ইউএস মিলিটারি
নিয়মের উপায়। অর্থাৎ এগুলো সাধারণত অ্যামেরিকা এবং ইউরোপ কান্ট্রির লোকেরা এই
উপায় গুলো ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই তারা যদি এগুলো উপায় ব্যবহার করে
থাকেন তারা হল ম্যাচুরিউট। আপনি শব্দ থেকে দূরে থাকবেন।
কিভাবে শব্দ থেকে দূরে থাকবেন অতিরিক্ত শব্দ এলে আপনি একটি বালিশ আপনার একটি
কানে চেপে ধরবেন আর আরেকটি কান থাকবে বিছানার সঙ্গে। এক্ষেত্রে যেগুলো
বাড়তি শব্দ অতিরিক্ত শব্দ সেগুলো আর আপনি শুনতে পারবেন না। মূলত এই উপায়টি
আপনি ব্যবহার করবেন। এবং আরেকটি যে কাজ করবেন তা হলো।
এ কাজটি করার পর আপনি যে কাজটি করবেন মনের মধ্যে যেসব চিন্তা এবং মাথায় আজেবাজে চিন্তা গুলো ঝেড়ে ফেলে দিবেন। এটা মূলত ওষুধ না কিন্তু ওষুধের থেকেও বেশি কার্যকর। এমন এমন উপায় রয়েছে যেগুলো টাকা দিয়ে কিনে পাওয়া যায় না। জাগে আপনি সেই বালিশের উপায় গ্রহণ করার পর চোখ বন্ধ করে নিবেন এবং ঝামেলা ঝেড়ে ফেলবেন তাহলে দেখবেন আপনার তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।
ঘুম আসার জন্য যে ওষুধ গ্রহণ করবেন
ঘুম আসার জন্য যে ওষুধ গ্রহণ করবেন। অনেকেরই অনেক সময় ঘুম আসেনা। তারা বিভিন্ন
ধরনের উপায় টিপস মেনে চলার পরও তাদের ঘুম আসে না। সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন
কারণ আপনার তো পরিমাণ মতো ঘুম প্রয়োজন আপনার শরীরের জন্য।
সে ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন আপনি সে ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধ গ্রহণ করবেন ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী। ঘুমের ওষুধ রয়েছে যেগুলো খেলে আপনার কোন ধরনের সমস্যা হবে
না। ঘুমের ওষুধ কিন্তু শরীরের জন্য একটি ক্ষতিকর। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী যদি আপনি ঘুমের ওষুধ সেবন করেন সে ক্ষেত্রে আপনার কোন ধরনের
সমস্যা হবে না।
ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী এমন ঘুমের ওষুধ রয়েছে যেগুলো আপনি গ্রহণ করতে
পারেন। মূলত এই ওষুধগুলো গবেষকরা কিংবা বড় বড় ডাক্তাররা গবেষণা করার পর
এই ঘুমের ওষুধ গুলো খাওয়ার জন্য সাজেশন দিয়ে থাকেন। আপনার ঘুম না আসলে আপনি
কি ওষুধ ব্যবহার করবেন।
- হাই পারসোমিয়া
- জলপিদেম
মূলত এই দুইটি ওষুধ আপনি খেতে পারেন। এই ওষুধগুলো আপনি সপ্তাহে বেশি না একদিন
খাওয়ার চেষ্টা করবেন উর্ধ্বে দুই দিনের বেশি যাবেন না। এই ওষুধগুলো সাধারণত
জাপানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে জলপি দেন এবং হাইপারসোমিয়া ঘুমের জন্য প্রায়
একইভাবে কাজ করে। এবং এগুলো সেবন করলে কোন ধরনের সমস্যা আপনার শরীরে হবে না।
তাই এই ওষুধ সেবন করবেন।
ঘুম না আসলে কোন ডাক্তার দেখাবো এবং কেন
ঘুম না আসলে কোন ডাক্তার দেখাবো এবং কেন? ঘুম না আসা একটি সাধারন সমস্যা এই
সমস্যাটার নাম হলো (ইনসমমিয়া)। তবে সাধারণ সমস্যা বলে আমরা ছেড়ে দিব না কারণ
এটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে ক্ষতি করতে পারে এজন্য আপনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন
হবেন কেন।
আপনি কেন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন এটি একটি প্রশ্ন থাকে। দেখেন আপনি
যদি ঘুমের সমস্যায় ভুগেন আপনার ঘুম হচ্ছে না সে ক্ষেত্রে আপনি যদি
চিকিৎসকের পরামর্শ না নেন। আপনি যদি ডাক্তার না দেখান তাহলে আপনার বড় সমস্যা
হতে পারে। কি বড় সমস্যা হতে পারে আপনার মানসিক সমস্যা হতে পারে। এজন্য আপনি কি
করবেন।
এছাড়াও আরো যে ডাক্তার গুলো আপনি আপনার এই ঘুমের সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ
নিবেন তার নামগুলো হলোঃ
- অ্যান্ড্রক্রাইলজিস্ট, হরমোন বিশেষজ্ঞ
- জেনারেল ফিজিশিয়ান বা মেডিসিন ডাক্তার
- এমনকি আপনার পাশের ফার্মেসি ডাক্তার
কোন খাবার খেলে রাতে ঘুম হয়
কোন খাবার খেলে রাতে ঘুম হয়। রাতে ঘুম হওয়ার জন্য আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের উপায় টিপস অবলম্বন করে থাকি। আবার অনেকেই রাতে ঘুম ভালোভাবে হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারি পরামর্শে ওষুধ সেবন করে থাকি। প্রশ্ন থাকতে পারে না এমন কোন খাবার রয়েছে যে খাবারটি খেলে আমাদের রাতে ঘুম হয়।
অবশ্যই এমন খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো আপনি যদি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার রাতে
ভালোভাবে ঘুম হবে। কোন কোন খাবার গুলো যে খাবার গুলো আমি যদি খাই তাহলে
আমার ঘুম হবে কিংবা আপনার ঘুম হবে রাতে। সে খাবারগুলো সম্পর্কে জানার জন্য
আপনাকে এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে করতে হবে।
রাতে ঘুম ভালোভাবে হওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে। যে খাবারগুলো আপনি
যদি প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ভালোভাবে ঘুম হবে। কারণ সে খাবারগুলো
মেলাটোনিন এবং হরমোনাল উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে। কিছু খাবারের তালিকা নিচে
দেওয়া হল এ খাবার গুলো আপনারা আপনাদের ঘুম না হলে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
- কলা
- বাদাম বিশেষ কাজুবাদাম
- চেরি বা চার চেরি জুস
- ওটমিল
- ডিম
- মধু
- পুদিনা চা
এ খাবারগুলো আপনারা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে একটা জিনিস সতর্ক আপনারা চায়ের
সঙ্গে ক্যাফিন যুক্ত খাবার খাবেন না। অতিরিক্ত লিগার দিয়ে চা খাবেন না আপনারা
হালকা লিগা দিয়ে পুদিনা পাতা দিয়ে চা খেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার ঘুম ভালো
হবে।
রাতে ঘুম না আসলে করণীয় কি লেখকের শেষ কথা
রাতে ঘুম না আসলে করণীয় কি এ নিয়ে লেখা শেষ কথা হিসেবে থাকছে। অনেকেরই ঘুম না আসার অভ্যাসটা কিংবা সমস্যা হয়ে থাকে। এটি দীর্ঘস্থায়ী নয় যদিও দীর্ঘস্থায়ী হয় তবুও এ রোগটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে সেরে যায়। রাতে ঘুম আসা সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি অন্যদের মাঝে
শেয়ার করবেন। এরকম স্বাস্থ্য কিংবা উপকারিতা বিষয়ে আপডেট পেতে এই ওয়েবসাইটটি
দৈনিক ভিজিট করবেন। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url