শিং মাছের উপকারিতা শিং মাছ কি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে

শিং মাছের উপকারিতা শিং মাছ কি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করে। আপনারা হয়তো অনেকে শিং মাছ দেখেছেন যেটাকে আমরা গ্রাম্য ভাষায় বলে থাকি কানস মাছ। আপনারা কি জানেন এটার উপকারিতা কতটুকু।

শিং-মাছের-উপকারিতাশিং মাছের কি কি ধরনের ভিটামিন রয়েছে। মাছ আপনার শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এই শিং মাছ সম্পর্কে পুরো তথ্য এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো বিস্তারিত ভালোভাবে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃশিং মাছের উপকারিত

শিং মাছের উপকারিতা ভালো দিক

শিং মাছের উপকারিতা ভালো দিক। শিং মাছ আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী একটি মাছ। এই মাছ যদি আপনি প্রতিনিয়ত খান তাহলে আপনার শরীরের রক্তশূন্যতা পূরণ হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন শিং মাছের উপকারী থেকেই তাহলে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

শিং মাছের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। শিং মাছ বা জিওলমাছ খেতে অনেক সুস্বাদু। শিং মাছ খাদ্য হিসেবে কাজ করে এই মাসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। অনেক ডাক্তার রয়েছে যারা চিকিৎসা করে। অনেক রোগীকে রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য তারা শিং মাছ খাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে।


নিয়মিতভাবে শিং মাছ খেলে মায়ের দুধ বাড়ে অর্থাৎ সন্তানধারী মা যেগুলো রয়েছে যাদের বাচ্চা রয়েছে তারা নিয়মিত শিং মাছ খাবেন আপনারা উপকার পাবেন। কারণ অনেকেই সন্তান প্রসবের পর মায়ের বুকের দুধ কমে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি শিং মাছ খেতে পারেন। এটা আপনার শরীরের রক্তের স্বল্পতা দূর করবে এবং আপনার বাচ্চার জন্য অনেক উপকার পাবেন।

এছাড়াও শিং মাসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। আর ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের দাঁত এবং হাড়ের জন্য প্রচুর প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও শিং মাছ আমাদের শরীরের বাথ কমায়। যাদের কোমরে ব্যথা বাথ ব্যথা তারা নিয়মিত শিং মাছ খেয়ে এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে আপনাদেরএই সমস্যা দূর করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা কেমন

গর্ভাবস্থায় শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা কেমন। গর্ভাবস্থায় শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কারণ শিং মাছ হল শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করার একটি মূল উৎস। কারণ শিং মাছের এসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আপনার পেটের বাচ্চাকে সুস্থ রাখবে এবং আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে।

এছাড়াও একজন মা যখন সন্তান প্রসব করে তখন তার শরীরের রক্ত অনেকটাই কমে যায়। তারপর তার বুকের দুধ কমে যায় যার কারণে বাচ্চা পরিমাণ মতো দুধ খেতে পারে না। আপনি যদি শিং মাছ প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরের এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।


এছাড়াও মাঝে মাঝে শিং মাছ খেলে শরীরের অনেকটা রোগমুক্ত থাকবে। শেষ কথায় বলা যায় সব মাছের মধ্যে শিং মাছের উপকারিতা একটু হলেও বেশি। শিং মাছ আপনি বিভিন্ন ওয়ে তে খেতে পারেন। পাতলা ঝোল করে খেতে পারেন যেটা আপনার শরীরকে অনেকটাই সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এবং রক্ত বৃদ্ধি করবে তাই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য শিং মাছ খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

শিং মাছ খেলে কি শরীরে রক্ত বাড়ে

শিং মাছ খেলে কি শরীরে রক্ত বাড়ে। অবশ্যই শিং মাছ খেলে শরীরের রক্ত বাড়ে। এই শিং মাছ বা বাংলায় গ্রাম্য ভাষায় যেটাকে বলা হয় কানাস মাছ। এই মাছটি কিভাবে আপনার শরীরের রক্তকে বাড়িয়ে তোলে হয়তো এটা অনেকে জানে না। আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা বাড়ানোর জন্য অনেকেই অনেক প্রকার খাদ্য খেয়ে থাকে।

আসলে আমাদের শরীরের রক্ত স্বল্পতা দূর করার জন্য আমরা মোস্টলি আয়রন যুক্ত খাবার খেয়ে থাকি।
মাছের মধ্যে যদি আমরা লক্ষ্য করি আয়রনযুক্ত মাছ যে মাসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে সে মাছটা আমরা খাওয়ার চেষ্টা করব বিশেষ করে শিং মাছ।
শিং-মাছের-উপকারিতা
আগের যুগের মানুষরা যে খাবারে ধারণা করতো যে এই খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। এই খাবার খেলে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখবে। তারা কিন্তু সেই খাবারে খাওয়ার চেষ্টা করত শরীরের রোগ মুক্ত রাখার জন্য। গবেষকরা রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য মাছ নিয়ে গবেষণা করার পর তারা এই শিং মাছের উপর গবেষণা করে দেখেছে এই মাছ খেলে শরীরের অনেক রক্ত বৃদ্ধি পাবে।

তাই আপনারা শরীরের রক্ত বাড়ানোর জন্য শিং মাছ খেতে পারেন। শিং মাছ অনেকটাই সেট তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে শিং মাছটা একটু দেখেশুনে খাওয়া উচিত। শিং মাছের যেই ডাটা থাকে অর্থাৎ ওখানে একটা রগ থাকে সেই রগটি ফেলে দেওয়া উচিত। তাই বলা যায় যে শিং মাছ অনেকটাই সেভ খাদ্য তারা খেতে পারেন আপনাদের শরীরে রক্ত বাড়ানোর জন্য।

দেশি শিং মাছ চেনার উপায়

দেশি শিং মাছ চেনার উপায়। আসলে শিং মাছের ভিতরে জাত রয়েছে একটা দেশি একটা হল বোম্বে বিদেশী জাত। আমরা বাঙ্গালীদের সবাই জানি যে দেশী খাবারের ভিটামিন বেশি। আপনি হয়তো চিনতে পারবেন না কোনটা দেশি আর কোনটা বিদেশি শিং মাছ। আপনি যদি না চিনতে পারেন কিভাবে দেশি শিং মাছ চিনবেন তাহলে বেশ কয়েকটা চেনার উপায় সম্পর্কে দেওয়া রয়েছে।


শরীরের রং বেশি শিং মাছের গায়ের রং সাধারণত কালচে বাদামী রঙের ও হালকা ধূসর হয়ে থাকে। এর শরীরের ছোট ছোট কালো কালো দাগ থেকে থাকে। যার কারণে সেটাকে খুব সহজে চেনা যায়। এছাড়াও শিং মাছের কাঁটা দেশি শিং মাছের মাথার দুই পাশে শিং বা কাটা থেকে থাকে। যা খুব ধারালো হয়ে থাকে এবং হঠাৎ স্পর্শ যদি করেন তাহলে আপনাকে আঘাত করতে পারে।

আকৃতি বা আকার শিং মাছের আকৃতি দুই প্রকার আপনি দেশি শিং মাছের আকৃতি যদি জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই চিনতে পারবেন যে এটা দেশি শিং মাছ। বেশি শিং মাছ সাধারণত ছোট হয়ে থাকে মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এদের শরীর লম্বাটে এবং স্ক্রিন আকৃতি।

পাকনা পাকনা বলতে যেটাকে বলা হয় ডানা দেশি মাছের এই পাখনা গুলো বেশ রক্ত এবং ধারালো। ধারালো কথাটা বলতে বোঝাচ্ছে শিং মাছের কাঁটায় থাকে বিষ এটা যদি আপনার হাতে ফুলে দেয় তাহলে আপনি হয়তো কয়েক ঘন্টা কিংবা পুরো একদিন যখন হয়ে থাকতে পারেন। প্রচুর জ্বালাপোড়া হয়। এদেশী শিং মাছের পিছনের যে পাখনা গুলো থাকে এটা খুব শক্তিশালী হয়ে থাকে।

বেশি শিং মাছের স্বাদ। আপনাকে যদি শিং মাছ খেতে দেয় আপনি হঠাৎ বুঝতে পারবেন না যে এটা দেশি শিং মাছ বিদেশী। আপনি যদি এর আগেও শিং মাছ খেয়ে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন। তুলনায় মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে যা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এছাড়াও দেশী শিং মাছ সচরাচর পুকুর বিল নদী এগুলোতে হয়ে থাকে।

পুরুষের ক্ষেত্রে শিং মাছের ক্ষতিকর কিছু দিক

পুরুষের ক্ষেত্রে শিং মাছের ক্ষতিকর কিছু দিক। শিং মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু এর অনেক ভিটামিন রয়েছে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা আপনার শরীরের হাট এবং রক্ত বৃদ্ধি করে। এমনকি আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে চোখের জ্যোতি বাড়ায় এই শিং মাছ। আপনি কি জানেন শিং মাছের কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে তবে সেটি যদি নিয়ম মেনে খান এটা আর ক্ষতি করবে না।

পুরুষের জন্য শিং মাছের ক্ষতিকর দিক কোনটি বেশি পরিমানে কোলের স্তর শিং মাছের মধ্যে কিছু পরিমাণ কোলেস্ট্রল থাকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল গ্রহণ করলে সেটি হৃদরোগের সমস্যা হতে পারে। এলার্জি কিছু পুরুষের শিং মাছ থেকে এলার্জি হতে পারে যেমন চুলকানি থেকে ফোলা ও শ্বাসকষ্ট। এ ধরনের সমস্যা থাকলে শিং মাছ এড়ানো উচিত।

লাস্ট যেই সমস্যাটি হতে পারে সেটি হল শিং মাছের জালাতে দেখবেন একটি রক থাকে। পুরুষের জন্য এ রগ ক্ষতিকারক। কারণ শিং মাছের রগ সহ আপনি যদি খেয়ে ফেলেন তাহলে। আপনার শারীরিক ক্ষতি হতে পারে তাই শিং মাছ যদি খান তাহলে সেই রোগটি কেটে বের করে ফেলে দিবেন। সে ক্ষেত্রে আর আপনার কোন সমস্যা করবে না।

বাচ্চাদের জন্য শিং মাছ কতটা উপকার

বাচ্চাদের জন্য শিং মাছ কতটা উপকার। শিং মাছ শুধু বাচ্চাদের না তাই ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সব বয়সী লোকদের শিং মাছ উপকার। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে শিং মাছ প্রচুর ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে চার বছরের শিশু থেকে প্রায় ১০ বছরের শিশুকে যদি আপনি প্রতিনিয়ত শিং মাছ খাওয়ায় থাকেন তাহলে যে যে উপকার গুলো পাবেন।

প্রথমে আপনি আপনার বাচ্চাকে সিংহ মাসের সট্রু বানিয়ে খাওয়াবেন। এই মাছের স্ট্রো আপনি বানাবেন যেভাবে। আপনাকে প্রথমে ৪ টুকরা আলু, চার টুকরা টমেটো এমনকি পিয়াস একসঙ্গে নিয়ে জলের মধ্যে একটি পাতিলে করে চুলায় বসিয়ে দিবেন। এরপরে শিং মাছ নিয়ে নিবেন পরিমাণ মতো। অবশ্যই শিং মাছকে টুকরো করে কেটে নিবেন।

তারপরে একসঙ্গে নিয়ে রান্নায় বসিয়ে দিবেন। সতর্কতার সাথে একটুকুও তেল দিবেন না। তারপরে সবগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে। একটু লবণ দেবেন সঙ্গে একটু ঝাল। যখন আপনার পরিপূর্ণভাবে রান্না হয়ে যাবে তখন এর ঝোলটি বাচ্চাদেরকে খাওয়াতে পারেন। ও এই শিং মাছের মাছটি আমরা বাচ্চাকে ভাতের সঙ্গে খাওয়াবেন। দেখবেন এর উপকারিতা কতটুকু।

এছাড়া মানুষ মাসে রয়েছে অনেক গুণ ছোট বাচ্চাদের পুষ্টিগুণের ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করবে। হাড় শক্ত করবে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। আরো যেই উপকার পাবেন ছোট বাচ্চাদের ব্রেনের বৃদ্ধি হবে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুইদিন হলেও শিং মাছের স্ট্রো কিংবা তরকারি খাওয়াবেন।

শিং মাছে কি কি ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে

শিং মাছে কি কি ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। শিং মাছে যে যে ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে আপনি জানলে অবাক হবেন। এগুলো আপনার শরীরের বিভিন্নভাবে উপকার আসবে। শিং মাছে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ এর মধ্যে রয়েছে আয়রন। আয়রন আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও শিং মাছে রয়েছে ক্যালসিয়ামের মত খনিজ উপাদান প্রাচীনকালে রক্তশূন্যতা রোগীদের জন্য এই শিং মাছ খেয়ে আসছে। এই ক্যালসিয়াম আপনার শরীরের হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তোলে। এ ছাড়াও শিং মাছ রয়েছে প্রোটিন। যার শরীরের গঠন ও মাংস বেশি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পিন্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। খনিজ পদার্থ আয়রন ফসফরাস ক্যালসিয়াম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এগুলো আমাদের শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। হার্ট ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মূলত এটি শরীরের কোষগুলো কে ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।

ইলিশ মাছের উপকার সম্পর্কে জানুন 

ইলিশ মাছের উপকার সম্পর্কে জানুন। আমরা এই আর্টিকেলে শিং মাছের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। গর্ব অবস্থায় শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা শিং মাছের ভালো দিক শিং মাছ খেলে আপনার শরীরে কি কি রক্ত বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি আমরা এখন জানব ইলিশমাছের উপকার সম্পর্কে।

আপনারা কি জানেন আমাদের শরীরের কত উপকার করে থাকে। আমরা বাঙালিরা মাছের সম্পর্কে যদি বলতে যাই তাহলে ইলিশ মাছ ইলিশ মাছ হল আমাদের জাতীয় মাছ। মাসে ভাতে বাঙালি, শুভ নববর্ষের দিনে এই পান্তা ইলিশ খাওয়া হয়। মাছের দিক থেকে জনপ্রিয়তায় ইলিশ সব সময় এগিয়ে থাকে। ১০০ গ্রাম ইলিশে ২১. ৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
শিং-মাছের-উপকারিতা
এটা ধরেছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ইলিশ মাছের যে পরিমাণ খনিজ লবণ রয়েছে যার মধ্যে হল ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়রন,ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আমাদের দেহের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার কারণে আমাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।

এছাড়াও ইলিশ মাছের পুষ্টিকর হিসেবে যে উপকার পায় আমরা তা হলোঃ

  • হার্টের জন্য ভালো
  • রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে
  • ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
  • থাইরয়েড গ্রান্থ সুস্থ রাখে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধক
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
  • আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
  • ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে
  • খনিজ ও ভিটামিনের অভাব দূর করে
মূলত ইলিশ মাছ খেলে এ ধরনের উপকার গুলো করে থাকে। এছাড়া ইলিশ মাছের ওসি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। মূলত ইলিশ মাছের দাম অনেক তাই আমরা বাঙালিরা ইলিশ মাছ খেতে পারিনা। তবে চেষ্টা করব ইলিশ মাছ একটু করে হলেও কিনে খাওয়ার।

শিং মাছের চাষ পদ্ধতি

শিং মাছের চাষ পদ্ধতি। আপনি যদি চেয়ে থাকেন যে আমি শিং মাছ চাষ করবো। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলের ধারণা নিয়ে আপনি শিং মাছের চাষ পদ্ধতি শুরু করতে পারবেন। এখনকার বাজার মূল্য যদি ধরতে চান তাহলে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। অনেক টাকা আপনি যদি সফল মাছ ব্যবসায়িক হতে চান শিং মাছ চাষ করে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ধরেন আপনার পুকুরের পরিমাণ ১৫ শতক আপনি ১৫ শতক জমিতেই শিং মাছ চাষ করতে পারবেন। আপনি যদি বাংলাদেশে শিং মাছ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে ধরতে চান তাহলে ময়মনসিংহ সেখানে প্রচুর পরিমাণে শিং মাছ চাষ হয়ে থাকে। আপনি প্রথমে যে কাজটি করবেন পুকুরটাকে ভালো করে খনন করে মাটিটাকে উর্বর করবেন এবং রোগমুক্ত করবেন।

আপনার মাটিকে উর্বর করার জন্য কিছু সার ব্যবহার করবেন। গোবর দেওয়া লাগবে কীটনাশক দিবেন জিও লাইট নামে একটি গ্যাসের ট্যাবলেট পাওয়া যায় যাতে গ্যাসের প্রবলেম না হয়। কারণ মাছে গ্যাস আক্রান্ত করে। আপনার পুকুর রেনু করা হলে সাত থেকে দশ দিন পর আপনি মাসের পোকা ছাড়তে পারেন। তবে আপনাকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে।

আপনার মাছের পোনা ছাড়ার পর জীবাণু দূর করার জন্য আর রাসায়নিক জিওলাইট ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও মাসের রোগ না হওয়ার জন্য সুফল শোনা নামে একটি ভিটামিন পাওয়া যায় সেটি আপনার ব্যবহার করতে পারেন। প্রতি দশ শতাংশ জমিতে একটি করে সুফল শোনা ওষুধটি দিতে হবে। মানে প্রতি শতাংশে পঞ্চাশ গ্রাম করে সুফল সোনা নামে ওষুধটি ব্যবহার করতে।

আর খাওয়া দাওয়া ফিট আটা এগুলো তো দেওয়া লাগবে। মূলত এটি আপনি ছয় থেকে আট মাস পর বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। আর যদি আপনি ভেবে থাকেন আমি এক বছর সময় নেব পারবেন সমস্যা নাই। আপনি চাইলে এভাবে শিং মাছ চাষ করে লাভবান হতে পারবেন। শিং মাছের চাহিদা অনেক এর ভিটামিন অনেক তাই শিং মাছ চাষ করুন।

শিং মাছের উপকারিতা নিয়ে আমাদের শেষ কথা

শিং মাছের উপকারিতা নিয়ে আমাদের শেষ কথা। এই আর্টিকেল জুড়ে শিং মাছ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। শিং মাছ আমরা সাধারণত যারা হাওড়া অঞ্চলে বসবাস করি। তারা অনেকেই নদী-খাল বিলের থেকে ধরে আনি। আবার যারা ময়মনসিংহ এর মত অন্যান্য অঞ্চলে তারা কিন্তু শিং মাছ চাষ করে।

আপনি আপনার শরীরের রোগ মুক্ত করার জন্য শিং মাছ খেতে পারি। শিং মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করি। আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক মাছ বিষয়ক আপডেট পেতে আর্টিকেলটি ভিজিট করবেন ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url