অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন কত?বছরে ৩০ লাখ টাকা ইনকাম
অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন কত? বছরে ৩০ লাখ টাকা ইনকাম। অস্ট্রেলিয়া হল এমন একটি
দেশ যেখানে জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত। এবং কর্মসংস্থানের জন্য খুব স্বপ্নের
এবং অনেক জনের স্বপ্নের দেশ।
শুধু কাজকর্মই নয় এটি কেবল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য অনেক সুন্দর এবং উন্নত
দেশ। আপনি যদি ভেবে থাকেন অস্ট্রেলিয়া যেকোনো কাজের জন্য বা চাকরির জন্য যাবেন।
তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক বড় উপকার করবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃঅস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন কত
- অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন অস্ট্রেলিয়া চাকরি
- অস্ট্রেলিয়া তে হোটেলের বেতন কত
- অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভারদের বেতন কত
- অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি ভিসার বেতন কত
- অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে কত খরচ লাগে
- অস্ট্রেলিয়াতে যে কোন কাজের সর্বনিম্ন বেতন কত
- অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
- অস্ট্রেলিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার প্রসেসিং
- অস্ট্রেলিয়াতে যাবেন কিভাবে আবেদন থেকে ভিসা পর্যন্ত
- অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন সম্পর্কে শেষ কথা
অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন অস্ট্রেলিয়া চাকরি
অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন অস্ট্রেলিয়া চাকরি। অনেকেরই স্বপ্নের দেশ হলো
অস্ট্রেলিয়া। কারো আবার পড়ালেখা করার জন্য অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার খুব ইচ্ছা।
কারণ সুইজারল্যান্ড যেমন সৌন্দর্যের দিক থেকে এক নম্বর সেই রকম পাশাপাশি
অস্ট্রেলিয়া খুবই সুন্দর একটি দেশ। সেখানে কাজের বেতন সম্পর্কে অনেকের ধারণা
নাই অনেকেই সেখানে কাজ করতে চায়।
অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন সম্পর্কে ধারণা মূলত যারা অস্ট্রেলিয়াতে থাকে তাদের
থেকে নেওয়া তথ্যে জানা গেছে যে অস্ট্রেলিয়ার কাজের বেতন অনেক। অস্ট্রেলিয়া
কাজের অনেক ধরন রয়েছে, অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। আপনার কাজ যেরকম আপনার বেতন
সেরকম। যেমন আপনি যে কাজগুলো করলে আপনার বেতন হবেঃ
- হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর কাজ
- ড্রাইভারি
- দোকান
মূলত এই তিনটা কাজের উপর ভিত্তি করে যদি আপনি অস্ট্রেলিয়াতে কাজ করেন। তাহলে
আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে মাসে প্রায় দুই লাখ টাকার উপর। একজন ড্রাইভার এর
বেতন ঘন্টায় ২০ ডলারের উপর অস্ট্রেলিয়ান ডলার। যদি আপনি স্ক্রিল প্রাপ্ত
এমনকি ভালো পজিশনে ড্রাইভিং করেন তাহলে আপনার বেতন এর থেকে আরও অনেক বেশি
হবে।
এছাড়াও দোকান হোটেল এসবের কাজ করলেও আপনি যদি সর্বনিম্ন হোটেলের ওইটার হিসেবে
কাজ করেন তাহলে আপনার বেতন অনেক। আপনি যদি সর্বনিম্ন ওয়েটার পদে জব করেন তাহলে
আপনার বেতন ঘণ্টায় ১৮ ডলার সর্বনিম্ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার। ওয়েটার পদে যদি
আপনি কাজ করেন তাহলে আপনার জন্য সুবিধা আপনি টিপস পাবেন এছাড়া দোকানের কাজ
করলে বেতন ভালো পাবেন।
অস্ট্রেলিয়া তে হোটেলের বেতন কত
অস্ট্রেলিয়া তে হোটেলের বেতন কত? ইউরোপের মতো আরেকটি সুন্দর দেশ হলো
অস্ট্রেলিয়া। যেখানে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন
দেশ থেকে মানুষ গিয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে একটি উন্নত প্রযুক্তির দেশ।
কারণ এখানে সব ধরনের কাজে প্রযুক্তি গত দিক দিয়ে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
আর এই জন্য অল্প কাজেই প্রতি মাসে ভালো ইনকাম করা যায়।
বাংলাদেশের হাজার হাজার নাগরিক রয়েছে যারা অস্ট্রেলিয়াতে বিভিন্ন কাজের
উদ্দেশ্যে আসতে চায়। সেটা হতে পারে দোকান সেটা হতে পারে কৃষি কাজ সেটা হতে
পারে ফলের বাগান আবার সেটা যদি হয়ে থাকে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট। মূলত
অস্ট্রেলিয়াতে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর বেতন কত?
মূলত অস্ট্রেলিয়াতে যারা থাকে তাদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে জানা গেছে।
অস্ট্রেলিয়াতে একজন ওয়েটারের বেতন সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২৩ ডলার যা বাংলা টাকা
যদি কনভার্ট করেন তাহলে অনেক টাকা। অস্ট্রেলিয়ান ডলারে 18 থেকে 23 ডলার
প্রতি ঘন্টায়। এখানে ইন্ডিয়া বিভিন্ন দেশ থেকে ঘোরার জন্য অস্ট্রেলিয়াতে
আসে এজন্য অস্ট্রেলিয়াতে অনেক হোটেল রয়েছে।
এছাড়াও যারা শেভ মানে রান্না করে তাদের বেতন ঘন্টায় 30 ডলারের উপর
অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৩০ ডলার। তার মানে বোঝা যাচ্ছে আপনি যদি
অস্ট্রেলিয়াতে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর কাজ করেন। আপনার মাসিক স্যালারি
পড়বে সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা। আপনার যদি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের কাজ করার
ইচ্ছে থাকে তাহলে আপনি অস্ট্রেলিয়াতে আসতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভারদের বেতন কত
অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভারদের বেতন কত?অস্ট্রেলিয়াতে দুই ভাবে ড্রাইভিং করা
যায়। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনি
অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভিং করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে স্কিল
প্রাপ্ত ড্রাইভার হতে হবে। আপনাকে পূর্ণাঙ্গ গাড়ি চালা শিখতে হবে। মূলত
আপনি কোন দুই ভাবে অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভিং করতে পারবেন।
আপনার যদি অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভিং করার ইচ্ছা থাকে প্রথমে আপনাকে
ড্রাইভারি লাইসেন্স সহ ভালোভাবে ড্রাইভিং শিখতে হবে। তারপরে সম্পূর্ণ
প্রসেসের মধ্যে দিয়ে আপনাকে অস্ট্রেলিয়াতে চাকরির জন্য যেতে হবে সেটা যে
চাকরি হোক তবে অবশ্যই আপনি ড্রাইভিং এর জন্য যাবেন। আপনি একটা গাড়ি
ভাড়া করে সেটা মান্থলি স্যালারি দিয়ে চালাতে পারবেন।
ধরেন আপনি একটি গাড়ি মান্থলি ভাড়া নিলেন। প্রতি মাসে আপনাকে কিছু
পরিমাণ টাকা দেওয়া লাগবে আর বাকি টাকা আপনার থেকে যাবে। আরেকভাবে আপনি
গাড়ি চালাতে পারেন সেটা হলোঃ আপনি যে কোন মালিকের হয়ে ড্রাইভিং করতে
পারেন। এক্ষেত্রে মালিকের ড্রাইভিং করলে সুবিধা হলো থাকার ব্যবস্থা ওরাই
করে দেয়।
অস্ট্রেলিয়াতে ড্রাইভার এর বেতন কত? মূলত বাংলাদেশের মতো মাসিক সেলারি
হিসেবে অস্ট্রেলিয়াতে বেতন দেওয়া হয় না সেখানে বেতন দেওয়া
হয় ঘন্টা হিসেবে। আপনি সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করবেন প্রায় 40 ঘন্টা। দুই
দিন ছুটি পাবেন। কারণ দুই দিন ছুটি থাকে এটা তাদের সরকারি ছুটি, এছাড়াও
আপনার ড্রাইভিং এর উপর নির্ভর করবে আপনার কাজ। তবে দুই দিন ছুটি থাকে
অস্ট্রেলিয়াতে।
অস্ট্রেলিয়াতে আপনি যদি ড্রাইভারের কাজ করেন। তাহলে আপনার ঘন্টায় পড়বে
প্রায় 30 ডলার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় অনেক টাকার রেট
অনুযায়ী আপনি হিসাব করে নিবেন আপনার বেতন কত হবে। মজার বিষয় হচ্ছে সেখানে
ভ্যানের ড্রাইভারি পর্যন্ত করা যায়। মালামাল বহনের কাজ তাকে অনেক এজন্য
ভ্যান ড্রাইভার এর প্রয়োজন পড়ে।
অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি ভিসার বেতন কত
অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি ভিসার বেতন কত? মূলত অস্ট্রেলিয়াতে এগ্রিকালচার
ভিসা অর্থাৎ কৃষি ভিসা ফল বাগানের ভিসা এরকম ধরনের ভিসা অনেক পাওয়া
যায়। অনেকেই আছে যারা কৃষিকাজ করে তারা ইউরোপের মতো দেশগুলো তে যায়।
সেরকম অস্ট্রেলিয়া হলো ইউরোপের মতো একটি দেশ খুব ভালো দেশ দেখতেও যেরকম
সুন্দর তেমনি তাদের কাজের বেতন ভালো।
আপনি অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাবেন। যেমন প্রথমত
আপনি পেঁয়াজ আলু সবজি এ ধরনের কাজগুলো আপনি পাবেন। এরপর আপনি পাবেন
ফল বাগানের ভিসা অস্ট্রেলিয়ান অনেকগুলো ফলের বাগান রয়েছে।
যেগুলোতে কাজ করার জন্য অনেক লোক লাগে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান
রয়েছে। আপেল, কমলা, মালটা, কমলা ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ
যেভাবে আপনি কাতার যাবেন জেনে নিন
মূলত এই ধরনের ফলের বাগান গুলোতে আপনি চাইলে অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি বিষয়ে
আসতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমেই আপনার পরিচিত অস্ট্রেলিয়াতে যারা
থাকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া যে কোনো পরিচিত এজেন্সির
মাধ্যমে আপনি অস্ট্রেলিয়া তে কৃষি ভিসায় যেতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়াতে কৃষি ভিসা বেতন কত?
অস্ট্রেলিয়াতে আপনি কৃষি বিষয়ে কাজ করবেন সবচাইতে ভালো কাজ হলো ফলের
বাগান। কিছুদিন আগে একটি নিয়োগে দেখা গেছিলো। একটা মালিকের ফলের বাগানে
কিছু কর্মচারী লাগবে। তো উনার নিয়োগপত্রে লেখা ছিল ঘন্টা পতি একজন
কর্মচারী পাবে সর্বনিম্ন ২৮ থেকে ৩০ ডলার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। সেখান
থেকেই আরেকজন যে অস্ট্রেলিয়াতে আছে তার কাছ থেকে নেওয়া তথ্য।
অনুযায়ী একজন অস্ট্রেলিয়াতে যারা কৃষি ভিসায় কাজ করে। তাদের সর্বনিম্ন
বেতন হলো ৩০ ডলার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পাওয়া যায়
আপনাকে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা ডিউটি করতে হবে। এখন আপনি হিসাব করে নেন
আপনার স্যালারি কত হবে। তবে আনুমানিক হিসাব করে পাওয়া গেছে মাসে প্রায়
তিন থেকে চার লাখ টাকা বেতন।
অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে কত খরচ লাগে
অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে কত খরচ লাগে। অস্ট্রেলিয়া যেতে কত খরচ
লাগে এটা নির্ভর করে আপনার কিসের উপর যাবেন। মূলত যদি আপনি কাজ করতে
চান তাহলে একরকম খরচ পড়বে আপনি যদি ঘুরতে যান তাহলে একরকম খরচ পড়বে।
এছাড়াও আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় পড়ালেখা করতে যান তাহলে আপনার
একরকম খরচ পড়বে।
স্টুডেন্ট ভিসার খরচ হিসেবে সেরকমটা বলছি না কারণ স্টুডেন্ট ভিসায় খরচ
সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত ভাবে দেওয়া রয়েছে। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে
ঘুরতে যান সে ক্ষেত্রে আপনার আনুমানিক মোট খরচ হতে পারে প্রায়
বাংলাদেশী টাকায় ২ লাখ টাকার মত।
এছাড়া আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে যে কাজের জন্য যান সে ক্ষেত্রে আপনার
কত খরচ পড়বে। মূলত আপনাকে আবেদন ফি জমা দিতে হবে তারপর আপনার যে
যে কাজগুলোর জন্য টাকা লাগে তা হল ফ্লাইট খরচ, বাসস্থান খরচ দীর্ঘ
মেয়াদী মাসিক খরচ, পরিবহন খরচ আরো অন্যান্য খরচ রয়েছে এছাড়াও
এজেন্সির নিজস্ব বিল।
সব মিলিয়ে আপনি যদি এজেন্সি ধরে যান তাহলে আপনার খরচ পড়তে পারে
প্রায় 10 থেকে 12 লক্ষ টাকার মত। আমাদের বাংলাদেশ থেকে যদি আপনি
অস্ট্রেলিয়াতে যান তাহলে আপনার মোট খরচ আসতে পারে প্রায় ১২ লাখ
টাকা। সরকারিভাবে গেলে হয়তো সাত থেকে আট লাখ টাকার মধ্যে হয়ে যেতে
পারে। তবে সবাই এজেন্সি ধরে যাওয়ার চেষ্টা করে।
অস্ট্রেলিয়াতে যে কোন কাজের সর্বনিম্ন বেতন কত
অস্ট্রেলিয়াতে যে কোন কাজের সর্বনিম্ন বেতন কত? অস্ট্রেলিয়াতে যে কোন
কাজ বলতে বুঝাচ্ছে যে কোন ক্যাটাগরের কাজ। সেটা হতে পারে রান্নাবান্না
সেটা হতে পারে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর কাজ দোকানের কাজ ড্রাইভারি।
আরো অন্যান্য কাজ রয়েছে সেগুলোতে বেতন কিরকম?
মূলত অস্ট্রেলিয়াতে একজন ড্রাইভার এর বেতন সর্বনিম্ন বাংলাদেশী
টাকায় হিসাব করতে যান মাসে প্রায় আড়াই লাখ থেকে তিন লাখ টাকার মত
পরে। যারা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে কাজ করে তাদের মাসিক বেতন সর্বনিম্ন
তিন লাখ টাকার মত। অবশ্যই এখানে কিছু খরচ রয়েছে আপনার হাত খরচ সেগুলো
বাদ দিয়ে হলেও আপনি ভালো এবং পাবেন।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়াতে যারা দোকানে চাকরি করে বিভিন্ন দোকান। এটা হতে
পারে কসমেটিকস ওষুধ মুদি দোকান আর অন্যান্য দোকানগুলো রয়েছে
সেগুলো। এগুলোতে যদি আপনি জব করেন তাহলে আপনার সর্বনিম্ন পার ঘণ্টায়
পড়বে ২৫ থেকে ৩০ ডলার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। সব মিলিয়ে বোঝা যায়
অস্ট্রেলিয়াতে জীবন যাত্রার মান উন্নত এখানে ভালো বেতনের চাকরি
পাওয়া যায়।
অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
অস্ট্রেলিয়া যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে। মূলত অস্ট্রেলিয়াতে মানুষ বিভিন্ন
কারণে যায়। কেউ পড়ালেখা করতে যায় কেউ আবার চাকরির জন্য যায় কেউ আবার
ঘুরতে যায়। এক আধ ধরনের একাধ ভিসা হয়ে থাকে। তবে মূলত অস্ট্রেলিয়াতে যেতে
যে যে কাগজপত্র গুলো লাগে, তা কিছু কিছু কাগজপত্র প্রায় এক হয়ে থাকে।
কিন্তু ক্রোম ভেদে কিছু কিছু কাগজপত্র আলাদা হয়। এই জিনিসটা আপনারও
প্রয়োজন পড়বে হয়তোবা আপনি ভাবছেন আপনি অস্ট্রেলিয়াতে যাবেন। কিংবা
অস্ট্রেলিয়া ছাড়া অন্যান্য দেশেও সেম কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে। তাই জেনে
রাখুন অস্ট্রেলিয়াতে যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে। প্রথমে
আসি অস্ট্রেলিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার কাগজপত্রঃ
- পাসপোর্ট
- জব অফার লেটার
- নমিনেশন লেটার
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ
- যোগ্যতার সনদপত্র
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- অর্থনৈতিক প্রমাণ
- ভোটার আইডি এন আইডি কার্ড
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- নাগরিকত্ব
স্টুডেন্ট ভিসার কাগজপত্র সমূহঃ
- পাসপোর্ট
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতা(IELTS)
- অর্থনৈতিক সামর্থ্যের প্রমাণ
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা রিপোর্ট
- স্বাস্থ্য বীমা
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন কপি
- ছবি
- Nid card
টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফরম
- ফটো
- অর্থনৈতিক সমর্থের প্রমাণ
- রিটার্ন টিকেট
- ভ্রমণ পরিকল্পনা
- স্পনসরসিভ লেটার
- স্বাস্থ্য বীমা
- আবেদন ফি লেটার
মূলত আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে টুরিস্ট ভিসা কিংবা ওয়ার পারমিট ভিসা ও
স্টুডেন্ট ভিসায় যে থাকেন তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় এ সমস্ত কাগজপত্র গুলো
প্রয়োজন পড়বে। এগুলোর প্রত্যেকটাই হলো কার্যকারী এবং খুবই প্রয়োজনীয়।
কার্যক্ষেত্রে একটা আলাদা হতে পারে। আপনি যদি মনে করে থাকেন আপনি যাবেন
অস্ট্রেলিয়াতে তাহলে এ সমস্ত কাগজপত্রগুলো জোগাড় করে রাখবেন।
অস্ট্রেলিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার প্রসেসিং
অস্ট্রেলিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার প্রসেসিং। অনেকের স্বপ্ন থাকে
বিদেশি পড়ালেখা করবে। বিদেশি ডিগ্রী অর্জন করবে সেটা যেভাবেই হোক,
অনেকের ড্রিম কান্ট্রি থাকে বিদেশে পড়ালেখা করার জন্য কারো কারো থাকে
আমেরিকা, কারো থাকে লন্ডন, কারো থাকে কানাডা ফ্রান্স
সুইজারল্যান্ড ইতালি, আবার কারো থাকে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ সৌন্দর্যময়
দেশ।
এ সমস্ত দেশগুলোতে অনেকের ইচ্ছা থাকে প্রথমত পড়ালেখা করে ভালো একটি ডিগ্রী
অর্জন করবে। তারপরে পড়ালেখা শেষ করে সেই দেশেই পার্মানেন্ট কিংবা সেটেল হয়ে
যাওয়া চিন্তা থাকে। ভালো একটা চাকরি ম্যানেজ করে সেটেল হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন
থাকে। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার কি প্রসেসিং এর
মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে আপনার সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে। এখন যদি
আপনি পিএইচডি করতে যান সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন পড়বে মাস্টার্স
সার্টিফিকেট। এছাড়া যদি আপনি ব্যাচেলর করতে চান কিংবা গ্রাজুয়েট করতে যান
তাহলে আপনার নূন্যতম এইচএসসি পাশের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
তারপরে যে জিনিসটি ম্যানেজ করতে হবে তা হল আই এল টি এস এর সার্টিফিকেট।
ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সার্টিফিকেট। এই দুইটা জিনিস ম্যানেজ করলে আপনার
প্রয়োজন পড়বে ব্যাংক স্টেটমেন্ট আর একটি পাসপোর্ট। তারপর আপনি আপনার
সার্টিফিকেট দিয়ে যে ভার্সিটিতে পড়তে চান সেখানে অনলাইনে আবেদন
করবেন যদি অ্যাপ্রভাল পান।
সেখানে যদি আপনি সিলেক্ট হন সেই কপিটি নিয়ে আপনি এম্বাসি অফিসে গিয়ে ভিসার
জন্য আবেদন করবেন। মূলত যে সমস্ত কাগজপত্র গুলো প্রয়োজন হয় তা উপরে লিস্ট
আকারে দেওয়া হয়েছে সেগুলো দেখে নিবেন। সে সমস্ত কাগজপত্রগুলো নিয়ে আপনি
ভিসার জন্য আবেদন করবেন। আপনার ভিসা কমপ্লিট হলে আপনার কাগজপত্র কমপ্লিট
হলে আপনি ফ্লাইট করে যেতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়াতে যাবেন কিভাবে আবেদন থেকে ভিসা পর্যন্ত
অস্ট্রেলিয়াতে যাবেন কিভাবে আবেদন থেকে ভিসা পর্যন্ত। সংক্ষেপে যদি বলি
তাহলে একজন স্টুডেন্ট পড়ালেখা করার জন্য যে ভিসায় যায়। আপনিও মূলত সে
প্রসেসিং এর মধ্যে দিয়ে যেতে পারবেন। যদি আপনি কাজের জন্য যান সে ক্ষেত্রে
আপনার ভিসার ক্যাটাগরি হবে আলাদা সেটা হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। আপনি
মূলত এই ভিসায় যেতে পারবেন।
প্রথমে আপনাকে অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন
হয় সেগুলো আপনাকে ম্যানেজ করে রাখতে হবে। অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার জন্য যে
কাগজ গুলো প্রয়োজন হয় তা উপরে লিস্ট আকারে দেওয়া রয়েছে। আপনার সম্পূর্ণ
কিছু ঠিক থাকলে আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যম দিয়ে যান তাহলে ভালো এজেন্সি
ধরবেন। সেক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট প্রয়োজন পড়বে।
তারা আপনার পাসপোর্ট নিবে আরও যে সমস্ত জিনিসপত্র গুলো লাগে তারাই নিয়ে
নিবে। আপনি যদি সরকারিভাবে যান তাহলে আপনাকে সরকারি ভাবে আবেদন করতে হবে
অনলাইনে। এজেন্সির মাধ্যমে গেলে সম্পূর্ণ কাজ ওরাই করবে আপনার কতটা
ঝামেলা করতে হবে না তবে রিক্স আছে। ভালো এজেন্সি না পেলে টাকা মার
যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আপনি এপ্লাই করার পর আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য সেখানে চূড়ান্ত হন
তাহলে আপনাকে মেসেজ করবে। এমনকি তাকে ওয়ার্ক পারমিট এর কপি পাঠাবে। তারপর
আপনার ওয়ার্ক পারমিটের approval কপি পেয়ে গেলে। আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর
জন্য প্রস্তুত সেক্ষেত্রে আপনি ভিসা আবেদন করার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে
আসবেন।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার পর ভিসার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। মূলত
আপনার ভিসা কনফার্ম হয়ে গেলে আপনার ভিসা যদি প্রস্তুত হয়ে যায় তাহলে
আপনাকে ফোনে মেসেজ করবে। আপনি মেসেজ পাওয়ার পর ভিসা অফিসে যাবেন আপনার
ভিসা এবং পাসপোর্ট হাতে পাবেন তারপর আপনাকে টিকিট করতে হবে। তারপরে আপনি
অস্ট্রেলিয়াতে যেতে পারবেন।
অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন সম্পর্কে শেষ কথা
অস্ট্রেলিয়া কাজের বেতন সম্পর্কে শেষ কথা। অস্ট্রেলিয়ার বেতন সম্পর্কে
বিস্তারিতভাবে এই আর্টিকেলে বলা আছে। অস্ট্রেলিয়ার থেকে না যেতে চায়
সবাই চায় অস্ট্রেলিয়া হলো একটি সৌন্দর্যময় দেশ যেখানে ঘোরাফেরা কাজ এবং
পড়ালেখা দুইটাই ভালোভাবে করা যায়।
আপনি যদি অস্ট্রেলিয়াতে যেতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য
খুবই হেল্পফুল হবে। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই
অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। এরকম প্রবাস ও ইনকাম সম্পর্কে জানতে দৈনিক
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url