গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা কি? ডালিম ও বেদেনার পার্থক্য

গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা কি? ডালিম ও বেদেনার পার্থক্য। ডালিম এমন একটি ফল যেটি আমাদের শরীরের যে কাজটি করে তা হল রক্তবৃদ্ধি করে। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু এটাকে বলা হয় আনার।

গর্ভাবস্থায়-ডালিম-খাওয়ার-উপকারিতাআপনি কি জানেন একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ব অবস্থায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কতটা জরুরি। আর এই আয়রন রয়েছে ডালিমে কিংবা বেদেনা এ সম্পর্কে সবকিছু জানতে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃগর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা। ডালিম এবং আনার গর্ব অবস্থায় ডালিম এবং আনার খাওয়া একজন মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুবই সুস্বাদু এবং লাল টকটকে হয় এই ডালিম। গর্ভাবস্থায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া আমাদের জন্য বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই আয়রনসমৃদ্ধ খাবার হল ডালিম।

অনেক গর্ভবতী মায়েরা গর্ব অবস্থায় এই আনার কিংবা ডালিম খান। আবার কেউ কেউ এই খাবারটি খেতে নাকি ভয় করেন। কেন খাচ্ছেন না জানিনা তবে গর্ব অবস্থায় ডালিম কিংবা আনার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী। কানার বা ডালিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ভিটামিন এ ভিটামিন কে এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ফলিক এসিড আয়রন।


এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। ডালিমের মধ্যে এই সমস্ত পুষ্টি ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরে গিয়ে নানান ভাবে কাজ করে থাকে। যার ফলে আমাদের শরীর বিভিন্ন দিক থেকে আমরা উপকার পেয়ে থাকি এই ডালিম কিংবা আনার খাওয়ার মাধ্যমে। গর্ব অবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলোঃ

  • শরীরকে সুস্থ রাখে
  • শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে
  • শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে তোলে
  • অনাগত সন্তানের স্নায়ুতন্ত্র শক্তিশালী করে
  • আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে
  • শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে
  • অক্সিজেনের মাত্রা সঠিক থাকে
  • পেট জনিত রোগ থেকে মুক্তি পায়
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

মূলত গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলা যদি প্রতিনিয়ত ডালিম কিংবা আনার খেয়ে যান তাহলে তার শরীরে এ ধরনের ঘাটতি গুলো কিংবা এ ধরনের রোগ গুলো আর হবে না। ডালিম একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফল। যেদিকে আপনি জুস করেও খেতে পারেন। তাই গর্ভাবস্থায় ডালিম কিংবা আনার সপ্তাহে দুদিন হল খাওয়ার চেষ্টা করবেন সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন।

রাতে ডালিম খেলে কি হয়

রাতে ডালিম খেলে কি হয়? অনেকের কাছে প্রশ্ন থাকে রাতের বেলা যদি আমরা যে কোন ধরনের ফল খাই তাহলে সে ক্ষেত্রে কি কি উপকার পাবো। বিশেষ করে ডালিম কিংবা আনার যদি আমরা রাতের বেলা খেয়ে থাকি তাহলে আমরা কি কি উপকার পেতে পারি। মূল কথা হচ্ছে রাতের বেলা ডালিম খেলে কি হয় ? এই আর্টিকেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

রাতে ডালিম খাওয়া কিছু স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারিতা থাকতে পারে। তবে এটি নির্ভর করবে একজন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি এক্সিডেন্ট রয়েছে যাদের কোষগুলোকে মুক্তমল থেকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়া ঘুমের মান উন্নত করে যদি ঘুমের সমস্যা থাকে কারো তাহলে রাতের বেলা ডালিম খেতে পারেন।

হৃদ যন্ত্রের জন্য উপকারী, ডালিম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে যার ফলে রাতে খাওয়ার সময় সারারাত রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে মূলত আপনি এই উপকার গুলো পাবেন। তাই আপনারা যারা মনে করতেছেন রাতের বেলা ডালিম খাবেন তারা খেতে পারেন।

বেদনা বা ডালিম এর উপকারিতা

বেদনা বা ডালিম এর উপকারিতা। বেদনা অর্থাৎ ডালিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। যা শরীরের জন্য বিভিন্ন দিক থেকে উপকার নিয়ে আসে। এটাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে খনিজ লবন রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। বেদানাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টি এক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। বেদনাতে পিউনিক্যালিজিন নামে এক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

যা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে প্রতিরোধ করে বিভিন্ন রোগ থেকে। বেদনা আমাদের শরীরের হৃদরোগের ঝুকি কমায়। বেদনা কিংবা ডালিম এটা একই ফল কিন্তু জাত ভেদে একটু আলাদা। কি রকম আলাদা তার নিচে উল্লেখ করা রয়েছে। বেদনা আমাদের শরীরের যে রক্তনালী রয়েছে সেটাকে নমনীয় রাখে। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমায় এজন্য হৃদরোগের ঝুঁকি কম হয়।

গর্ভাবস্থায়-ডালিম-খাওয়ার-উপকারিতাবেদনা কিংবা ডালিম আমাদের শরীরে আরেকটি যে উপকার করে তা হলো, রক্তশূন্যতা দূর করে। বেদনাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। এটি আয়রন সমৃদ্ধ ফল যার ফলে রক্তশূন্যতা দূর করে। এমনকি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও হজম শক্তিতে উন্নত। এছাড়া আমাদের শরীরের ত্বকের যত্নে খুব সহনশীল বিভিন্ন ধরনের দাগ কমায়।

এছাড়াও আরো উপকার পাওয়া যায় হার মজবুত করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, মস্তিষ্কের কার্যকরী বৃদ্ধি করে। প্রদাহ দূর করে থাকে। ডালিম কিংবা বেদেনা খেলে এ ধরনের উপকার গুলো আমরা পাবো। আপনারা যারা ভাবতেছেন ডালিম কিংবা বেদানা খাবেন তারা সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে অনেক উপকার পাবেন।

ডালিমের বিচির চমৎকার উপকার কি

ডালিমের বিচির চমৎকার উপকার কি? ডালিমের বিচির আবার উপকার এটা কি আসলেই সত্যি হ্যাঁ ডালিমের বিচি উপকার রয়েছে। অনেকে মনে করে থাকেন ডালিমের বিচি যদি আমরা গিলে গিলে খাই সেক্ষেত্রে আমাদের পেটে সমস্যা করতে পারে। এটা খাওয়ার কিছু নিয়মও রয়েছে নিয়ম মেনে খেলে ডালিমের বিচি, আপনার শরীরের জন্য উপকার নিয়ে আসবে। 

আগে জেনে নিই ডালিমে কি কি রয়েছে খাদ্য শক্তি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক রয়েছে সেই সঙ্গে আয়রনের ভালো উৎস হল ডালিম। ডালিমের বিচি কিভাবে স্বাস্থ্যকর ডালিমের বিচি ছড়িয়ে খেলে খুব ঝামেলা হয়। এজন্য আপনারা যে কাজটি করবেন তা হলো বেলেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিবেন।


এখন আপনারা ব্লেন্ডার ব্লাইন্ড করার পর যদি ছেঁকে রসগুলো খেয়ে নেন। তাহলে কি উপকার পাবেন অবশ্যই উপকার পাবেন সেক্ষেত্রে ফাইবারের মাত্রা কম পাবেন। চিকিৎসা বিদেরা গবেষণা করে পেয়েছে যে ডালিমের রসে যে পরিমাণ ফাইবার থাকে তার থেকে দ্বিগুণ পরিমানে ফাইবার থাকে ডালিমের বিচিতে।

শুধু তাই নয় এই ডালিম কিংবা বেদনা এর আরো একটি নাম হলো আনার। এর বিচিতে এমন কিছু গুণাগুণ রয়েছে যেটা খেলে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে। এছাড়াও বেদনার বিচির মধ্যে এক প্রকারের তেল থাকে। যেটা আপনি যদি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ত্বকের জন্য খুব ভালোভাবে কাজ করবে। আপনার ত্বকের ব্রণ মেস্তা এসব দাগ উঠে যাবে।

এছাড়াও এই বিচির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যা আপনার হার্টের জন্য খুব ভালোভাবে কাজ করবে। অনেকেরই হাটের প্রবলেম থাকে যদি আপনাদের হার্টের প্রবলেম থাকে আপনারা ডালিম কিংবা বেদনার বিচি সহকারে খাবেন। যদি পেট ফাঁপা নিয়ে ভয় করেন তাহলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে খাবেন সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন।

জেনে নিন ডালিম পাতার উপকার

জেনে নিন ডালিম পাতার উপকার? আমরা এতক্ষণে জানলাম ডালিম ফলের উপকার গুলো। ডালিম কিভাবে খাবেন এর মধ্যে কি পরিমানে ভিটামিন রয়েছে কি কি ভিটামিন সমৃদ্ধ এ ডালিম ফল। ডালিমের বিসি খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়। সেগুলো বিস্তারিত জেনেছি আপনি কি জানেন ডালিমের পাতার মধ্যে আশ্চর্যজনক উপকার রয়েছে।

এই পাতা যদি আপনি প্রতিনিয়ত খান তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার পাবেন। ডালিম ফল কিংবা ডালিমের বিচি খেয়ে যদি আপনি উপকার পান অবশ্যই ডালিমের পাতা খেলেও আপনি অনেক উপকার পাবেন। ডালিমের পাতা খেলে কি কি উপকার পাবেন সেগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

  • ডালিমের পাতা বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে
  • ঘা বা চুলকানি দূর করবে
  • অর্শ বা পাইলস রোগের সমাধান করে
  • চুল পড়া বন্ধ করে
  • রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়/কাটা অংশে থেথা করে লাগাবেন
  • মুখের ব্রণ দূর করবে/ অংশে থেথা করে লাগাবেন

মূলত ডালিম পাতা আমাদের শরীরে অনেক অংশে উপকারে করে। তবে এখানে কিছু কিছু ভাগ রয়েছে যেমন চুলকানি দূর করবে সেখানে আপনি ডালিম পাতা আপনার চুলকানি অংশে থেতিয়ে লাগাবেন। অথবা পাইলস রোগ এটার ক্ষেত্রে আপনি জুস করে কিংবা এর রস খাবেন। মূলত এভাবে আপনি ডালিম পাতার রস খাবেন আপনার এই ধরনের রোগ গুলো আর হবে না।

ডালিম এবং বেদনার মধ্যে পার্থক্য কি

ডালিম এবং বেদনার মধ্যে পার্থক্য কি? এটা একটি কমন প্রশ্ন? অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন আচ্ছা ডালিম আর বেদনার মধ্যে পার্থক্য কি হতে পারে। আপনি হয়তো জানেন না ডালিম এবং বেদানার পার্থক্য কি অনেকে মনে করে থাকেন ডালিম হয়তো বেশি স্বাদ বেদনা হয়তো কম সুস্বাদু।

ডালিম আর বেদনা এই দুইটাই একই গাছের ফল। বাংলায় ডালিম এবং বেদনা শব্দ দুটি প্রায় একইভাবে সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এইগুলোর মধ্যে কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। যা মূলত আকার এবং ৭ ব্যবহারের উপর নির্ভর। ডালিম সাধারণত বড় হয় এর খোসা সাধারণত পড়ু এবং শক্ত হয়ে থাকে।

বেদানা তুলনামূলক ছোট এর আকারের খোসা খুব পাতলা হয়। সাধের দিক থেকে যদি বলতে চাই ডালিমের ৭ বেশ মিষ্টি হালকা টক স্বাদের হয়ে থাকে। সাধারণত বেদনাও মিষ্টি হয়ে থাকে কিন্তু এর টক স্বাদ তুলনামূলক কম। ডালিম এর বীজ সাধারণত শক্ত, বেদানার বীজ নরম।

এর বহির রং হলো ডালিম খোসার রং গারো এবং লাল এর কিছুটা অংশে হলদে কিংবা লাল হতে পারে। বেদনার খোসা উজ্জ্বল লাল রঙের হয়ে থাকে। এর উপযোগিতা হলো মূলত সরাসরি খাওয়ার জন্য রস তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। বেদনা সরাসরি খাওয়ার পাশাপাশি এটি স্যালাড ও সার্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয়। ডালিম শব্দটি মূলত ব্যবহৃত ডালিম নির্দেশ।

বেদানা শব্দটি ছোট এবং রসালো ডালিমকে নির্দেশ করে। ডালিম এবং বেদনা একই গাছের ফল হলেও। এদের আকার এবং স্বাদের কিছুটা ব্যবহারের ভিন্নতা রয়েছে। এজন্য আমরা মনে করি ডালিম এবং বেদনা দুইটাই আলাদা। আসলেই এরা একই গাছের ফল।

গর্ভাবস্থায় আপেল খাওয়ার উপকার কি

গর্ভাবস্থায় আপেল খাওয়ার উপকার কি? গর্ভাবস্থায় আপেলের গুরুত্ব অনেক। আমরা কিছুক্ষণ আগে ডালিমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। গর্ব অবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা কি সে বিষয়ে আমরা ভালোভাবে জেনেছি। গর্ব অবস্থায় আপনি যদি আপেল খেয়ে থাকেন কিংবা আপেল খান তাহলে কি উপকার পাবেন। সুস্বাদু ফলের মধ্যে আপেল হলো অন্যতম।

বিশেষ করে আপেলের ভাগ রয়েছে যেমন আমরা চিনে থাকি কাশ্মীরি আপেল। এই আপেলটি সাধারণত খুবই মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। আপেলে রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন এবং মিনারেল তাই প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে যারা গর্ভবতী মহিলা রয়েছে তাদের জন্য একটি করে আপেল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার পেটের অনাগত শিশুকে সুস্থ রাখতে সঠিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে একটি করে আপেল খাবেন। তবে চেষ্টা করবেন আপেলের খোসা সহ খাওয়ার। কারণ আপিলের মাংস লঙ্কা থেকে আপেলের খোসায় পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে। আপেল হলো শর্করা শক্তির একটি ভালো উৎস। এই সরকার আমাদের খাদ্যনালীতে ধীরে ধীরে ভেঙে ভেঙে হজম হয়।

যার ফলে আমাদের রক্তের শর্করা মাত্রা অনেকটা স্থিতিশীল হয়ে থাকে। আপেলের ক্যালরিকতা প্রতি ১০০ গ্রাম আপলে রয়েছে ৫২ কিলোক্যালোরি শক্তি। যায় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজনীয়। এমনকি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দৈনিক শক্তির ২.২৬ %পূরণ করে। তাই অবশেষে বলি আরো আপেলের অনেক উপকারিতা রয়েছে।

এমনকি আপনার হজমে জন্য ভালোভাবে কাজ করবে। এছাড়া কষ্ট পাঠানোর মত রোগের সমাধান হলো আপেল। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের কষ্টকাঠিন্য রোগটি হয়ে থাকে। তাই এই সব সমস্যার সমাধানের জন্য আপনি আপেল খেতে পারেন। সেই সঙ্গে ডালিম খাবেন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ডালিম এবং আপেল খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভ অবস্থায় ডালিম ও কিসমিসের উপকার গুলো কি

গর্ভ অবস্থায় ডালিম ও কিসমিসের উপকার গুলো কি? আমরা গর্ব অবস্থায় ডালিম খেলে যে উপকারটি পাবো কিসমিস খেলেও সমপরিমাণ সে উপকার পাবো। আপনি যদি গর্ভকালীন সময়ে ডালিম এবং কিসমিস একত্রে খান সেক্ষেত্রে কি কি উপকার পাবেন তা হয়তো জানেন না। আপনি যদি না জেনে থাকেন এই আর্টিকেলে কিসমিস এবং ডালিমের উপকার সম্পর্কে জানবেন।

গর্ভাবস্থায়-ডালিম-খাওয়ার-উপকারিতাআপনি যদি উপরের পাঠ্য অংশগুলো পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডালিমের উপকার সম্পর্কে জেনেছেন। ডালিম আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে তা এই আর্টিকেলের উপরের অংশে বিস্তারিত ভাবে বলা আছে। যেহেতু আমরা ডালিম এবং কিসমিস একসঙ্গে খাবো সেক্ষেত্রে প্রথমে আমরা জানবো কিসমিসের উপকার গুলো কি কি?

কিসমিস হল ড্রাই ফুডস নামে একটি ফল। এটি শুধু ডালিম এবং কিসমিস একসঙ্গে খেলে উপকার পাবেন সেটা ঠিক। এছাড়াও কিসমিস পোলাতেও যেটাকে আমরা বিরিয়ানি বলি সেটাতেও কিন্তু কিসমিস দিয়ে পোলা তৈরি করা হয়। আমরা এখন জানবো কিসমিসের উপকার গুলো কি কি?

  • কিসমিস শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে
  • হজমি শক্তি উন্নত করে
  • এটিতে আইরন রয়েছে প্রচুর
  • হাড়ের স্বাস্থ্য মজবুত করবে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • হার্টের জন্য ভালো
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো কাজ করে
  • চোখের জন্য প্রচুর উপকারী

মূলত কিসমিসে এই উপকারগুলো আপনি পাবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি কিসমিস এবং ডালিম যেটাকে আমরা আনার বলি বেদেনাও বলে থাকে। এই দুইটি খাবার একসঙ্গে যদি মিশ্রণ করে খান সেক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন। আপনি কিসমিস আর ডালিম একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করেও খেতে পারবেন জুস করার মাধ্যমে। তাহলে শুরু করে দিন সেই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।

ডালিম এবং বেদনার মধ্যে কি কি ভিটামিন রয়েছে

ডালিম এবং বেদনার মধ্যে কি কি ভিটামিন রয়েছে। আমরা প্রথমে জানি ডালিম এবং বেদানা একই ফলের দুটি ভিন্ন নাম। নিচে ডালিম এবং বেদনার পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আমরা জানবো। ডালিম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও ভিটামিন বি এবং ভিটামিন বি৬ ভিটামিন ই ডালিম এবং বেদনার অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে।

ডালিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি ৯ যেটা কোষ বিভাজন এবং আমাদের শরীরের নতুন কোর্স তৈরি করতে সাহায্য করে। অন্যান্য পুষ্টিগুণ সম্পর্কে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, এন্টিঅক্সিডেন্ট যেমন পলি ফ্যান লস।গর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা।

ডালিম খেলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং আপনার শরীরের যে সমস্ত রোগগুলো বাসা বাদে সে রোগগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আপনি যদি মনে করে থাকেন আপনার ত্বকের সমস্যা তাহলেও আপনি ডালিম খেতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে সপ্তাহে সাত দিন না পেলেও দুইদিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে অনেক ভিটামিন ও পুষ্টি পাবেন।

শেষ কথাঃগর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে

শেষ কথাঃগর্ভাবস্থায় ডালিম খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে। ডালিম একটা পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার। এটি কি আমরা আদর্শ খাবার হিসেবে ও ধরে থাকি। শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করার জন্য ডালিমের কার্যকর ভূমিকা প্রচুর। আপনি সপ্তাহে ৭ দিন না পারলেও দুইদিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এক্ষেত্রে অনেক উপকার পাবেন।

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই অন্যজনদের মাঝে শেয়ার করবেন ফেসবুক কিংবা মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ! ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url