বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম ও বিভাগের দর্শনীয় স্থান ,

বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম ও বিভাগের দর্শনীয় স্থান। আমাদের বাংলাদেশের মোট ৮ টি বিভাগ। প্রথমত  ছিল ৭ টি বিভাগ তার পরে নতুন করে একটি বিভাগ নামকরণ করা হয় সেটি হলো ময়মনসিংহ।

বাংলাদেশের-৮-টি-বিভাগের-নামপ্রত্যেকটা বিভাগের দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যে স্থানগুলোর সম্পর্কে হয়তো আপনি জানেন না। আজকের আর্টিকেলে আপনি এই দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃবাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম ও দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম ও দর্শনীয় স্থান

বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম ও দর্শনীয় স্থান। এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ স্বাধীন দেশ সে দেশটির নাম হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগ বিভাগ গুলোর নাম নিচে বর্ণিত লিস্ট আকারে দেওয়া থাকবে। প্রত্যেকটি বিভাগের কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

যে স্থানগুলোতে টুরিস্ট রয়েছে যারা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করে থাকে। তারা গুগলে সার্চ করে বাংলাদেশের সে দর্শনীয় জায়গা গুলোতে ভ্রমণ করতে আসে। যেমন বরিশাল বিভাগ বরিশাল বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম হল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

এই সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন দেশের টুরিস্টরা ভ্রমণ করতে আসে। এছাড়াও রয়েছে সিলেট বিভাগ সিলেট বিভাগের সবচাইতে দর্শনীয় স্থান হল জাফলং। অনেক উঁচু উঁচু পাহাড় রয়েছে। এমনকি জাফলং এ রয়েছে সাদা পাথর স্থান সেটি একটি দর্শনীয় স্থান প্রায় বাংলাদেশেরই অনেক লোকেরা সিলেট গেলে জাফলং এর সাদা পাথরে যায় দেখার জন্য।

বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলোর মধ্যে ব্যতিক্রম হল রংপুর রংপুর বিভাগের উত্তর অঞ্চলে অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক এবং ঐতিহাসিক স্থাপনের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে তাজহাট জমিদার বাড়ি। আটটি বিভাগেরই দর্শনের স্থান সম্পর্কে নীচে বর্ণিত আকারে দেওয়া থাকবে। বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম হলোঃ

  • ঢাকা বিভাগ
  • চট্টগ্রাম বিভাগ
  • খুলনা বিভাগ
  • রাজশাহী বিভাগ
  • সিলেট বিভাগ
  • বরিশাল বিভাগ
  • রংপুর বিভাগ
  • ময়মনসিংহ বিভাগ

বাংলাদেশের নতুন বিভাগের নাম কি

বাংলাদেশের নতুন বিভাগের নাম কি? ৮ টি বিভাগ নিয়ে বাংলাদেশ গঠিত বর্তমানে বাংলাদেশের মোট আটটি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। যে বিভাগ গুলোর নাম উপরি অংশে বিস্তারিতভাবে দেওয়া রয়েছে। ২০১৫ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহকে নতুন বিভাগ হিসেবে ঘোষনা করা হয়।

এর আগে ছিল মোট সাতটি বিভাগ। সম্প্রতি সময়ে সরকার আরো দুটি বিভাগ গঠনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে সেই বিভাগ গুলোর নাম হল পদ্মা এবং মেঘনা। মূলত পদ্মা বিভাগের পূর্বে ফরিদপুর অঞ্চল আর মেঘনা বিভাগে পড়বে কুমিল্লা অঞ্চল।

২০১৫ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বরের আগে ছিল৭ টি বিভাগ। এরপরে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে নতুন একটি বিভাগ নামকরণ করে। সেই সময়ে সরকার প্রধান ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকার। ময়মনসিংহএর কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেমন গাজনীয় অবকাশ কেন্দ্র, চন্দ্রনাথ পাহাড়, দেওয়ানগঞ্জ জমিদার বাড়ি, শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন সংগ্রহশালা ইত্যাদি।

রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম

রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম। ১৮২৯ সালে ভারতের ব্রিটিশ সরকার প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগ এর পরে দুটি পর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ বর্তমান বাংলাদেশ একটি অংশ পরিণত হয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর এটি রাজশাহী বিভাগ নামে নামকরণ করা হয় এমনকি পরিচিতি লাভ করে।

এই রাজশাহী বিভাগের কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যে স্থানগুলোতে অন্যান্য বিভাগের টুরিস্টরা ভ্রমণের জন্য আসে। যেমন নওগাঁ জেলার সম্পূর্ণ মহাবিহার এটি একটি প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ইউনেস্কোর ঐতিহ্য স্থান। এখন কি পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। সেখানে রয়েছে ঐতিহাসিক জাদু ঘর। এর পরে রয়েছে মহাস্থানগড় এটি বাংলা প্রাচীনতম নগর এমনকি রাজ্যের রাজধানী।
বাংলাদেশের-৮-টি-বিভাগের-নাম
এটি মূলত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকের একটি ঐতিহাসিক স্থান। এরপর রয়েছে রাজবাড়ি জমিদাররা বসবাস করত। এটা মূলত রাজশাহী জেলার মধ্যে। এরপর রয়েছে রাজশাহীর বরেন্দ্র গবেষণা জাদু ঘর। মূলত এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর যা প্রাচীন নির্দেশনা সংরক্ষণে ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ। আরো রয়েছে যেমনঃ
  • নন্দন পার্ক রাজশাহী
  • জিয়া পার্ক রাজশাহী
  • গোবিন্দ ভিটা নাটোর
  • কুসুম্বা মসজিদ নওগাঁ
  • পদ্মা নদী রাজশাহী
  • পদ্মা গার্ডেন রাজশাহী

চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি

চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি? চট্টগ্রাম বিভাগ হলো বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক এবং সৌন্দর্যময় একটি বিভাগ। যে বিভাগে রয়েছে দর্শনীয় জায়গার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান তার নাম হলোঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম এবং অক্ষত বালুকাময় সমুদ্র সৈকত!

এই চট্টগ্রাম বিভাগে প্রায় পাহাড় নদী এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা গুলোর জন্য পরিচিতি বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যতম দশমিক স্থানের নাম গুলো হলোঃ যেমন একটি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বিভিন্ন দেশ থেকে টুরিস্টরা এক কক্সবাজার ভ্রমণ করার জন্য আসে। প্রায় ১২০ কিলোমিটার এরিয়া। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত উপভোগ করার জন্য একটি অন্যতম জায়গা।

এর পরে রয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। যে দ্বীপটির নাম প্রায় গোটা বিশ্বর প্রায় ম্যাক্সিমাম দেশগুলোই চেনে। বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপের নাম হল সেন্টমার্টিন দ্বীপ এটাকে মূলত প্রবাল দ্বীপ নামে আখ্যায়িত করা হয়। এই সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্বচ্ছ পানিগুলো হল নীল, এটি মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। মূলত পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
এরপরে রয়েছে নীলগিরি বান্দরবান বান্দরবানের সর্বোচ্চ পর্যটক কেন্দ্র এটি মূলত ২২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। বান্দরবান মূলত পাহাড় পর্বত নিয়ে গঠিত স্থান। শীতকালে কুয়াশা মোড়ানোর পরিবেশ হলো বান্দরবান মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে বান্দরবান এগিয়ে। এরপরে রয়েছে কাপ্তাই লেক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এটি শহরের কাছে অবস্থিত।

আরো রয়েছে যেমনঃ
  • রাঙ্গামাটি সাজেক ভ্যালি
  • মহেশখালী দ্বীপ
  • বগালেক বান্দরবান
  • ফয়েস লেক চট্টগ্রাম
  • রামু বৌদ্ধ বিহার কক্সবাজার
  • চন্দ্রনাথ পাহাড় মন্দির সীতাকুন্ডু
  • সীতাকুন্ড ইকোপার্ক চট্টগ্রাম
  • বাঁশখালী ইকোপার্ক চট্টগ্রাম 
মূলত কক্সবাজার বান্দরবান এগুলো হলো এক একটি জেলা। আর এই জেলাগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ গঠিত আরও জেলা রয়েছে যেগুলোতে দর্শনীয় স্থান রয়েছে কিন্তু অত জনপ্রিয় না। চট্টগ্রামে রয়েছে পাহাড় পর্বত দেখার মত জায়গা। আপনারা যে যেখান থেকে এই পোস্টটি দেখছেন তারা একবার হলেও এই চট্টগ্রাম এর দর্শনের স্থানে দর্শন করে যাবেন।

বরিশাল বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি কি

বরিশাল বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি কি? বরিশাল বিভাগ হলো বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত। এটি মূলত নদী সমুদ্র এমনকি ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্য পরিচিত। উল্লেখযোগ্য কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার মধ্যে বরিশালের ফেভারিট সবচাইতে দর্শনীয় স্থান জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে তা হল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে আমরা সাগর কন্যা বলে থাকি। এখানে দাঁড়িয়ে একই স্থানে সূর্যোদয় উপভোগ করা যায়। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটক কেন্দ্র। এছাড়াও রয়েছে গুটিয়া মসজিদ বরিশালের দ্বিতীয়তম বৃহৎ মসজিদ। স্থাপত্য শৈলীতে চমৎকার মসজিদে ইসলামিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। আরো রয়েছে দুর্গা সাগর দিঘী বরিশাল।
  • মেঘনা নদী ও চরফ্যাশন
  • শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালী
  • লালমোহন জমিদার বাড়ি
  • তফাল বাড়ি মসজিদ পটুয়াখালী
  • শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির বরগুনা
  • ভোলা ইকোপার্ক
বরিশাল বিভাগের দর্শনীয় এসব স্থানগুলো প্রাকৃতিক এবং সৌন্দর্যের দিক থেকে অনেকটাই পরিচিতি অর্জন করেছে। যেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষ করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো রয়েছে তা হল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। অনেকেই এই সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের জন্য যায়। বরিশালের সবচাইতে জনপ্রিয় এমনকি বাংলাদেশের ও জনপ্রিয় স্থান হলো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

ঢাকা বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি

ঢাকা বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি। মূলত ঢাকা হল বাংলাদেশের রাজধানী। বাংলাদেশের মধ্যে সবচাইতে বড় বিভাগ হল ঢাকা। বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সাম্প্রতিক ইসলামিক সব ধরনের পর্যটক কেন্দ্র হল ঢাকায়। দর্শনীয় যেগুলো বইয়ের পাতায় ইতিহাসের মতো তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো ঢাকায় রয়েছে। ঢাকা জেলার মধ্যে রয়েছে লালবাগের কেল্লা।
ঢাকার পুরনো নাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর। এটি নতুন করে নামকরণ করার পর এদের নাম হয়েছে ঢাকা। ঢাকা মূলত দুইটা নাম রয়েছে একটি হলো পুরান ঢাকা। আরেকটি হল নতুন ঢাকা বিভাগের কিছু দর্শনীয় স্থানের নাম রয়েছে। মূলত ঢাকা জেলা ভিত্তিকভাবে উল্লেখ করা থাকবে এর দর্শনীয় নাম গুলো কি কি?

ঢাকা জেলার দর্শনীয় স্থানের নামঃ
  • লালবাগ কেল্লা
  • আহসান মঞ্জিল
  • জাতীয় স্মৃতিসৌধ
  • জাতীয় সংসদ ভবন
  • শেখ হাসিনা জাতীয় উদ্যান
গাজীপুর জেলা দর্শনীয় স্থানের নামঃ
  • ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
  • সাফারি পার্ক
  • নুহাশ পল্লী
  • জয়দেবপুর রাজবাড়ী
নারায়ণগঞ্জ জেলা দর্শনীয় স্থানঃ
  • জিন্দাবাদ
  • সোনারগাঁ পানামনগর
  • ফতুল্লার জামদানি পল্লী
মুন্সিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলা দর্শনীয় স্থানঃ
  • মেঘনা নদী ও গজারিয়া চরের সৌন্দর্য
  • ইন্দ্রাকপুর দুর্গ
  • বাংলার তাজমহল
  • শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান
  • পাগলা মসজিদ
এগুলো হলো ঢাকা বিভাগের প্রতিটি জেলার নিজস্ব দর্শনীয় ঐতিহাসিক স্থানের নাম। যেগুলো প্রাকৃতিকভাবে অনেক সৌন্দর্যময়। এখানে বিভিন্ন দেশের টুরিস্টরা ভ্রমণের জন্য এ ঐতিহাসিক দর্শনীয় জায়গা গুলো দর্শন করার জন্য প্রতিনিয়ত আসে। প্রাকৃতিক দিক থেকে সৌন্দর্যের এমনকি বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচাইতে দর্শনীয় স্থান বেশি।

খুলনা ও ময়মনসিং বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম

খুলনা ও ময়মনসিং বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম। প্রথমে খুলনা বিভাগ সম্পর্কে এর দর্শনে ইসলাম সম্পর্কে একটু জানা যাক। খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় ঐতিহাসিক একটি বিখ্যাত স্থান। খুলনার মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক কিছু স্থান যার মধ্যে প্রথম এক নম্বর স্থান হল সুন্দরবন।

সুন্দরবন হলো পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোট বোন সেখানে বিভিন্ন পশুপাখি বসবাস করে। রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বনের রাজা সিংহ বন্যপ্রাণী ও নভ্রমণের জন্য সুন্দরবন জনপ্রিয়। এরপরে রয়েছে বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ খুলনা বিভাগের মধ্যে বাগেরহাট ষাট গম্বুজ মসজিদ দর্শনীয় স্থান। এরপর রয়েছে রূপসী নদী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিক থেকে অনেকটাই জনপ্রিয়।

ময়মনসিংহ বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ ময়মনসিং বিভাগের ঐতিহাসিক কিছু প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থানের নাম গুলো জানতে পারবেন। হয়তো আপনি সেই দর্শনীয় স্থানের নাম গুলো জানেন না। আপনি হয়তো ঘোরাফেরা করতে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করেন। আপনি যদি এই দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম সম্পর্কে জানেন তাহলে সেগুলোই হয়তো আপনি ঘুরতে যেতে পারবেন।

ময়মনসিং বিভাগের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে প্রথম হলো ব্রহ্মপুত্র নদের তীর মদের পাহাড়ের সৌন্দর্যের নৌ ভ্রমণের দিক থেকে অনেকটাই দর্শনীয় এমনকি জনপ্রিয় তা অর্জন করেছে। এর পরে রয়েছে বীরেশ্বরী মন্দির নেত্রকোনায় ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় স্থান। এর পরে রয়েছে গাজনি অবকাশ শেরপুর যেখানে পাহাড় জলপ্রপাত এবং বন্য প্রাণীর বসবাস।
এছাড়াও রয়েছে চিনা ডলি ইকোপার্ক জামালপুরে নেত্রকোনার হাওর এবং পাহাড়। শ্রীমঙ্গল সুনামগঞ্জ এলাকার সীমান্ত এলাকা যেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে চা বাগানের জন্য বিখ্যাত। খুলনা বিভাগের প্রাকৃত বনাঞ্চল এবং ঐতিহাসিক মসজিদের জন্য পরিচিতি অর্জন বেশি। আর ময়মনসিং বিভাগের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে নদী এবং হাওর পাহাড়ি সৌন্দর্যে বিখ্যাত।

সিলেট বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি কি

সিলেট বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি কি? সিলেট বিভাগ হল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় একটি দর্শনীয় স্থান। সিলেটের সৌন্দর্য সৌন্দর্যের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে অনেক অংশেই। সিলেটের বিখ্যাত সৌন্দর্য স্থান হল সিলেটের চা বাগান পাহাড় এবং হাওরের জন্য বিখ্যাত। সিলেটের দর্শনীয় স্থান এর মধ্যে রয়েছে জাফলং সিলেট, মেঘালয় পাদদেশের পিয়ান নদীর তীরে অবস্থিত।
বাংলাদেশের-৮-টি-বিভাগের-নাম
পাথরের জন্য বিখ্যাত দৃষ্টি নন্দন পাহাড়ি সৌন্দর্যের দিক থেকে সিলেটে জাফলং অনেক দর্শনীয়। এরপরে রয়েছে শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার বাংলাদেশের চা-র রাজধানী লাউহা ছাড়া জাতীয় উদ্যান এবং বাইককাবিল দর্শনীয় স্থান। এরপরে রয়েছে রাতারগুল ফরেস্ট বাগান। বাংলাদেশের একমাত্র মিটা পানির জল পান হয়েছে সেখানে এমনকি নৌকা ভ্রমণের জন্য বিখ্যাত।

এছাড়াও আরো রয়েছে পাহাড় নদী ও পাথরের সমন্বয়ে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে এগিয়ে বিছানাকান্দি সিলেট। সিলেট বিভাগকে বিশ্বের দ্বিতীয় লন্ডন হিসেবে বলা হয়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের টুরিস্টরা আসে এমনকি সিলেটের জাফলং সাদা পাথর দর্শন করার জন্য। সিলেটে রয়েছে পাহাড় পর্বত ঝর্ণা। এছাড়া আরও দর্শনের স্থানের নাম গুলো হল।
  • হামহাম জলপ্রপাত মৌলভীবাজার
  • লালখাল জৈন্তাপুর সিলেট
  • হাওড়া অঞ্চল সুনামগঞ্জ
  • মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত মৌলভীবাজার
  • শাহজালাল ও শাহপরান মাজার সিলেট

রংপুর বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি কি

রংপুর বিভাগের দর্শনীয় স্থানের নাম কি কি। রংপুর বিভাগ প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতান্ত্রিক প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এখানে রংপুর বিভাগের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর তালিকা বিস্তারিতভাবে উল্লেখযোগ্য করা হবে। তাজা জমিদার বাড়ি রংপুর। যেখানে মোগল স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত।

এরপরে রয়েছে কান্ত জিও মন্দির দিনাজপুর। ১৮ শতাব্দীর টেরাকোটা নকশা নির্মিত এই আন্তজিয়া মন্দির এটা দিনাজপুরের অন্যতম প্রধান পর্যটক কেন্দ্র। এরপরে রয়েছে রামসাগর দিঘী।, যেখানে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা ভ্রমণের জন্য যায় এটা একটি দর্শনীয় স্থান। পিকনিক স্পট ও সৌন্দর্যের জন্য জনপ্রিয়। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরীও ধ্বংসশেষ মহাস্থানগড় বগুড়া।

ধর্মীয় ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ শতাব্দী প্রাচীন দেবতর মন্দির ঠাকুরগাঁও। ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও রয়েছে রংপুর বিভাগের দর্শনীয় স্থান যেগুলোতে। বিভিন্ন দেশের টুরিস্টরা ঘোরাফেরা করার জন্য আসে। মূলত রংপুরের ভাষা বিখ্যাত এদের ভাষায় একটু আলাদা এজন্য অনেকেই রংপুরের ভাষা পছন্দ করে।

বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম এ নিয়ে শেষ কথা

বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম এ নিয়ে শেষ কথা। বাংলাদেশ আটটি বিভাগে অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নাম এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে দেওয়া রয়েছে এমনকি এর দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম সম্পর্কে বলা হয়েছে। সবচাইতে দর্শনীয় স্থান হল কক্সবাজার এবং কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

বাংলাদেশে অনেক টুরিস্টরা এই দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করে যায়। তাই আপনিও পারেন এ দর্শনীয় জায়গা গুলো ভ্রমণ করতে। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। ভালো লাগলে প্রতিদিন ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url