কম খরচে গরু পালন ও গরুর জাত বিশ্লেষণ

কম খরচে গরু পালন ও গরুর জাত বিশ্লেষণ। বাংলাদেশে এখন বেকারত্বের হার অনেক। অনেকেই থাকছেন বিজনেস করবে কিন্তু কিসের করবেন তা হয়তো বুঝতে পারছেন না , আবার অনেকেই গরুর।

কম-খরচে-গরু-পালন-ও-গরুর-জাত-বিশ্লেষণবিজনেস করার জন্য চাচ্ছে কিন্তু পুঁজি কম থাকায় সাহস করতে পারছে না। আজকে আপনি জানতে পারবেন কম খরচে গরু পালন ও গরুর জাত বিশ্লেষণ পদ্ধতি। বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃকম খরচে গরু পালন ও গরুর জাত বিশ্লেষণ 

কম খরচে গরু পালন পদ্ধতি জেনে নিন

কম খরচে গরু পালন পদ্ধতি জেনে নিন। আপনারা হয়তো অনেকেই গরু পালন করতে চান। কিন্তু কোন রকম বুদ্ধি কিংবা সাহস পাচ্ছেন না কিভাবে কম খরচে গরু পালন পদ্ধতি গরু পালন করবেন। আপনি চাইলে কম খরচে গরু পালন শুরু করতে পারবেন। অনেকেই ছোট পুঁজি থেকে শুরু করে আজকে গরুর খামার করেলক্ষ লক্ষ কোটি টাকার মালিক।

আপনি গরু পালন করতে চান এক্ষেত্রে আপনি যেভাবে শুরু করবেন আপনি অবশ্যই আপনাকে একটি গরু কিংবা দুইটি গরু সমান পূঁজি থাকতে হবে। গরুর মধ্যে অনেক ভাগ রয়েছে অনেক গরুর রয়েছে যার দাম ২ লাখ ৩ লাখ টাকা। আবার অনেক গরু রয়েছে যার দাম এক লাখ টাকা আবার ৪০ হাজার ৫০ হাজার টাকার মত।


আপনি যেভাবে শুরু করবেন অনেক বড় ভাই ব্রাদার রয়েছে যারা গরুর ব্যবসা করে সফল হয়েছে। আপনি এটা দুই ভাবে ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। প্রথমে আপনি একটি গরু কিনুন আপনি এটা দুই ভাবে করতে পারেন বাচ্চা নিয়ে গরুর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি একটা গাভি কিনলেন সেই গাভিটি বাচ্চা সহকারে কিনলেন কিংবা গর্ভ অবস্থায় কিনলেন।

এই গর্ভবতী গাভী কিংবা বাচ্চা সহকারে গাভী যদি আপনি নেন সেখান থেকে তিন থেকে চার মাস পরিচর্যা পালন করলে তারপর আপনি একটি ভালো এমাউন্ট পাবেন। যেটা দিয়ে আপনি পরে একটি থেকে দুইটি গরু কিনতে পারবেন। তারপর ধীরে ধীরে আপনি ব্যবসা বড় করবেন দুই থেকে তিন বছর পর আপনার ব্যবসা একটি খামারে রূপান্তরিত হবে।

যদি আপনি ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে গরু কিনে সেটাকে আবার তরতাজা করে বেঁচে দেওয়া। আপনার পুজি কম সেক্ষেত্রে আপনি একটি শুকনো গরু কিনবেন সে থেকে দুই থেকে তিন মাস যত্ন নিবেন। তারপরে বিক্রি করবেন দেখবেন সেখানে আপনার কম করে 10 থেকে 15 হাজার লাভ থাকবে। এভাবে আপনি বছরে তিনবার করবেন অবশ্যই আপনার ব্যবসা উন্নতি হবে।\

কোন গরু পালনে লাভ বেশি

কোন গরু পালনে লাভ বেশি এটা অনেকেরই জানার আগ্রহ জাগে। কারণ সবাই চায় এমন একটি গরু কিনব যে গরুটা আমি কিছুদিন পরিচর্যা যত্ন নেওয়ার পর সেটা থেকে একটি বেনিফিট পাবো। সেটা থেকে যেন লাভ বেশি হয়। সবাই এই জিনিসটাই চায় আপনি জানতে পারবেন কোন গরুতে লাভ বেশি। এখানে গরুর মধ্যে ভাগ রয়েছে যেমনঃ

  • দেশি জাত
  • বিদেশি জাত
  • শাহীওয়াল
  • হলিস্ট্রিয়ানফিজিয়ান
  • নেপালি জাত
  • সিন্ধি জাত
  • অস্ট্রেলিয়ান জাত

এগুলো ছাড়াও যেটাতে লাভ বেশি অনেকেই চিন্তা করে ষাঁড় গরু থেকে লাভ পাবে বেশি না গাই গরু থেকে লাভ পাবে বেশি। প্রথমত উপরের লিস্টে যে জাতগুলোর নাম দেওয়া রয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটি জাতই লাভজনক। এখন বিষয় হচ্ছে এগুলোর মধ্যে গাভী গরু এবং ষাঁড় গরু এই দুইটা ভাগ রয়েছে। আপনি কোনটা দিয়ে শুরু করবেন গাভী নাকি ষাঁড় গরু।

দুইটাতেই লাভ রয়েছে কিন্তু গাভী গরুতে যদি আপনি সেটা বাচ্চা নিয়ে পালন করতে চান তাহলে সেটাতে খরচ এবং সময় লাগবে। যার কারণে এত সময় একটা লং প্রসেস কেউ অপেক্ষা করে না। তবে আপনি যদি গাভী গরু দিয়ে পালন শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য সহকারে আসতে হবে। এটাতে সময় বেশি লাগে এবং পুঁজিও লাগে।

এবার আসি ষাঁড় গরু ষাঁড় গরুতে মূলত সময় কম লাগে। বিষয়টা যদি বিস্তারিত বলি আপনি একটি সার গরু কিনলেন সেটি শুকনো এবং বয়স কম। আপনি যদি এই ষাঁড় গরুটি চার থেকে পাঁচ মাস যত্ন নেন পালন করেন সেটা থেকে মিনিমাম প্রত্যেকটি সারে ৪০ হাজারের উপর লাভ থাকবে। যদি একটু ছোট টাইপের হয় তাহলে কম করে বিশ হাজারের উপর লাভ থাকবে প্রত্যেক ষাঁড় গরুতে।

মূলত ষাঁড় গরু এবং গাভী গরু দুইটাতেই লাভ হয়। কিন্তু অনেকেই গাভী গরু পোষেনা কারণ সেটাতে সময় বেশি লাগে এজন্য লসের সম্মুখীন হয়ে পড়ে যায়। তবে আপনার যদি পুঁজি থাকে ধৈর্য শক্তি থাকে তাহলে আপনি গাভী গরু পালন করতে পারেন। এছাড়া যদি আপনি কম সময়ে লাভ করতে চান তাহলে স্যার গরু দিয়ে আপনার গরু পালন শুরু করুন।

গরুর খামারে লাভ কেমন 

গরুর খামারে লাভ কেমন। অনেকেই গরু পালন করতে চায় আবার অনেকেই গরু পালন করে। কেউ হয়তো শুরু করেনি আবার কেউ হয়তো বাসায় দুই তিনটা গরু নিয়ে যত্ন করে পালন করে। এভাবে অনেকেই চায় যে সেটাকে বড় করতে। এ গরুর ব্যবসা থেকে খামারে রূপান্তরিত করতে। হয়তো আপনিও আজকের আর্টিকেলটি পড়ে গরুর খামার করবেন ভাবছেন।

মূলত গরুর খামারে লাভ অনেক বেশি। প্রথমেই বলি গরুর খামার করতে গেলে পুঁজি লাগবে। যদি বলেন কি রকম পুঁজি। আপনি গরুর খামার করবেন সেজন্য আপনাকে প্রথমে গরুর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য আপনাকে গরুর সেট তৈরি করা লাগবে। আপনি যদি বিশটা গরুর সেট তৈরি করেন তাহলে আপনার সর্বনিম্ন তিন লাখ টাকা লাগবে।

কম-খরচে-গরু-পালন-ও-গরুর-জাত-বিশ্লেষণএই অভিজ্ঞতাগুলো আমি সম্পূর্ণ আমাদের পাশের খামারি ব্যবসার থেকে নিয়ে বলছি। তাহলে সেখানে তিন লাখ টাকার মত এমাউন্ট লাগবে যদি আপনি গরুর থাকার ব্যবস্থা করতে চান। আর অবশ্যই গরুর খামার করতে গেলে আপনাকে গরুর ঘর করতে হবে। তারপরে আপনার যে কাজটি করতে হবে প্রথমে আপনাকে খাওয়া মজুদ করতে হবে গরুর খাবার।

১০ থেকে ২০ টা গরুর জন্য নূন্যতম গরুর খাবারের মূল্য হবে যদি আপনি তিন মাস করে সেল দেন তাহলে অবশ্যই আপনার দুই লাখ টাকার মত গরুর খাবার লাগবে। মোট হলো পাঁচ লাখ টাকা তারপরে অবশ্যই আপনাকে গরু তুলতে হবে। এখন গরু আপনি কোন কোয়ালিটির কিনবেন সে হিসেবে আপনার বেনিফিট প্রয়োজন পড়বে।

আপনি যদি মাংস দরে গরু সেল দেন তাহলে আপনি কম সময়ের মধ্যে লাভ করতে পারবেন। আর যদি আপনি গাভী পালন করেন সেক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগবে সেখানেও লাভ হবে তবে ধৈর্য প্রয়োজন। তাই পরিশেষে বলা যায় যে গরু খামারে ব্যবসা করে কোটিপতি পর্যন্ত হওয়া যায়।

কম পুজি নিয়ে গরুর ব্যবসা করে লাভ করার উপায়

কম পুজি নিয়ে গরুর ব্যবসা করে লাভ করার উপায়। আমরা সবাই লাভের আশায় গরু পালন করি গরুর ব্যবসা করি। লাভ যদি আমরা না পাই তাহলে কিন্তু আমাদের গরুর ব্যবসা করে কোন লাভ নেই। বিশেষ করে যারা ছোট খামারি কিংবা ছোট গরুর ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের জন্য। যাদের পুঁজিকম রয়েছে তারা কিভাবে গরুর ব্যবসা শুরু করবেন।

আর সবারই ইচ্ছা যে তার একটি বড় খামার হবে। সেখানে বড় বড় ষাঁড় গরু থাকবে বড় বড় গাভীর থাকবে। কিন্তু পুজি কম থাকায় হঠাৎ করে এত বড় খামার দিতে পারেন কিংবা তৈরি করতে পারে না। আজকে আপনি জানবেন পুঁজি কম থাকা অবস্থায় ছোট থেকে কিভাবে বড় খামারের রূপান্তরিত করবেন। প্রথমেই বলি পুজি কম সর্বনিম্ন পূজা আপনার দুই থেকে তিন লাখ টাকা লাগবে।

আপনার যদি দুই থেকে তিন লাখ টাকা থাকে আপনি ভালোভাবে গরুর বিজনেস করতে পারবেন। ধরেন আপনার ৩ লাখ টাকা রয়েছে আপনি কিভাবে গরুর বিজনেস করবেন। আপনি টার্গেট নিবেন বছরে দুইটা ঈদ আসে। সেই দুই ঈদে আপনি টার্গেট করবেন গরু সেল দেওয়ার। মূলত প্রত্যেক ঈদের তিন মাস আগে আপনি শুকনো টাইপের গরু কিনে রাখবেন।

সেখানে গরুর পিস যদি আপনি যেহেতু আপনি ছোট থেকে শুরু করবেন। প্রত্যেক গরুর দাম সর্বনিম্ন ৪০০০০ সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার এর ভিতরে গরু কিনবেন। আপনার যদি তিন লাখ টাকা থাকে এভাবে করে আপনার টাকাটি ভাগ করে আপনি গরুগুলো কিনে ফেলবেন। একটু দেখে কিনবেন গরু যেন শুকনো এমনকি একটু বড় ধরনের হয়ে থাকে।

তারপরে সে গরুগুলোকে কেনার পর আপনি খাওয়া মজুদ করবেন। যেহেতু গরুকে তিন মাসের ভিতরে সারিয়ে তুলতে একটু খাওয়ার প্রয়োজন হবে আপনি ভালোভাবে খাওয়া মজুদ করে রাখবেন। তারপরে ঈদের ঠিক দশ দিন আগে থেকে গরু সেল দেওয়া শুরু করবেন। প্রত্যেক গরুতে আপনার লাভ থাকবে মিনিমাম ২০ হাজার টাকা। বছরে দুইটা সেল দিবেন এভাবে আপনি আপনার গরুর বিজনেস বড় করবেন।

গরু মোটা জাতকরণের দানাদার খাদ্য

গরু মোটা জাতকরণের দানাদার খাদ্য। গরুকে ভালোমতো স্বাস্থ্যবান এবং মোটা তাজা করার জন্য প্রথমে যে জিনিসটি লক্ষ্য করা দরকার তা হলো গরুর খাদ্য। আপনার গরুর খাদ্য ঠিকঠাক মতো আছে না না কোন কোন খাদ্যগুলো প্রয়োজন সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকে হয়তো জানে না কোন কোন খাদ্যগুলো গরুর জন্য প্রয়োজনীয় এবং উপকারী।

গরু মোটাতাজাকরণের অনেকগুলো খাদ্য রয়েছে অনেক দানাদার খাদ্য রয়েছে যেগুলো আপনি গরুকে খাওয়াবেন আপনার গরু খুব তাড়াতাড়ি মোটা তাজা হবে। এজন্য আপনি প্রথমেই লক্ষ্য রাখবেন আপনার গরু ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা যদি না খায় তাহলে ডাক্তার দেখাবেন। তারপর আপনার গরু ঠিকমতো যদি খেতে ধরে সেক্ষেত্রে আপনি খাবারগুলো খাবেন গরুকে মোটাতাজা করার জন্য।

  • গমের ভুসি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে
  • ভুট্টার গুঁড়া, শক্তি সরবরাহ এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে
  • সরিষার খোল, প্রচুর প্রোটিন রয়েছে
  • সয়াবিন খোল
  • চিকনের ভুসি ভিটামিন বি ফ্যাট সরবরাহ করে
  • মসুর বা ছোলার ভুষি
  • ফিট

গরুকে মোটা করার জন্য এই খাবারগুলো খাবেন এ খাবারগুলো একটি গরুর শরীরের গ্রো বাড়িয়ে তোলে। এই খাবারগুলো খাওয়ার নিয়মিত পরিমাণ রয়েছে। আপনি যদি পরিমাণ মতো না খাওয়ান সে ক্ষেত্রে আপনার কোন লাভ হবে না আপনার গরুর কোন উপকার আসবে না। প্রত্যেকটি খাবার কোন কোন পরিমাণে আপনি খাওয়াবেন।

  • গমের ভুসি, গরুর ওজনের উপর সর্বনিম্ন ১ কেজি
  • ভুট্টার গুঁড়া গরুর ওজনের উপর সর্বনিম্ন ২ কেজি
  • সরিষার খোল, দৈনিক ৫০০ গ্রাম
  • চিকনের ভুসি দৈনিক পরিমাণে ২-৩ কেজি
  • মসুর বা ছোলার ভুষি দৈনিক 1 কেজি

গরুর খামার করবেন কোথা থেকে শুরু করবেন

গরুর খামার করবেন কোথা থেকে শুরু করবেন। অনেকেরই গরুর খামার করার ইচ্ছা কারণ গরুর খামার হলেও লাভজনক ব্যবসা, এ ব্যবসাটি ভালো মতো করতে পারলে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। কিন্তু গরুর খামার করবেন কোথা থেকে শুরু করবেন এটা হয়তো আপনি কিংবা যে শুরু করবে বুঝতে পারেন না। এজন্য ভুলভাল ডিসিশন নিয়ে লজের মুখে পড়েন।

যেহেতু আপনি গরুর খামার করবেন সেতু অবশ্যই আপনার পুঁজি রয়েছে। গরুর খামার করতে গেলে ন্যূনতম কিছু হলেও আপনার পুঁজি দরকার। আপনার যদি পুঁজি থেকে থাকে তাহলে আপনি প্রথমে যে কাজটি করবেন তা হলো গরুর থাকার ব্যবস্থা করবেন। সুন্দর মত গরুর যেভাবে খামারের সেট করে সেভাবে আপনি ঘর করবেন। অবশ্যই সবকিছু ফ্যাসিলিটি রাখতে হবে।

আপনার গরুর খামার এর সেট সম্পূর্ণভাবে করা হলে। তারপর আপনাকে যে কাজটা করতে হবে গরুর খাদ্য এটা দুই ভাবে রাখবেন কিছু খড় রাখবেন আবার কিছু ঘাস। মূলত ঘাসটিকে চাষ করতে হবে আপনার কিছু জমিতে আপনি ঘাস চাষ করবেন পরিমাণ মতো এক বিঘা থেকে দুই বিঘা তাহলে মোটামুটি বিশটা গরুর ঘাস হয়ে যাবে।

তাহলে আপনার গরুর ঘর ও কমপ্লিট এমনকি গরুর খাদ্য যেটিকে আমাদের সবারই মজুদ করে রাখতে হবে তাহলে ঘাস। গরুর মূল খাদ্য হলো খড় এবং ঘাস পরিমাণ মতো রাখবেন। তারপরে যে জিনিসটি মজুদ করবেন তা হলো গরুর দানাদার খাদ্য। কি কি দানাদার খাদ্য লাগে তা উপরের অংশে দেওয়া রয়েছে দেখে নিবেন। তাহলে আপনার দানাদার খাদ্য খর এবং ঘাস কমপ্লিট।

তারপরে আপনার চয়েজ মত আপনি কি কোয়ালিটির গরু রাখবেন। আপনার যদি গরু সম্পর্কে ঠিক ধারণা না থাকে তাহলে উপরের অংশে দেখে নিবেন কোন গরু আপনার খামারের জন্য ভালো হবে। উপরের অংশে দেওয়া রয়েছে। এরপর আপনি ধীরে ধীরে আপনার খামারে গরু তুলবেন আপনার কোয়ালিটি অনুযায়ী মূলত আপনি এভাবে গরুর খামার এর ব্যবসা শুরু করবেন।

গরুর জন্য ঘাস পালন পদ্ধতি

গরুর জন্য ঘাস পালন পদ্ধতি। গরু পালন করতে হলে প্রথমে যে খাবারটি সংগ্রহ করতে হবে সেটি হলো গরুর খাদ্য ঘাস। ঘাসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায় আপনি কম খরচে ঘাস পালন করতে পারবেন। আপনাকে প্রথম উপযুক্ত জমি নির্বাচন করতে হবে। আপনার যদি উপযুক্ত জমি নির্বাচন করা থাকে তাহলে আপনি গাছ চাষ শুরু করুন।

  • উপযুক্ত জমি নির্বাচনঃ আপনার মাটি হতে হবে ১০ মাটি বা বেলে দশ মাটি। এই মাটি সাধারণত ঘাস চাষের জন্য উপযুক্ত। এরপর আপনার জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যালোক মানে আপনার জমিতে যেন সূর্যের আলো পড়ে। তারপরে পানির ব্যবস্থা। আপনাকে পানির ব্যবস্থা করে রাখতে হবে।
  • ঘাসের জাত নির্বাচনঃ আপনার গরুর জন্য উচ্চপুষ্টি মানের ঘাসের জাত নির্বাচন করুন। অনেকগুলো ঘাসের জাত রয়েছে সে ঘাসগুলো আপনি যদি চাষ করেন সেগুলো খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ যেমন বেশ কয়েকটি ঘাসের জাতের নাম হল, নেপিয়ার ঘাস, জার্মান ঘাস, গিনি ঘাস, পাড়া ঘাস, স্টাইলও, হাইব্রিড , ধানের ঘাস আরো কয়েকটি যাদের ঘাস রয়েছে এগুলো নির্বাচন করুন।
  • বীজ বপন ও জমি প্রস্তুতিঃ জমি ভালোভাবে চাষ করতে হবে মানসম্মত চাষ করুন। সার প্রয়োগ করুন কম্পোজ সার ইউরিয়া সার এবং গোবর সার। জাত ভেদে বীজ বা চারার মধ্যে দূরত্ব ঠিক রাখতে হবে।
  • সেচ ব্যবস্থাঃ ঘাস চাষ করার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সরবরাহ করতে হবে। বিশেষ করে খরার সময় আপনাকে পানি সময় মত সেচ দিতে হবে।
  • নিয়মিত যত্নঃ আপনাকে এই যত্নটি খেয়াল রাখতে হবে। আপনি লাগিয়ে দিলেন আর অন্য কোন যত্ন নিলেন না এরকম করলে আপনার ঘাস ভালো মতো হবে না। আপনার ঘাসের চারায় আগাছা থাকবে সেই আগাছা গুলো পরিষ্কার করবেন। পোকামাকড় রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। 
  • কাটাই সংরক্ষণঃ এর পরে আপনার ঘাস বড় হতে মিনিমাম দুই মাস সর্বনিম্ন এক মাস লাগবে। ঘাস উপযুক্ত উচ্চতায় ৪৫ থেকে ৬০ দিন পর কাটুন। এভাবে করে আপনি আপনার জমিতে ঘাস চাষ করে আপনার গরুর জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ ঘাস চাষ করতে পারেন।

গরুকে সুস্থ রাখার জন্য কি কি প্রয়োজন

গরুকে সুস্থ রাখার জন্য কি কি প্রয়োজন। আপনি হয়তো ভাবছেন গরু পালন করবেন। আবার হয়তো আপনি গরু পালন করেন। কিন্তু গরু পালন করলেই নয় গরুকে সুস্থ রাখাও প্রয়োজন। আপনার গরুকে আপনি সুস্থ রাখবেন কিভাবে জানেন কি?

কম-খরচে-গরু-পালন-ও-গরুর-জাত-বিশ্লেষণযদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য এই আর্টিকেলটিতে গরু সুস্থ হওয়ার সকল বিষয় সম্পর্কে বলা আছে। গরুকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন প্রথমে গরুর ঠিকমতো খেয়াল রাখা। আপনি যদি গরুকে সঠিক মত খেয়াল না রাখেন গরুর দেখভাল না করেন তাহলে আপনার গরু অসুস্থ হয়ে পড়বে। কিভাবে গরুকে সুস্থ রাখা প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হলোঃ

  • গরুর খাদ্য ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা সেটা পরিচর্যা করা
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রয়েছে কিনা পরিচর্যা করা
  • গোছালা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
  • গোবর এবং অন্যান্য আবর্জনা রাখবেন না
  • পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন
  • পেশাদার পশু চিকিৎসা দ্বারা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা করবেন
  • সঠিক আশ্রয় ও তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ ঠিক রয়েছে কিনা তা দেখবেন
  • গরুকে মুক্ত পরিবেশে রাখবেন 
  • রোগ প্রতিরোধের যত্ন নিবেন
  • গরুর গায়ে নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে

এই সঠিক যত্নগুলো যদি আপনি নিয়েন। তাহলে আপনার গরু অসুস্থ হবে না যদি অসুস্থ হয় তাহলে সেটা ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করাবেন আপনার গরু সবসময় ভালো থাকবে। এমনকি রোগ মুক্ত থাকবে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গরু দীর্ঘদিন সুস্থ ও উৎপাদনশীল হতে থাকবে।

লেখকের শেষ কথাঃকম খরচে গরু পালন

লেখকের শেষ কথাঃকম খরচে গরু পালন। কম খরচে গরু পালন পদ্ধতি এটা হয়তো অনেকেই জানেনা। গুরু পালন সবাই করতে চায় কারণ গরু পালনে প্রচুর লাভ। এই আর্টিকেলে গরু পালন বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়েছে। আপনারা সঠিক পরিচর্যা করে গরু পালন করবেন।

এই আর্টিকেলটিতে একটু হলেও যদি আপনার উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। এরকম দৈনিক আপডেট পেতে নিয়মিত ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url