বাচ্চা থেকে বুড়ো কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চা থেকে বুড়ো কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম। অনেকেই কোয়েল পাখি শখ করে বসে। আবার অনেকেই কয়েল পাখি ডিম খাওয়ার জন্য। মূল কথা কয়েল পাখির ডিম অনেক পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু।

বাচ্চা-থেকে-বুড়ো-কয়েল-পাখির-ডিম-খাওয়ার-নিয়মবিশেষ করে ছোট ছেলে মেয়েদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানো হয়। আবার এটি বয়স্ক অর্থাৎ আমরা সচরাচর বুড়ো বলে থাকি এদের কেউ কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানো হয়। এই আর্টিকেলে ডিম খাওয়ানোর উপায় এবং এর উপকার সম্পর্কে জানবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃকয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম বয়স্ক ও বাচ্চাদের

কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম বয়স্ক ও বাচ্চাদের

কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম বয়স্ক ও বাচ্চাদের। কোয়েল পাখির ডিম অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। এমনকি সকল বয়সের মানুষের জন্য এটি উপকারী খাবার। তবে বিভিন্ন বয়সের অনুযায়ী খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে সে নিয়ম গুলো মেনে খেতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

নিয়ম বাচ্চাদের জন্য যাদের বয়স ১ থেকে১০ বছর। এদের মূলত প্রতিদি.১-২ কি করে ডিম খাওয়াতে হবে। ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করবেন বা হালকা রান্না করে খাবেন এতে বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর ভালো হবে। এছাড়াও আরো রয়েছে কিশোর কিশোরীদের জন্য১১-১৮ বছরের দিনে দুই থেকে তিনটি করে ডিম খেতে পারবেন। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি সরবরাহ করবে।

18 প্লাস যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তাদের জন্য দৈনিক২-৪ টি করে ডিম খেতে পারবেন কোয়েল পাখির ডিম। বিশেষ করে যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা বা হার্টের রোগে ভুগছেন তাদের জন্য দিনে ১-২ ডিমের বেশি খাবেন না। কারণ কোয়েল পাখির ডিম খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা তারা নিয়মমতো খাবেন।

বয়স্ক ব্যক্তি যাদের বয়স ৫০ পার হয়ে গেছে। এটা আমি মনে করি এদের জন্য ২-৩টি ডিমেই যথেষ্ট। কারণ আপনি মনে করবেন না কোয়েল পাখির ডিম ছোট বলে তার ভিটামিন কম হবে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস থাকলে না খাওয়াই ভালো তবে সাপ্তাহিক আপনি২-৩ টি ডিম খেতে পারবেন। সবসময় সেদ্ধ বা হালকা রান্না করে খেতে পারবেন।

সাধারণ পরামর্শ হলোঃ কাঁচা ডিম এড়িয়ে চলবেন কারণ এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কথায় আছে বেশি খেলে বিষ অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। কারণ তা হজমের সমস্যা হতে পারে এমনকি আপনার শরীরে কোলের স্তরের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে তাই নিয়ম মত খাবেন অনেক উপকার পাবেন।

কোয়েল পাখি ডিম খেলে কি ওজন বাড়ে

কোয়েল পাখি ডিম খেলে কি ওজন বাড়ে। বিষয় হল কয়েল পাখির ডিম যদি আপনি খান তাহলে আপনার ওজন সরাসরি বাড়বে না। তবে এটি আপনার শরীরের জন্য প্রচুর পুষ্টি এবং হরমোনের ঘাটতি পূরণ করবে। অনেক ধরনের ভিটামিন রয়েছে এই কয়েল পাখির ডিমের। কোয়েল পাখি ডিমের প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন রয়েছে।

এমনকি মিনারেল রয়েছে যা আপনার বেশি গঠনে সাহায্য করবে। আপনার ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্ভর করবে যে পদ্ধতি গুলো মানবেন। এতে করে আপনার ওজন কিছুটা হলেও বৃদ্ধি হতে পারে তবে অতিরিক্ত হার ওজন বৃদ্ধি পাবে না। কারণ ডিম মানুষ ওজন বৃদ্ধির জন্য খায় না শরীরে পুষ্টি যোগান দেওয়ার জন্য মানুষ ডিম খেতে পারে।

  • বেশি ডিম খেলে ক্যালরি বৃদ্ধি হবে এটাতে আপনার ওজন বাড়তে সাহায্য করতে পারে
  • সঠিক পরিমাণে খেলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে
  • সেদ্ধ বা হালকা রান্না করে খাবেন
  • ভাজা ডিম অতিরিক্ত তেল দিবেন না
  • মসলা ব্যবহার করলে ক্যালরি বেড়ে যায়
  • এটা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে
  • ডিমের সঙ্গে সুষুম খাদ্য যেমন ব্যায়াম করবেন
মূল কথা কয়েল পাখির ডিম মানুষ ওজন বৃদ্ধি করার জন্য খায় না। মূলত এটি ওজন বৃদ্ধি করার জন্য নয়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তেও পারে। যদি আপনার শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে আপনি ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে কয়েল পাখির ডিম খাবেন না এক্ষেত্রে আপনারই শরীরে সমস্যা হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা। গর্ভাবস্থায় আমরা খুব চিন্তিত থাকি কারণ একজন সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে গেলে অনেক কিছু ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে। যেগুলো একটি গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজন। এজন্য যারা গর্ভবতী মহিলা রয়েছে তারা পুষ্টি খুঁজে বেড়ায়। বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি পান খাদ্য খায় আর ডিমও খায় মুরগির ডিম হাসের ডিম।

এজন্য অনেকেই অনেকেই ডিম খায়। অনেকে আবার মুরগির ডিমের পাশাপাশি কোয়েল পাখির ডিম খায়। যারা কোয়েল পাখির ডিম খায় তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত কয়েল পাখির ডিমে কি কি ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়। কতটা উপকারী এই কয়েল পাখির ডিম যেটা খেলে গর্ভ অবস্থায় একজন মহিলা অনেক পুষ্টি পাবে।

একটি শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য দরকার গর্ব অবস্থায় মায়ের সংক্রান্ত নিশ্চিত করা। গর্ভকালীন থাকা সময় একজন শিশু পুরোপুরি আপনার উপর নির্ভরশীল। কারণ একটি শিশু তার দেহের এবং মস্তিষ্কে গঠনের জন্য যে পুষ্টিগুলো সংগ্রহ করে সেটা আপনার শরীর থেকে। সুতরাং আপনি যতটা পুষ্টি গ্রহণ করবেন ততটা পুষ্টি আপনার পেটের বাচ্চার জন্য।

বাচ্চা-থেকে-বুড়ো-কয়েল-পাখির-ডিম-খাওয়ার-নিয়মএজন্য কোয়েল পাখির ডিম অনেকটা উপকার হবে। আজ আপনি জানতে পারবেন গর্ব অবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম আপনার খাদ্য তালিকায় আপনি কেন রাখবেন। ডিম পুস্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার এটাতে রয়েছে শর্করা, প্রোটিন, স্নেহ, বিভিন্ন খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে কোয়েল পাখির ডিমে। বিশেষ করে আমাদের দেশে মানুষ হাঁসের ডিম মুরগির ডিম আর কোয়েল পাখির ডিম বেশি পছন্দ করে।

ডিমে ভালো কোলেস্ট্রলের পরিমাণ বেশি থাকে। এজন্য আপনি প্রতিদিন চারটি করে ডিম খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। গর্ব অবস্থায় শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টির পাশাপাশি ফলিক এসিডের যোগান দিয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের ক্লান্তি, অবসন্নতা, গা গুণানো এসব কমন সমস্যা হয়ে থাকে।

এছাড়াও আরো অন্যান্য ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। মূলত এই সমস্যাগুলোকে সমাধান করার জন্য আপনি প্রতিদিন তিনটি থেকে চারটি করে কোয়েল পাখির ডিম খেতে পারেন। মূলত এছাড়াও আপনি আরো অনেক উপকার পাবেন। তাই আপনি গর্ব অবস্থায় দৈনিক ৪ টি করে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

কোয়েল পাখির ডিমের মোট উপকার

কোয়েল পাখির ডিমের মোট উপকার। প্রথমেই মাথায় রাখবেন কোয়েল পাখির ডিম অনেক ছোট। কিন্তু ছোট বলেই এটাকে যে আপনি বলবেন এটার উপকারিতা নাই এটাই ভুল। ছোট হলেও কোয়েল পাখির ডিম রয়েছে অসম্ভব উপকারিতা। একটি কোয়েল পাখির ডিম এক বড়জোর ৯ গ্রাম ওজন হয়ে থাকে। যেখানে একটি মুরগির ডিম ৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। 

তাই ওজন এবং পরিমাণে দিক থেকে একটি মুরগির ডিম সমান পাঁচটি কোয়েল পাখির ডিম। কিন্তু একটি মুরগির ডিমের যতটুকু ভিটামিন থাকে কাছাকাছি একটি কোয়েল পাখির ডিম ভিটামিন থাকে। আমরা প্রথমে জেনে নেই কোয়েল পাখির ডিমে কি কি ভিটামিন থাকে। ক্যালোরি ১৪ গ্রাম, প্রোটিন ১.২ গ্রাম, ফ্যাট 1 গ্রাম, ওমেগা থ্রি ৪ মিলিগ্রাম। ওমেগা৬ ফ্যাটি এসিড৮৪ মিলিগ্রাম।

কোলেস্টেরল রয়েছে ৭৬ মিলিগ্রাম। এছাড়াও রয়েছে প্রোটিন মিনারেল। এখানে একটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ ভাবে জেনে নিন এটার আকার অনুযায়ী কোয়েল পাখির ডিমের প্রচুর পরিমাণে আমিষ পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই কোয়েল পাখির ডিমের মোট উপকার গুলো কি কিঃ

  • পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে
  • ইমিউনিটি বাড়ায়
  • বেশি ও হাড়ের গঠনের সহায়ক
  • ব্রেন ওনার সিস্টেমের জন্য প্রচুর উপকার
  • শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করবে
  • হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলবে
  • ডায়াবেটিস ও হার্টের জন্য ভালো
  • তোয়াক ও চুল চোখ এর জন্য প্রচুর উপকারী
  • মানসিক চাপ কমায়
  • শরীরের ক্লান্তি দূর করে
  • অবসন্নতা কাটিয়ে তুলে

মূলত সতর্কতা দিক থেকে একটি জিনিসই বলবো সেটি হল অতিরিক্ত খেলে কোলেস্ট্রল বা হজমের সমস্যা হতে পারে। যদিও খেতে হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন পরামর্শ ছাড়া খেলে এলার্জি সমস্যা হতে পারে। কোয়েল পাখির ডিম নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের সামগ্রিক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য উন্নত হবে। এটি শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই খেতে পারবেন।

কোয়েল পাখির ডিম এবংমুরগির ডিমের মধ্যে পার্থক্য

কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের মধ্যে পার্থক্য। যদি মুরগির ডিমের সঙ্গে তুলনা করতে যান তাহলে দেখবেন কোয়েল পাখির ডিমের কোলেস্টেরল ১.৪% মুরগির এছাড়া ডিমের৪% প্রোটিনের মুরগির ডিম থেকে প্রায় শতকরা সাত ভাগ বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া ডিমের মধ্যে প্রোটিন এবং ভিটামিন ও মিনারেল ও এনজাইম এসব অ্যামাইনো এসিড এমন ভাবে বিন্যাসিত।

যা ডিমের শরীরের সব ধরনের পুষ্টি ধরেন আপনার শরীরে অনেক ধরনের পুষ্টির অভাব রয়েছে আপনি কোয়েল পাখির ডিম খাবেন। কিংবা মুরগি ডিমও খেতে পারেন তবে কোয়েল পাখির ডিম বেটার তাহলে আপনার এই ধরনের পুষ্টিগুলো পাবেন। মূলত কোয়েল পাখির ডিম এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। আমরা জানবো মুরগি ডিমের সম্পর্কে তাহলে আমরা পার্থক্য বুঝতে পারবো।

মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ এটি ার আকারে কোয়েল পাখি ডিমের থেকে বড়। প্রোটিন 6 গ্রাম ক্যালোরি প্রায় ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম, মিনারেল আয়রন জিংক সেলিনিয়াম ফসফরাস ও ফ্যাট রয়েছে পাঁচ গ্রাম। এছাড়াও রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা আমাদের মস্তিষ্ক এবং হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। মূলত মুরগির ডিম ও প্রচুর উপকার করে। মুরগির ডিমের উপকারঃ

  • চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে তোলে
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে
  • ওজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে
  • হৃদরোগে ঝুঁকি কমায় 
  • হাড়ের শক্তি বাড়ায়
  • রক্তস্বল্পতাপ প্রতিরোধ করে

মূলত পাশাপাশি কিছু চাহিদা কমবেশি রয়েছে। কিছু ভিটামিন কম বেশি রয়েছে এখন আপনাদের ইচ্ছা তবে আমি সাজেস্ট করব কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার। এটাতে আমিষের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে। আপনি মুরগির ডিম খেতে পারেন। এগুলো ভালোভাবে পরামর্শ পাওয়ার জন্য আপনি আরো ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাহলে বুঝতে পারবেন এদের পার্থক্য কি।

কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি রয়েছে

কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি রয়েছে। কোয়েল পাখির ডিম সাধারণত হালকা এবং সহজলভ্য। এটি সাধারণত সহজে হজম হওয়ার জন্য খুবই নিরাপদ। তবে আপনি যদি বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন সেটি আবার বদ হজম হতে পারে। তবে মুরগির ডিমের তুলনায় কোয়েল পাখির ডিম অনেক সেভ। মূলত কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষায় পাওয়া যায়।

যে যাদের এলার্জি রয়েছে তাদের জন্য কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া নিরাপদ নয়। কারণ কোয়েল পাখির ডিমে থাকা ওভুমুকয়েড প্রোটিন কিছু মানুষের শরীরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যাদের ডিম বা প্রোটিন ভিত্তিক খাবারে এলার্জি রয়েছে। তাদের শরীরে কোয়েল পাখির হতে পারে। সাধারণত এগুলোর এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয় যেমনঃ

  • তোকে চুলকানি 
  • ঠোঁট মুখ গলায় ফোলা ভাব
  • পেট ব্যাথা, ডায়রিয়া বা বমি
  • শ্বাসকষ্ট বা হাঁচি
  • মারাত্মক ক্ষেত্রে এনাফাইলাক্স সিক্স খুবই গুরুতর

নতুন করে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া শুরু করে প্রথমে কম পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সবচাইতে যেটা ভালো হবে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। যাদের মুরগির যে হয়েছে তারা কোয়েল পাখি ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সাধারণত কোয়েল পাখির ডিম নিরাপদ। ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে খাবেন তাহলে কোন সমস্যা হবেনা।

কোয়েল পাখির ডিমে কি কি ভিটামিন প্রোটিন রয়েছে

কোয়েল পাখির ডিমে কি কি ভিটামিন প্রোটিন রয়েছে। প্রথমে আমরা জানি কোয়েল পাখির ডিম কেন খায়। মূলত উচ্চ প্রোটিন পাওয়ার জন্য কিংবা রক্তের পরিমাণ এ ছাড়াও আরো উপকারিতা পাওয়ার জন্য মানুষ কোয়েল পাখির ডিম খেয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া প্রয়োজন।

মূলত কোয়েল পাখির ডিম আর মুরগির ডিম নিয়ে উপরোক্তা অংশ আলোচনা করা হয়েছে। আমরা যেহেতু আমাদের শরীরের রোগবালায় নিরাময় করার জন্য কোয়েল পাখির ডিম খাব। সেক্ষেত্রে আমাদের জানা প্রয়োজন কোয়েল পাখির ডিমে কি কি ধরনের ভিটামিন এবং প্রোটিন রয়েছে। এগুলো জানা থাকলে আমাদের জন্য ভালো।

কোয়েল পাখির ডিমে রয়েছেঃ

  • কার্বোহাইড্রেট-0.4 গ্রাম
  • প্রোটিন-৩ গ্রাম
  • ফ্যাট-২.৪ গ্রাম
  • ফাইবার-০ গ্রাম
  • ক্যালোরি-২৮ গ্রাম

এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিমের রয়েছে ভিটামিন এ, ই, ডি, বি১২ ও জিংক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ও উচ্চ প্রোটিন যুক্ত পাওয়ার রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মূলত আমরা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য। প্রতিনিয়ত নিয়ম অনুযায়ী কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবো।

বাচ্চাদের কোয়েল পাখি ডিম খাওয়ার উপকার

বাচ্চাদের কোয়েল পাখি ডিম খাওয়ার উপকার। একটি শিশুর শারীরিক গঠন বৃদ্ধি এবং মানসিক দিক থেকে বড় হতে নানাবিদের পুষ্টি প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে যাদের বাবা-মা রয়েছে তারা চিন্তিত থাকে কোন পুষ্টিটা তার বাচ্চার জন্য প্রফিটেবল হবে। বাচ্চাদের জন্য খুব জনপ্রিয় খাবার হলো ডিম।

জনপ্রিয় ডিম এই ডিমের মধ্যে সেটা যদি হয় কোয়েল পাখির ডিম তাহলে তো কোন কথাই নেই। আসলে ডিম হল সারা বিশ্বের একটি সমুদৃত এবং সুষম খাবার। খুব জনপ্রিয় খাবার যেটা পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশেই পাওয়া যায়। ডিম হলো ন্যাচারাল খাবার যেটাতে প্রোটিনের এর পরিমাণ বেশি পাওয়া যায় এমনকি আমিসও পাওয়া যায়।

বাচ্চা-থেকে-বুড়ো-কয়েল-পাখির-ডিম-খাওয়ার-নিয়মএছাড়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কোয়েল পাখির ডিম কিংবা অন্যান্য ডিমও হতে পারে। এটা মূলত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের ব্রেনের মস্তিষ্কে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটা ব্রেন ডেভেলপমেন্টে অনেক অনেক ভাবে কাজ করে থাকে। আমরা আরো জানবো বাচ্চাদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের মোট উপকার কতটি কি কি?

  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • দেহ গঠনে সাহায্য করে
  • প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে
  • আমিষ এর ঘাটতি পূরণ করে
  • ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস
  • ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করবে
  • শক্তি বৃদ্ধি করে
  • হজমের সহায়তা

মূলত সতর্কতা দিক থেকে যদি কোয়েল পাখির ডিম স্বাস্থ্যকর। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়াবেন। ধরেন আপনার বাচ্চার খাওয়ার সক্ষমতা দুইটা আপনি খাওয়ালেন চারটা সেটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। শিশুদের জন্য সপ্তাহে ৭ থেকে ৮ টা খাওয়াবেন অনেক পুষ্টি পাবেন। এটি শিশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে ও একটি আদর্শ খাদ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি যেভাবে করবেন

কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি যেভাবে করবেন। যেহেতু আমাদের পাশের গ্রামেই একজন কোয়েল পাখি পালন করে থাকে। মূলত তার একটি কোয়েল পাখির খামার রয়েছে। তা থেকে নেওয়া তথ্য হিসেবে আপনিও পালন করতে পারেন কোয়েল পাখি। কয়েল পাখি পালন করার আগে আপনাকে প্রথমে কোয়েল পাখির থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।

কোয়েল পাখির থাকার ব্যবস্থা করবেন খুব ভালোভাবে। কোয়েল পাখি থাকার ব্যবস্থা হয়ে গেলে আপনি দুই সিস্টেমে কোয়েল পাখি নিতে পারেন,১ আপনি প্রথমে ৩০ দিনের বাচ্চা নিতে পারেন এটা মূলত 10 দিন পালন করলে ডিম দেওয়া শুরু করবে। এছাড়াও আর একটা পদ্ধতি হলো আপনি জিরো বাচ্চা নিতে পারেন। সেটা মূলত ডিম থেকে বের হওয়ার পরই।

তবে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য ৩০ দিনের বাচ্চা নেওয়া লাভজনক হবে। মূলত কোয়েল পাখির বাচ্চা মরে না। এর প্রধান রোগ হলো ঠান্ডা লেগে যাওয়া। এটা থেকে আপনি যদি তাকে রক্ষা করতে পারেন তাহলে তার রোগবালাই সেরকম নাই। আপনি মূলত এভাবে কোয়েল পাখি নিবেন তারপরে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

যারা পশু পাখি অধিদপ্তরে রয়েছে তাদের থেকে পরামর্শ নিবেন। কারণ কোয়েল পাখির চিকিৎসারও কিছু প্রয়োজন রয়েছে। আপনার সবকিছু কমপ্লিট ঠিকঠাক হলে আপনি এভাবে কোয়েল পাখি পালন করতে পারেন। কোয়েল পাখি পালন করে অনেকেই অনেক অনেক টাকা ইনকাম করতেছে। চাইলে আপনিও কয়েল পাখির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

শেষ কথা কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম নিয়ে

শেষ কথা কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম নিয়ে। আমরা আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা মিটানোর জন্য কোয়েল পাখির ডিম খেয়ে থাকি। কিন্তু কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নয়। আমরা জানিনা তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনারা কোয়েল পাখি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। যাতে আপনার সেই বন্ধুও উপকৃত হয়? কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো। এরকম আপডেট পেতে দৈনিক ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।

comment url