বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়-জেনে নিন কি করবেন। বাচ্চাদের দাঁত যখন উঠে তখন বাচ্চাদের অনুভূতি খুব খারাপ হয়। খুব ব্যাথা করে সেই সময় আপনাদের করণীয় কি? এটা আমাদের সবার জানা প্রয়োজন।
পোস্ট সূচিপত্রঃবাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়-জেনে নিন
- বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়-জেনে নিন
- বাচ্চাদের মাড়ির দাঁত ওঠার বয়স কত
- কত সময় বাচ্চাদের দাঁত দেরিতে ওঠে কারণ জেনে নিন
- বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ কি
- বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় বমি হয়
- দাঁত তোলার সহজ উপায় জেনে নিন
- বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পিতা মাতার করণীয়
- বাচ্চার দাঁত উঠার সময় পুষ্টিকর খাবার সেগুলো
- বাচ্চাদের দাঁত সুস্থ রাখার জন্য যে কাজগুলো করবেন
- বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় নিয়ে শেষ কথা
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়-জেনে নিন
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়-জেনে নিন। আমরা একটা বিষয় সবাই জানি যে আমাদের দাঁত পরিবর্তন হয়। দাঁত মূলত একবার পরিবর্তন হয় উঠে দুইবার। শৈশব বয়সে একবার দাঁত চেঞ্জ হয়। আর বয়স্ক বয়সে এসে দাঁতগুলো বয়স হওয়ার কারণে উঠে যায় পরবর্তীতে আর দাঁত নতুন করে হয় না।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দাঁত উঠার সময় তাদের অনেক সমস্যা হয়। বিশেষ করে আমরা যখন
বাচ্চা ছিলাম তখন আমাদের দাঁত উঠার সময় প্রচুর জ্বালা যন্ত্রণা করতো। আমরা যদি
সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে দাঁতটি উঠার সময় একটু করণীয় করি। তাহলে আমাদের এই
সমস্যাগুলো আর হতো না। যেহেতু ডিজিটাল যুগ যুগ পরিবর্তন হয়েছে।
সেহেতু আমরা যদি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করি আমাদের কিছু করনীয় আছে এগুলো পালন করি
তাহলে আপনার বাচ্চার সময় এই কাজটি করলে আপনার বাচ্চা আর কান্নাকাটি
করবে না। বাচ্চাদের যেই দাঁতটি থাকে সেটাকে আমরা বলি দুধ দাঁত এই
দাঁতটি মূলত যখন উঠে তখন আমাদের কিছু করণীয় করা প্রয়োজন পড়ে।
অনেক সময় দেখা যায় এ দাঁতটি ওঠেনা আপনি সে সময় একটি কাজ করতে পারেন। যদি
ডাক্তারের কাছে না যান তাহলে আপনি নিজেই এ কাজটি করতে পারেন। দাতে সুন্দর করে গজ
ঢুকিয়ে দিবেন হাতে টিসু নিবেন। তারপর গোস ঢুকিয়ে দাঁতটি টান দিবেন তখন
দেখবেন আপনার বাচ্চার দাঁত অটোমেটিকলি উঠে এসেছে। সেই সময় আপনি টিস্যু
দিয়ে চেপে ধরবেন।
হয়তো সেই সময় একটু ব্যথা করতে পারে। মূলত আপনি আপনার বাচ্চার জন্য ওষুধ সংগ্রহ
করে রাখবেন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সংগ্রহ করে রাখবেন টিস্যু কিংবা তুলা চেপে ধরবেন
তার দাঁতে হয়তো কিছুক্ষণ পর দেখবেন আপনার বাচ্চার দাঁত ব্যথা করবে না। আর এ
করণীয় এর মাধ্যম দিয়ে আপনার বাচ্চার দাঁত খুব সহজেই উঠাতে পারবেন।
বাচ্চাদের মাড়ির দাঁত ওঠার বয়স কত
বাচ্চাদের মাড়ির দাঁত ওঠার বয়স কত। সব জিনিসেরই একটা বয়স আছে। তেমনি দাঁতের
ক্ষেত্রেও একটি বয়স আছে যে বয়স অনুযায়ী একজনের দাঁত ওঠে একজনের দাত তৈরি হয়।
যেমন ছোট বাচ্চাদের যখন তার বয়স এক বছর হয় তখন তার নতুন দাঁত ওঠা শুরু করে। এই
দাঁতগুলো প্রায় আট থেকে নয় বছর বয়স হলে আবার পড়ে উঠে যায়।
আবার তার যখন বয়স প্রায় ৮০ বছর পার হয়ে যায় তখন সেই দাগগুলো উঠতে শুরু
করে। একসময় তার মুখের ভিতরে আর কোন দাঁত থাকে না। সেরকম বাচ্চাদের মাড়ির দাঁত
উঠার বয়স রয়েছে। যে বয়স হয়ে গেলে একজন বাচ্চার দাঁত উঠা শুরু করে। আমি আমার
নিজের থেকে বলছি আমার মাড়ির দাঁত উঠছে৮-১০ বছরের মধ্যে।
তেমনি একজন বাচ্চার 8 থেকে 10 বছরের মধ্যে তার দুধ দাগগুলো উঠে আবার নতুন দাঁত
বের হয়। তার এই দাঁতগুলো আবার তার যখন বয়স প্রায়৮০ বছর হবে তখন তার সেই
নতুন দাঁতগুলো পড়ে যায়। তাই বলা যায় তাদের দাঁত দশ বছর থেকে ১২
বছর হয়ে গেলে দাঁত উঠার বয়স পূর্ণ হয়। মূলত এটি দুধদাত উঠে আবার নতুন
দাঁত বের হওয়ার কথা বলছি।
কত সময় বাচ্চাদের দাঁত দেরিতে ওঠে কারণ জেনে নিন
কত সময় বাচ্চাদের দাঁত দেরিতে ওঠে কারণ। কত সময় দেখা যায় কারো কারো বয়স ১২ বছর পার হয়ে গেছে তার দাঁতগুলো উঠা শুরু হয় না এটার মূলত কিছু কারণ রয়েছে। মূলত একজন বাচ্চার মুখে নতুন দাঁত বের হওয়ার কথা বলছি। এটা মূলত একজন মাত্র চার দাঁত 6 থেকে 12 মাস সময় লাগে। কারো বয়স ৬ মাস থেকেই দাঁত উঠে আবার কারো বয়স ১২ অর্থাৎ ১ বছর।
চিন্তার কোন কারণ নেই একটু কম বেশি সময় হয় কারণ জিনগত কারণ। পরিবারে যদি কারো দাঁ ত দেরিতে ওঠার ইতিহাস থাকে তাহলে এ কারণটি হতে পারে আপনার দেরিতে উঠা। একজন বাচ্চার নতুন দাঁত বের হওয়ার কারণ হতে পারে এটি। পুষ্টির ঘাটতি ধরেন ক্যালসিয়াম ফসফরাস বা ভিটামিন ডি এটার অভাবে দাঁত দেরিতে উঠতে পারে।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ কি
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ কি? সব জিনিসেরই একটি লক্ষণ থাকে যেমন যেকোনো
অসুখ-বিসুখ যেমন জ্বর যদি জ্বর হয় তাহলে আপনার লক্ষণ দেখা দেয় যেমন হাঁচি কাশি।
মাথা ব্যাথা ইত্যাদি এরকম ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে আমরা বুঝে নিতে পারি যে হয়তো
জ্বর আসতে পারে। সে রকম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দাঁত উঠলে কিছু লক্ষণ দেখা যায় কি
সেগুলো।
- মাড়ি ফুলে যাওয়া এবং লালচে হয়ে যাওয়া। একজন বাচ্চার যদি দাঁত দুটা লক্ষণ এটা হতে পারে তার মাড়ি ফুলে যেতে পারে। এমনটি যদি স্পর্শ করা যায় সেক্ষেত্রে ব্যথা অনুভব হয়।
- খাবার বা অন্য কিছু কামড়ানোর সময় প্রবণতা সৃষ্টি হয়। বাচ্চাদের দাঁতের চাপ কমাতে অন্য জিনিস কামড়াতে চাই।
- নিরবিচ্ছিন্ন হবে লাল পরে। অর্থাৎ মুখের ভিতর থেকে একটা নালা পড়ে পানির মত। অতিরিক্ত লালা ঝরলে বুঝবেন তার দাদা সম্ভাবনা রয়েছে।
- বিরক্তি এবং কান্নাকাটি করতে পারে। কারণ বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় তাদের দাঁতে অসুস্থ অনুভব হয় যার কারণে তারা কান্নাকাটি করে বিরক্তি অনুভব করে।
- খাবারের অনিয়া হতে পারে। দেখবেন খাবার খাচ্ছে না এমনকি ডায়রিয়া হতে পারে দাঁতের অস্বস্তি কখনো ব্যথার অনুভব তৈরি করে তাই বাচ্চাদের কানে হাত দিয়ে বুঝতে পারবেন। এই লক্ষণগুলো যদি হয়ে থাকে তাহলে স্বাভাবিক ভাবে বুঝবেন তার দাঁত ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় বমি হয়
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় বমি হয়। আপনারা কি জানেন বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় বমি
হয়। এটা কেন হয় হয়তো আপনি লক্ষ্য করে দেখেননি খেয়াল করে দেখবেন বাচ্চাদের
দাঁত উঠার সময় কোন কোন বাচ্চার সবারই হয়না, কোন কোন বাচ্চার ক্ষেত্রে এই
সমস্যাটা হয়ে থাকে।
দেখবেন বাচ্চার বমি ওটা শুরু করে। দাঁত উঠার একটি লক্ষণ অতিরিক্ত লালা ঝরবে এই লালাগুলো যদি আপনি গিলে ফেলেন এগুলো পেটের সমস্যা করবে যার ফলে আপনার বমি হতে পারে। মারের অস্বস্তি ও কামড়ানো। বাড়ির অসুস্তের সময় বিভিন্ন জিনিস তারা কামড় দেয় এটার কারণে খারাপ লেগে তার বমি হওয়ার কারণ হতে পারে।
এছাড়া সংক্রমণ বেদী দাঁত উঠার সময় ইমিউন সিস্টেম সামান্য দুর্বল হয়ে যায়। ফলে
বাচ্চারা সংক্রমিত হয় যার ফলে পেটে ইনফেকশন হয়ে যায় ভাইরাসের কারণে বমি করতে
পারে। এছাড়া অনুপযুক্ত খাদ্য দাঁত উঠার সময় বাচ্চারা কঠিন খাবারের প্রতি মনোযোগ
দেয় আগ্রহী হয়। যা হজম না করতে পেরে তার বমি হয় মূলত এ কারণগুলোর জন্য বাচ্চার
বমি হয়।
দাঁত তোলার সহজ উপায় জেনে নিন
দাঁত তোলার সহজ উপায় জেনে নিন, মূলত দাঁত হলো দুই প্রকার একটি হলো দুধের
দাঁত আরেকটি হল স্থায়ী দাঁত। একজন বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর যে দাঁতটি বের হয়
সেটা হল দুধ দাঁত। এই দুধ দাঁতগুলো উঠে গিয়ে আবার নতুন করে যে দাঁতটি
বের হয়। সে দাঁতগুলো হল স্থায়ী দাঁত সব দাঁতের ক্ষেত্রেই যখন আপনি তুলবেন
আপনাকে সচেতন হয়ে তুলতে হবে।
কারণ একটু কমবেশি হলে প্রচুর পরিমাণে ব্লেডিং হতে পারে। আর এটার কারণে আপনার শরীর
অসুস্থ হতে পারে ইনফেকশন হতে পারে। দুধের দাঁত সাধারণত নিচ থেকেই পড়ে যায় যদি
না পড়ে সেক্ষেত্রে তোলার প্রয়োজন পড়ে। আপনি বুঝতে পারবেন আপনার দাঁত নড়তেছে
তখন আপনি সেই দাতটি তুলে ফেলতে পারবেন।
প্রাকৃতিক ভাবে অপেক্ষা করতে হবে যখন নিজের দাঁতটি নড়তে শুরু করবে তখন আপনি
বুঝবেন এ দাঁতটি তুলার উপযুক্ত। সে ক্ষেত্রে আপনি দাঁতে গস ঢুকাতে পারেন। এছাড়াও
সুতা লাগিয়ে দিয়ে টান দিতে পারেন। এই দুই টার একটা উপায় মেনে আপনি দাঁত
তুলবেন। সঙ্গে রাখবেন তুলা স্যাভলন আর টিস্যু তোলা হয়ে গেলে সেগুলো দিয়ে
চেপে ধরবেন।
চেপে ধরলে হবে আপনার দাঁতে আর রক্ত বের হবে না। আপনি যদি অতিরিক্ত ভয় করেন সে
ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে আপনি সরাসরি ডেন্টিস্ট ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কারণ আপনি যদি জোরপূর্বক তুলতে জান না জানেন সে ক্ষেত্রে আপনার দাঁতের সমস্যা হতে
পারে। এমনও হয়ে যায় প্রচুর পরিমাণে ব্লেডিং হওয়ার কারণে আপনার চোখের আয়ু
কমে যেতে পারে।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পিতা মাতার করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পিতা মাতার করণীয়। বাচ্চাদের দাঁত উঠার বয়স সাধারণত
ছয় থেকে এক বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। এই সময় বাচ্চারা অনেক অসস্তিবা
দেখার সম্মুখীন হতে পারে। এ সময়ে পিতা-মাতার কিছু করণীয় থাকে যেগুলো করলে
বাচ্চারা সমস্যার সম্মুখীন হয় না।
শিশুর অস্বস্তি লাঘব করার জন্য ঠান্ডা কিছু মেসেজ করবেন পরিষ্কার চামচ বা দাঁত
কামানোর রিং ব্যবহার করুন ঠান্ডা। দাঁত কামড়ানোর খেলনা ভালো মনের দাগ
কামানোর খেলা দিতে পারেন যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। নরম কাপড় দিয়ে মেসেজ
করবেন। সাধারণত পরিষ্কার নরম কাপড় এটা মূলত টিস্যু হলে ভালো হয়।
খাদ্য পুষ্টি নিশ্চিত করবেন। যদি শিশু শক্ত খাবার খেতে না পারে সেক্ষেত্রে ঠান্ডা
গাজরের টুকরা দিতে পারেন আপেল। কমলা আঙ্গুর এইসব ধরনের খাবার যাতে গলায় না
আটকায়। এমনকি আপনার শিশুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবেন। দাঁত উঠার
সময় নরম টুথবেশ এবং পানির সাহায্যে দাত পরিষ্কার করবেন। এতে করে জীবাণু সংক্রমণ
করবে না।
যদি শিশু অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করে। বা জ্বর হয় বমি হয় শিশুর মাড়িতে কোন ধরনের
অস্বাভাবিক কিছু দেখা দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় হবে। সরাসরি
ডক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করে আপনার শিশুকে সেখানে শিফট করা। কারণ অতিরিক্ত কিছু হলে
ডাক্তার সেটাকে চিকিৎসার মাধ্যমে সেবা দিতে পারবে। মূলত পিতার এ করণীয় গুলো করা
দরকার।
বাচ্চার দাঁত উঠার সময় পুষ্টিকর খাবার সেগুলো
বাচ্চার দাঁত উঠার সময় পুষ্টিকর খাবার সেগুলো। বাচ্চার দাঁত উঠার সময় অনেক
পুষ্টি প্রয়োজন পড়বে। মূলত আপনার বাচ্চার যখন নতুন দাঁত জন্ম নিবে। সেই সময়
পুষ্টির প্রয়োজন পড়বে আবার আপনার বাচ্চার দুধ দাত যখন উঠে যাবে। মূলত দুধ দাঁত
উঠে গিয়ে স্থায়ী দাঁত বের হয়। সেই সময় আপনার বাচ্চার প্রয়োজন পড়বে।
- আপেল
- কমলা
- গাজর
- পেয়ারা
- আঙ্গুর
- মালটা
- কলা
একজন বাচ্চার নতুন দাঁত জন্ম নেওয়ার এ সময় পুষ্টির প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া
স্থায়ী দাঁত যখন বের হয় অর্থাৎ দুধ দাঁত উঠে গিয়ে স্থায়ী দাঁত বের হয়। সে
সময় পুষ্টির প্রয়োজন পড়ে মূলত উভয় পুষ্টির জন্য একজন বাচ্চাকে এই খাদ্যগুলো
অর্থাৎ এই ফলগুলো খাওয়া উচিত। এগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে
যা আপনার বাচ্চার দাঁতের জন্য পুষ্টি চাহিদা মেটাবে।
বাচ্চাদের দাঁত সুস্থ রাখার জন্য যে কাজগুলো করবেন
বাচ্চাদের দাঁত সুস্থ রাখার জন্য যে কাজগুলো করবেন। প্রত্যেক বাচ্চারই একটা
নির্দিষ্ট সময় হলে তা নতুন দাঁত বের হয়। যেহেতু বাচ্চা ছোট মানুষ সেহেতু তারা
কিছু বোঝেনা। আপনি সচেতন হয়ে যে কাজগুলো করলে আপনার বাচ্চার দাঁ ত সুস্থ থাকবে।
কারন আপনার কিংবা আপনার বাচ্চার দাঁত যদি সুস্থ না থাকে তাহলে অনেক সমস্যা
সম্মুখীন হয়।
কি কি সমস্যাগুলো হতে পারে আপনার বাচ্চার দাঁত যদি সুস্থ না থাকে। তাহলে দাঁতে
পোকা আসতে পারে না থেকে বলতে আপনি যে খাদ দুটি খান সে খাদ্যটি দাঁতের ফাঁশে আটকে
গিয়ে সেখানে প্রচন্ড সৃষ্টি করে তারপরে। সেই জায়গাটা ছিদ্র করে ফেলে। আর যখন
ছিদ্র করবে তখন সেই জানার ব্যাথা শুরু হবে। এইটার কারণে অনেক বাচ্চা ছটফট করে
জ্বালা যন্ত্রণা করে।
আপনি যদি সঠিক পরিচর্যা করেন তাহলে আপনার বাচ্চা এই সমস্যা আর হবে না। আপনার
বাচ্চার যখন দাঁত বের হবে। ছোট থেকে আপনি একটা অভ্যাস করাবেন যে আপনার বাচ্চা যেন
প্রতিনিয়ত দাঁত মাজে। একটা ব্রাশ নিবেন তারপরে মানসম্মত টুথপেস্ট নিয়ে আপনার
বাচ্চার দাঁত ব্রাশ করাবেন প্রতিনিয়ত বিশেষ করে রাতে করালে আরো ভালো।
এছাড়াও দাঁতের পুষ্টি অর্থাৎ ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন পড়ে। তাই ভিটামিন ডি
সমৃদ্ধ যে খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। মূলত এই পদক্ষেপ গুলো
আপনি গ্রহণ করবেন আপনার বাচ্চার দাঁত সুস্থ রাখার জন্য। তাহলে দেখবেন আপনার
বাচ্চা দাঁত নিয়ে আর কোন ঝামেলা করবে না। কারণ দাঁতের ব্যথা কঠিন
ব্যথা।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় নিয়ে শেষ কথা
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় নিয়ে শেষ কথা। এই আর্টিকেলে বাচ্চাদের দাঁত উঠা নিয়ে বাচ্চাদের দাঁত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়ে ধারণা দেওয়া রয়েছে। এমনকি বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে ধারণা করা হয়েছে। বাচ্চাদের দাঁত যদি সুস্থ না থাকে তাহলে আপনাকে শান্তি থাকতে দেবে না।
তাই আপনার বাচ্চার দাঁত এবং আপনার বাচ্চা যেভাবে সুস্থ থাকবে আপনি সেই কাজটি করবেন। এই আর্টিকেলটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url