জেনে নিন চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
জেনে নিন চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। মনটাকে প্রফুল্ল এবং চাঙ্গা করার জন্য সকালবেলা এক কাপ চা না খেলে দিনটাই ভালোভাবে কাটে না। এছাড়াও চা খাওয়ার সঠিক সময় খুব একটা হয় না।
পোস্ট সূচিপত্রঃজেনে নিন চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিত
- জেনে নিন চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- চিনি ছাড়া চা খাওয়ার উপকারিতা
- লাল চা এর উপকারিতা ও অপকারিতা
- লিকার চা খেলে কি হয় জেনে নিন
- কফি চা খেলে কি হবে
- চাপাতি কোথায় পাওয়া যায়
- চা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা প্রয়োজন
- দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
- বাচ্চার জন্য যা ক্ষতিকর না উপকার
- চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা শেষ কথা
জেনে নিন চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
জেনে নিন চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। আমরা বাঙালিরা সকালবেলা কিংবা চা খাওয়ার সময় কিন্তু সব সময় যদি দিনে এক কাপ করে চা না খাই তাহলে কিন্তু আমাদের মন উৎফুল্ল থাকে না। মনটাকে ফ্রেশ করার জন্য এক কাপ চা আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন।
চা সবাই খায় কেউ শখের বয়সে খায়। আবার কেউ নেশায় পড়ে খায়। চায়ের নেশা কঠিন
নেশা। চায়ের নেশা যদি লেগে যায় তাহলে তাকে ছাড়া অসম্ভব। এরকমই অনেক চার
হয়েছে যেগুলো আপনি যদি খান আপনার শরীরের জন্য কিছুটা হলেও উপকার আসবে। কিন্তু
আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে নিয়মের বাইরে গেলে সেটা অপকার হবে আপনার শরীরের
জন্য।
আরো পড়ুনঃকরলার জুস খাওয়ার উপকার
অনেক ধরনের 4 হয়েছে যেমন লিকার চা, দুধ চা কফি চা মূলত লিগার চা ও দুধ চা
উপকারিতা রয়েছে। চায়ের উপকারিতা হল। প্রথমেই আপনার মন মাইন্ড ফ্রেশ করবে। আপনার
যদি মেজাজ খিটখিটে থাকে। কিংবা মাথা গরম থাকে আপনি এক কাপ চা খাবেন আপনার সব
প্রেসার কেটে যাবে। এছাড়াও রং চা এবং দুধ চায়ের অনেক গুণাগুণ রয়েছে সেগুলো
নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
চিনি ছাড়া চা খাওয়ার উপকারিতা
চিনি ছাড়া চা খাওয়ার উপকারিতা। চিনি ছাড়া চা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
তবে অনেকেই চিনি ছাড়া চা খেতে পারে না কারণ চায়ে যে লিকার দেওয়া হয় এটা
সবার জন্য খাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ এর স্বাদ খুব কস্ট টাইপের হয়ে থাকে
এজন্য সবাই খেতে পারে না। তবে আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন আপনার জন্য
চিনি ছাড়া অনেক উপকার।
আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে তিনি ছাড়া যদি চা খান। কারণ এটাতে অতিরিক্ত
ক্যালরি গ্রহণ করা যায় না বাধা পড়ে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে আসবে কারণ চিহ্নিত থাকে শর্করা শর্করা মাত্রা বেশি হয়ে গেলে
ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার হার্টের ঝুঁকি কম
থাকবে।
দাঁতের জন্য ক্ষয়ক্ষতি কিংবা ক্যাভিটি হওয়ার যেই সমস্যাটা এটা থেকে মুক্তি
পাবেন টক্সিন দূর করবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এজন্য তিনি ছাড়া চা
খাওয়ার উপকারিতা তবে বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য চিনি দিয়ে
চা খাওয়া একদম নিষিদ্ধ। এছাড়া এমনি স্বাভাবিক রোগীরা চিনি দিয়ে চা খেতে
পারবে চিনির পরিমাণটা কম নিবেন।
লাল চা এর উপকারিতা ও অপকারিতা
লাল চা এর উপকারিতা ও অপকারিতা। আমরা যদি এখন জরিপ করি আর সেখানে লেখা
থাকে যে রং চা বেশি খায় না দুধ চা বেশি খায় মানুষ তাহলে সেখানে 80% মানুষ দু চা
খাওয়ার কথা বলবে। কারণ স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায় দুধ চায়ে একটু দুধ ঘন করে দিলে
খেতে মজা লাগে। কিন্তু এর পাশাপাশিও রঙ চা যদি খান তাহলে এর উপকারিতা পাবেন।
রং চায়ের উপকারিতা রয়েছে সাধারণত চায়ে প্লাবানয়েড চাটিজির নামে এক উপাদান
রয়েছে এ ছাড়াও এন্টিঅক্সিডেন্ট মিনারেলস এ ধরনের উপাদান গুলো থাকে। রং চা
যদি খান তাহলে দেখা যাবে সাধারণভাবেই আপনার শরীরে অনেক উপকার আসবে। আর প্রথমে যে
উপকারে আসবে তা হল আপনার ব্লাড ক্ললেস্টেরল এটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কারণ দুধ চায়ে শুধুমাত্র লিকার দিয়ে খেলে সেখানে চিনি না ব্যবহার করলে
আপনি চা-টি খেতে পারবেন না। আর সে ক্ষেত্রে যদি চিনি ব্যবহার করে খান আপনি
ডায়াবেটিস পেশেন্ট হলে। আপনার জন্য বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। হতে পারে
আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কিংবা ঠান্ডা
গলা ব্যথা ভালো করার জন্য।
আপনি প্রতিদিন দুই-কাপ করে চা খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ চায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, মিনারেল যা শরীরের মন প্রফুল্ল রাখতে ভূমিকা রাখবে। রং চায়ের ভিটামিন টি বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আপনি রং চায়ের আদা, লবঙ্গ, পুদিনা, নিমপাতা ব্যবহার করে খেতে পারেন। এর অপকারিতা হলো অতিরিক্ত চা খাবেন না সে ক্ষেত্রে আপনার চোখের ঘুম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
লিকার চা খেলে কি হয় জেনে নিন
লিকার চা খেলে কি হয় জেনে নিন। লেখার তা বলতে বোঝায় দুধ চা ছাড়া শুধু চা পাতা
দিয়ে তৈরি চা। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী, লেখার চা খেলে হয় কি আপনার
শরীরের যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রবাহটা এটা সরবরাহ করে। লিকার চায় প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও পলিফেলন ও ফ্লাবুন ওয়েট যা শরীরের
কোষগুলোকে ফ্রি করে।
এছাড়াও ফ্রি রেডিকেল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। আপনার পাচনতন্ত্র
উন্নত করবে। এছাড়াও লিকার চা শরীরের টক্সিন দূর করতে পারে। লিভারের
কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। তাছাড়া আপনার যদি ঠান্ডা লেগে থাকে ঠান্ডা লাগার
কারণে হয়তো বা আপনার গলা ব্যথা কাশি জ্বর যদি হয়। এক কাপ লিকার চা খেয়ে নিবেন
এ সমস্যাগুলো আর থাকবে না।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে যদি করা লিগারের সে ক্ষেত্রে আপনার যে সমস্যাটা হতে পারে।
আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। আপনার ওয়াশরুমের কাজটা কিলিয়ার না হতে পারে। কষা
হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও আপনি যদি রাতে ঘুমান সে ক্ষেত্রে আপনার ঘুমের নিদ্রা হতে
পারে। অতিরিক্ত পরিমাণ লিকার চা খেলে রাতে ঘুম তাড়াতাড়ি আসে না তাই নিয়ম
মত চা খাবেন।
কফি চা খেলে কি হবে
কফি চা খেলে কি হবে। বা কফি চা কিংবা ক্যাফেইন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
আপনি যদি নিম্ন পর্যায়ে স্বল্প ভাবে খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের
ক্ষতিকারক নাও হতে পারে। তবে কফিতে যেই ক্যাফিন থাকে এটা আমাদের শরীরের জন্য
ক্ষতিকারক।
এটা আপনার শরীরে নতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে অতিরিক্ত ক্যাফেইন আপনার শরীরের যে
ক্ষতি করবে তা হলো। আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি করবে। কফিতে ক্যাফিন থাকে যা
অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে মানুষ চাপ বেড়ে যায়। এবং অনিদ্রার কারণ হতে
পারে।
আপনার ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে। কফি আমাদের শরীরের স্নায়ুতন্ত্র কে উদ্বৃদ্ধ করে
যা রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষত আপনি যদি কফি সন্ধ্যার পর খেয়ে থাকেন
সেটি আপনার রাতে ঘুমের জন্য আরও ক্ষতি করাতে পারে। এসিডিটি ও পেটে গ্যাসের সমস্যা
হতে পারে ক্যাফিন আপনার আমার শরীরে এসিডিটির সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এছাড়াও অতিরিক্ত ক্যাফেইন আসক্তি তৈরি করে। প্রতিদিন বেশি পরিমাণে কফি পান করলে
শরীরের ক্যাপিনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যায়। যেটা থেকে বের হয়ে আসা কিংবা বাদ
দেওয়া খুব কঠিন হয়ে যায়। আর হঠাৎ করে বাদ দিয়ে দিলে আপনার মাথা ব্যথা
কিংবা ক্লান্তি খারাপ মেজাজ হতে পারে। গর্ব অবস্থায় ক্যাফিন খাওয়া একবারে
নিষিদ্ধ।
চাপাতি কোথায় পাওয়া যায়
চায়ের জন্য চাপাতি কোথায় পাওয়া যায়। আমরা যারা চা খেতে ভালোবাসি অনেকেই
রয়েছে যারা বাসায় চা করে খায়। তারা অনেকেই ভালো মানের চাপাতির খোঁজ করে। কারণ
ভালো মানের চাপাতি যদি আপনি না পান সেক্ষেত্রে চায়ের স্বাদ সুস্বাদু এবং সুগন্ধি
আসে না।
আমরা প্রথমে জানবো চাপাতা কোথায় উৎপন্ন হয়। বাংলাদেশ প্রধানত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে
চা পাতা উৎপন্ন হয় এছাড়াও দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে চাপাতা উৎপন্ন হয়। এটা উৎপন্নর
জন্য প্রয়োজন উর্বর মাটি উচ্চ তাপমাত্রা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত। এই
এলাকা গুলোতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে চা পাতা বিশেষ করে সেই এলাকায় বড় বড়
চা বাগান রয়েছে।
সেখান থেকে চা পাতা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়ে যান্ত্রিক দ্বারা চাপাতি তৈরি করা
হয়। প্রথমে সিলেট অঞ্চল বাংলাদেশের চা উৎপন্নের মূল কেন্দ্র হলো সিলেট অঞ্চল। এ
জায়গাতে সবচাইতে বেশি চা বাগান রয়েছে যেমন মৌলভীবাজার জেলাঃ বাংলাদেশের মোট চা
উৎপাদনের প্রায় ৫০% এ জেলায় হয়। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল কেউ বলা হয় বাংলাদেশের
চায়ের রাজধানী।
হবিগঞ্জ জেলাও বড় বড় চায়ের বাগান রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চা উৎপাদনের মূল কারিগর হল
সিলেট। এজন্য বড় করে ভাস্কর্য তৈরি করা আছে সিলেটে। এরপরে রয়েছে চট্টগ্রাম
অঞ্চল বাংলাদেশের চা উৎপাদনে প্রাচীন কেন্দ্র। চট্টগ্রামে রয়েছে অনেক বড় বড় চা
বাগান। এরপরে রয়েছে পঞ্চগড় বাংলাদেশের নতুন চা উৎপাদনের অঞ্চল হল উদীয়মান
চট্টগ্রাম।
পঞ্চগড়ের মাটি জলবায়ু এবং চাষের জন্য খুব উপযোগী। বাংলাদেশের চাষ শিল্প
বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাত। এই চা বাগান গুলোতে চা-পাতা সংগ্রহ
করে নিয়ে গিয়ে যান্ত্রিক দ্বারা চাপাতি তৈরি করা হয়। আপনি হাটে বাজারে চাপাতির
প্যাকেট পেয়ে যাবেন। তবে চেষ্টা করবেন পা ইস্পানি চা পাতা ব্যবহার করার এটা
অনেক ভালো।
চা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা প্রয়োজন
চা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা প্রয়োজন। আমরা যারা চা- প্রিয় লোক রয়েছি। কিংবা
যারা চা খেতে অনেক পছন্দ করি তারা হয়তো সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে চা খায় না। সব
জিনিসেরই একটা নিয়ম রয়েছে তেমনি চা খাওয়ারও একটি নিয়ম রয়েছে আপনি যদি এ
নিয়ম গুলো মেনে চলেন তাহলে উপকার পাওয়া যায়। আর না মেনে চললে বরঞ্চ ক্ষতি
হয়।
জেনে নেই চা খাওয়ার নিয়ম গুলো কি কি। সঠিক নিয়মে চা খাবেন খালি পেটে চা নয়
খালি পেটে চা খেলে এসিডিটি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। সকালবেলা যখন আপনি চা খাবেন
চা খাওয়ার আগে হালকা বিস্কুট কিংবা রুটি খেয়ে নিবেন। তারপর আপনি চা খাওয়ার
চেষ্টা করবেন।
তবে অবশ্যই খাওয়ার পরপরই চা নয় অন্তত ১৫ মিনিট পরে আপনি রং চা কিংবা দুধ
খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সকালে কিংবা বিকেলে নাস্তার পর চা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য
অনেক উপকার। চায়ের এর ধরন নির্বাচন করতে হবে। সবুজ চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
এটা মূলত শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এছাড়াও কালো শক্তি বাড়াতে
ভালো কাজ করে।
তারপরে রয়েছে ভেজসটা যা ঠান্ডা কাশি গলা ব্যাথা দূর করে। চায়ের পরিমান দিনে দুই
থেকে তিন কাপ চা খেলেই যথেষ্ট। এর বেশি চা খাওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত চা খেলে
ঘুমের সমস্যা হতে পারে। সঠিকভাবে মিশ্রণ করবেন দুধ চিনি কম ব্যবহার করুন। সঙ্গে
মধু কিংবা লেবু আদা, পুদিনা তেজপাতা মিশিয়ে চা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং পরিমিত
বজায় রেখে এই নিয়মে চা খাবেন।
দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন। আমরা এই আর্টিকেলে চা খাওয়ার উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অতিরিক্ত পরিমাণে চা খেলে কি সমস্যা হবে। তার
নিয়ম বজায় রেখে চা খেলে কি উপকার হবে তা আমরা এই আর্টিকেলে জানতে পেরেছি। আপনি
যদি এই আর্টিকেলটি পূর্ণাঙ্গ করে থাকেন তাহলে চা খাওয়ার সমস্যা উপকার সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারবেন।
দুধ আমাদের শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর একটি খাদ্য। প্রতিদিন নিয়ম মত যদি আমরা এক
গ্লাস করে দুধ খাই তাহলে আমাদের শরীরে অনেক উপকার পাব। দূত একটি সহজলভ্য খাদ্য
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করে দুধ চা খেলে কি কোন ক্ষতি হবে।
প্রথমেই আমরা জেনে নেব অতিরিক্ত চা খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
মূলত দুধ চা আমাদের শরীরের কিছু উপকার রয়েছে। আমাদের মুখের স্বাদ বৃদ্ধি করে।
এটা খেতে অনেক ভালো লাগে। মাথা ব্যথা ভালো করার ওষুধ হলো দুধ চা
সাময়িকভাবে। দুধ চায়ে বেশি পরিমাণে চিনি দিয়ে খেলে এটি আমার ক্ষতিকর হবে।
যাদের ওয়েট একটু বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য দুধ চা উপকার। দুধ চায়ে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি।
তবে দুধ চা খেলে গ্যাস ফর্ম করতে পারে। পেটে এসিডিটি বৃদ্ধি হতে পারে বেড়ে যেতে
পারে। তাই যত সম্ভব চেষ্টা করতে হবে দুধ চা না খাওয়ার যদি একটু খেতে মন চায়।
তাহলে সেই সঙ্গে আপনি টোস্ট কিংবা মুড়ি যুক্ত করতে পারেন একটু খেতে পারেন
পরিমাণে কম খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। পরিমাণে বেশি এবং ঘন করে খাওয়া
শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
বাচ্চার জন্য যা ক্ষতিকর না উপকার
বাচ্চার জন্য যা ক্ষতিকর না উপকার। অনেক বাচ্চাই থাকে যেমন তার বয়স তিন বছর তারা
বায়না করে এবং চা খাওয়া প্রায় শিখে ফেলে ত্রুটি কিংবা বিস্কিট ভিজিয়ে চা খায়
এক্ষেত্রে এটা ক্ষতিকর না উপকার। তবে একটি জিনিস চা দিয়ে রুটি কিংবা বিস্কিট
মুখে দিয়ে যদি সে খায় সেক্ষেত্রে কোন লাভ নাই।
কারণ সে শুধু মুখেই তৃপ্তি পায় এটাতে তেমন কোন নিউট্রিশন আপনার বাচ্চার জন্য
পাচ্ছেন না। যা হলো ডায়াবেটিস ক্ষুধা মন্দ তা তৈরি করে। বরঞ্চ এটা আপনার বাচ্চার
জন্য ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াবে কিরকম ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়াবে।
যেমন আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে চা খাওয়া অভ্যাস করে ফেলেন সে যদি চা খায় তাহলে তার ক্ষুধা মন্দ তা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সে চাই খাবে কিন্তু অন্যান্য খাবারগুলো যেমন ভাত এসব খাবারগুলো সে খাবে না কারণ তার পেট ভরা থাকবে এমন কি এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে। তাই বাচ্চাকে চা খাওয়া থেকে বিরত রাখবেন সেক্ষেত্রে বাচ্চার জন্য অনেক ভালো।ছ
চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা শেষ কথা
চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা শেষ কথা। আজকের এই আর্টিকেলে লাল চা এর উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আমরা জেনেছি। আসলে চা এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার আবার অতিরিক্ত পরিমাণে যদি চা খান সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কোনটা উপকার আর কোনটা ক্ষতিকর এই আর্টিকেলে তা দেওয়া রয়েছে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করবেন রিপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। ভালো থাকবেন এই ওয়েবসাইটটি দৈনিক ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
সপ্নসেবা ব্লগার পেজের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় ।
comment url